× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Uninterrupted public life disrupting production due to load shedding
google_news print-icon

লোডশেডিংয়ে উৎপাদন ব্যাহত, অতিষ্ঠ জনজীবন

লোডশেডিংয়ে-উৎপাদন-ব্যাহত-অতিষ্ঠ-জনজীবন
গত এক সপ্তাহে নওগাঁর গ্রাম ও শহর লোডশেডিং বেড়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
গত এক সপ্তাহে নওগাঁর গ্রাম ও শহরে লোডশেডিং বেড়েছে। দিনরাত প্রায় সাত থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে গ্রাম এলাকায়। এসব এলাকার শতভাগ গ্রাহকই পল্লী বিদ্যুতের।

দিনে তীব্র তাপদাহ, রাতে ভ্যাপসা গরম। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে দুর্বিষহ মাত্রায় বেড়েছে লোডশেডিং। সব মিলিয়ে নওগাঁর গ্রাম ও শহরের জনজীবন অতিষ্ঠ।

লোডশেডিংয়ের কারণে আউশ ও রোপা আমনের ক্ষেতে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানায়।

লোডশেডিংয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নওগাঁর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, গ্যাসস্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন। এ কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহে নওগাঁর গ্রাম ও শহরে লোডশেডিং বেড়েছে। দিনরাত প্রায় সাত থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে গ্রাম এলাকায়। এসব এলাকার শতভাগ গ্রাহকই পল্লী বিদ্যুতের।

নওগাঁ পল্লী সমিতি-১ ও সমিতি-২ এর কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে নওগাঁয় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ৭ লাখ ৮৫ হাজার। এই পরিমাণ গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৫২ মেগাওয়াট। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লিমিডেট চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছে।

বর্তমানে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকার ফসলি মাঠজুড়ে আউশ ধান রোপণের কাজ চলছে। কৃষকরা রোপা আমন রোপণের জন্য বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। বৃষ্টি না থাকায় কৃষকেরা গভীর-নলকূপ থেকে জমিতে সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন। এ ছাড়া নওগাঁয় চালকলসহ ছোটবড় প্রায় ২ হাজার কলকারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা থাকে। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

যা বলছেন গ্রাহকরা

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা গ্রামের বাসিন্দা রবিন হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শুধু রাতেই পাঁচ-ছয় ঘণ্টা ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। গরমের কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না।’

আত্রাই উপজেলার নওদুলি গ্রামের বাসিন্দা তৌফিক হাসান বলেন, ‘শহরের চেয়ে গ্রামে আরও বেশি সমস্যা। গ্রামে কারেন্ট গেলেই মনে হয় আর আসার খবর নাই। এত গরম হচ্ছে তার মধ্যে দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময় লোডশেডিং হচ্ছে।’

তীব্র গরম ও লোডশেডিং বিড়ম্বনায় শহরবাসী

নওগাঁর উকিলপাড়া মহল্লার গৃহিণী শান্তা বেগম বলেন, ‘বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এক ঘণ্টা থাকলে আবার দেড় থেকে দুই ঘণ্টা থাকছে না। এদিকে আবার রোদ-গরম। খুব অশান্তি অনুভব করছি। বাচ্চার ঠিকমতো পড়াশোনাও হচ্ছে না। দ্রুত সমস্যার সমাধান না করা হলে অসুস্থ হয়ে যাব আমরা।’

শহরের তাজের মোড়ের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মতো বয়স্ক মানুষকে গরমে খুবই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। একে তো গরম, তার মধ্যে আবার লোডশেডিং, খুবই সমস্যা হচ্ছে।

‘শারীরিকভাবে আমি খুবই অসুস্থবোধ করছি। এমন লোডশেডিং বন্ধে সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।’

লোডশেডিংয়ে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা কৃষকদের

লোডশেডিংয়ের কারণে জমিতে সেচ দিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় সেচব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

জেলার রাণীনগর উপজেলার মালশন গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডিপ টিউবওয়েলের মাধ্যমে ঠিক সময় পানি সেচ করা যাচ্ছে না। জমিতে সময়মতো পানি দিতে না পারলে ফসলের ক্ষতি হবে। দিন ও রাতে বেশির ভাগ সময় ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না।’

ইমদাদুল হক নামের স্থানীয় আরেক কৃষক বলেন, ‘এখন আমন মৌসুম চলছে। জমিতে ঠিকমতো পানি না দিলে ধান রোপণ ব্যাহত হবে। বিদ্যুৎ তো ঠিকমতো থাকছেই না। কৃষকরা যাতে ঠিকমতো বিদ্যুৎ পায়, সেদিকে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।’

ছোট-বড় কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত

লোডশেডিংয়ের কারণে নওগাঁ বিসিক শিল্প নগরীসহ ছোট-বড় কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন কারখানাগুলোতে কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের।

জেলা শহরের ফিরোজপুর মোড় এলাকায় অবস্থিত জাহেরা রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক বলেন, ‘বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এবং মিলের গুদামে ধানের মজুত থাকলে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ মণ চাল উৎপাদন হয়। লোডশেডিংয়ের কারণে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন চাল উৎপাদন এখন ১৫০ মণের নিচে নেমে এসেছে।

‘শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এতে ক্রমেই লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে।’

মহাদেবপুর উপজেলা সদরের জামান রাইস মিলের মালিক জামান দেওয়ান বলেন, ‘বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছি না আমরা। আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এমন সমস্যা চলছে। এমনটা চলতে থাকলে বড় ধরনের লোকশানের মুখে পড়তে হবে আমাদের। তাই দ্রুত বিদ্যুৎ লোডশেডিং বন্ধ করতে বিদ্যুৎ বিভাগের দৃষ্টি কামনা করছি।’

কী বলছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা

মুঠোফোনে কথা হয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের লিমিটেডের রাজশাহী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গ্যাসের চাপ কম থাকায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিষয়টির ব্যাখ্যা করেছেন।

‘আমরা রাজশাহী থেকে শুধু অপারেশনাল কাজটা দেখে থাকি। জাতীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থেকেই লোডশেডিং করা হচ্ছে। তবে আশা করা হচ্ছে আগামী দুই দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

নওগাঁ পল্লী সমিতি-১ এর উপমহাব্যবস্থাপক (কারিগরি) প্রকৌশলী লুৎফুল হাসান সরকার বলেন, ‘নওগাঁ পল্লী সমিতি-১- এর গ্রাহকসংখ্যা ৪ লাখ ৬০ হাজার। এই পরিমাণ গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ৯০ মেগাওয়াট। তবে বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ মেগাওয়াট করে।

একই পরিস্থিতি নওগাঁ বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর গ্রাহকদেরও। নওগাঁ বিদ্যুৎ সমিতির-২-এর জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার সাহা জানান, তাদের ৩ লাখ ২৫ গ্রাহকের প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ৬২ মেগাওয়াট। বর্তমানে মিলছে ৩০ থেকে ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

আরও পড়ুন:
লোডশেডিংয়ে আইপিএস-সোলারের রমরমা
এত লোডশেডিং কেন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী
চাহিদার অর্ধেক সরবরাহে বারবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে বগুড়ায়
গ্যাসস্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত
ঈদ মৌসুমে পাদুকাশিল্পে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Black Hanuman leaving the area in search of food

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

p
উপরে