কক্সবাজারের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলএও) সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানকে ২০ লাখ টাকাসহ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জব্দ করা ওই টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগদ টাকাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল আতিকুরকে আটক করে।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টায় ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় পৌঁছান বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সম্মিলিত কক্সবাজারের দুদুকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজারে দায়িত্বরত সার্ভেয়ার আতিককে নগদ ২০ লাখ টাকাসহ আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ পর্যন্ত ওই টাকার উৎস সম্পর্কে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।’
এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদকে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে গেছে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল। এতে ফসলহানির পাশাপাশি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের কয়েক হাজার পরিবার।
এতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। তারা বলছেন, আউশের ক্ষেত ও আমনের বীজতলার পাশাপাশি শ শ মাছের ঘেরও ভেসে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
পিরোজপুর সাগর উপকূলবর্তী হওয়ায় নিম্ন বা লঘুচাপের প্রভাব পড়ে ব্যাপক।
এবার সাগরে লঘুচাপের কারণে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এরইমধ্যে দুই থেকে আড়াই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চল।
পিরোজপুরের শারিকতলা, ডুমুরিতলা, ইন্দুরকানী, ভাণ্ডারিয়া এবং মঠবাড়িয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলে অতি জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষেরা।
নদীর পাড়ের এলাকা শংকরপাশা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মো. কাসেম হোসেন বলেন, ‘গতকাল এবং আজ সকাল থেকে যেমন ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঘরের উঠানে নদীর পানি উঠেছে। বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় আছি। ওরা তো আর পানি বুঝে না, খেলতে নেমে যায়। তাই চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে।’
পাড়েরহাট এলাকার গাজিপুর গ্রামের মনিকা বেগম বলেন, ‘কচা নদীর গাজীপুরের বাঁধ ভেঙে আমাদের এলাকার অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। তবে জোয়ারে পানি আসলেও ৬-৭ ঘণ্টা পর পানি নেমে যায় ভাটায়।’
ঝনঝনিয়া গ্রামের কৃষক মন্টু মিয়া বলেন, ‘এখন চলছে আউশ ধানের মৌসুম। ইতিমধ্যে ধান কাটাও শুরু করেছি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি ও নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে মাঠ। এতে ধানের ক্ষতি হবে।’
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘পানি স্থায়ী না হলে কৃষি ফসলের ক্ষতির তেমন আশঙ্কা নেই। তবে আমান বীজতলা লাগাতে কৃষকদের কিছুটা ভোগান্তি হবে।’
তিনি আরও বলেন, এ বছর জেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ও ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে আমান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগের সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও তার স্ত্রীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসাইন বুধবার বিকেলে আকবরশাহ থানায় মামলা করেন।
আসামিরা হলেন, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম, তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও ওই স্থাপনার তত্ত্ববধায়ক মো. হৃদয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (চট্টগ্রাম মহানগর) হিল্লোল বিশ্বাস।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নগরীর পাহাড়তলী মৌজার লেকসিটি এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের একটি অভিযোগ পেয়ে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। এ সময় পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ ও গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়।
‘স্থাপনা বলতে টিনশেড সেমিপাকা একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অন্তত ৩ হাজার ঘণফুট পাহাড় ও তিনটি বড় গাছ কেটে নিয়েছে ওরা। বুধবার শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। শুনানিতে ওই স্থাপনার তত্ত্বাবধায়ক হৃদয় এসে জমির প্রকৃত মালিক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলে জানান।’
