রাজবাড়ীতে একটি পাটক্ষেত থেকে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বালিয়াকান্দিতে রোববার সকালে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই ছাত্রের নাম বাদল মোল্লা। সে বালিয়াকান্দি উপজেলার বড় হিজলি গ্রামের হুমায়ূন মোল্লার ছেলে। বাদল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় জাহিদ হোসেন জানান, সকালে ওই পাটক্ষেতের পাশে ঘাস কাটতে যান তিনি। এ সময় মরদেহটি দেখতে পেয়ে বাড়ির ও স্থানীয়দের খবর দেন।
ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মরদেহের বিভিন্ন জায়গায় কাটা আছে। শরীরে আঘাত ও ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্নও দেখা গেছে। এখনও পুলিশ কাজ করছে।’
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় চারজনের দাফন হয়েছে নিজ বাড়ি জামালপুরে।
মেলান্দহ উপজেলার আগ পয়লা গ্রামে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝরনা বেগম এবং তার দুই শিশুসন্তান জাকারিয়া ও জান্নাতের দাফন সম্পন্ন হয়।
ইসলামপুর উপজেলার লাউদত্ত গ্রামে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানাজা শেষে কনের মা ফাহিমা বেগমকে নিজ বাড়ির আঙিনায় দাফন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাল নীল বাতির সঙ্গে সাইরেন বাজিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি এগিয়ে এলে ভিড় জমায় শত শত উৎসুক জনতা। আর অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় স্বজনদের চিৎকার। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। হঠাৎ এমন মৃত্যুতে হতবাক নিহতদের স্বজনসহ এলাকাবাসীও।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও যারা মারা গেছেন তারা হলেন কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া।
আরও পড়ুন:প্রশাসনের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে মধ্যরাতে হলে ফিরে গেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
হল থেকে রাইস কুকার ও রান্নার অন্যান্য সরঞ্জাম সরানোর নির্দেশনা বাতিলসহ ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন অপরাজিতা হলের ছাত্রীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে অবস্থান নেন তারা। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেন অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও।
রাত দেড়টার দিকে শিক্ষর্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে লিখিত দেন অপরাজিতা হলের প্রভোস্ট রহিমা নুসরাত রিম্মি। পরে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অপরাজিতা হলের টয়লেটে গিয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গলায় বঁটি চালান। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় অপরাজিতা হলে দা, বঁটি, চাকু এমনকি রাইস কুকারও নিষিদ্ধ করে হল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীদের রুমে রুমে গিয়ে সরঞ্জামগুলো জব্দ করা হয়। সবাইকে ডাইনিংয়ের খাবার খেতে নির্দেশ দেয়া হয়।
অপরাজিতা হলের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারের মান খুবই খারাপ। তার মধ্যে রাইস কুকার নিষিদ্ধ করা হলো। রান্নার সব সরঞ্জামও হলে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।’
লীমা নামের আরেক ছাত্রী বলেন, ‘আন্দোলনে আসতে আমাদের বাধা দেয়া হয়েছিল। আমরা হলের দুটি তালা ভেঙে নেমেছিলাম।’
আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন এসেছিলেন। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে ফিরে যান।
পরে রাত দেড়টায় প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে লিখিত দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১. রাইস কুকার ও হলের রান্নার সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
২. সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্টের প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলার কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও পারিবারিক শিক্ষা তুলে কথা বলায় ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. হলে প্রয়োজনে অভিভাবক ও মহিলা আত্মীয়দের থাকার অনুমতি প্রদান করতে হবে।
৪. পানির পোকা ও খাবারের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৫. প্রভোস্ট তার নিজ ডিসিপ্লিনের স্টুডেন্টদের ডেকে নিয়ে ব্যক্তিগত এবং অ্যাকাডেমিক বিষয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে ও ক্ষমা চাইতে হবে।
৬. হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
৭. যেকোনো পরিস্থিতিতে সিট বাতিলের হুমকি দেয়া বন্ধ করতে হবে।
৮. যেকোনো পরিস্থিতিতে হলের ছাত্রীদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৯. হলের মিল খাওয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না।
১০. আন্দোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দেয়া যাবে না।
১১. এ দাবিগুলো না মানলে প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুন:দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৭তম বছর আজ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে বোমা হামলা চালায়।
