দীর্ঘ অপেক্ষার পর উদ্বোধনের চূড়ান্ত ক্ষণে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরো বাংলাদেশের পাশাপাশি স্বপ্নের এই সেতু উদ্বোধনে উচ্ছ্বসিত ভারতের গণমাধ্যমও। উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকা আনন্দবাজারের ফেসবুক পেজে। ভিডিওতে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি রিঅ্যাক্ট ও ৩০০-এর বেশি মন্তব্য এরই মধ্যে পড়েছে।
এর আগে রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার পর মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টার দিকে তিনি মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে তিন হাজার নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সুধী সমাবেশে। ভোর সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় অতিথিদের আগমন। সমাবেশস্থল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক বা এক্সপ্রেসওয়েজুড়ে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায় নিরাপত্তাকর্মীদের।
সমাবেশস্থলের কাছাকাছি আসতেই অতিথিদের পথ চেনাতে ব্যতিব্যস্ত দেখা যায় তাদের। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গেই পাঠানো হয় গাড়িতে ব্যবহারের বিশেষ স্টিকার। লালরঙা বা সবুজরঙা স্টিকার দেখে নিরাপত্তাকর্মী অতিথিদের চিনিয়ে দিচ্ছিলেন সুধী সমাবেশস্থলে প্রবেশমুখ।
এ সময় তৎপরতা দেখা গেছে পর্যটন করপোরেশনের কর্মীদেরও। আমন্ত্রিত অতিথিদের গাড়িতে তারা তুলে দিচ্ছিলেন সকালের খাবার। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনুষ্ঠানস্থলে দেখা যায়। তাদের মধ্যে আছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ অনেকে।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে আছেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফারুক খান। অন্য দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ কয়েকজন নেতাকে।
জমকালো এই আয়োজনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির সাত নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা আসবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আছেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আরও পড়ুন:ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি সেনাক্যাম্পে বন্দুকধারীর হামলায় ৩ সেনা নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা এ সময় সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সেনা সদস্যের পাল্টা গুলিতে ২ বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুকেশ সিং বলেন, ‘কয়েকজন সন্ত্রাসী পারগালের আর্মি ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করলে রক্ষীরা তাদের চ্যালেঞ্জ জানায়। এ সময় গোলাগুলি শুরু হয়।’
ক্যাম্পের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে আরো সেনা পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এই হামলার পেছনে রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়্যেবা।
২০১৮ সালে জম্মুর সুনজোয়ান ক্যাম্পে হামলার পর এটিই সেনা ক্যাম্পে সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা।
২০১৬ সালে উরি ক্যাম্পে একই ধরনের হামলায় ১৮ সেনা নিহত হন।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক টুইট বার্তায় নিহত সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহত সেনাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে থাইল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টায় আছেন বলে জানিয়েছে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তিনি কখন সফর করতে চেয়েছিলেন, তা প্রকাশ করা হয়নি।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সাংগ্রাট বলেন, ‘গোটাবায়ার একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে, যা তাকে ৯০ দিনের জন্য যেকোনো দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। তিনি ব্যাংককে অস্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাইছেন।
‘শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যে সাবেক প্রেসিডেন্টের থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। পরে তিনি অন্য দেশে চলে যাবেন।’
সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতির কারণে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও অফিসে হামলা চালায়। পরদিন ১৪ জুলাই সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান গোটাবায়া রাজাপাকসে।
সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগ করেন গোটাবায়া। তিনিই শ্রীলঙ্কার প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি মধ্যবর্তী মেয়াদে পদত্যাগ করেছেন।
গোটাবায়া বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর ছেড়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সূত্রের বরাতে রয়টার্স এ খবর ছেপেছে। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ মন্তব্যের জবাব দেয়নি। সিঙ্গাপুরে শ্রীলঙ্কার দূতাবাস থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গোটাবায়ার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী কলম্বোতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার তার সিঙ্গাপুর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এক্সটেনশনের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত তা হয়নি।’
