রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় একটি ব্রিজের নিচ থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গঙ্গাচড়া বাজারসংলগ্ন ভুটকা ব্রিজের নিচের পানি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
৮০ বছরের মাহের উদ্দিনের বাড়ি ওই একই উপজেলায়। স্থানীয় একটি বাজারে তার দোকান ছিল।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয়রা ব্রিজের নিচে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পরিবারের বরাতে ওসি জানান, বুধবার বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে দোকানে যান। রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য কেন জানতে চাওয়া হয়নি, তা সরকার ও দুদককে জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
সকালে বিচারকাজের শুরুতেই আদালত দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিকের বক্তব্য শোনে। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
সুইস ব্যাংকে জমা করা অর্থের বেশিরভাগই অবৈধ পথে—এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, তা রোববারের মধ্যে জানাতে বলেছে আদালত।
হাইকোর্টের দুই বিচারকের একজন বলেন, ‘সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পড়েছি।’
ওই সময় তিনি বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে প্রকাশিত সংবাদের কপি জমা দিতে বলেন।
ঢাকায় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা অর্থের বেশিরভাগই অবৈধপথে আয় করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুইস ব্যাংকের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি।
আরও পড়ুন:মেহেরপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীকে গালি দেয়ার অভিযোগে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
উপজেলার সহোগলপুর গ্রাম থেকে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪২ বছর বয়সী আবু তালেব গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাজারপাড়ার বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গাংনী থানায় তার নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করা হয়েছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সাইফুল ইসলাম।
ওসি সাইফুল জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশেও তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ৬ আগস্ট আবু তালেব ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গালিগালাজ করেন। পরে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজরে আসে।
এ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দেন আবু তালেব। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ অবস্থান জানতে পেরে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ বাদী হয়ে আবু তালেবের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে আদালতে তোলা হবে।’
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে যৌতুক চেয়ে না পেয়ে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে তাড়িয়ে দুই সন্তানের পায়ে খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই নারী তার স্বামীকে মাদকাসক্ত দাবি করে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বুধবার রাতে অভিযোগের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিকেলে পৌর এলাকার সবুজবাগ কোবা মসজিদের পাশের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ৯ বছরের শিশু আরোবি ও তার ভাই ৫ বছর বয়সী আলিফ বর্তমানে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত নুর আলমের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার পূর্ব মাতাপুর গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১১ বছর আগে নুর আলম ও জয়মেনা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক মেয়ে ও ছেলের জন্ম হয়। মাদকাসক্ত নুর আলম কাজকর্ম না করে যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
গত ২৮ জুলাই যৌতুকের টাকার জন্য ছেলে ও মেয়েকে বাসায় আটকে রেখে জয়মেনা খাতুনকে বের করে দেন নুর আলম। জয়মেনা বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
পরে খেলতে যাওয়ায় মেয়ে আরোবি ও ছেলে আলিফকে মারধর করেন নুর আলম। এ সময় গরম খুন্তি চেপে ধরে মেয়ের ডান পায়ের তালু ও ছেলের বাঁ পায়ের তালু ঝলসে দেন। খবর পেয়ে জয়মেনা বেগম সন্তানদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:নওগাঁর পত্নীতলায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং যৌনবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
শহরের কাঁঠালতলী এলাকায় বুধবার রাত ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব-৫। এ সময় তার বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক ৪০ বছরের সালাম হোসেনের বাড়ি সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামে।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ১১ জুলাই পত্নীতলার কাদাইল বাজার এলাকা থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীকে একটি সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যান সালাম হোসেন ও তার সহযোগীরা। পরে অপহরণকারীরা ফোন করে মেয়েটির বাবার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন।
‘অপহরণের পর প্রথমে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ এলাকার একটি বাসায় সালামসহ তার অপর দুই সহযোগী চয়ন উদ্দীন ও আলমগীর হোসেন ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে নওগাঁ শহরের কাঁঠালতলী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আটকে রেখে তাকে যৌনবৃত্তিতে বাধ্য করেন তারা।’
অপহরণের পর পত্নীতলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মেয়েটির বাবা। পাশাপাশি র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত কিশোরীর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয় সালাম হোসেনকে।
সালামকে পত্নীতলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সালামের সহযোগীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।’
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করবেন।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেল থেকে নারী চিকিৎসকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করেছে কলাবাগান থানা পুলিশ।
‘ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের হোটেল থেকে বুধবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২৭ বছর বয়সী ওই চিকিৎসকের নাম জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীক। তিনি ঢাকা কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস করেছেন।
জান্নাতুল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি কোর্সে পড়ছিলেন।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রেজাউল নামের একজনের সঙ্গে উঠেছিলেন জান্নাতুল। হোটেলটির চতুর্থ তলার ৩০৫ নম্বর কক্ষের বিছানার ওপর থেকে জান্নাতুলের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রেজাউলকে আটকের চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগের সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও তার স্ত্রীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসাইন বুধবার বিকেলে আকবরশাহ থানায় মামলা করেন।
আসামিরা হলেন, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম, তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও ওই স্থাপনার তত্ত্ববধায়ক মো. হৃদয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (চট্টগ্রাম মহানগর) হিল্লোল বিশ্বাস।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নগরীর পাহাড়তলী মৌজার লেকসিটি এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের একটি অভিযোগ পেয়ে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। এ সময় পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ ও গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়।
‘স্থাপনা বলতে টিনশেড সেমিপাকা একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অন্তত ৩ হাজার ঘণফুট পাহাড় ও তিনটি বড় গাছ কেটে নিয়েছে ওরা। বুধবার শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। শুনানিতে ওই স্থাপনার তত্ত্বাবধায়ক হৃদয় এসে জমির প্রকৃত মালিক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলে জানান।’
আরও পড়ুন:ভুল চিকিৎসায় রোগীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে বুধবার মামলাটি করা হয়।
ভুক্তভোগী মাহজাবীন হক মাশা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আমিনুল হক শামীমের বড় মেয়ে। মামলাটি করেছেন মাহজাবীনের ছোট ভাই এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. সামিউল হক সাফা।
আসামি করা হয়েছে ঢাকার সোবহানবাগ এলাকার দীন মোহাম্মদ চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারের চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীপক নাগকে।
আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, মাহজাবীন হক চোখের সমস্যার কারণে গত ৫ জুন দীন মো. চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীপক নাগের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে চিকিৎসক লেজার রশ্মির মাধ্যমে সার্জারি করেন। এরপর থেকে চোখে অন্ধকার দেখা শুরু করেন মাশা।
এমন পরিস্থিতিতে মাশাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে মাশার চোখের ৩৩ ভাগ রেটিনা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।
পরে মাশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে মাশার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আদালত পরিদর্শক বলেন, ‘এ ঘটনার বিচার চেয়ে মামলাটি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানাকে এফআইআরভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।’
মামলার বাদী সামিউল হক সাফা বলেন, ‘একজন চিকিৎসকের এত বড় ভুল হতে পারে না। আমার বোনের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য