× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Battery powered rickshaw thief cop game
google_news print-icon

ব্যাটারিচালিত রিকশার চোর-পুলিশ খেলা

ব্যাটারিচালিত-রিকশার-চোর-পুলিশ-খেলা
নিষেধাজ্ঞার পরও স্থানীয় নেতা ও পুলিশের যোগসাজশে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে। চালকরা বলছেন, পুলিশ আটক করলে মালিকরা আবার ছাড়িয়ে এনে রাস্তায় নামাচ্ছেন এসব রিকশা। পুলিশ বলছে, এত রিকশা আটকে রাখার মতো জায়গা তাদের নেই। তাদের জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া ছাড়া উপায় নেই।

হাইকোর্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিটি করপোরেশনের নিষেধাজ্ঞার পরও স্থানীয় নেতা ও পুলিশের যোগসাজশে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন অভিযানে এই ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো আটক করা হলেও নির্দিষ্ট টাকায় তা ছাড়িয়ে এনে আবার সড়কে নামাচ্ছেন মালিকরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজধানীতে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এই ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো। কিন্তু নজরদারির অভাবে রাজধানী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই অবৈধ যান।

পুলিশ বলছে, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এই রিকশাগুলো কোথাও জব্দ করে রাখা যাচ্ছে না। বরং নির্দিষ্ট জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

২০১৪ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর ২০১৭ সালে এসব পরিবহন বন্ধে আরেক দফা নির্দেশনা আসে হাইকোর্টের। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর অটোরিকশা বন্ধ ও আমদানি নিষিদ্ধ করে আবারও নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট।

ব্যাটারিচালিত রিকশার চোর-পুলিশ খেলা

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীতে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ২০২১ সালের ২০ জুন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব রিকশা-ভ্যান বন্ধের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশনও এগুলো বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা খুব দ্রুত চলে। তাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। নিয়ম হচ্ছে যারা পঙ্গু, তারা সরকারি অনুমোদন নিয়ে এই রিকশা চালাতে পারবেন। এর বাইরে কেউ চালাতে পারবেন না।’

মুগদা, বাসাবো, হাজারীবাগ, জিগাতলা, কামরাঙ্গীর চর, দক্ষিণখান, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, বাড্ডা, জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শনির আখড়া, ডেমরা, বাসাবো ও মাদারটেকসহ রাজধানীর ছোট বড় বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চলছে।

মেরুল বাড্ডা এলাকার অটোরিকশাচালক মামুনুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মালিকে চালায়, তাই আমরা চালাই। মালিক বলে রিকশা তুই নিয়া যা। যা কিছু হয়, আমরা দেখব।’

ব্যাটারিচালিত রিকশার চোর-পুলিশ খেলা

বিভিন্ন অভিযানে ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো আটক করা হলেও নির্দিষ্ট টাকায় তা ছাড়িয়ে এনে আবার সড়কে নামাচ্ছেন মালিকরা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/ নিউজবাংলা

পুলিশ জব্দ করে কিনা জানতে চাইলে এই চালক বলেন, ‘পুলিশে ধরে। কয়েক দিন আগেই ধরা খাইছি। ৭২০ টাকা দিয়ে ছাড়ায় নিয়া আসছি। লিংক রোডের আনসার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। র‍্যাকার করে। পরে টাকা দিলে ছাইড়া দেয়। টাকা না দিলে পুলিশ রিকশা নিয়া ডাম্পিংয়ে দেয়। আমাদের এলাকার গাড়িতে কোনো কার্ড করা লাগে না।

‘মধ্যবাড্ডা, গুদারাঘাট, পুলিশ প্লাজা ও মেরুল বাড্ডা এলাকার ভেতরে চালাই। মেইন রোডে যাই না। মাঝে মাঝে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়া শাহজাদপুর যাই।’

নিষিদ্ধ হওয়ার পরও কেন অটোরিকশা চালাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করব বলেন। পেট তো চালাতে হবে। মালিক দেখতেছে চললেই আমার টাকা। আমরা দেখতেছি, চালাইলে আমরাও ভালো চলতে পারি। তাই চালাই। প্রায় পাঁচ বছর চালাইতেছি অটোরিকশা। কখনও ডাম্পিংয়ে যাইতে হয় নাই। তবে আমাদের গাড়ি থানায় গেছিল। ওখান থাইকা মালিক ছাড়ায় আনছে। মালিকদের সঙ্গে পুলিশের লিংক আছে। তারাই ছাড়ায়ে আনে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা আমরা ডাম্পিংয়ে নিয়ে যাই বা কোনো একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে র‍্যাকার ফি রাখি। এটি একটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।’