প্রভাবশালী রাজাপাকসে পরিবারের সদস্য গোটাবায়া। তিনি শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর পর প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রতিরক্ষা সচিব থাকাকালীন সরকারি বাহিনী ২০০৯ সালে তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের পরাজিত করে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। কিছু অধিকার গোষ্ঠী এখন চাইছে, গোটাবায়া যে যুদ্ধাপরাধ করেছেন, তা তদন্ত করা হোক। গোটাবায়া এর আগে কঠোরভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটাবায়া যদি শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসেন, তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হলে, আইন তাকে নাও বাঁচাতে পারে।
আরও পড়ুন:সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ তুলেছেন শাসক দল তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীরা।
তৃণমূল বলছে, ‘আমাদের কোন লুকোচাপা নেই। তবু দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাগ লাগানোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা।’
বুধবার বিধানসভায় ডাকা তৃণমূলের সংবাদ সম্মেলনে ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, শিউলি সাহা, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন।
এ দিন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত দুদিন ধরে রাজ্যে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের ১৯ নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি এবং জনস্বার্থ মামলা। আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলার নেই। আইন আইনের মতো চলবে।’
এ দিন ব্রাত্য বলেন, 'সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য, আবু হেনা, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, নেপাল মাহাতো, ধীরেন বাগদি সহ একাধিক ব্যক্তির। তালিকায় তাদের নামও রয়েছে। সেগুলো নিয়ে কোন চর্চা হচ্ছে না কেন ? একটা ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তৃণমূলই কেবল দুর্নীতিগ্রস্ত।’
অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'নির্বাচনী হলফনামায় আয়-ব্যয়ের সমস্ত হিসাব দিয়েছি । আয়কর দপ্তর কোন পদক্ষেপ করেনি। রোজগার করা, সম্পত্তি বাড়ানো কোন অন্যায় নয়। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা।'
২০১১ সাল থেকে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় দেয়া সম্পত্তির পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে। ২০১৭ সালে এ বিষয়ে বিপ্লব কুমার চৌধুরী ও অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে দুই ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। এই মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায়, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, শিউলি সাহা ও অন্যান্য নেতা মন্ত্রীদের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন:মহানবী (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে বিজেপি নেতা নূপুর শর্মাকে জুনে বরখাস্ত করে তার দল। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মামলা হয় নূপুরের নামে। নানান সময়ে তাকে ডাকা হয় বিভিন্ন থানায়। আছে প্রাণনাশের হুমকিও। এ অবস্থায় ভীষণ বিপাকে পড়েছেন নূপুর। মুক্তি পেতে তাই তিনি আকুতি জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে। হতাশ করেননি বিচারক।
নূপুর শর্মার অনুরোধে তার বিরুদ্ধে সব মামলা একত্রিত করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, এতে বিভিন্ন রাজ্যে তাকে আর হাজিরা দিতে হবে না।
বিচারকরা জানান, তারা নূপুরের হত্যার হুমকি বিবেচনা করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে ১ জুলাই এ ইস্যুতে শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। মহানবীকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার জন্য আদালতের বিচারক সে সময় নূপুরকে এককভাবে দায়ী করেন। এদিন নূপুর তার বিরুদ্ধে মামলাগুলোকে একত্রিত করতে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, সেগুলো যেন দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়।
১৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, নয়টি মামলায় গ্রেপ্তার করা যাবে না নূপুরকে। এদিন নূপুর আদালতকে জানিয়েছিলেন, ১ জুলাইয়ের আদেশের পর আজমির দরগাহের এক কর্মচারী তাকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, শিরোশ্ছেদের হুমকি পেয়েছেন উত্তর প্রদেশের আরেক বাসিন্দার কাছ থেকেও।
নূপুরের বিরুদ্ধে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, কাশ্মীর এবং আসামে মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাসের উৎসভূমি চীনে এবার আরেক ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।
দেশটির হেনান এবং শানডং প্রদেশে নভেল ল্যাংগায়া হেনিপাভাইরাস (লেভি) নামের এ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জ্বর, ক্লান্তি ও কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয় এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে। প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে আসা লেভি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়।
চলতি মাসে নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে চীন, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের লেখা চিঠিতে এই ভাইরাস নিয়ে তথ্য দেয়া হয়েছে।
