× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Corruption is being wasted in government projects A League MP
google_news print-icon

সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি, অপচয় হচ্ছে: আ.লীগের এমপি

সরকারি-প্রকল্পে-দুর্নীতি-অপচয়-হচ্ছে-আলীগের-এমপি
রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এক সংলাপে আব্দুস শহীদ। ছবি: নিউজবাংলা
‘প্রকল্প বাস্তবায়নে অপচয় হচ্ছে। প্রকল্পের পরিচালকেরা এমনিতেই গাড়ি পান, এরপরও অনেক পরিচালক নতুন গাড়ি কিনছেন। এমনকি প্রকল্প এলাকায় তাকে প্রতিদিন যেতে হয় না। ফলে যেখানে তেলের দাম নিলেই যথেষ্ট, সেখানে তারা নতুন গাড়ি কিনছেন।’

সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, ‘চুরি বলব না, তবে আমাদের প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে।’

বুধবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজিত এক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সরকারি অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন’ বিষয়ে সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এনামুল হক। প্যানেল আলোচক ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রিজওয়ান রহমান, পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ।

আব্দুস শহীদ বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে অপচয় হচ্ছে। প্রকল্পের পরিচালকেরা এমনিতেই গাড়ি পান, এরপরও অনেক পরিচালক নতুন গাড়ি কিনছেন। এমনকি প্রকল্প এলাকায় তাকে প্রতিদিন যেতে হয় না। ফলে যেখানে তেলের দাম নিলেই যথেষ্ট, সেখানে তারা নতুন গাড়ি কিনছেন।’

এসব বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান নবম সংসদের সরকারদলীয় চিফ হুইপ।

সংসদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটিগুলো শক্তিশালী করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোন প্রকল্প কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ কমিটির বৈঠকে পেশ করা হচ্ছে।’

প্রকল্পের ফল আগে বোঝা যায় না উল্লেখ করে এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘এখন প্রকল্প অ্যাডহক ভিত্তিতে হচ্ছে। ফলে প্রকল্পের আগে বোঝা যায় না এর ফল কী হবে; বরং প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে তা বোঝা যায়। কাঠামো পরিকল্পনা থাকলে এসব সমস্যা হতো না।
‘প্রকল্প প্রণয়নের সময় প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই বা কস্ট-বেনিফিট অ্যানালাইসিস হচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় মানুষের যাপিত জীবনের পরিবর্তনের বিষয়টি আমলে নেয়া হচ্ছে না।’

বাংলাদেশের মতো ছোট দেশে এটা করা খুব কঠিন নয় বলে মত দেন তিনি ।

অনুষ্ঠানে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নের কাঠামো নির্ধারণ করা গেলে অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। এ ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু আমাদের জন্য বড় নজির, যা নির্ধারিত (বর্ধিত) সময়ের মধ্যে শেষ করা গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের আরও বেশ কটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য আছে। কাঠামো নির্ধারণ করা গেলে এগুলো সুশাসনের সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যাবে।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট যোগ্যতা ও মানসম্পন্ন প্রকল্প পরিচালক নেয়া উচিত। যদি সম্ভব হয় তাহলে তাদের জন্য আলাদা কোনো ক্যাডার তৈরি করা যায় কি না তা নিয়েও ভেবে দেখা উচিত।

‘প্রকল্প পরিচালকের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে। একটা প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক যেন প্রকল্পের সঙ্গে থাকে।’

আরও পড়ুন:
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা নয়, শিক্ষণীয় আছে: সিপিডি
ধনীদের কর বাড়িয়ে গরিবের ভাতা বাড়ান: সিপিডি
টেকসই উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমতা চায় সিপিডি
বাজেটে স্বচ্ছতা নেই, তথ্য-উপাত্ত বিশ্বাসযোগ্য নয়: সিপিডি
এলএনজি নির্ভরতা কমাতে হবে: সিপিডি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
DMP media center will change in three days

তিনদিনে পাল্টে যাবে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার

তিনদিনে পাল্টে যাবে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার সোমবার প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় পরিবর্তন দরকার হলে আগে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সচেতনতা ও অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অপরাধবিয়ষক সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে ডিএমপিতে আসতে হয়। মিডিয়া সেন্টারে বসতে হয়। এখানকার পরিবেশ জন ও সাংবাদিকবান্ধব হওয়া উচিত।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের স্থানে স্থানে অব্যবস্থাপনা-অবহেলার ছাপ। সর্বত্র এক ধরনের গা-ছাড়া ভাব। ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকরা সংবাদ লিখতে গিয়ে পড়েন বিড়ম্বনায়। কারণ রুমের কম্পিউটার, এসি, সোফা- কোনোটাই সেভাবে ব্যবহার উপযোগী নেই।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যা জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি।

ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান শনিবার দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার ব্রিফিংয়ে আসেন। এ সময় সাংবাদিকরা মিডিয়া সেন্টারের নানা অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেন তার কাছে। তাৎক্ষণিক কমিশনার নির্দেশ দেন- তিনদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

জানা গেছে, দশ বছর আগে ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার মিডিয়া সেন্টারে দুটি কম্পিউটার, বসার জায়গায় সোফা ও এসি সংযুক্ত করেছিলেন। সেসব জরাজীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই।

নতুন কমিশনার সোমবার ‘মিট দ্য প্রেস’ শেষে সাংবাদিকদের বসার জায়গা পরিদর্শন করে নতুন করে সবকিছু স্থাপনের নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান- কয়দিনের মধ্যে বদল চান এ অবস্থার? সাংবাদিকরা সাতদিনের মধ্যে বদলের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও হাবিবুর রহমান প্রতিশ্রুতি দেন, সাতদিন নয়, তিনদিনে বদলে যাবে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সাংবাদিকদের বসার জায়গা।

নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় পরিবর্তন দরকার হলে আগে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সচেতনতা ও অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অপরাধবিয়ষক সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে ডিএমপিতে আসতে হয়। মিডিয়া সেন্টারে বসতে হয়। এখানকার পরিবেশ জন ও সাংবাদিকবান্ধব হওয়া উচিত।’

তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ডিসি মিডিয়া ও ডিসি লজিস্টিককে ডেকে একটি এসি, দুটি নতুন আপডেটেড কম্পিউটার, নতুন সোফা ও টেবিল-চেয়ার স্থাপনের নির্দেশ দেন। তার এমন ঘোষণায় গণমাধ্যমকর্মীরা কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই রাজারবাগে ফোর্সদের ব্যারাকে যান হাবিবুর রহমান। সরেজমিনে তিনি সদস্যদের থাকার জায়গা, রান্নাঘর, বাথরুম, জিমনেসিয়াম পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক তিনি সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা দেন।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ চান ডিএমপি কমিশনার
অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3500 back yaba in stomach Stuck

পাকস্থলিতে সাড়ে তিন হাজার ইয়াবা!

পাকস্থলিতে সাড়ে তিন হাজার ইয়াবা! এক্স-রে রিপোর্টে ওই যুবকের পাকস্থলি ভর্তি ইয়াবার পুটলি দেখা যায়। কোলাজ: নিউজবাংলা
এবিপিএন জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ জানিয়েছে যে, প্রতি ১০০০ পিস ইয়াবা বহনের জন্য তিনি ১০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ। এই চালান পৌঁছে দিতে পারলে তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকা কমিশন পেতেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাদক পাচারের অভিযোগে এক যাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এবিপিএন)। এক্স-রে করে তার পাকস্থলি ভর্তি ইয়াবার পুটলি দেখা যায়। পরে সেগুলো অপারেশনের মাধ্যমে বের করা হয়।

কক্সবাজার থেকে একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় অবতনের পর রোববার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ২৫ বছর বয়সী জাহিদ হোসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে এবিপিএন।

এবিপিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, রোববার সন্ধ্যায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে জাহিদ অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে অবতরণ করলে সাদা পোশাকে দায়িত্বরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা দলের তাকে সন্দেহ হয়।

এক পর্যায়ে তারা তাকে আটক করে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তিনি স্বীকার করেন তিনি পাকস্থলিতে ইয়াবা বহন করছেন এবং এর পরিমাণ হতে পারে ৩৫০০ পিস।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এয়ারপোর্ট এপিবিএন যাত্রীকে উত্তরার হলিল্যাব ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় এবং তার এক্স-রে করা হয়। এক্স-রে রিপোর্টে জাহিদের পাকস্থলিতে ছোট ছোট প্যাকেট করা প্রায় ৭২টি প্যাকেটের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

পাকস্থলিতে সাড়ে তিন হাজার ইয়াবা!

ইয়াবার অস্তিত্ব নিশ্চিত হবার পর বিমানবন্দর থানার সহযোগিতায় জাহিদকে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে তার পেট থেকে মোট ৭২টি ইয়াবা প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। গণনা শেষে সেখানে ৩ হাজার ৫১৮ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

এবিপিএন আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ জানিয়েছে যে, প্রতি ১০০০ পিস ইয়াবা বহনের জন্য তিনি ১০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ। এই চালান পৌঁছে দিতে পারলে তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকা কমিশন পেতেন।

এবিপিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘এর আগেও জাহিদকে গত ২৬ মে বিমানবন্দরের সামনে থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হয়। সেই মামলায় ১০ দিন আগে জামিন পেয়েই তিনি আবারও একই কাজ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন। জাহিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’

আরও পড়ুন:
ডাকাতি করতে গিয়ে জেলেদের কাছে আটক
তৃতীয় লিঙ্গের ছদ্মবেশে মাদক বেচা পরিমনি আটক
ব‌রিশালে ইয়াবাসহ ডিএমপির কনস্টেবল আটক
হত্যার তদন্তে বেরিয়ে এলো ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’
হেরোইনসহ আটক সেই নারীর যাবজ্জীবন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Steal to buy iPhone

আইফোন কিনতে চুরি!

আইফোন কিনতে চুরি! ফাইল ছবি
মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘আইফোন কেনার জন্য বাসা থেকে চুরি করেন ওই যুবক।’

আইফোনের শখ ছিল এসএসসি পাস করে সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীর। পরিবারকে বিষয়টি জানালে তার শখ পূরণে অপরাগতা প্রকাশ করে সদস্যরা। তাই চুরির পথ বেছে নেন ওই যুবক।

রোবাবর মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, পরিবার আইফোন কেনার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চুরির পথ বেছে নেন তিনি।

আইফোন কিনতে চুরি!
অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত নগদ টাকা ও মালামাল। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

জিজ্ঞাসাবাদে ইমনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘আইফোন কেনার জন্য বাসা থেকে চুরি করেন ওই যুবক।’

ওসি জানান, ‘গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিরপুর মডেল থানার পূর্ব মনিপুরের একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় চুরি হয়। ঘরের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মোট চার লাখেরও বেশি টাকার মালামাল চুরি হয়। পরে পাশের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তসহ দুজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে রোবাবর মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে একটি স্বর্ণের ও একটি ডায়মন্ডের নাকফুল এবং চুরি করা স্বর্ণ বিক্রির ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।’

আরও পড়ুন:
চুরির টাকায় মা-মেয়ের দেশভ্রমণ!
বোরকা পরে চুরি, মুখ খুলে দেখা গেল কিশোর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP has made Khaleda Zia a political guinea pig Information Minister

খালেদা জিয়াকে রাজনীতির গিনিপিগ বানিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

খালেদা জিয়াকে রাজনীতির গিনিপিগ বানিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মানবাধিকার এখন কিছু কিছু রাষ্ট্রের অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেসব দেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি করে কিন্তু তাদেরকে ঠিকমতো ব্যবসা দেয় না, তাদেরকে দমিয়ে রাখার জন্য মানবাধিকার এখন একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।’

বিএনপির নেতারা দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘রাজনীতির গিনিপিগ’ বানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি কয়েকদিন থেকে বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া যতবার অসুস্থ হয়েছেন, বিএনপি বলেছে- উনাকে বিদেশ না নিলে উনি মারা যাবেন, কিন্তু ততবারই উনি হাসপাতাল থেকে ভালো হয়ে বাড়িতে ফেরত গেছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে খালেদা জিয়াকে যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তাতে করে বেগম জিয়াকে বিএনপি নেতারা গিনিপিগ বানিয়েছেন, রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছেন। আসলে বেগম জিয়া সুস্থ হোক সেটা তারা চান না। তারা চান, তিনি আরও অসুস্থ থাকুন, যাতে তারা রাজনীতিটা করতে পারে।’

সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের আহবায়ক কামরুজ্জামান লেলিনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং স্বজনহারা ব্যক্তিবর্গ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার সর্বোতভাবে কাজ করছে। বিদেশ নেয়াটা আদালতের এখতিয়ার। আদালতের আদেশ ছাড়া তিনি তো বিদেশ যেতে পারেন না। সুতরাং এ নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে দেশ জুড়ে ‘মায়ের কান্না’ কেঁদে চলছে। আমি প্রশ্ন রাখি যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করেন, তাদের কর্ণকুহরে এই কান্না কেন পৌঁছে না? আপনাদের কাছে দেখা করার দরখাস্ত দেয়া হয়েছিল, আপনারা এখনও পর্যন্ত দেখা করেন নাই। অর্থাৎ মানবাধিকার এখন কিছু কিছু রাষ্ট্রের একটি অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সমস্ত দেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি করে কিন্তু তাদেরকে ঠিক মতো ব্যবসা দেয় না, তাদেরকে দমিয়ে রাখার জন্য মানবাধিকার এখন একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।’

মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করা, অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা দেশে-বিদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই অগ্রযাত্রা অনেকের পছন্দ নয়। সে জন্য নানা ছলছুঁতায় প্রথমে আনে মানবাধিকার, তারপর বলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমাদের দেশে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং জনগণের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।’

বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না। আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালিয়ে, ঘেরাও করে কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় নাই। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পরাজয় মেনে নেন নাই। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই। সুতরাং আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না।’

ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এ দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। সুতরাং যারা মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বলে দেশে দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে, তারা দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আজকে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে, ১৯৭৭, ৭৮, ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যার শিকার নিরপরাধ সেনা সদস্যদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র আর্তনাদ, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের স্বজনদের কান্না তাদের কানে কেন পৌঁছে না?’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আবার সন্ত্রাস করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিএনপি আবার অগ্নিসন্ত্রাস, সন্ত্রাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এভাবে উঠে, বসে, দৌড়ে, কিম্বা হামাগুড়ি দিয়ে, ক’দিন হাঁটা কর্মসূচি, ক’দিন বসা কর্মসূচি, ক’দিন দাঁড়ানো কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে যে সম্পৃক্ত করা যায় নাই, সেটি তারা বুঝতে পেরেছে। তাই এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য এবং বিশ্ববেনিয়ারা যাতে ফায়দা লুটতে পারে সেজন্য তারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করছে।

‘তবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিতে চাই- আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবে, কাউকে আর ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক সরকার: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
These days are not days there are more days dudu

এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে: দুদু

এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে: দুদু জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: নিউজবাংলা
দুদু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করতে পারতেন। তিনি যেভাবে না করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি কোথায় যেন আতঙ্কিত, তিনি যেন হতাশ। তিনি বুঝতে পেরেছেন আর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। সেই বিবেচনায় তিনি একটি আপসমুখী পদক্ষেপ নিতে পারতেন।’

ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার সকালে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

দণ্ড স্থগিত রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো যাবে না বলে রোববার সচিবালয়ে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর এক দিন পর সচিবালয়ের কাছাকাছি প্রেস ক্লাবে দুদু বলেন, ‘এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। এটা যদি প্রধানমন্ত্রী মনে রাখেন, তাহলে তার জন্য ভালো, আমাদের জন্য ভালো, দেশের জন্য ভালো, তার দলের জন্যও ভালো।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। খালেদা জিয়া জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী, তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, যিনি তার জীবনের কোনো নির্বাচনে হারেননি। পরিবার থেকে তার সুচিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

‘এটাই প্রথম আবেদন না, এর আগেও করা হয়েছিল। আমরা মনে করেছিলাম সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা করবে সরকার, কিন্তু আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকার সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি নাকচ করেছেন।’

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করতে পারতেন। তিনি যেভাবে না করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি কোথায় যেন আতঙ্কিত, তিনি যেন হতাশ। তিনি বুঝতে পেরেছেন আর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। সেই বিবেচনায় তিনি একটি আপসমুখী পদক্ষেপ নিতে পারতেন।

‘কারণ আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এটা একজন অন্ধ যেমন জানে, তেমনি বিবেকহীন মানুষও জানে। আগামী দিনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবে খালেদা জিয়া।’

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসায় ফের পরিবারের চিঠি
মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইল বাংলাদেশ জাসদ
ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ নিয়ে অনেক সন্দেহ: খসরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
We will not allow clanging of weapons in elections DMP Commissioner

নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ চান ডিএমপি কমিশনার

নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ চান ডিএমপি কমিশনার মিট দ্য প্রেসে ডিএমপির নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘একজন অপরাধী সে ছোট হোক বা বড়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর আমরা। যারা জামিনে বেরিয়ে আসছে তাদেরকেও কঠোর মনিটরিংয়ে রাখার জন্য পুলিশের সব ইউনিটে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সন্ত্রাসীরা যাতে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি করতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রাজধানীর মিন্টো রোডে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা জানান।

কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ডিএমপি কমিশনার।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়ে থাকে। আসছে নির্বাচনে যাতে কেউ বা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি করতে না পারে। ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের যথেষ্ট সাহস ও শক্তি রয়েছে। এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।’

রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে যা যা করা প্রয়োজন ডিএমপি সবকিছুই করবে বলে জানান তিনি।

কিছুদিন আগে তেজগাঁওয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এমন পরিস্থিতিতে নতুন কমিশনার হিসেবে হাবিবুর রহমান কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন যে জামিন একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় একজন অপরাধী আদালত থেকে বিচার পেতে পারে, কিন্তু পুলিশের তখনই কিছু করার থাকে, যখন কোনো ব্যক্তি অপরাধে জড়িয়ে পড়ে বা অপরাধ করতে উদ্বুদ্ধ করে বা অপরাধ সংঘটন করে থাকে।

‘সে ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, একজন অপরাধী সে ছোট হোক বা বড় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর আমরা। যারা জামিনে বেরিয়ে আসছে তাদেরকেও কঠোর মনিটরিংয়ে রাখার জন্য পুলিশের সব ইউনিটে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

সাইবার অপরাধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ছাপিয়ে আজ আমাদের নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে সাইবার ক্রাইম। সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে; বিভিন্ন কর্মপন্থা গ্রহণ করেছে।’

ডিএমপির জনবল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনবল রয়েছে ৩৪ হাজার। সেটি যদি রাজধানীর দুই কোটি ২৪ লক্ষ জনগণের জন্য ভাগ করি তাহলে আমাদের জনবল খুব কম।’

ঢাকাতে যেকোনো উপায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান নবনিযুক্ত এ কমিশনার।

আরও পড়ুন:
নভেম্বরে তফসিল, ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে
ব‌রিশালে ইয়াবাসহ ডিএমপির কনস্টেবল আটক
অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন সিদ্দিকুর রহমান
দুই ভোটে জয়: আড়াই বছর পর ফল পাল্টাল আদালত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Legal action if political organizations hold meetings without permission DMP Commissioner
সাংবাদিকদের নবনিযুক্ত কমিশনার

অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি

অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ। ফাইল ছবি
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো সংগঠন যদি অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু করতে চায়, ডিএমপির অধ্যাদেশে যেই নিয়মকানুন রয়েছে, সেই নিয়মকানুন ভঙ্গ যদি করতে চায় এবং করে, নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

রাজনৈতিক সংগঠনগুলো অনুমতি ছাড়া কোনো সভা-সমাবেশ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোমবার আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা জানান।

বিএনপি বলেছে তারা ঢাকায় অনুমতি ছাড়াই সভা সমাবেশ করবে। যদি অনুমতি না নেয় তাহলে ডিএমপি কী ধরনের ভূমিকা নেবে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজকেও বিরোধী দলের একটি প্রোগ্রাম রয়েছে। তারা আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে। আমরা যেভাবে অনুমতি দিয়েছি, সেই অনুমতি মেনে নিয়েই তারা কাজ করছে।

‘কোনো সংগঠন যদি অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু করতে চায়, ডিএমপির অধ্যাদেশে যেই নিয়মকানুন রয়েছে, সেই নিয়মকানুন ভঙ্গ যদি করতে চায় এবং করে, নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

বিএনপি এর আগে অবরোধ করেছে। সামনে যদি আবারও অবরোধে যায় তাহলে কী ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘আমরা বলেছি ডিএমপির অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন:
অনুমতি ছাড়া সানজিদা এমন স্টেটমেন্ট দিতে পারেন না: ডিএমপি কমিশনার
ব্যক্তির দায় বাংলাদেশ পুলিশ নেবে না: হারুন প্রসঙ্গে ডিএমপি
দুই নেতাকে মারধর: ডিএমপির তদন্তে আস্থা রাখতে চায় ছাত্রলীগ
ডিএমপি কার্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি
ঢাকায় সাঈদীর গায়েবি জানাজার অনুমতি পাবে না জামায়াত

মন্তব্য

p
উপরে