নড়াইলে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে অপদস্থ করার ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ নামে একটি সংগঠন।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগঠনটি।
একজন শিক্ষককে অপদস্থ করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেতাদের নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটা গরিমা আছে। আমরা স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের আমাদের সমান স্ট্যাটাসের মনে করি না। কিন্তু খুব বেশিদিন নেই, আপনার গলায়ও জুতার মালা পরানো হবে। কাজেই আসুন, আমরা রুখে দাঁড়াই।’
সমাবেশের প্রতি সংহতি জানিয়ে এতে মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে কাবেরী গায়েন বলেন, ‘নড়াইলে এই ঘটনায় যদি আমার ভেতরে বেদনা কাজ না করে, তাহলে আমি শিক্ষক নই। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ শিক্ষক ফেডারেশন তাদের কাজটা আসলে কী? এভাবে কি শিক্ষকরা একের পর এক অপমানিত হতেই থাকবেন? শিক্ষক লাঞ্ছনা এখন শিক্ষক হত্যায় উপনীত হয়েছে।’
এই অধ্যাপক ক্ষেদের সঙ্গে বলেন, ‘আসুন, আমরা উদযাপন করি। শিক্ষকের প্রতি এই নিপীড়ন এবং হত্যাযজ্ঞকে আমরা উৎসবে পরিণত করি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষকরা এই দেশে আর বেশিদিন থাকতে পারবেন না। দশ বা বিশ বছর পর তাদের সংখ্যা এমনিতে কমে যাবে। কিন্তু এই কোমলমতি শিক্ষার্থী, যারা তাদের শিক্ষকদের মারছে, গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিচ্ছে, তাদের হাতেই কিন্তু বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তখন সেটা কোন দেশ হবে, সেটা কি আমরা ভাবব? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সকল বডির কাছে আবেদন জানাই, শিক্ষা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং দেশকে রক্ষা করুন।’
ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরীফুজ্জামান শরিফ বলেন, ‘এই ঘটনার জন্য আমি নড়াইলের ডিসি এবং এসপির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এই ঘটনা ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক কোনো ইস্যু নয়। এটি রাজনৈতিক ইস্যু। এই ইস্যুগুলো যত বেশি হয়, একটা অংশের ভোটের পারসেন্টেজ বাড়ে। বর্তমানে সরকারের গদিতে যারা বসে আছেন, তাদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়েই এই ঘটনাগুলো ঘটছে।’
শরিফ বলেন, ‘আমরা একসময় বলতাম, এই ঘটনাগুলোর জন্য সরকার দায়ী নয়। কিন্তু আমি এখন মনে করি, প্রতিটি ঘটনার জন্য সরকার দায়ী। সরকারের ইন্ধন এবং রাজনৈতিক ইক্যুয়েশনে প্রতিটি ঘটনা ঘটে। শাসক দলের কনসার্ন ছাড়া একটা ঘটনাও ঘটে না।
‘এখন বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, এর পেছনে রাজনৈতিক ইক্যুয়েশন আছে। সামনে নির্বাচন। সীমানার এপার এবং ওপারে এই ঘটনাগুলোর ইমপ্যাক্ট আছে। সুতরাং নড়াইলের ঘটনায় শেষ, এটি আমি বিশ্বাস করি না।’
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘এই ঘটনায় শিক্ষকরা চুপ। কারণ তারা এখন দাসত্ব করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে জয় বাংলা না বলে জিন্দাবাদ বলা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে কারবালার কাণ্ড ঘটে গেল। অথচ এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষক সমিতি থেকে শুরু করে ফেডারেশন একটা কথাও বলল না। কারণ শিক্ষকদের বিরাট অংশ শিক্ষকতার চেয়ে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ এর মাধ্যমে হল প্রভোস্ট, হাউস টিউটরসহ পদ পাওয়াসহ তার ইহজাগতিক অনেক সুবিধা আসবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সাবেক এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার জন্য যারা বসে আছেন, তাদের জিজ্ঞেস করা দরকার এসব ঘটনায় আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী? পাহাড় ধসলে, ভারতে বৃষ্টি হলে আপনাদের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিন্তু সারা বাংলাদেশে টার্গেট করে স্কুল-কলেজের হিন্দু শিক্ষকদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, এই বিষয়ে আপনারা নীরব কেন? আপনাদের রাজনৈতিক ভূমিকা কী?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ধারাবাহিকভাবেই এসব ঘটে আসছে। যে পুলিশ রক্ষা করবে, তার সামনে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কারণ যিনি পুলিশের পোশাক পরে আছেন, তার ভেতরেও ধর্মান্ধতা। গান, চারুকলা, কবিতা, শিল্পসাহিত্য সব হারিয়ে যাচ্ছে। চূড়ান্ত সময়েও যদি আমাদের বোধদয় না হয়, তাহলে পরাজয়ের জায়গা আরও সম্প্রসারিত হবে।’
নিপীড়নবিরোধী শাহবাগের সংগঠক রবিন আহসান বলেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস পুলিশকে ডেকেছেন নিজের নিরাপত্তার জন্য, কিন্তু সেই পুলিশের সামনে তাকে হেনস্তা, অপমানের শিকার হতে হয়েছে। সাভারে শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এই হতভাগ্য বাংলাদেশ আমি ৪৯ বছরে দেখিনি।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘একাত্তরের মধ্য দিয়ে আমরা যে বাংলাদেশটা পেয়েছি, এখন আর সেই বাংলাদেশ নেই। বাংলাস্তান হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের মতোই এটি সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গিয়েছে। মনে হয়েছে, এ মালা আমাকে পরানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন কোনো বিবৃতি দেয়নি। এতে বোঝা যায়, তারা এটি পাশ কাটাতে চায়। তারা দলান্ধ, তারা দলের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না, অ্যাকশন নিতে পারবেন না। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানাই। সেই সঙ্গে নড়াইলের ডিসি, এসপি এবং অফিসার ইনচার্জ, থানা এবং যে সমস্ত পুলিশ সদস্য সেখানে ছিলেন, তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানাই।’
যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কাজল কুমার দাস, বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব রনজিত দেব, ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফয়জুল্লাহ, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাবিব আদনান, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিদ রঞ্জন দে প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আকরামুল হক।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য