× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Extreme load shedding is horrible Fakhrul
google_news print-icon

প্রচণ্ড লোডশেডিং হচ্ছে, এটা ভয়াবহ: ফখরুল

প্রচণ্ড-লোডশেডিং-হচ্ছে-এটা-ভয়াবহ-ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি শাসনামলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ছিল নাজুক। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও তার জোটের বড় পরাজয়ের পেছনে যেসব কারণ কাজ করেছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল বিদ্যুৎ খাত নিয়ে ব্যর্থতা। এই পাঁচ বছরে বিএনপি সরকার একটিও নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে পারেনি, উল্টো এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন কার্যাদেশ বাতিল করেছে। বিদ্যুতের দাবিতে এখানে সেখানে বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে সেই সরকার। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিও হয়েছে।

বিদ্যুৎ পরিস্থিতির হঠাৎ করে অবনতিকে ভয়াবহ বলে ‍উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, বিদ্যুতের উন্নয়নের কথা যে বাকসর্বস্ব, সেটি প্রমাণ হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এই মন্তব্য করেন।

গত ২৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে টানা আট দিন উত্তরার বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। করোনামুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আসেন। আগের দিন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ তুলে ধরেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘প্রচণ্ড লোডশেডিং হচ্ছে- এটা ভয়াবহ। সরকারের শতভাগ বিদ্যুতের যে কথা, আজকের এই অবস্থা (লোডশেডিং) প্রমাণ করে যে আমরা যে কথাগুলো বলে আসছি- সেগুলো বাকসর্বস্ব কথা। এগুলো (কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) করার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা, এসব করে নিজেদের পকেট ভারী করা, বিদেশে গিয়ে বাড়িঘর তৈরি করা।’

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি শাসনামলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ছিল নাজুক। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও তার জোটের বড় পরাজয়ের পেছনে যেসব কারণ কাজ করেছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল বিদ্যুৎ খাত নিয়ে ব্যর্থতা।

এই পাঁচ বছরে বিএনপি সরকার একটিও নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে পারেনি, উল্টো এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন কার্যাদেশ বাতিল করেছে। বিদ্যুতের দাবিতে এখানে সেখানে বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে সেই সরকার। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিও হয়েছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি নানা পদক্ষেপ নেয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এই সময়ে কয়েক গুণ বেড়েছে এবং এটাকে সরকার সাফল্য হিসেবে প্রচার করে আসছে।

তবে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ গত কয়েক বছরে লোডশেডিং শব্দটা ব্যবহার করত না। তারাই এখন লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আর না কেনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবে জানিয়ে তিনি দুঃখও প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ পরিস্থিতির এই কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ আমরা সবার ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলাম এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সবাই পাচ্ছিল। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে উপকরণগুলো সেগুলোর দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। যেমন ডিজেলের দাম বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে, এলএনজির দামসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। কয়লা এখন প্রায় পাওয়াই যায় না।’

ফখরুল অবশ্য মনে করেন বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন হয়নি। পুরো খাতটিই ভঙ্গুর। তিনি বলেন, ‘এখন এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে আমরা যেটা বলে আসছিলাম আল্টিমেটলি দেখা যাবে যে সবই একেবারে ভঙ্গুর অবস্থা। সেই ভঙ্গুর অবস্থার দিকেই আমরা চলে যাচ্ছি।

পদ্মা সেতুতে কাজ হবে না

বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র ‘অবরুদ্ধ’ দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, এই পরিস্থিতি রেখে হাজারটা পদ্মা সেতু করলেও বর্তমান সরকার জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না।

‘দেশের জনগণ আমাদের পাশে থেকে বারবার ভোট দিচ্ছে। আমাদের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন দিয়ে দেখুক না উনাদের প্রতি কতটুকু আস্থা আছে?