ব্যাটারিচালিত রিকশার চোর-পুলিশ খেলা

যেহেতু অটোরিকশা অবৈধ, তাহলে এই রিকশা ডাম্পিংয়ে না দিয়ে র‍্যাকার ফি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে কেন– প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের রিকশা রাখার জায়গা নাই। আমরা কোথায় রাখব এত রিকশা। এ কারণেই জরিমানা করে ছেড়ে দিতে হচ্ছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টা রিকশা ধরলে সেটা রাখার জায়গা থাকতে হবে আমার।’

অটোরিকশা বন্ধে সমাধান কী– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। সবাই মিলে কাজ করছি। আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সামনে কেউ চলতে পারছে না।’

মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকার অটোরিকশাচালক মো. বাবুল বলেন, ‘পুলিশ ধরলে ডাম্পিংয়ে দেয়। ডাম্পিংয়ে দিলে লিখে দেয় ১২০০ টাকা। কিন্তু ছাড়াতে গেলে লাগে ৪২০০ টাকা। অনেক সময় ধরলে পুলিশকে ৫০০-১০০০ টাকা দিলে ছেড়ে দেয়। চোর-পুলিশ খেলার মতো চলতেছি আমরা।

‘মোহাম্মদপুরের ভেতরে চললে কার্ড কইরা নিতে হয়। পুলিশের চাপ বসিলায় কম, তাই এখানে চালাই। চাপ বাড়লে ওইপার চইলা যাই। ওই পারে কেউ ঝামেলা করে না।’

অভিযোগ আছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের যোগসাজশে এই অবৈধ অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বসিলা এলাকার এক অটোরিকশা চালক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বসিলা এলাকায় ছাত্রলীগ কার্ড দেয়। ওরা থানায় থানায় টাকা দেয়। কার্ড থাকলেও পুলিশ ধরে, না থাকলেও পুলিশ ধরে। তখন ওরা (স্থানীয় নেতা) রিকশা ছাড়ায় আনে। ছাড়াইতে ৪ হাজার থেকে ৪২০০ টাকা লাগে।’

ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে এটা স্বীকার করে ট্রাফিকের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শামীম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগের প্রধান সড়কে এই রিকশা দেখতে পাবেন না। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টা রিকশা ধরে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এর পরেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফিডার রোড দিয়ে দুই-একটা রিকশা চলে।’

ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও পুলিশ টাকা নিয়ে রাস্তায় চলার অনুমতির ‘কার্ড’ দেয় বলে অভিযাগ আছে উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি আপনি আমাকে প্রমাণসহ দিতে পারেন এর সঙ্গে পুলিশ জড়িত আছেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এর সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্টতার কোনো সুযোগ নাই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তেজগাঁও বিভাগের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা ধরে ঘটনাস্থলে ছেড়ে দিলে ডাম্পিং ফি ১২০০ টাকা। আর ডাম্পিঙে পাঠালে সেখান থেকে ছাড়াতে লাগে ৪২০০ টাকা। মাঝে মাঝে প্রধান সড়কে চলে আসলে মানবিক কারণে এমনিতেই ছেড়ে দেই। মাঝে মাঝে একটু-আধটু পানিশমেন্ট করে র‍্যাকার বিল করি। যদিও র‍্যাকার বিল করার তেমন কোনো নিয়ম-কানুন নাই। তবে অটো রিকশা ডাম্পিংয়ের নিয়ম আছে।’

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ না হওয়ার কারণ হিসেবে সরকার দলীয় নেতাদের প্রভাবকে চিহ্নিত করেন।

তিনি বলেন, ‘তারা চাঁদা দিয়েই এটা চালাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই চাঁদাবাজি করে। অন্য দল তো আর চাঁদাবাজির সুযোগ পায় না। চাঁদাবাজি বন্ধ না করলে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এটা বন্ধ করা দরকার।’

তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ যে টাকা নেয় সেটা জরিমানার টাকা। এ ছাড়া রিকশা ছেড়ে না দিয়ে আটকে রাখারও সুযোগ নাই বলে জানান তিনি।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা জরিমানা করতে পারি। জরিমানা দেয়ার পরে আপনার গাড়ি আটকে রাখার আমাদের এখতিয়ার নাই। জরিমানা পরিশোধ করতেছে, আবার রাস্তায় নামতেছে, আমরা আবার ধরে জরিমানা করতেছি। বিষয়টা আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। প্রধান সড়কে যেন এগুলো (অটোরিকশা) না আসতে পারে, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। বেশ কিছু জায়গায় পঙ্গু মানুষজন এই ধরনের গাড়ি চালানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। আমরা তাদের অনুমতি দিয়েছি। এইটার সুযোগ নিচ্ছে কিছু মানুষ।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ডাম্পিংয়ে নিয়ে গেলে তো জরিমানা দিতে হবে। ৪২০০ টাকা যেটা দেয় সেটা তাকে রসিদ দিয়েই নেয়া হয়। এটা ঘুষের কিছু না। জরিমানার টাকা দিয়েই রিকশা ছাড়িয়ে নিয়ে আসছে।’

কী বলছে সিটি করপোরেশন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) সেলিম রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অটোরিকশা ঢাকা মহানগরীতে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। বিআরটিএ এবং পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে এগুলো যাতে কেউ চালাতে না পারে সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।

‘আমরা একটা নিতিমালা করেছি। সেই নিতিমালার আলোকে রিকশাগুলোকে আমরা লাইসেন্স দেব। তাদের আমরা ডিজিটাল নেমপ্লেট দেব। এই বছরেই আমরা ২ লাখ রিকশাকে লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদ আহম্মদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে আমরা রিকশার লাইসেন্স দিচ্ছি। প্রতি সপ্তাহে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি যাতে লাইসেন্স বহির্ভূত রিকশা না চলে। প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন লাইসেন্স দিচ্ছি। আইনবহির্ভূত রিকশা পুলিশের সহায়তা নিয়ে ডাম্পিংয়ে দিচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
‘রিকশা গার্ল’-এর প্রিমিয়ার নিউ ইয়র্কে
গোপনাঙ্গে আঘাত করে অটোরিকশার চালককে হত্যা চোর চক্রের
মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশা যেন এক মারণফাঁদ
সিএনজি অটোরিকশার চালক-মালিকের তথ্য পাবেন যাত্রী
অমিতাভের ‘রিকশা গার্ল’ পুরস্কৃত, নতুন সিনেমা অনুদানে জমা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The second day of hearing about the complaint in the murder case of Chankharpool

চানখাঁরপুলে হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু

চানখাঁরপুলে হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে ছয় জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসামি পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চাওয়ার শুনানি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় গ্রেফতার চার আসামি হাজির রয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন সংক্রান্ত প্রথম কোন শুনানি শুরু হওয়ায়, সে দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর।

এর আগে, এই মামলার পলাতক চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে গত ৩ জুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দেয়া হয়।

তবে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও পলাতক আসামীরা হাজির না হওয়ায়, তাদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. কুতুবউদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আসামিগণ কর্তৃক নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয় এবং শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, শহীদ মো ইয়াকুব, শহীদ মো রাকিব হাওলাদার, শহীদ মো ইসমামুল হক ও শহীদ মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে।

জাজ্বল্যমান এ সব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hasinas six month imprisonment for contempt of court

আদালত অবমাননার দায়ে শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

আদালত অবমাননার দায়ে শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

আদালত অবমাননার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার অপসারণের পর এটাই প্রথম কোনো আদালতের রায়, যাতে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) আইসিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

একই মামলায় গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এই ধরনের মামলায় পলাতক আসামির জন্য আইনজীবী নিয়োগের পূর্ব নজির না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ অক্টোবর শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।

সেই অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘২২৬ জনকে মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’—যা বিচারব্যবস্থার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আদালত। পরে এই ঘটনায় আইসিটিতে মামলা করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৩০ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত শুনানিতে দুই আসামিকে ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ধার্য তারিখে তারা হাজির হননি। কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। সেদিন ট্রাইব্যুনাল দুই আসামিকে সশরীর হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন।

পরদিন দুটি সংবাদপত্রে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দুজনকে গত ৩ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়। সেদিনও তারা হাজির হননি। পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

১৯ জুন এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয় ২৫ জুন।

২৫ জুন মামলায় প্রস্তুতি নিতে অ্যামিকাস কিউরি মশিউজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এক সপ্তাহ সময় দেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় ২ জুলাই। আজ দুই আসামিকে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিলেন ট্রাইব্যুনাল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Padma bridge has found evidence of corruption initially in appointment of consultants
দুদক চেয়ারম্যান