আরও পড়ুন:ঘোষণা ছাড়াই ময়মনসিংহ-সিলেট রুটে ৯ দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে সিলেটের পরিবহন মালিক সমিতি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
তাদের অভিযোগ, নিজেদের স্বার্থে পরিবহন মালিকরা বাস বন্ধ করে দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ শহরে সিলেটের শাহজালাল কাউন্টারের সামনে বুধবার সন্ধ্যায় কথা হয় সাইদুল ইসলাম নামে সিলেটগামী এক যাত্রীর সঙ্গে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ঘোষণা ছাড়াই এভাবে বাস বন্ধ করে দেয়ার কোনো মানে হয় না। আগে থেকে বাস বন্ধের নির্দেশনা আসলে আমরা জানতে পারতাম। কাউন্টারে গিয়ে টিকিট না পেয়ে ফিরে আসতে হতো না।’
নুরজাহান খাতুন নামে আরে যাত্রী বলেন, ‘আমাদের কথা পরিবহন মালিকরা চিন্তা করেন না। যখন ইচ্ছে বাস বন্ধ করে দেয়, আবার যখন ইচ্ছে বাস চলাচল স্বাভাবিক করে।’
ময়মনসিংহ শহরে সিলেটের শাহজালাল পরিবহনের ম্যানেজার মো. মমিনুল ইসলাম মানিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে বাসগুলো নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত যেতে পারলেও গত ৯ দিন ধরে সিলেটে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সিলেট মালিক সমিতি।
‘এতে যে শুধুমাত্র যাত্রীরাই ভোগান্তিতে পড়েছে তা নয়। সিলেটগামী বাসের চালক, শ্রমিক ও কাউন্টারের ম্যানেজাররা বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে তারা তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মালিকপক্ষ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা বিভিন্ন সড়কে একাধিক গাড়ি চালিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু আমরা আমাদের মতো শ্রমিকরা ধারদেনা করে পরিবারের ভরণপোষণ করছে। অন্তত যাত্রীসহ আমাদের কথা চিন্তা করে ময়মনসিংহ-সিলেটে বাস চলাচল স্বাভাবিক করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মো. মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দফায় দফায় সিলেট ও নেত্রকোণা মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলছি। কিন্তু এতোদিন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।
‘বুধবার রাতে এ সমস্যা সমাধানে সিলেট মালিক সমিতির নেতারা নিজেরাই আলোচনায় বসেছে। আশা করছি রাতেই মধ্যেই ময়মনসিংহ-সিলেটে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত আসবে।’
বাস বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নেত্রকোণা জেলায় চলাচলের জন্য গত ২ আগস্ট সিলেট মালিক সমিতির দুটি বাস নামিয়েছে। কিন্তু নেত্রকোণা মালিক সমিতি এ বাস দুটি চলাচল করতে দিবে না বলে জানায়।
‘কিশোরগঞ্জ মালিক সমিতিও নেত্রকোণা মালিক সমিতির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিলেট মালিক সমিতি ময়মনসিংহ-সিলেট সড়কে তাদের সব বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।’
আরও পড়ুন:রংপুর সিটি করপোরেশনের পানি শাখার এক নারী সহকর্মীকে মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে ‘আপত্তিকর’ মেসেজ দেয়ায় নগর ভবনের যান্ত্রিক শাখার প্রধান সাজ্জাদুর রহমানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
বুধবার বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যান্ত্রিক শাখার প্রধান সাজ্জাদুর রহমানের বিরুদ্ধে তার মোবাইল ফোন থেকে পানি শাখার কর্মকর্তা অঞ্জনা রানীকে ‘আপত্তিকর’ মেসেজ দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে হইচই পড়ে যায়। বিষয়টি আমার কাছে আসলে আমি অভিযুক্ত সাজ্জাদ এবং ওই নারী কর্মকর্তার পক্ষের লোকজনকে নিয়ে বৈঠকে বসি। বৈঠকে সাজ্জাদ নিজের দায় স্বীকার করেছেন।’
মেয়র মোস্তফা বলেন, ‘যেহেতু সাজ্জাদুর রহমান নিজের দায় স্বীকার করেছেন, তাই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে চিঠি দেয়া হবে।’
ঘটনার তদন্তে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধাকে প্রধান করে, নির্বাহী প্রকৌশলী আজম আলী ও সাধারণ শাখার প্রধান নাঈম হোসেনকে সদস্য করে একটি কমিটি করা হয়েছে।
তারা আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিলে সেটা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মেসেজ দিয়েছি ঠিক আছে, কিন্তু অতটা আপত্তিকর নয়। বহিষ্কারের চিঠি এখনো পাইনি।’