‘হাজারটা পদ্মা সেতু করেও কোনো লাভ হয় না। আইয়ুব খান যে উন্নয়ন করেছিল পাকিস্তান আমলে… কিন্তু জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, জনগণ যদি গণতন্ত্রকে না পায়, গণতন্ত্র যদি না থাকে, তার অধিকার যদি না থাকে, তার ভোটাধিকার না থাকে সেখানে কিন্তু কোনো লাভ হয় না।’

মানুষ ভোট দিচ্ছে কোথায়- এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের আস্থাটা গ্রহণ করছেন তিনি কীভাবে? তিনি তো কাগজে-কলমে সিল মেরে আগের রাত্রে ভোট দিচ্ছেন, ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের মতো আরকি।’

রিজার্ভের ৭ বিলিয়ন ডলার সরকারসংশ্লিষ্টদের পকেটে

বাংলাদেশের বিজার্ভ থেকে সরকারঘনিষ্ঠদের ঋণ দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে সরকারের শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাড়ে ৭ মিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রদানের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৪ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার।

‘ওই ধরনের প্রায় সবটাই (ফোর্সড লোন অধিকাংশই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের) পর্যবসিত হয়েছে। আইএমএফ এই ধরনের ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অন্তর্ভুক্ত না করতে বলেছে। এই সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার অবয়বে আর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বলললেই চলে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার অর্থনীতির সকল নিয়মকানুন ভঙ্গ করে, রিজার্ভের সকল বিধি ভঙ্গ করে শুধুমাত্র নিজেদের ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের লাভবান করার জন্য রাষ্ট্রের এই ভয়াবহ ক্ষতি করে চলেছে। ইডিএফ্ ঋণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে বিদেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি, ব্যবসা, স্থাপনা তৈরি করে দেশের অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করছে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব সামাজিক, অর্থনীতি ও সমগ্র অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ফেলবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির গতকালের সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।'

নতুন করে জনশুমারির দাবি

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশজুড়ে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ সঠিকভাবে হয়নি বলে পরিকল্পনামন্ত্রীর স্বীকারোক্তি থেকে বোঝা যায় কী অবস্থা। প্রকৃতপক্ষে জনশুমারি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকারের আমলে সব ধরনের সমীক্ষা জরিপ এবং তথ্য সংগ্রহের কাজ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হওয়ার প্রকৃত তথ্য কখনই পাওয়া সম্ভব হয়নি।

‘জনগণকে এবং বিশ্বজনমতকে বিভ্রান্ত করার জন্য, দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করার জন্যই সরকার এই ধরনের নীতিবিবর্জিত কার্য্কলাপ করে চলেছে। ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশের সকল তথ্যের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। বিএনপি সঠিক পদ্ধতিতে প্রকৃত জনশুমারি ও গৃহগণনার ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে।’

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া ভোটে যাবে না বিএনপি

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটা নির্ভর করবে নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হবে কি না তার ওপর। যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হয় তাহলে আমাদের অংশগ্রহণ অবশ্যই দৃশ্যমান হবে। আর যদি না হয় হবে না।

‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি বাংলাদেশে যদি একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে হয় এখানে অবশ্যই একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে। তা না হলে এখানে কোনোমতেই আপনার যদি একেবারে স্বর্গ থেকে নির্বাচন কমিশনার নিয়ে আসেন তাহলেও সেটাকে সুষ্ঠু করতে পারবেন না- ইমপসিবল।'

দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার ব্যর্থ

সিলেট অঞ্চলে বন্যার্তদের পাশে সরকার দাঁড়ায়নি বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। বানভাসি মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছাতে পারেনি। বিশেষ করে বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসনে সরকারের কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান নয়।

‘অবিলম্বে দুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য, বস্ত্র, গৃহনির্মাণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থার জোর দাবি জানানো হয় স্থায়ী কমিটির সভায়।'

সম্প্রতি সাভারে স্কুলশিক্ষক হত্যা, নড়াইলে অধ্যক্ষকে অপমানসহ সারা দেশে সামাজিক নৈরাজ্যের চিত্রে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল। জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এই বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, ‘এই অনির্বাচিত সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় সমাজের সকল পর্যায়ে নীতিনৈতিকতার চরম অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।’

ফখরুল বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত পার্লামেন্ট এবং সরকার গঠনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সমাজ সৃষ্টি করলেই সমাজে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি।'

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
বন্যার্তরা সরকারি ত্রাণ পাচ্ছে না: বিএনপি
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ চেইন পুনঃপরীক্ষা করা উচিত’
ঈদের পর আন্দোলন শুনে কষ্ট হয় তথ্যমন্ত্রীর
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কলেজছাত্রের মৃত্যু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Turkeys Deputy Foreign Minister meeting with BNP Secretary General

