ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের দুধসারা মসজিদপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইদ্রিস আলী পৌর শহরের ব্রিজঘাট এলাকার মৃত খোদা বক্স মণ্ডলের ছেলে।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে ইদ্রিস আলী বাইসাইকেলে মাঠে যাচ্ছিলেন। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক্টর তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সাইকেল থেকে পড়ে যান ইদ্রিস। তখন ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হন তিনি।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, ‘চালক ফারুক পালিয়ে গেলেও বালুবোঝাই টাক্টর আটক করা হয়েছে। মরদেহ কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।’
যশোরে ১৬টি সোনার বারসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শার্শার গোগা সীমান্ত থেকে বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
৪০ বছর বয়সী জনি বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা।
খুলনা বিজিবি-২১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান (পিএসসি) নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শার্শার গোগা সীমান্ত দিয়ে বৃহৎ একটি স্বর্ণের চালান পাচার হবে- এমন খবর পেয়ে গোগা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ওই এলাকার ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেন। পরে তার শরীরে লুকিয়ে রাখা ১৬টি সোনার বার জব্দ করা হয়।
‘এ বারগুলোর ওজন এক কেজি ৮৪৬ গ্রাম। আটক সোনার বারের আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি ৫৩ লাখ টাকা।’
সোনার বারসহ আটক আসামি জনিকে শার্শা থানায় দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম বুধবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মনোরঞ্জন দাশ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান, তার ভাই আবদুল গাফফার, বলকিপার রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনি।
পিপি জানান, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটি এলাকায় অবস্থিত দুটি মসজিদে জুমার নামাজের পর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন।
সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে করা এই মামলায় আসামি করা হয় ৪ জনকে। পরে পুলিশের তদন্তে আসামি আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
মনোরঞ্জন বলেন, ‘মামলার এক বছর পর ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। বিচার শুরুর পর চলতি বছরের ২৩ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।’
আসামিদের মধ্যে এম সাখাওয়াত হোসেন পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান পিপি।
আরও পড়ুন:নিরাপদ হলের দাবিতে অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে অধ্যক্ষের কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি করে আলাদা ছয়টি হল রয়েছে; যার প্রতিটি হলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। প্রায় প্রতিনিয়তই হলগুলোর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে অনেক সময় অনেক শিক্ষার্থী আহত হচ্ছেন।
কর্তৃপক্ষ বলছেন, শিগগির তারা সংস্কারকাজ শুরু করবে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লিসা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রী হলের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় আমাদের। এখন নিরাপদ হল আমাদের দাবি।’
শিক্ষার্থী এহসান উল্লাহ বলেন, ‘ছেলেদের তিনটি ছাত্রাবাসের মধ্যে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই খারাপ। গত রাতেও আমাদের এক সহপাঠীর রুমের পলেস্তারা খসে পড়ে, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় সে। আমাদের একটাই দাবি, আমরা নিরাপদ হল চাই।’
তাহসিন আহম্মেদ বলেন, ‘হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। দ্রুত এই ছাত্রদের পুনঃ আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
আবাসনসংকট নিরসনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, কিন্তু হল নির্মাণ করা হয়নি। আবাসনসংকট নিরসনে নতুন হল নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
হুঁশিয়ারি দিয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাগর হোসেন বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে হল নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ হলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ স্থানে রাখার দাবি জানাই। তা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শাহীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সচিব মহোদয় কিছুক্ষণ আগে ফোন করে হোস্টেল সংস্কারের কথা বলেছেন। আমরা অতি দ্রুত কাজ শুরু করব। এ ছাড়া কলেজে দুটি হোস্টেল নির্মাণকাজ শিগগির শুরু হবে।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন আহত হওয়ার খবর জানা গেছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় মঙ্গলবার রাতে এ সংঘর্ষ হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সীতারামপুর গ্রামের রিয়াজুদ্দিন গোষ্ঠীর রাজুর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। রাতে ছিল গায়ে হলদু। তবে সেই বিয়ের অনুষ্ঠানের ডেকোরেশনের কাজ পেল দৌলতপুর গ্রামের হাসান আলী বাড়ির এক ছেলে।
