নিয়ম ভেঙে উৎসাহী জনতা পদ্মা সেতুতে উঠে অবশেষে নামল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিটুনি খেয়ে। তবে পিটুনি খেয়েও আক্ষেপ নেই বলে জানান একজন। বলেছেন, তিনি সেতুতে উঠতে না পারলে দম ফেটে মরে যেতেন।
অনুমতি না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন করার পর বেলা ১টার দিকে মাওয়া প্রান্তে অসংখ্য মানুষ ঢুকে পড়ে সেতুতে। পরে প্রায় এক ঘণ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। উৎসুক সাধারণদের সেতু থেকে নামানোর জন্য লাঠিপেটাও করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী সেতু পার হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের বহনকারী কিছু বাসও পার হয়। বেলা ১টার দিকে সেতুর উল্টো পথের মুখ থেকে পুলিশ পাহারা কিছুক্ষণের জন্য শিথিল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও কয়েকটি মাইক্রোবাস সেতুতে উঠে পড়ে।
এর সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে, কোথাও ভেঙে, আবার কোথাও বেষ্টনীর নিচের মাটি সরিয়ে উৎসুক সাধারণ মানুষ সেতুতে ঢুকে পড়েন। মাওয়া প্রান্ত থেকে জাজিরা প্রান্তের দিকে ছুটতে থাকেন তারা। একই সময়ে সেতুতে উঠে সেলফি তোলা, ভিডিও ধারণ থেকে শুরু করে মাওয়া প্রান্তের ইলিশ ফোয়ারায় নেমে হাত-মুখ ধোয়া শুরু করেন তারা।
তাৎক্ষণিকভাবে অনেকে ভেবেছিলেন, সেতু বুঝি খুলে দিয়েছে সরকার। এমন বিভ্রান্তিতে পড়ে খাবার ও খেলনা বিক্রি করতেও সেতুতে উঠে পড়েন হকাররা।
তবে কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে একযোগে কাজ শুরু করে র্যাব, পুলিশ, ও সেনাবাহিনী। তারা সেতু থেকে বাহন ও মানুষ নামাতে লাঠিচার্জও করে। বাহিনীর সদস্যদের প্রতিরোধের মুখে ফিরে আসে উৎসুক জনতা ও বাহনগুলো।
অতি উৎসাহী হয়ে পদ্মা সেতুতে চড়ে মার খেয়ে ফিরেছেন মিন্টু ও তার বন্ধুরা।
নিউজবাংলাকে মিন্টু বলেন, ‘আমরা যহন দেখলাম একটা দুইডা গাড়ি যাইতাছে, তখনই ঠিক করলাম যেমনেই হোক বিরিজে উঠমু। আমরা তারের বেড়ার উপর দিয়া বিরিজে উঠলাম। বহুত মজা করছি, ভাবছিলাম ওই পাড় যামুগা। কিন্তু অর্ধেক বিরিজে যাওয়ার পর র্যাব পুলিশ আইসা লাঠি দিয়া মাইর শুরু করল। এমন মাইর দিছে শরীর ফুলাইয়া ফেলছে।
‘মাইর খাইলে খাইছি কোনো সমস্যা নাই, বিরিজে তো উঠছি। আইজকা বিরিজে না উঠলে কইলজা ফাইট্যা মইরাই যাইতাম।’
উজ্জ্বল নামের আরেক মধ্যবয়সীকে দেখা গেল গায়ের জামা ফেলে দিয়ে বেষ্টনির নিচ দিয়ে সেতু এলাকা থেকে বরিয়ে আসছেন। আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘খালি শেখের বেটি বিরিজে উঠব আমরা উঠব না? সবার দেখাদেখি শখ কইরা গেলাম বিরিজে, পুলিশ পিটাইয়া লাল কইরা দিল। কামডা ঠিক করল না।’
জামাল নামের এক যুবক ঘটনার শুরুর দিকেই সেতুর বেষ্টনী টপকে ওপরে উঠে পড়েন। তিনি বলেন, “আমি ব্রিজে উঠে দেখি মাওয়ার দিক উল্টা রাস্তায় থেকে একটা মোটরসাইকেল আসতেছে। ওই লোক একা ছিল। আমি তারে সিগন্যাল দিয়ে থামায়া বললাম, ‘ভাই ব্রিজ পার হইতেছেন, আমারেও নিয়া যান’।
‘আমাদের আগে প্রথম একটা মোটরসাইকেল গেছে, পরেরটাতেই আমি ছিলাম। আমরা দুইজন কথা বলতে বলতে ব্রিজ থেকে নামব, তার আগেই আমাগো র্যাব-পুলিশ আটকায়া জিগাইল, কই যাই। ড্রাইভার ভাই কইল, ঘুরতে আইছি।’
‘অমনি লাঠি দিয়ে বাড়ি দিল আর আমরা মোটরসাইকেল ঘুরায়া আবার আইসা পরলাম। আমি মোটরসাইকেলওয়ালা ভাইরে জিগাইছিলাম ব্রিজ খুইলা দিছে নাকি। উনি কয় জানি না, ফাঁকা পাইয়া আইসা পরছি।’
পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে সেতুর সীমানা প্রাচীর টপকে মানুষ ঢুকে পড়ে। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই সেই ক্রাউড কন্ট্রোল করি।’
সেতুতে উল্টোপথে মোটর সাইকেল ও গাড়ি কীভাবে উঠল- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেতুতে গাড়ি বা মোটরসাইকেল উঠেছে কি না এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মোহম্মদ পাশা এ বিষয়ে বলেন, ‘সেতুতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল কীভাবে উঠল, সে বিষয়ে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। আমাদের সেতুর মব কন্ট্রোল করতে বলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে দুই প্রান্ত থেকে আমরা অ্যাপ্রোচ নিয়ে মব কন্ট্রোল করি। গাড়ি মোটরসাইকেল বা মানুষ কোনোটিকেই আমরা সেতু অতিক্রম করতে দেইনি।’