মুন্সীগঞ্জ ছাড়া সব জেলায় প্রায় পাঁচ শ পয়েন্টে বোমা হামলায় দুজন নিহত ও অন্তত ১০৪ জন আহত হন।
পুলিশ সদর দপ্তর ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার পরপরই সারা দেশে ১৫৯টি মামলা করা হয়।
এর মধ্যে ডিএমপিতে ১৮টি, সিএমপিতে ৮টি, আরএমপিতে ৪টি, কেএমপিতে ৩টি, বিএমপিতে ১২টি, এসএমপিতে ১০টি, ঢাকা রেঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৭টি, খুলনা রেঞ্জে ২৩টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি, সিলেট রেঞ্জে ১৬টি, রংপুর রেঞ্জে ৮টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৬টি ও রেলওয়ে রেঞ্জে ৩টি।
সংবাদ সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
এসব মামলার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয় ১৪২টি মামলায়। বাকি ১৭টি মামলায় ঘটনার সত্যতা থাকলেও আসামি শনাক্ত করতে না পারায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি।
এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ১৩০ জন। গ্রেপ্তার করা হয় ৯৬১ জনকে। ১ হাজার ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৫৯টি মামলার মধ্যে ৯৪টির বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। এখন ৫৫টি মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে আসামির সংখ্যা হচ্ছে ৩৮৬ জন।
এই সিরিজ বোমা হামলার রায় দেয়া মামলাগুলোর ৩৪৯ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। এর মধ্যে ৮ জনের ফাঁসি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
এসব মামলায় খালাস পেয়েছে ৩৫৮ জন, আর জামিনে রয়েছে ১৩৩ জন আসামি। এ ছাড়া ঢাকায় বিচারাধীন ৫টি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণের শেষপর্যায়ে রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার জন্য ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ছয় জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, চিন্তাবিদ আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাউদ্দিনকে ফাঁসি দেয়া হয়।
বিএনপি জামায়াতের শাসন আমলে (২০০১ থেকে ২০০৬) সরকারি এমপি-মন্ত্রীদের সরাসরি মদদে সারা দেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করে জঙ্গিরা।
২০০৫ সালের পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ধারাবাহিক বোমা হামলায় বিচারক ও আইনজীবীসহ ৩০ জন নিহত হন। আহত হন ৪ শতাধিক।
ওই বছরের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের আদালতে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত এবং বিচারকসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
এর কয়েক দিন পর সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিপ্লব গোস্বামীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় তিনি এবং তার গাড়িচালক আহত হন।
১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে বিচারক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। এতে নিহত হন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের বিচারক জগন্নাথ পাড়ে এবং সোহেল আহম্মদ। এই হামলায় আহত হন অনেক মানুষ।
সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে ২৯ নভেম্বর গাজীপুর বার সমিতির লাইব্রেরি এবং চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে। গাজীপুর বার লাইব্রেরিতে আইনজীবীর পোশাকে প্রবেশ করে আত্মঘাতী এক জঙ্গি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই হামলায় আইনজীবীসহ ১০ জন নিহত হন। আত্মঘাতী হামলাকারী জঙ্গিও নিহত হয় ।
একই দিন চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে জেএমবির আত্মঘাতী জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে রাজিব বড়ুয়া নামের এক পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন পথচারী নিহত হন। পুলিশসহ প্রায় অর্ধশত আহত হন ।
১ ডিসেম্বর গাজীপুর ডিসি অফিসের গেটে আবারও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে নিহত হন গাজীপুরের কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেম। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।
৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নেত্রকোনা শহরের বড় পুকুরপার উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। সেখানে স্থানীয় উদীচীর দুই নেতাসহ ৮ জন নিহত হন। শতাধিক আহত হন ।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জেলা যুবদল নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে তাদের ৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম বাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলনে যোগ দিতে আমি ও কয়েকজন কর্মী মাইক্রোবাসে রওনা দেই। গুচ্ছগ্রাম বাজার এলাকায় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা গাড়িতে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে। এতে আমিসহ ৫ জন আহত হয়েছি।’