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন।

মঙ্গলবার দুদকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকার পরও এই মামলা পরিসমাপ্তি করা হয়। গেল জানুয়ারিতে শুরু হওয়া অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গায়ের জোরেই পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দাবি, বেশকিছু দুর্নীতির তথ্য মিলেছে। এই মামলায় আসামির অব্যাহতির পেছনে তৎকালীন কমিশনের দায় আছে কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি।

আব্দুল মোমেন বলেন, নতুন তদন্তে কারো সংশ্লিষ্টতা মিললে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে করা মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘ একযুগ পর; গত জানুয়ারি মাসে সেই মামলা পুনরায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গঠন করা হয় উচ্চ পর্যায়ে কমিটি।

জানা যায়, ২০১২ সালে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। তবে ২০১৪ সালে অদৃশ্য কারণে মামলাটি পরিসমাপ্তি করে তৎকালীন বদিউজ্জামান ও শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former CEC Nurul Huda in court confesses responsibility
প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগ

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।

এর আগে দুই দফায় চার দিন করে আট দিনের রিমান্ড শেষে নূরুল হুদাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার। এরপর নূরুল হুদা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এই তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নূরুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম সজিব এ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নূরুল হুদার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন পুলিশ। আমরা তার জামিনের দরখাস্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত হই। এরপর আদালতে এসে জানতে পারি তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিচ্ছেন।

গত ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে নূরুল হুদার বাড়িতে গিয়ে ‘স্থানীয় জনতা’ তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরদিন প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। চার দিনের রিমান্ড শেষে একই মামলায় গত ২৭ জুন আবারও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

একই মামলায় গত ২৯ জুন তিন দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২২ জুন দশম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করা তিন সিইসি যথাক্রমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

সাবেক আমলা নূরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের দ্বাদশ সিইসি। তার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব ভোট হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ACC investigation against three other NBR officers began

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পক্ষপাতিত্বের সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে এই কর্মকর্তারা বড় পরিসরে কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এতে করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

এমন সব অভিযোগে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে তারা হলেন— বড় করদাতা বিভাগের (ভ্যাট) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশিদ মিয়া, সদস্য মো. লুৎফুর আজিম, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (সিআইআইডি) সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ এর উপকর কমিশনার মো. শিহাবুল ইসলাম এবং যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাসান।

এর আগে ২৯ জুন দুদক এনবিআরের আরও ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। যাদের বিরুদ্ধে কর্তৃত্বের অপব্যবহার ও গত দুই দশক ধরে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ছয় কর্মকর্তা হলেন— আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য একেএম বদিউল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ এর উপকর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, অডিট-গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর-ভ্যাটের ঢাকার অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার এবং কাস্টমস-আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) এর অতিরিক্ত কমিশনারসাধন কুমার কুন্ডু।

এই ছয় কর্মকর্তার মধ্যে হাসান তারেক এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বাধীন পরিষদটি রাজস্ব বোর্ড ভেঙে দেওয়ার পরিবর্তে এর অভ্যন্তরে কাঠামোগত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে।

দুদকের মুখপাত্র আক্তারুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা কর দায় কমানোর বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার কেউ কেউ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দায়ের করেছেন—যারা তাদের অবৈধ দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও রয়েছে যে, করদাতাদের কর ফেরত ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে করদাতাদের তাদের পাওনা পেতে ঘুষ দিতে বা উপহার দিতে বাধ্য করা হয়েছে। কখনো কখনো এই ঘুষের পরিমাণ ছিল করদাতাদের পাওনার অর্ধেকের সম পরিমাণ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Plot Allocation for fraud Sheikh Hasina ordered the publication of the Gazette to appear in the court

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি : শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি : শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলার আজ ধার্য তারিখ ছিল। পাঁচ মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিরা পলাতক অবস্থায় রয়েছেন মর্মে প্রতিবেদন এসেছে। অপর এক মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। এদিন গেজেট প্রকাশ হয়ে আসেনি। আদালত ছয় মামলারই গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দেন। ছয় মামলারই আগামী ২০ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসব মামলায় চার্জশিট আমলে নিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি বলে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর আইনুযায়ী আসামিদেন আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন আদালত। গেজেট প্রকাশ হয়ে আসলে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former MP Tuhin and Shah Alam Murad Remand

সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে

সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে

শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

অপর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এরপর তুহিনের সাত দিন ও শাহে আলম মুরাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

এ সময় তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ আদেশ দেন।

গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

তুহিনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান নাসরিনসহ অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতকারীরা শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে।

পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি করে স্বাধীন দেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করে।

এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

মোতালেব হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে