পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তার কট্টর সমালোচক জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সাহসী বলেছেন তিনি, এটাও বলেছেন, ভালো কাজ করছেন আওয়ামী লীগপ্রধান।
শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যে বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে যারা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। তাকে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উড়িয়ে নেয়া হয় হেলিকপ্টারে উড়িয়ে।
লুঙ্গি পরা জাফরুল্লাহ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি জানান তার প্রতিক্রিয়া।
পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে জাতির এই সাহসী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। …উনি অনেক বড় কাজ করেছেন, সাহসী কাজ করেছেন। ওনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
তবে এই সেতুর কৃতিত্ব পুরো প্রধানমন্ত্রীকে না দিতে গণমাধ্যমকর্মীদের পরামর্শ দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। বলেন, ‘আপনারা এভাবে মানুষকে ভুল বোঝাইয়েন না। কোনো কিছু এক ব্যক্তির দ্বারা হয় না। উনি অন্যের কথা শুনেছেন, চিন্তা করেছেন। উনি সমালোচনাকেও হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। আমরা বলেছি, হিসাব দেন। উনি হিসাব দিচ্ছেন।’
‘অনির্দিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া’ উড়ো অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতিচেষ্টার অভিযোগ তোলার পর ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক। পরে তাদের দেখাদেখি চলে যায় এডিবি, আইডিবি ও জাইকাও।
শুরু থেকেই দুর্নীতিচেষ্টার অভিযোগকে বানোয়াট উল্লেখ করা প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালের ৪ জুলাই জাতীয় সংসদে নিজ অর্থে সেতু করার ঘোষণা দেয়ার পর তার সেই পরিকল্পনা আদৌ বাস্তবায়নযোগ্য কি না, তা নিয়ে কথা ওঠে। তবে সব সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে সেতু এখন ঠাঁই দাঁড়িয়ে এবং এখন শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা হচ্ছে।
সেতুর কাজ চলার মধ্যে ২০১৭ সালে কানাডায় এসএনসি লাভালিনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে বিচারক বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে ‘বায়বীয়’ ও ‘গালগপ্প’ আখ্যা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেই সব ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে বলেছেন, এই সেতু নির্মাণে কোনো দুর্নীতি হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রের কারণে দুই বছর পিছিয়ে পড়তে হয়েছে তাকে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর পার্সি টেম্বনও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, তারা এখন সামনের দিকে তাকিয়ে।
পদ্মা সেতু স্বচোখে দেখতে পেরে আপ্লুত ও গর্বিত বলেও জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দঘন অনুভূতি এটা। একাত্তরেও মুক্তিযুদ্ধ করতে পেরেছি। আজকে পদ্মা সেতু নিজের চোখে দেখতে পেরেছি। এটি আমার জীবনের বড় একটি আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়ে গেছে।
‘আমি জাতির উল্লেখযোগ্য ঘটনারগুলোর মধ্যে একটাতে অনুপস্থিত ছিলাম, সেটি ৭ মার্চের ভাষণ। এ ছাড়া জাতির সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় আমি ছিলাম।’
অ্যাম্বুলেন্স টোল ফ্রি করার অনুরোধ
পদ্মা সেতুতে পার হতে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য টোল ফ্রি করার অনুরোধও করেন জাফরুল্লাহ।
বলেন, ‘আজকে আমাদের স্বপ্ন, আমাদের যোগসূত্র, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি, সে জন্য আমরা আনন্দিত। তবে ওনার কাছে আমার একটিই আবেদন- এই পদ্মা সেতু দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের যেন টোল ফ্রি থাকে, আর বিদেশিদের জন্য ডবল ট্যাক্সের ব্যবস্থা থাকে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেশের গণতন্ত্রের দিকে নজর দিতে হবে।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘তবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে আরও মহানুভব হতে অনুরোধ করছি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দিকে নজর দিতে হবে। উনি অনেক ভালো কাজ করেছেন। এখন ওনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
‘আমি চাই তিনি যেন একটা খোলা জিপে করে পদ্মা সেতু পার হন। সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ তিনজন মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন।’
‘বিএনপি নিয়ে বলতে পারব না’
সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয়া নিয়েও এক প্রশ্নে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। আমাকে দাওয়াত দিয়েছে সে জন্য আমি খুশি। আমি মনে করি খালেদা জিয়াকে আজকে দাওয়াত দেয়া উচিত ছিল। তাকে জামিন দিয়ে..., এখানে তার আসা উচিত ছিল। ভালো কাজের প্রশংসা করি, করতে হবে।’
ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে। অর্থাৎ প্রায় ৭১ শতাংশ নারী এখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না। পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করার ফলে সার্ভিক্যাল ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহারের ফলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এমনকি ক্যান্সার-এরও ঝুঁকি থাকে। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।
এ লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’ দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। ‘এক্সিলেন্স বাংলাদেশ’-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। ক্যাম্পেইন-এর অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ওয়ার্কশপ ও সেশন। এর বাইরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের নারীদের জন্য সহজে ও সুলভ মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহরে সুবধর্িাথরে জন্য ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করছে ফ্রেশ অনন্যা।
ফ্রেশ অনন্যা-ই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্যানিটারি ন্যাপকিন, যাতে রয়েছে ডাবল লেয়ারড অ্যাডভান্সড অ্যাবজর্পশন টেকনোলজি। সুবিধা ও উপযোগিতার কথা বিবেচনায় রেখে, ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এ ব্যবহার করা হয়েছে এয়ারলেইড পেপার এবং এডিএল লেয়ার। যা নিশ্চিত করে আরও দ্রুত শোষণ এবং সুরক্ষা। তাই পিরিয়ডের দিনগুলো কাটে আরও বেশি স্বস্তিতে।
ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন ইত্যাদি।
৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সকাল ৬টা ১১ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ওই সময় তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। ওই সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
পরে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এ ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএম শাহাবুদ্দিন।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা থেকে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫’ তুলে দিয়েছেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক এ পুরস্কার প্রদান করেন তিনি।
এবার স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। তিনি পুরস্কার বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ তুলে দেবেন।
ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরুস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
আরও পড়ুন:ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান রবিবার যে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন, তাতে বলা হয়, ‘সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল। ছুটিকালীন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
‘তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।’
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতা-বহির্ভূত থাকবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
‘জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে সবার আগে পরিবার থেকে নারীকে সাহস দিতে হবে। যেকোনো সংকটে নারীর পাশে ঢাল হয়ে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবার পাশে না থাকলে রাষ্ট্রের পক্ষে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবার নারীকে সাহস দিলে রাষ্ট্রও নারীর পাশে থেকে সাহস জোগাতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীর প্রতিবন্ধকতা কখনও শেষ হয় না। সমাজে একটা গোষ্ঠী আছে, যারা নারীকে ক্ষমতায়িত করতে চায় না। দুর্বল নারীকে যত পছন্দ করে, সবলচিত্তের নারীকে তারা পছন্দ করে না। এটাই বাস্তবতা।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে (৮ মার্চ) সামনে রেখে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন নারীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা হলে সে দেশের কাজে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও পরিবারের পাশাপাশি সমাজেরও দায় রয়েছে। নারীর চলার পথ পুরুষের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন ও নির্ভরতার হতে হবে।’
তিনি বলেন, “নারী এখন যে অবস্থানে রয়েছে, সে অবস্থানে থেকে নারী বলে বিতর্কিত নয়, কাজে সে বিতর্কিত হোক, অদক্ষ বলে বিতর্কিত হোক, শুধু নারী বলেই ভূল, নারী বলেই অদক্ষ, এ কথাটা বলা যাবে না। আমি বলব ‘স্কাই ইজ দ্য লিমিট।
“তাই তার চিন্তার গন্ডিটাকে তার পারিপার্শ্বিকতার নেতিবাচক মনোভাবে আটকে না রেখে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তাদের পাশে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অভিভাবককে বুঝতে হবে, ছেলে ও মেয়ে দুজনই পরিবারের সম্পদ। পরিবারের উচিত নারীকে ক্ষমতায়িত করা।”
আরও পড়ুন:
মন্তব্য