আরও পড়ুন:৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সকাল ৬টা ১১ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ওই সময় তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। ওই সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
পরে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এ ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএম শাহাবুদ্দিন।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা থেকে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫’ তুলে দিয়েছেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক এ পুরস্কার প্রদান করেন তিনি।
এবার স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। তিনি পুরস্কার বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ তুলে দেবেন।
ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরুস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
আরও পড়ুন:ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান রবিবার যে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন, তাতে বলা হয়, ‘সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল। ছুটিকালীন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
‘তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।’
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতা-বহির্ভূত থাকবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
‘জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে সবার আগে পরিবার থেকে নারীকে সাহস দিতে হবে। যেকোনো সংকটে নারীর পাশে ঢাল হয়ে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবার পাশে না থাকলে রাষ্ট্রের পক্ষে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবার নারীকে সাহস দিলে রাষ্ট্রও নারীর পাশে থেকে সাহস জোগাতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীর প্রতিবন্ধকতা কখনও শেষ হয় না। সমাজে একটা গোষ্ঠী আছে, যারা নারীকে ক্ষমতায়িত করতে চায় না। দুর্বল নারীকে যত পছন্দ করে, সবলচিত্তের নারীকে তারা পছন্দ করে না। এটাই বাস্তবতা।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে (৮ মার্চ) সামনে রেখে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন নারীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা হলে সে দেশের কাজে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও পরিবারের পাশাপাশি সমাজেরও দায় রয়েছে। নারীর চলার পথ পুরুষের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন ও নির্ভরতার হতে হবে।’
তিনি বলেন, “নারী এখন যে অবস্থানে রয়েছে, সে অবস্থানে থেকে নারী বলে বিতর্কিত নয়, কাজে সে বিতর্কিত হোক, অদক্ষ বলে বিতর্কিত হোক, শুধু নারী বলেই ভূল, নারী বলেই অদক্ষ, এ কথাটা বলা যাবে না। আমি বলব ‘স্কাই ইজ দ্য লিমিট।
“তাই তার চিন্তার গন্ডিটাকে তার পারিপার্শ্বিকতার নেতিবাচক মনোভাবে আটকে না রেখে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তাদের পাশে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অভিভাবককে বুঝতে হবে, ছেলে ও মেয়ে দুজনই পরিবারের সম্পদ। পরিবারের উচিত নারীকে ক্ষমতায়িত করা।”
আরও পড়ুন:চলতি বছর ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এ বছর কারা ও কতজন এ পুরস্কার পাচ্ছেন, তা জানাননি উপদেষ্টা।
সচিবালয়ে রবিবার স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি উল্লিখিত বক্তব্য দেন।
উপদেষ্টা বলেন, কমিটি কিছু নাম সুপারিশ করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নামের তালিকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো হবে।
দেশের জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ব্যতিক্রমী কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ওই সময়ে উপস্থিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, এর আগে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে দলগত ও গোষ্ঠীগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। র্যাবের মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকেও দেশের সর্বোচ্চ এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
এ বছর ১০ জনের কম ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য