ডেকোরেশনের মধ্যে ছিল বিয়ের গেট ও মঞ্চ আলোকসজ্জা করা। ডেকোরেশনের এ কাজ সিতারামপুর গ্রামের লোকজনের ভালো লাগেনি দেখে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পরে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ানোর কারণে টানা আড়াই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরের মধ্যে মামলা হবে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় রুবেল হোসেনের দাফন নিজ বাড়ি মেহেরপুরে হয়েছে।
সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ভোরে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও যারা মারা গেছেন তারা হলেন কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া।
নিহত এই চারজনের দাফন মঙ্গলবার রাতে জামালপুরে সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় চারজনের দাফন হয়েছে নিজ বাড়ি জামালপুরে।
মেলান্দহ উপজেলার আগ পয়লা গ্রামে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝরনা বেগম এবং তার দুই শিশুসন্তান জাকারিয়া ও জান্নাতের দাফন সম্পন্ন হয়।
ইসলামপুর উপজেলার লাউদত্ত গ্রামে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানাজা শেষে কনের মা ফাহিমা বেগমকে নিজ বাড়ির আঙিনায় দাফন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাল নীল বাতির সঙ্গে সাইরেন বাজিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি এগিয়ে এলে ভিড় জমায় শত শত উৎসুক জনতা। আর অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় স্বজনদের চিৎকার। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। হঠাৎ এমন মৃত্যুতে হতবাক নিহতদের স্বজনসহ এলাকাবাসীও।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও যারা মারা গেছেন তারা হলেন কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া।
আরও পড়ুন:প্রশাসনের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে মধ্যরাতে হলে ফিরে গেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
হল থেকে রাইস কুকার ও রান্নার অন্যান্য সরঞ্জাম সরানোর নির্দেশনা বাতিলসহ ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন অপরাজিতা হলের ছাত্রীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে অবস্থান নেন তারা। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেন অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও।
রাত দেড়টার দিকে শিক্ষর্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে লিখিত দেন অপরাজিতা হলের প্রভোস্ট রহিমা নুসরাত রিম্মি। পরে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অপরাজিতা হলের টয়লেটে গিয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গলায় বঁটি চালান। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় অপরাজিতা হলে দা, বঁটি, চাকু এমনকি রাইস কুকারও নিষিদ্ধ করে হল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীদের রুমে রুমে গিয়ে সরঞ্জামগুলো জব্দ করা হয়। সবাইকে ডাইনিংয়ের খাবার খেতে নির্দেশ দেয়া হয়।
অপরাজিতা হলের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারের মান খুবই খারাপ। তার মধ্যে রাইস কুকার নিষিদ্ধ করা হলো। রান্নার সব সরঞ্জামও হলে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।’
লীমা নামের আরেক ছাত্রী বলেন, ‘আন্দোলনে আসতে আমাদের বাধা দেয়া হয়েছিল। আমরা হলের দুটি তালা ভেঙে নেমেছিলাম।’
আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন এসেছিলেন। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে ফিরে যান।
পরে রাত দেড়টায় প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে লিখিত দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১. রাইস কুকার ও হলের রান্নার সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
২. সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্টের প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলার কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও পারিবারিক শিক্ষা তুলে কথা বলায় ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. হলে প্রয়োজনে অভিভাবক ও মহিলা আত্মীয়দের থাকার অনুমতি প্রদান করতে হবে।
৪. পানির পোকা ও খাবারের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৫. প্রভোস্ট তার নিজ ডিসিপ্লিনের স্টুডেন্টদের ডেকে নিয়ে ব্যক্তিগত এবং অ্যাকাডেমিক বিষয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে ও ক্ষমা চাইতে হবে।
৬. হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
৭. যেকোনো পরিস্থিতিতে সিট বাতিলের হুমকি দেয়া বন্ধ করতে হবে।
৮. যেকোনো পরিস্থিতিতে হলের ছাত্রীদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৯. হলের মিল খাওয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না।
১০. আন্দোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দেয়া যাবে না।
১১. এ দাবিগুলো না মানলে প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য