× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Why so much relief yet wail
google_news print-icon

এত ত্রাণ, তবু কেন হাহাকার

এত-ত্রাণ-তবু-কেন-হাহাকার
‘সরকারের চাইতে বেসরকারি পর্যায়ে বহুগুণ বেশি ত্রাণ আসছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে যেভাবে পারে বন্যার্তদের সহায়তা করছে। তাদের সবার উদ্দেশ্য মহৎ। কিন্তু পরিকল্পনায় ঘাটতি রয়েছে।’

ত্রাণবাহী ট্রাকের কারণে শুক্রবার সিলেট ঢাকা-মহাসড়কে রীতিমতো জট লেগে গিয়েছিল। একই দিনে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জগামী সড়কে প্রতি মিনিটে প্রবেশ করেছে ত্রাণবাহী ট্রাক। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ত্রাণ নিয়ে আসে এসব ট্রাক।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সারা দেশের মানুষ। মানুষের অভূতপূর্ব সহায়তায় বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম চলছে এই দুই জেলায়। সরকারের পক্ষ থেকেও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এই কাজে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনীও।

এত বিপুল ত্রাণ কার্যক্রম সত্ত্বেও মানুষের হাহাকার কমছে না।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুরের রাহেলা খাতুনের কথাই ধরা যাক। ১৫ জুন, বন্যা শুরু হওয়ার দিন থেকেই পানিবন্দি তিনি। এর মধ্যে একদিন কিছু শুকনা খাবার ও একদিন রান্না করা খাবার পেয়েছেন কেবল।

রাহেলা বলেন, ‘১০ দিন ধরে ঘরে আটকে আছি। চারদিকে পানি, কোথাও যেতে পারছি না। মাত্র দুই দিনের সাহায্যে ১০ দিন চলবে কী করে?’

এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সহায়তা পাননি বলে জানিয়েছেন জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুলের দিনমজুর আফরোজ আহমদ। তিনি বলেন, ‘এলাকার ছেলেরা মিলে কিছু সাহায্য করছে। সরকারের কেউ বা কোনো জনপ্রতিনিধি এখন পর্যন্ত আমাদের খোঁজও নেয়নি।’

বৃহস্পতিবার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরেছেন জানিয়ে আফরোজ বলেন, ‘ঘর তো তছনছ করে দিয়েছে পানি। ঘরে খাবারও নেই। এখন পরিবার নিয়ে কী খাব?’

বন্যায় পানিবন্দি থাকা ১০ দিনে মাত্র চার দিন ভাত খেয়েছেন জানিয়ে গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল এলাকার ভ্যান চালক আব্দুল করিম বলেন, ‘শুকনা খাবার অনেক পেয়েছি। কিন্তু চাল ডাল পাচ্ছি না। ভাত না খেয়ে কত দিন থাকা যায়, ঘরের বাচ্চারা তো ভাত ছাড়া বুঝতেই চায় না।’

এমন হাহাকারের কথা জানিয়েছেন বন্যাকবলিত আরও অনেকেই। পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তাদের।

উদ্দেশ্য মহৎ, পরিকল্পনায় ঘাটতি

ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম সত্ত্বেও বানভাসি মানুষের এত হাহাকার আর অভিযোগ কেন?

বন্যার শুরু থেকেই ‘কলের গাড়ি’ নাম দিয়ে সিলেটে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীরা। কলের গাড়ির অন্যতম সমন্বয়ক, সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তিু গুপ্ত বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয় না হওয়ার কারণেই এমনটি হচ্ছে।’

রজত বলেন, ‘সরকারের চাইতে বেসরকারি পর্যায়ে বহুগুণ বেশি ত্রাণ আসছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে যেভাবে পারছে বন্যার্তদের সহায়তা করছে। তাদের সবার উদ্দেশ্য মহৎ। কিন্তু পরিকল্পনায় ঘাটতি রয়েছে।

‘ব্যক্তি উদ্যোগে যারা ত্রাণ নিয়ে আসছেন, তারা কোন এলাকায় বেশি দুর্গত, কারা সহায়তা পাননি, তা জানেন না। হয়তো ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে বা পরিচিতজনদের তথ্যে তারা ত্রাণ বিতরণের এলাকা বাছাই করছেন।’

রজত মনে করেন, এই সমস্যা কাটাতে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করা প্রয়োজন। তারা বেসরকারিভাবে বিতরণ করা ত্রাণ তদারকি করবেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন।

সমন্বয়হীনতার উদাহরণ তুলে ধরে জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান করিম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের চারটি গ্রামে পানি ওঠেনি। এই গ্রামগুলোর পুরোটাই আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। আশপাশের গ্রাম ও ইউনিয়ন থেকে বন্যার্তরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যাদের বেশির ভাগই একেবারে গরিব। কিন্তু এখানে যেহেতু পানি নেই এবং সরকার ঘোষিত আশ্রয়কেন্দ্র নেই, তাই এই এলাকায় কেউ ত্রাণ নিয়ে আসতে চায় না।’