২০১৯ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম দেখা এই ‘ল্যাংগায়া’ । তবে এ বছর এই ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল। ‘ল্যাংগায়া’ ভাইরাস মূলত নিপাহ ভাইরাস পরিবারের সদস্য।
গবেষণায় অংশ নেয়া সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলের ইমার্জিং ইনফেকসাস ডিজিজ প্রোগ্রামের অধ্যাপক ওয়াং লিনফা বলেন, এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস মারাত্মক বা খুব গুরুতর কিছু নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তবে ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:বিকিনি পরার কারণে প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যে আঘাত লেগেছে- এমন অভিযোগ এনে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতের কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির এক সাবেক সহকারী অধ্যাপক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন।
বিকিনি পরা বেশ কিছু ছবি সেই শিক্ষিকা তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন এবং সেই ছবি স্নাতক প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের চোখে পড়ে। পরে সেই ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সেই শিক্ষিকাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো এক চিঠিতে সেই ছাত্রের বাবা লেখেন, ‘শিক্ষিকার অন্তর্বাস পরা ছবি দেখছে আমার ছেলে, বাবা হিসেবে তা আমার জন্য লজ্জার।’
পরে সেই চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
২০২১ সালের ২৪ অক্টোবরের সেই ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা সেই শিক্ষিকা যাদবপুর থানায় প্রোফাইল হ্যাকের অভিযোগ জানান।
সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি আমলে নেয়নি বলে দাবি করেন সেই শিক্ষিকা।
তবে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং তারা বলছে, শিক্ষিকাই স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন:आज ही के दिन भारत छोड़ो आंदोलन की हुंकार के साथ एकजुट होकर भारतीयों ने क्रूर अंग्रेजी हुकूमत के खिलाफ आर-पार का संघर्ष शुरू किया था। एकजुटता हमारी सबसे बड़ी ताकत है।
आइए विविधता में एकता के झंडे को बुलंद करते हुए 'भारत जोड़ो' व भारत में विकास के नए आयाम जोड़ने का संकल्प लें। pic.twitter.com/HPcFN0lhrC
ভারতের আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে মজবুত করতে ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলনের’ ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো আন্দোলন’ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
আন্দোলনের অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ‘কাশ্মীর থেকে কনাকুমারী পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা’ বের করতে চলেছে।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। কংগ্রেসের উদ্দেশ্য, এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সাধারণ ভারতীয়দের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
এই যাত্রা দলের নেতারা ১৫০ দিনে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে এবং ভারতের ১২টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাবে ভারত জোড়ো যাত্রা।
এই যাত্রায় দলের শীর্ষ নেতা ও সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী যোগ দেবেন।
সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘কংগ্রেস ৮০ বছর আগে শুরু হওয়া ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সঙ্গে দলের যাত্রাকে সংযুক্ত করেছে।’
১৯৪২ সালের ৯ আগস্ট মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন শুরু হয়। এর ঠিক পাঁচ বছর ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার ফলে স্বাধীন ভারতের জন্ম হয়।
জয়রাম বলেন, ‘ভয়, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কারের রাজনীতি, জীবিকা ধ্বংসের রাজনীতি, বাড়তে থাকা বেকারত্ব এবং বৈষম্যের রাজনীতির বিকল্প প্রদানের জন্য ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেয়ার জন্য সবার কাছে আবেদন করেছে কংগ্রেস।’
এই কর্মসূচি নিয়ে কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আজকের দিনেই ভারত ছাড়ো আন্দোলনের হুঙ্কারের সঙ্গে একজোট হয়ে ভারতবাসী নিষ্ঠুর ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। এই এক জোট হওয়ার ক্ষমতাই আমাদের বড় শক্তি। বিভেদের মধ্যে একতার পতাকা তুলে ধরে ভারত জোড়ো নতুন উন্নয়নের সংকল্প তৈরি করবে।’
কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই যাত্রা ৬৮টি সংসদীয় কেন্দ্র ও ২০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রতে যাবে। যে রাজ্যগুলোতে এই যাত্রা যাবে, তার মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ্ম মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড় ও জম্মু-কাশ্মীর।
গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে চলতি বছর নির্বাচনের কথা থাকলেও ভারত জোড়ো যাত্রার আওতায় এই দুই প্রদেশ নেই।
কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হবে ৩০ জানুয়ারি।
৩০ জানুয়ারিতেই নাথুরাম গডসের হাতে ১৯৪৮ সালে নিহত হন মহাত্মা গান্ধী।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য