যানজটের কারণে ঢাকার গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস সময়মতো ছাড়তে পারছে না। কোনো কোনো বাস ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা দেরিতে আসছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
শফিকুল ইসলাম ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পে কাজ করেন। ঈদ করতে যাবেন সিরাজগঞ্জ। শ্যামলী পরিবহনের বাস ছাড়ার কথা ছিল শুক্রবার বেলা দেড়টায়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গাড়ি আসেনি।
এই গরমে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন তিনি। সেই দুপুর থেকে গাবতলীতে বাসের অপেক্ষায় থাকার সময় কথা হয় নিউজবাংলার সঙ্গে।
গাবতলী বাস টার্মিনালে শ্যামলী কাউন্টারের মাস্টার মানিক হোসেন সন্ধ্যায় বললেন, ‘গাড়ি এখনও টাঙ্গাইলে আছে। কখন আসবে জানি না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বৃহস্পতিবার থেকে প্রত্যেকটা গাড়ি কয়েক ঘণ্টা করে লেট হচ্ছে। টিকিট বুকিংয়ের কারণে কোনো রিজার্ভ গাড়িও নেই।’
ঢাকা থেকে নাটোর-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচলকারী গ্রামীণ ট্রাভেলসের সকাল সাড়ে ১০টার বাস বিকেল পৌনে ৪টায়ও ঢাকায় আসেনি বলে কাউন্টার থেকে জানানো হচ্ছিল। কাউন্টারে তখন ক্লান্ত-শ্রান্ত মানুষের ভিড়।
হানিফ এন্টারপ্রাইজে নীলফামারী যাবেন আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে চাকরিজীবী মো. জিসান। তার বাস ছিল সাড়ে ৫টায়। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার দিকেও বাসের দেখা নেই। তিনি নিউজবাংলাকে জানালেন, ‘কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে যানজটের কারণে গাড়ি ছাড়তে লেট হবে। ৯টা-১০টা বাজতে পারে।’
ঢাকা থেকে বগুড়া, নওগাঁ, রংপুর রুটে চলে শাহ ফতেহ আলী পরিবহন। এই কাউন্টারের এক পরিবহনসংশ্লিষ্ট জানালেন, দুপুর ১২টার গাড়ি এখন বিকেল সাড়ে ৪টায়ও আসেনি। কখন আসবে সেটাও তারা জানে না।
বাস দেরিতে ছাড়লেও যাত্রীদের কাউন্টারে আসতে হয়েছে সময়মতো। যাত্রীদের অপেক্ষার ওয়েটিং রুমগুলোতে তাই ঘণ্টায় ঘণ্টায় ভিড় বাড়ছিল। প্রবীণ, নারী ও শিশুদের রেখে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের একটু সময় কাটাতে হাঁটাহাঁটি করতে দেখা যায়। কিন্তু কতক্ষণ একটানা দাঁড়িয়ে থাকা যায়। কোথাও একটু বসার জন্য এখানে সেখানে চেষ্টা করতে দেখা যায় শত শত মানুষকে।
ওয়েটিং রুমে ফ্যান থাকলেও বিদ্যুৎ চলে যেতেই তীব্র গরম পড়ে। শিশুরা কাঁদতে শুরু করে। এর মধ্যেই চলছে খাওয়াদাওয়া। সব মিলিয়ে পরিবেশগুলো একেবারেই যাচ্ছেতাই অবস্থা।
সকালে গাবতলী আসেন কলেজছাত্র মো. ইব্রাহিম। আগাম টিকিট ছিল না। যাবেন মাগুরা। তিনি নিউজবাংলাকে বললেন, ‘প্রায় ছয় ঘণ্টা গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে বসে আছি। কোনো টিকিট পাইনি। মনে করেছিলাম পদ্মা সেতু হয়ে গেছে এবার টিকিট পাওয়া যাবে। তাই টিকিট কাটিনি। বেশ কয়েকটা কাউন্টার টিকিট পেলে জানাবে বলে জানিয়েছেন। এই আশায় বসে আছি।’
কুষ্টিয়া যাবেন মানিক মিয়া। ঢাকায় একটি গ্যারেজে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করেন। সকাল ৮টায় গাবতলী বাস টার্মিনালে এসেছেন তিনি। বিকেল ৫টায় জানান, প্রায় ১৩ ঘণ্টা অপেক্ষার পরে হানিফ এন্টারপ্রাইজে একটি টিকিট পেয়েছেন। সেই বাস রাত ৮টায় ছাড়বে। বলেন, ‘এখনও তিন ঘণ্টা এখানে বসে থাকা লাগবে।’
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তিন সন্তানকে নিয়ে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে বসে রয়েছেন লুৎফা খাতুন। স্বামীসহ পাঁচজন তারা। যাবেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী।
তিনি জানালেন, ‘গাবতলী আসছি তিন ঘণ্টা হইল। এখনও টিকিট পাই নাই। আমার স্বামী টিকিট খুঁজছেন। যদি টিকিট না পাই তাহলে অন্যভাবে ব্যবস্থা করে যাইতে হবে।’