আরও পড়ুন:নওগাঁর ধামইরহাটে অবৈধভাবে পটাশ সার মজুত ও বেশি দামে বিক্রির দায়ে এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
উপজেলার আমাইতারা মোড়ে বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে মেসার্স বিতরণী ট্রেডার্সের মালিক ও সার ডিলার আবু হেনা নুর মোহাম্মদকে এই জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন।
শামীম হোসেন বলেন, ‘এক ব্যক্তি ধামইরহাটে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি হচ্ছে, বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানালে আমরা ক্রেতা সেজে ওই দোকানে সার কিনতে গেলে সার নেই বলে জানানো হয়।
‘পরে গোডাউনে গিয়ে প্রায় ৩০ বস্তা পটাশ মজুত পাওয়া যায়। পটাশের দাম ৭৫০ টাকা বস্তা হলেও তের থেকে পনের শ টাকা করে বিক্রির সত্যতা পাওয়া যায়।’
তিনি জানান, এই বিএডিসি ডিলার গত ১৭ জুলাই স্টক রেজিস্ট্রারে পটাশ সারের মজুত দেখান ৪৬ বস্তা, কিন্তু ১৭ তারিখের পর থেকে আজকে পর্যন্ত বিক্রির ভাউচারে ৩১৮ বস্তা পটাশ সার বিক্রির তথ্য পাওয়া যায়। যা তার হিসাবের সঙ্গে অসঙ্গতি।
তাই ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সেসব সার ৭৫০ টাকা দামে উপস্থিতি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়।
অভিযানে ধামইরহাট উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আনিসুর রহমান ও থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সকল নদ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে ওই এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বরিশাল নগরীতে।
বুধবার বিকেল ৪টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির স্তরের তথ্য বার জোন থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া বরিশালের পার্শ্ববর্তী জেলা ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, ভোলার খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অন্যদিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এ ছাড়া পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের ২৩টি নদীর পানির উচ্চতা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই সব অঞ্চলের নদ-নদীর পানিই বর্তমানে বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।’
এদিকে টানা বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি উঠেছে, নগরীর নিম্নাঞ্চল পানির নিচে রয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’
এ ছাড়া বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল। নদী বন্দরে ২ ও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আরও দুই এক দিন এই অবস্থা অব্যাহত থেকে বৃষ্টিপাত হতে পারে।’
আরও পড়ুন:টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঈগল এক্সপ্রেসের বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার বিকেলে বিচারক নওরিন করিম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এই আসামিরা হলেন মো. সাগর ও মো. বাবু।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৯ জন। অন্য ৪ জন রিমান্ডে আছেন।
পুলিশের বর্ণনায় যা ঘটেছিল
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল এক্সপ্রেসের বাসটি সিরাজগঞ্জ রোডে জনতা নামের খাবার হোটেলে যাত্রা বিরতি করে। সেখানে ৩০ মিনিটের মতো বিরতি শেষে বাসটি ফের ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
পথে তিনটি স্থান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চারজন করে মোট ১২ জন ডাকাত যাত্রীবেশে বাসে ওঠেন এবং পেছনের দিকে খালি সিটে বসেন।
যমুনা সেতু (বঙ্গবন্ধু সেতু) পার হওয়ার আধা ঘণ্টা পর (রাত দেড়টার দিকে) টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া এলাকায় ডাকাতরা বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ছুরি, চাকুসহ দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসের চালককে সিট থেকে উঠিয়ে হাত-পা বেঁধে পেছনে সিটের নিচে ফেলে রাখে।
টহল পুলিশের কাছে ধরা পড়া এড়াতে তারা বাসটিকে গোড়াই থেকে ইউটার্ন করে এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ রোড ধরে যেতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে ডাকাত দল বাসটির জানালার পর্দা ও যাত্রীদের পরনের বিভিন্ন কাপড় ছিঁড়ে চোখ এবং হাত বেঁধে ফেলে।
পরে ডাকাতরা বাসের ২৪ যাত্রীর কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাসের এক নারীকে পাঁচ-ছয়জন ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য