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা তাদের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
অভিযোগ নাকচ করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ বলেন, ‘পাটগ্রামে আমাদের কোনো লোক এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তাদের দাবি ভিত্তিহীন।’
পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি এখন শান্ত। কেউ এখনও কোনো অভিযোগ দেয়নি।
আরও পড়ুন:রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাবার হাঁসুয়ার কোপে মারা গেছেন ছেলে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম চারঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝিকড়াপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝিকড়াপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। পরে বাবা কুদ্দুসকে আটক করেছে পুলিশ।
চারঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুসের দুই স্ত্রী। নিহত জাহাঙ্গীর আলম তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে। আর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে এক কন্যা সন্তান আছে কুদ্দুসের।
সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে কিছু জমি লিখে দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুদ্দুসের পরিবারে কলহ বাঁধে। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার সকালে পাট ক্ষেতে বাবা আব্দুল কুদ্দুস ও তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পাট কাটার হাঁসুয়া দিয়ে ছেলের ঘাড়ে আঘাত করে পালিয়ে যান কুদ্দুস।
এ সময় জাহাঙ্গীরকে অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তবে রাজশাহী নেয়ার পথেই মারা যান জাহাঙ্গীর।
খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থানা পুলিশ। আর পালিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল কুদ্দুসকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন:পানি মিশিয়ে পেট্রল বিক্রির অভিযোগে নাটোরের লালপুরে একটি পাম্পকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার গোপালপুরে অবস্থিত সততা ফিলিং স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক জানান, সকালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীরা সততা ফিলিং স্টেশনে গিয়ে মোটরসাইকেলে পেট্রল নেন। কিন্তু তেল নেয়ার পর মোটরসাইকেলে স্টার্ট নিতে সমস্যা হওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়।
এ অবস্থায় বিষয়টি তারা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান। পরে ইউএনও মারিয়াম খাতুন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই ফিলিং স্টেশনের তেল পরীক্ষা করে দেখেন এতে পানি মেশানো। পরে এই অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে পাম্প মালিক সিদ্দিকুর রহমানকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করেন তিনি। একই সঙ্গে ভোক্তাদের ক্ষোভ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ওই পাম্পে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ৪ লাখেরও বেশি টাকা খোয়া গেছে।
টাকা তুলতে যাওয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক কাজী মো. আরমিন জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়।
গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট সড়কের কোটালীপাড়া উপজেলার কাজী মন্টু ফিলিং স্টেশনের কাছে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
হিসাবরক্ষক আরমিন বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমি ঘাঘর বাজারের সোনালী ব্যাংক থেকে শিক্ষকদের ইউনিক আইডির ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫২০ টাকা ও উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার জসীম স্যারের বেতনের ৩২ হাজার ৩০০ টাকা তুলি। এরপর ভ্যানে করে উপজেলা সদরে আমাদের অফিসে দিকে যাচ্ছিলাম।
‘কাজী মন্টু ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে যাওয়ার পর আমার ভ্যানের পথরোধ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে আমাকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোতে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে। গাড়িতে তোলার সময় আমি তিনজনের হাতে পিস্তল ও ওয়াকিটকি দেখেছি।’
আরমিন অভিযোগ করেন, গাড়িতে তোলার পর তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয় ও মারধর করা হয়। তাকে একটি নির্জন স্থানে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে দেয়া হয়।
উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমার বেতনসহ শিক্ষকদের ইউনিক আইডির টাকা অনেক আগেই উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে ছিল। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার বদলির কারণে টাকা তুলতে দেরি হয়।
‘নতুন কর্মকর্তা যোগ দেয়ায় মঙ্গলবার অফিসের হিসাবরক্ষক আরমিন টাকা তুলে অফিসে ফেরার পথে তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। আমরা কোটালীপাড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য