সাতক্ষীরা যাবেন জহুরা খাতুন। সঙ্গে খালা শাশুড়ি মর্জিনা খাতুন, ৯ বছরের ছেলে জাহিদুল ইসলামসহ পাঁচজন। জহুরা জানালেন, সকাল ১০টায় এসেছেন গাবতলী। প্রায় ৫ ঘণ্টা অপেক্ষার পরে দ্রুতি পরিবহনে টিকিট করতে পেরেছেন। যেই বাস রাত ৯টায় ছাড়বে।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে টিকিটের জন্য আমাদের মেলা পেরেশানি হইছে।’
সাতক্ষীরার শ্যামনগর যাবেন জামাল উদ্দিন। সঙ্গে রয়েছেন এক বছরের শিশু ও স্ত্রী। বলেন, ‘তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর এখানে এসে টিকিট পেলাম।’
সাতক্ষীরার শ্যামনগর যাবেন আবুল বাশার ঢাকায় একটি পোশাক কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘দুপুর ১২টায় আইছি। তিন ঘণ্টা ট্রাই করে ইঞ্জিন কাভারে সিট পাইছি।’
বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার থেকে জানানো হচ্ছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তীব্র যানজটের কারণে এই ভোগান্তি। অনেক বাস ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে আটকে যাচ্ছে। ঢাকায় ফিরতে সময় লাগছে অতিরিক্ত তিন থেকে চার ঘণ্টা।
দুই মাস আগে ঈদুল ফিতরে ঈদযাত্রায় মানুষ বাড়ি ফিরেছে বলতে গেলে নির্বিঘ্নেই। কোনো পথেই যানজটের ভোগান্তি তেমন একটা ছিল না। টিকিটের জন্য হাপিত্যেসও দেখা যায়নি।
সেবার মোটরসাইকেলে করে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে বাড়ির পথে যায়। যে কারণে বাসে-ট্রেনে চাপ ছিল কম।
আবার ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি এবং মে দিবসের ছুটি যোগ হওয়ায় তখন মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করে আগেভাগেই। আবার ঈদের ছুটির শেষে কেবল একটি কর্মদিবস পরে আবার দুই দিনের ছুটি ছিল। সব মিলিয়ে ৯ দিনের লম্বা বিশ্রামের সুযোগ ছিল মানুষের কাছে।
কিন্তু এবার ঈদের তিন দিনের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির এক দিন যুক্ত হয়ে মোট ছুটি চার দিনের। ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষ মূলত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যাত্রা শুরু করে। এই চাপটা শুক্রবার সকাল রাত অবধি ছিল। সময়মতো গাড়ি ছাড়লে হয়তো এতটা ভিড় হতো না।
গাবতলী থেকে ছাড়ে, এমন একটি পরিবহন কোম্পানির কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, সড়ক ও মহাসড়কের পাশে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। মূলত এ কারণে রাস্তায় যানজট।
পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, যমুনা সেতু এলাকা ও আমিনবাজার থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত যানজট রয়েছে। গাবতলী পশুর হাটের কারণে শ্যামলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত যানজট। পোশাক কারখানাসহ সব প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে ছুটি দেয়ায় রাস্তায় অনেক মানুষ নেমেছে। এ কারণেও যানজট তৈরি হয়েছে।
ঢাকা থেকে রংপুর যায় আরাফাত ক্যারেজ ওয়েজ। এই ব্যানারে আরাফাত, আগমনী ও শ্যামলী -এই তিনটি পরিবহনের বাস চলে, যাদের কাউন্টার গাবতলীর মাজার রোডে।
আরাফাত পরিবহনের কর্মকর্তা মো. সোহেল জানান, ‘বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাপক সিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। কোনো বাস সময়মতো ঢাকায় ফিরতে পারছে না।’
তার পাশে বসা আগমনী পরিবহনের ইউনূস আহমেদও জানালেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘একটি বাসও সঠিক সময়ে ঢাকা ছেড়ে যেতে পারেনি।’
হানিফ পরিবহনের উত্তরবঙ্গগামী কাউন্টারের কর্মী রুবেল হোসেন বলেন, ‘শিডিউল বিপর্যয়ে রয়েছে। তবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, শুক্রবার রাতের গাড়িগুলো ছাড়তে দেরি হবে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।
তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের
তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।
পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করি,পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, আশেপাশের লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং সেখানে ঘুমাতেন। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে জানার চেষ্টা চলছে।
এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে নিম্ন মানে শীর্ষে না থাকলেও অস্বাস্থ্যকরই রয়ে গেছে ঢাকার বাতাস।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ১২০ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে অষ্টম ছিল ঢাকা।
একই সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু, চীনের বেইজিং, ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দিনের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৭ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আজ সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১২০। এর মানে হলো ওই সময়টাতে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল ঢাকার বাতাস।
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের কোনো আঙুলই রাখার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রোববার ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আহত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের আঙুল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে পাঁচটা আঙুলের কোনটাই রাখা সম্ভব না। এছাড়া ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ও হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ডা. বিধান সরকার বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগ, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। বর্তমানে তিনি অপারেশন থিয়েটারে আছেন। তবে তার অবস্থা স্ট্র্যাবল। এ ছাড়া বাম পায়ের পাতার টিস্যুগুলো নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পায়ের আঙুল কাটা পড়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের (৬০)।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. মো. হারুন অর রশিদ জানান, দিনাজপুর ফুলবাড়িয়া গিয়েছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বিভিন্ন সময় কয়লা খনির শ্রমিকদের মৃত্যুতে দিনাজপুরে শনিবার একটি শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। রোববার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।
আনু মুহাম্মদের সাথে থাকা মো. মাহাতাব বলেন,‘ট্রেনটি খিলগাঁও ক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে গতি কমিয়ে দেয়। তখন সেখানে ট্রেন থেকে নামছিলেন তিনি। তবে নামার সময় তার পা পিছলে মাজা পর্যন্ত চাকার নিচে চলে যায়। এমন সময় ট্রেনটি চলতে শুরু করে। দেখতে পেয়ে দ্রুত ট্রেনের নিচ থেকে বের করতে করতে চাকার নিচে পায়ের আঙুলগুলো কাটা পরে।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল ক্যায়াজুয়ালিটি বিভাগের ১০৫ নম্বর কক্ষে আহত আনু মুহাম্মদকে অপারেশন থিয়েটার (ওটিতে) নেয়া হয়। দুই ঘণ্টা অস্ত্রোপচার শেষে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে পোস্ট অপারেটিভ নেয়া হয় তাকে। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে বাম পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের।
কমলাপুর যাওয়ার জন্য ট্রেনে ওঠার সময় রোববার বেলা ১১টার দিকে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এ শিক্ষক।
পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় তাকে, যেখানে এই মুহূর্তে চিকিৎসা চলছে তার।
আনু মুহাম্মদকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী মাহতাব বলেন, ‘খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ধীরগতিতে চলা একটি ট্রেন কমলাপুরের দিকে যাওয়ার সময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ওই ট্রেনে উঠতে যান। ওই সময় পা পিছলে চাকার নিচে পা চলে যায়। এতে তার বাম পায়ের আঙুল থেঁতলে যায় এবং কাটা পড়ে।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক মাসুদ মিয়া বলেন, ‘খিলগাঁও রেলগেট থেকে ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা অবস্থায় আনু মুহাম্মদকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
মন্তব্য