ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলায় শাহরিয়ার জনি নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এ সময় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পৌর শহরের শিলাসী এলাকায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন পৌর শহরের শিলাসী রেলপাড় এলাকার রনি মিয়া ও উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের মো. সজিব। তারা দুজন বন্ধু।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘রনি ও সজিব দীর্ঘদিন ধরে মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি রনি মাদক মামলায় জেল খেটে বাড়িতে এসেছে। এর পরও ওই দুজনের নিয়মিত মাদক কেনাবেচা করার তথ্য আসে আমাদের কাছে।
‘অনুসন্ধানে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে রনি ও সজিব এক ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এ সমস এএসআই আবু তাহেরের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ রনির বাড়িতে অভিযান চালায়।’
ওসি জানান, দরজায় টোকা দিলে সজিব দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে রনি রামদা দিয়ে কনস্টেবল শাহরিয়ার জনিকে কোপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কোপে জনির আঙুলের ওপরে কেটে গেলেও দুজনকে আটক করা সম্ভব হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫ গ্রাম হেরোইন ও ১০৬ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আহত পুলিশ সদস্যের আঙুলে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
ঢাকার সাভারে যৌতুক চেয়ে না পেয়ে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে তাড়িয়ে দুই সন্তানের পায়ে খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই নারী তার স্বামীকে মাদকাসক্ত দাবি করে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বুধবার রাতে অভিযোগের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিকেলে পৌর এলাকার সবুজবাগ কোবা মসজিদের পাশের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ৯ বছরের শিশু আরোবি ও তার ভাই ৫ বছর বয়সী আলিফ বর্তমানে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত নুর আলমের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার পূর্ব মাতাপুর গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১১ বছর আগে নুর আলম ও জয়মেনা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক মেয়ে ও ছেলের জন্ম হয়। মাদকাসক্ত নুর আলম কাজকর্ম না করে যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
গত ২৮ জুলাই যৌতুকের টাকার জন্য ছেলে ও মেয়েকে বাসায় আটকে রেখে জয়মেনা খাতুনকে বের করে দেন নুর আলম। জয়মেনা বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
পরে খেলতে যাওয়ায় মেয়ে আরোবি ও ছেলে আলিফকে মারধর করেন নুর আলম। এ সময় গরম খুন্তি চেপে ধরে মেয়ের ডান পায়ের তালু ও ছেলের বাঁ পায়ের তালু ঝলসে দেন। খবর পেয়ে জয়মেনা বেগম সন্তানদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:নওগাঁর পত্নীতলায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
শহরের কাঁঠালতলী এলাকায় বুধবার রাত ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব-৫। এ সময় তার বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক ৪০ বছরের সালাম হোসেনের বাড়ি সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামে।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ১১ জুলাই পত্নীতলার কাদাইল বাজার এলাকা থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীকে একটি সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যান সালাম হোসেন ও তার সহযোগীরা। পরে অপহরণকারীরা ফোন করে মেয়েটির বাবার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন।
‘অপহরণের পর প্রথমে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ এলাকার একটি বাসায় সালামসহ তার অপর দুই সহযোগী চয়ন উদ্দীন ও আলমগীর হোসেন ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে নওগাঁ শহরের কাঁঠালতলী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আটকে রেখে তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন তারা।’
অপহরণের পর পত্নীতলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মেয়েটির বাবা। পাশাপাশি র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত কিশোরীর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয় সালাম হোসেনকে।
সালামকে পত্নীতলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সালামের সহযোগীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।’
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করবেন।’
আরও পড়ুন:নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে সেচ মোটরের বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া দরগাবাড়ি গ্রামের পাশের হাওরে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কৃষক মনির হোসেনের বাড়ি একই গ্রামে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী।
স্থানীয়দের বরাতে এসআই মোহাম্মদ আলী জানান, কৃষক মনির হোসেন বিকেলে জমিতে সেচ দেয়ার জন মোটর চালাতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হন। পরে স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মনির হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল। এতে ফসলহানির পাশাপাশি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদী পারের কয়েক হাজার পরিবার।
এতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। তারা বলছেন, আউশের ক্ষেত ও আমনের বীজতলার পাশাপাশি শ শ মাছের ঘেরও ভেসে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
পিরোজপুর সাগর উপকূলবর্তী হওয়ায় নিম্ন বা লঘুচাপের প্রভাব পড়ে ব্যাপক।
এবার সাগরে লঘুচাপের কারণে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এরই মধ্যে দুই থেকে আড়াই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চল।
পিরোজপুরের শারিকতলা, ডুমুরিতলা, ইন্দুরকানী, ভাণ্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলে অতি জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
নদীর পারের এলাকা শংকরপাশা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মো. কাসেম হোসেন বলেন, ‘গতকাল ও আজ সকাল থেকে যেমন ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঘরের উঠানে নদীর পানি উঠেছে। বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় আছি। ওরা তো আর পানি বুঝে না, খেলতে নেমে যায়। তাই চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে।’