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ঢাকায় সফররত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস সাক্ষাৎ করেন। ছবি : বাসস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ঢাকায় সফররত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস একিনচি।

আজ দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

সাক্ষাতে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনও উপস্থিত রয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রয়েছেন।

তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সফররত প্রতিনিধি দলের আরও দুই সদস্যও বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Election is essential to recover the democratic process in the country Amir Khasru

দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য: আমীর খসরু

দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য: আমীর খসরু

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে নির্বাচন অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে জনগণের সবচেয়ে বড় চাহিদা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করা। আর সেটা সম্ভব একমাত্র একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে।’

রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এ জন্যে সবাইকে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে।’

গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসন্ন নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন এবং তারা যে মানবেতর জীবনযাপন করছে, সেটিও আলোচনার একটি বড় অংশ ছিল।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগামী দিনে কীভাবে একযোগে কাজ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যতদিন তারা প্রত্যাবর্তন করতে না পারে, ততদিন তাদের বিষয়ে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন লুইস।’

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সম্পর্কে আমির খসরু বলেন, ‘বিগত দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে গোয়েন লুইসের অবদানকে আমরা স্বীকৃতি দিতে চাই’

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের চার্টার অনুযায়ী প্রতিটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে গোয়েন লুইস সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এ জন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The world has the support of the country through elections Mirza Fakhrul

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণ প্রক্রিয়ায় গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে।’

গত শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে দেশে ফিরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্তা একটাই, গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে, আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেইভাবে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব।’

আজকে গণতন্ত্রে উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক যান বিএনপি মহাসচিব। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরেছেন।

বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে গত শুক্রবার রাতে দেশে ফেরেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।

জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে আপনার আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সকলের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যারা গিয়েছেন তাদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে-এটাই তো স্বাভাবিক।’

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের যোগদানের সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে আমরা তার সফরসঙ্গি হয়েছিলাম এবং সেখানে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি, আমাদের এই সফর সফল হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য প্রদর্শন করবার জন্য প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেদিক থেকেও এই সফর অবশ্যই সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে আমরা মনে করি যে, এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে, এজ এ হোল গণতন্ত্রের জন্য ভালো হয়েছে।’

নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেনস্তা হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলোকে খুব বড় মনে করি না। এটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একটা কালচার।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two people nominated the Gopalganj 4 constituency

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন নিলেন দুইজন

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন নিলেন দুইজন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে গণঅধিকার পরিষদ থেকে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আবুল বসার ও কাজী রনি।

আবুল বসার গণঅধিকার পরিষদের কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক ও কাজী রনি ঢাকা মহানগর উত্তরের দপ্তর সম্পাদক।

আবুল বসার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কর্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। আবুল বসার কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের মৃত ধলা দাড়িয়ার ছেলে ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

এর আগে কাজী রনি সংগ্রহ করেন মনোনয়ন ফরম। কাজী রনি কোটালীপাড়া উপজেলার কুরপালা গ্রামের মৃত. কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় একজন ব্যাংকার। ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত।

আবুল বসার বলেন, গণঅধিকার পরিষদ গণমানুষের দল। জনসাধারণের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গণঅধিকার পরিষদে কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই নাই। গোপালগঞ্জ-৩ একটি ভিআইপি আসন। এ আসনের মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বর্তমান কর্মকান্ড অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদকেই বেছে নিবে বলে আমি আশাবাদী। আমি মনোনয়ন চেয়েছি, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি আশাকরি দলের সম্মান বজায় রাখতে পারব।

বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি বন্ধ করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ড নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাকে যদি গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গীপাড়া) আসনে গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে এলাকাছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেকে রয়েছেন জেলে। এদিকে অন্তর্ন্তীকালীন সরকার আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সম্ভাব্য প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mirza Fakhrul told reporters back from the United States

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সাংবাদিকদের যা বললেন মির্জা ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সাংবাদিকদের যা বললেন মির্জা ফখরুল

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গণতন্ত্র উত্তরণের এই প্রক্রিয়ায় গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে।’

যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এটি বিরল ঘটনা যে, সরকার প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের জন্যই সবাইকে নিয়ে এ সফর। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।

তিনি বলেন, বিদেশ সফরে গিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যারা গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, এটা তো স্বাভাবিক। আমাদের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিবের ভাষায়, প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এতে জাতীয় ঐক্যের একটি দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।’