তিনি বলেন, ‘ত্রাণ নিয়ে যারা আসে তারা কেবল পানিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে চায়। শুকনোয় থাকা মানুষও যে সংকটে আছে তারা তা বুঝতে চায় না।’

নজরের বাইরে মধ্যবিত্ত

সমন্বয়হীনতার আরেকটু উদাহরণ দিলেন গোয়ানঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ বলেন, ‘এখন সবচেয়ে বিপদে আছে মধ্যবিত্ত। তারা ত্রাণ পাচ্ছে না। আবার ঘরেও খাবার নেই। সবাই শুধু দরিদ্রদের সাহায্য করছে। আমাদেরও বলে দেয়া হয়েছে, সরকারি ত্রাণ গরিব মানুষদের দিতে। কিন্তু অবস্থাসম্পন্নরাও যে এখন সংকটে তা কেউ বুঝতেছে না।’

লোকমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে এখন সব মানুষ বিপদগ্রস্ত। আমার ঘরেই বুক সমান পানি ছিল। ঘরের সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। গত বন্যায় বোরো ধানের বেশির ভাগই তলিয়ে যায়। যেটুকু ঘরে তোলা গিয়েছিল, তা এই বন্যা নিয়ে গেছে। ফলে এখন আর কেউ ভালো নেই।’

বিতরণে সমন্বয়হীনতার কারণে কেউ পাঁচ বার ত্রাণ পাচ্ছে আর কেউ একবারও পাচ্ছে না বলে জানান লোকমান আহমদ।

ব্যক্তি পর্যায়ে ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ নিয়ে আসা সবাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এলে এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে মনে করেন গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবু।

তিনি বলেন, ‘কারা ত্রাণ পায়নি, কারা বেশি দুর্গত এসব তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাই যারা ত্রাণ নিয়ে আসছেন তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এলে আমরা তাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারব।’

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় হওয়া উচিত বলে মনে করেন এই চেয়ারম্যানও।

তবে এতে একটা বিপত্তি রয়েছে বলেও জানান ত্রাণ কার্যক্রম চালানো স্বেচ্ছাসেবী বিনয় ভদ্র। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনেক সময় তারা কেবল নিজের ঘনিষ্টজন ও ভোটারদের সহায়তা প্রদান করেন। এতেও অনেকক্ষেত্রে প্রকৃত ভুক্তভোগীরা বঞ্চিত হয়।’

দূরে যাচ্ছে বেশি, কাছে কম

তবে ভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জের সাংবাদিক কবির আহমদ। তিনি বলেন, ‘সবাই কেবল ত্রাণ নিয়ে দূর-দূরান্তে যেতে চায়। ফলে সড়কের কাছাকাছি এলাকার দুর্গত মানুষজন বঞ্চিত হচ্ছে।

‘কেবল শুক্রবারই কোম্পানীগঞ্জে বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ নিয়ে অন্তত ৫০ টি ট্রাক এসেছে। পরিকল্পিকভাবে বণ্টন হলে এই ত্রাণেই দুর্গতদের এক সপ্তাহ চলার কথা।’

সিলেট জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, শুক্রবার পর্যন্ত সিলেট জেলায় ১ হাজার ৩৯৭ মেট্রিক টন চাল, ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং ১৩ হাজার ২১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ বিতরণের সমন্বয়হীতার কথা স্বীকার করে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবোজিৎ সিংহ জানান, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্যে প্রত্যেক উপজেলায় আলাদা আলাদা সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে শনিবারের মধ্যে এই কমিটি করার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন এসব কমিটির কাজ তদারকি করবে।’

সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত

দেবোজিৎ বলেন, ‘বেসরকারি পর্যায়ে আসা ত্রাণ যাতে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন হয়, প্রকৃত দুর্গতরা পায় সে লক্ষ্যে এসব কমিটি করা হচ্ছে। সমন্বয় কমিটি বেসরকারি পর্যায়ে আসা ত্রাণ সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।’

সমন্বয় কমিটি কীভাবে কাজ করবে এমন প্রশ্নে দেবোজিৎ সিংহ বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলার প্রবেশ মুখে একটি করে কন্ট্রোল রুম চালু করবে এই সমন্বয় কমিটি। তারা উপজেলায় প্রবেশ করা সবকটি ত্রাণবাহী গাড়ি আটকে বিতরণের জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণ করে দেবে। প্রয়োজনে জলযান ও স্বেচ্ছাসেবী দিয়ে ত্রাণ বিতরণকারীদের সহায়তা করবে সমন্বয় কমিটি।’

আরও পড়ুন:
ঈদের আগে খুলছে না শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়
হবিগঞ্জে পানি নামছে ধীরগতিতে
আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে আশ্রয়হীন
বন্যায় ভেঙে যাওয়া সেতু মেরামত, ঢাকা-মোহনগঞ্জ ট্রেন চালু
দুর্গম এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে: সুনামগঞ্জে সেনাপ্রধান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on my newspaper representative in Daulatpur

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু

মন্তব্য

p
উপরে