পাড়েরহাট এলাকার গাজীপুর গ্রামের মনিকা বেগম বলেন, ‘কচা নদীর গাজীপুরের বাঁধ ভেঙে আমাদের এলাকার অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। তবে জোয়ারে পানি এলেও ৬-৭ ঘণ্টা পর পানি নেমে যায় ভাটায়।’
ঝনঝনিয়া গ্রামের কৃষক মন্টু মিয়া বলেন, ‘এখন চলছে আউশ ধানের মৌসুম। ইতোমধ্যে ধান কাটাও শুরু করেছি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি ও নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে মাঠ। এতে ধানের ক্ষতি হবে।’
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘পানি স্থায়ী না হলে কৃষি ফসলের ক্ষতির তেমন আশঙ্কা নেই। তবে আমান বীজতলা লাগাতে কৃষকদের কিছুটা ভোগান্তি হবে।’
তিনি আরও বলেন, এ বছর জেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ও ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগের সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও তার স্ত্রীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসাইন বুধবার বিকেলে আকবরশাহ থানায় মামলা করেন।
আসামিরা হলেন, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম, তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও ওই স্থাপনার তত্ত্ববধায়ক মো. হৃদয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (চট্টগ্রাম মহানগর) হিল্লোল বিশ্বাস।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নগরীর পাহাড়তলী মৌজার লেকসিটি এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের একটি অভিযোগ পেয়ে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। এ সময় পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ ও গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়।
‘স্থাপনা বলতে টিনশেড সেমিপাকা একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অন্তত ৩ হাজার ঘণফুট পাহাড় ও তিনটি বড় গাছ কেটে নিয়েছে ওরা। বুধবার শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। শুনানিতে ওই স্থাপনার তত্ত্বাবধায়ক হৃদয় এসে জমির প্রকৃত মালিক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলে জানান।’
আরও পড়ুন:ভুল চিকিৎসায় রোগীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে বুধবার মামলাটি করা হয়।
ভুক্তভোগী মাহজাবীন হক মাশা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আমিনুল হক শামীমের বড় মেয়ে। মামলাটি করেছেন মাহজাবীনের ছোট ভাই এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. সামিউল হক সাফা।
আসামি করা হয়েছে ঢাকার সোবানবাগ এলাকার দীন মো. চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারের চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীপক নাগকে।
আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, মাহজাবীন হক চোখের সমস্যার কারণে গত ৫ জুন দীন মো. চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীপক নাগের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় চিকিৎসক তার চোখে লেজার প্রতিস্থাপন করেন। লেজার লাগানোর পর চোখে অন্ধকার দেখা শুরু করেন মাশা।
এমন পরিস্থিতিতে মাশাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, লেজার স্থাপনের কারণে মাশার চোখের ৩৩ ভাগ রেটিনা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।
পরে মাশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুংগ্রাদ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে মাশার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আদালত পরিদর্শক বলেন, ‘এ ঘটনার বিচার চেয়ে মামলাটি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানাকে এফআইআরভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।’
মামলার বাদী সামিউল হক সাফা বলেন, ‘একজন চিকিৎসকের এত বড় ভুল হতে পারে না। আমার বোনের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
আরও পড়ুন:ঘোষণা ছাড়াই ময়মনসিংহ-সিলেট রুটে ৯ দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে সিলেটের পরিবহন মালিক সমিতি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
তাদের অভিযোগ, নিজেদের স্বার্থে পরিবহন মালিকরা বাস বন্ধ করে দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ শহরে সিলেটের শাহজালাল কাউন্টারের সামনে বুধবার সন্ধ্যায় কথা হয় সাইদুল ইসলাম নামে সিলেটগামী এক যাত্রীর সঙ্গে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ঘোষণা ছাড়াই এভাবে বাস বন্ধ করে দেয়ার কোনো মানে হয় না। আগে থেকে বাস বন্ধের নির্দেশনা আসলে আমরা জানতে পারতাম। কাউন্টারে গিয়ে টিকিট না পেয়ে ফিরে আসতে হতো না।’
নুরজাহান খাতুন নামে আরে যাত্রী বলেন, ‘আমাদের কথা পরিবহন মালিকরা চিন্তা করেন না। যখন ইচ্ছে বাস বন্ধ করে দেয়, আবার যখন ইচ্ছে বাস চলাচল স্বাভাবিক করে।’
ময়মনসিংহ শহরে সিলেটের শাহজালাল পরিবহনের ম্যানেজার মো. মমিনুল ইসলাম মানিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে বাসগুলো নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত যেতে পারলেও গত ৯ দিন ধরে সিলেটে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সিলেট মালিক সমিতি।
‘এতে যে শুধুমাত্র যাত্রীরাই ভোগান্তিতে পড়েছে তা নয়। সিলেটগামী বাসের চালক, শ্রমিক ও কাউন্টারের ম্যানেজাররা বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে তারা তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মালিকপক্ষ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা বিভিন্ন সড়কে একাধিক গাড়ি চালিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু আমরা আমাদের মতো শ্রমিকরা ধারদেনা করে পরিবারের ভরণপোষণ করছে। অন্তত যাত্রীসহ আমাদের কথা চিন্তা করে ময়মনসিংহ-সিলেটে বাস চলাচল স্বাভাবিক করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মো. মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দফায় দফায় সিলেট ও নেত্রকোণা মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলছি। কিন্তু এতোদিন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।
‘বুধবার রাতে এ সমস্যা সমাধানে সিলেট মালিক সমিতির নেতারা নিজেরাই আলোচনায় বসেছে। আশা করছি রাতেই মধ্যেই ময়মনসিংহ-সিলেটে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত আসবে।’
বাস বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নেত্রকোণা জেলায় চলাচলের জন্য গত ২ আগস্ট সিলেট মালিক সমিতির দুটি বাস নামিয়েছে। কিন্তু নেত্রকোণা মালিক সমিতি এ বাস দুটি চলাচল করতে দিবে না বলে জানায়।
‘কিশোরগঞ্জ মালিক সমিতিও নেত্রকোণা মালিক সমিতির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিলেট মালিক সমিতি ময়মনসিংহ-সিলেট সড়কে তাদের সব বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য