তিনি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এসব আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সফর চলাকালে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও তা বড় করে দেখার কিছু নেই।

এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে সেখানে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও এনসিপির সদস্য সচিবসহ ৩টি রাজনৈতিক দলের ৬ নেতা।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় তারা দেশে ফেরেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Spreading confusion over the selection of a party Mirza Abbas

একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: মির্জা আব্বাস

একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী খিলগাঁও বাগিচা এবং শাহজাহানপুর এলাকায় গণসংযোগ এবং নিজ বাসভবনে উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পিআরসহ কিছু অযৌক্তিক দাবিতে নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়ে একটি ধর্ম ব্যবসায়ী দল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। একদিকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। এ দলটি সবসময়ই জাতিকে অন্ধকারে রাখতে পছন্দ করে। তারা মুখে এক কথা বলে আর বাস্তবে ভিন্নরূপ।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ। বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি দল দেশের প্রশাসন দখল করে নিয়েছে। স্কুল-কলেজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সকল জায়গা দখল নিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ী এদলটি, যা দৃশ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘এই দলটি মুখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেও তলে তলে তারা পতিত দোসরদের সাথে আঁতাত করছে। কয়েকদিন আগেও জামায়াত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল। আর এখন বলছে সব আওয়ামী লীগার খারাপ না।’
দিনব্যাপী গণসংযোগকালে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা খোকন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, সাবেক কমিশনার সাজ্জাদ জহির, আরিফুর রহমান আরিফ, ফজলে রূবায়েত পাপ্পুসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
PROCIAL Jamaat

পিআর আন্দোলনের আড়ালে নির্বাচনের প্রস্তুতি জামায়াতের

৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলে ১০০ আসন ছাড়: গোলাম পরওয়ার
পিআর আন্দোলনের আড়ালে 
নির্বাচনের প্রস্তুতি জামায়াতের

ইসলামী সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের সমঝোতা হলে জামায়াত ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গতকাল শুক্রবার খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যদিও আমরা ৩০০ আসন চূড়ান্ত করেছি, প্রাথমিক বাছাই হয়ে গেছে, তবে যাদের সঙ্গে আমরা সমঝোতা করব, যাদের সঙ্গে ঐক্য হবে, যে কয়টি দলের সঙ্গেই হোক, কিছু সিট তো আমাদের ছাড়া লাগবে, তা নাহলে তো ঐক্য হবে না। আমিরে জামায়াত আমাকে একটা আইডিয়া দিয়েছেন, এমনও হতে পারে, সমঝোতা করতে করতে শেষ পর্যন্ত একশ আসনও আমাদের ছেড়ে দিতে হতে পারে। আমাদের বলেছেন মাইন্ড সেট রাখবেন, কমপক্ষে ২০০ আসনে আমরা ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করব।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দ্বীনকে সংসদে পাঠানোর জন্য এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। যারা একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে এখন আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। আমিরে জামায়াত বলেছেন, ‘মুসলমানদের সামনে ৫৪ বছরের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের শক্তিকে পার্লামেন্টে নেওয়ার এমন অবারিত সুযোগ অতীতে আর কোনো দিন আসেনি।’ ভবিষ্যতেও আসবে কি না আমরা জানি না। ফ্যাসিস্ট আমাদের গর্তে ঢোকাতে চেয়েছিল, আল্লাহ তাআলা তাদের গর্তে দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।’
জামায়াত নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই সেক্রেটারি বলেন, এখন থেকে আপনারা পরিকল্পনা করেন যার যার নির্বাচনী এলাকায় কবে বাড়ি যাবেন, যতক্ষণ যেতে দেরি হবে নিজের উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কথাও বলেন তিনি।
পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছি, তবে একটি বড় দলের বাধায় জুলাই সনদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মৌলিক সংস্কার চায় না। তারা মনে করছে তারা ক্ষমতায় চলে গেছে, এটা ভেবেছে বলেই ডাকসু, জাকসু নির্বাচনে ফল পেয়েছে।’ একইসঙ্গে নির্বাচন ও আন্দোলন দুই প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জামায়াত বলেও জানান তিনি।
খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও নড়াইল জেলা জামায়াতের আমীমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু।

মন্তব্য

p
উপরে