আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতীক নৌকা মার্কা ছাড়া এই দেশের মানুষদের কোনো গতি নেই বলে মনে করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কেবল স্বাধীনতা এনে দেয়নি, স্বাধীনতার সুফল এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক নানা ঘটনাপ্রবাহের পাশাপাশি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন।
সেই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবির পর জোট নেতারা অভিযোগ করেন, আগের রাতেই সিল মেরে বাক্স ভরা হয়েছে আর দিনভর তাদের ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি।
তবে শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, সেই নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন-বাণিজ্য করেছিল। বলেন, ‘নেতৃত্বশূন্য একটা দল ইলেকশন করবে, জনগণ ভোট দেবে কী দেখে? ওই চোর, ঠকবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করা, খুন, অস্ত্র চোরাকারবারি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি- তাদের এ দেশের জনগণ ভোট দেবে এ দেশ চালানোর জন্য? তা তো এ দেশের জনগণ দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তারা জানে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা। এবার বন্যায়ও তো নৌকার জন্য হাহাকার। নৌকা ছাড়া তো গতি নাই বাংলাদেশে- এটাও মনে রাখতে হবে।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখানে নিজের ভাগ্য গড়তে আসেনি। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যদি দেখা যায় আজ পর্যন্ত এ দেশের মানুষের যতটুকু অর্জন সবটুকুই আওয়ামী লীগের হাতে। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। এ জন্য আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয় না। কারণ, তাহলে বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ করতে পারে না, নির্যাতন করতে পারে না।’
এ দেশের প্রকৃতি, মানুষের উন্নয়ন আওয়ামী লীগ যতটা বুঝবে অন্যরা তা বুঝবে না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বুঝবে কী করে? বিএনপির হৃদয়ে তো থাকে পাকিস্তান। তাদের মনেই আছে পাকিস্তান। দিল ম্যা হ্যায় প্যায়ারে পাকিস্তান। সারাক্ষণ গুণ গুণ করে ওই গানই গায়।’
নেতাকর্মীদের বিএনপি নিয়ে না ভাবার পরামর্শও দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের ভালো চাইবে না এটা খুব স্বাভাবিক। এটা নিয়ে আপনাদের এত দুঃখ করার, চিন্তা করার কিচ্ছু নাই। আর ওদের কথা যত না বলা যায় ততই ভালো। কারণ ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না।
‘বরং এই সবগুলিকে গাট্টি বাইন্ধা পাকিস্তানে পাঠাইয়া দিলে ভালো হয়। পাকিস্তানের এখন যে অবস্থা ওখানে থাকলেই তারা ভালো থাকবে। এখনও লাহোরে সোনার দোকানে খালেদা জিয়ার বড় ছবি আছে যে ওই দোকানের সোনার গহনা তার খুব প্রিয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এদের জন্মও তো বাংলাদেশে না। না জিয়ার জন্ম বাংলাদেশে, না খালেদা জিয়ার জন্ম বাংলাদেশে- কারো জন্মই না। এরশাদও তো কোচবিহারি। একমাত্র আমার বাবা ছিলেন এই দেশের, আমারও এই দেশের মাটিতে জন্ম। কাজেই মাটির টান আলাদা। এখানে আমাদের নাড়ির টান। কাজেই এই দেশের মানুষের ভাগ্য গড়াটাই তো আমাদের লক্ষ্য। সেই জন্যই আমরা কাজ করি। আওয়ামী লীগের আদর্শই হচ্ছে জনগণের সেবা করা।’
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছরে যতটুকু অর্জন করতে পেরেছিল, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সবই নস্যাৎ করেছিল বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘তারা বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। খালেদা জিয়া প্রাইম মিনিস্টার থাকতে পাঁচ-পাঁচবার দুর্নীতিতে এক নম্বর চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সেই ভাবমূর্তি বাংলাদেশের জন্য কতটা অসম্মানজনক।
‘সেখান থেকে আমরা দেশকে পরিবর্তন করে এখন বিশ্বে একটা সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি।’
বিএনপি মিথ্যার কারখানা
বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগও আনেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘মিথ্যা কথা বানানো আর মিথ্যা কথা বলার যদি কারখানা থেকে থাকে, সেটা হলো বিএনপি। তারা মিথ্যা কথা বানানো, বলতে খুব ভালো পারে। …আমাদের কিছু লোক সেটা বিশ্বাস নিয়ে বসে থাকে।’
সরকারপ্রধান উল্লেখ করেন, ‘আমরা পদ্মা সেতু করেছি আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে। এটা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। বিএনপি আবার প্রশ্ন তোলে কোন মুখে, যাদের আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা? এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজা পেয়েছেন খালেদা জিয়া। শুধু এতিমের অর্থ কেন, নাইকো, গ্যাটকো- এ রকম বহু কেস ঝুলে আছে। ওই কেসে সে তো কখনও কোর্টেই যেতে চায়নি। প্রত্যেকটা প্রজেক্টে দুর্নীতি করে তারা টাকা বানিয়েছে। তারেক জিয়া, খালেদা জিয়া, কোকো সবই তো।’
‘পদ্মায় দুর্নীতির অভিযোগ তো কানাডার আদালতই নাকচ করেছে’
পদ্মা সেতুতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির চেষ্টার যে অভিযোগ বিশ্বব্যাংক করেছিল, কানাডার একটি আদালতের রায়ে ২০১৭ সালে নাকচ হওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বব্যাংক একটি উড়ো চিঠির ভিত্তিতে অভিযোগ করেছিল, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিন এই প্রকল্পে কাজ পেতে ঘুষ দেয়ার পরিকল্পনা করছিল। তবে ২০১৭ সালে কানাডার আদালতে লাভালিনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি বাতিল হয়ে যায়। বিচারক বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে গালগপ্প বলে উড়িয়ে দিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কানাডার কোর্টে মামলা দিয়েছিল। স্পষ্টভাবে রায়ে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যে যে অভিযোগ এনেছে সবই মিথ্যা, ভুয়া, কোনোটাই সঠিক না।
‘একটা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। সেটা তো আজকে প্রমাণিত যে এখানে কোনো দুর্নীতি হয় নাই। তারপরে এই সেতুটা যে আমরা করেছি এটা তো একটা মাল্টিপারপাস সেতু আমরা করেছি। সেটা নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলে কোন মুখে? ওরা (বিএনপি) তো কিছুই করে যেতে পারেনি।’
যমুনা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে খুব বেশি এগোতে পারেননি। কারণ, সব জায়গায় তো কমিশন খাওয়ার অভ্যাস। আবার কমিশন তো একজনকে দিলে হবে না। মায়ের জন্য একটা, দুই ছেলের জন্য দুইটা, ফালুর জন্য একটা, অমুকের জন্য একটা- এই করতে করতে কেউ আর ওখানে কাজ করতে পারত না। এত ভাগে ভাগে তাদের কমিশন দিতে হতো। সেই কারণেই কোনো কিছু এগোতে পারেনি।
‘আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এই যমুনা সেতুতে রেললাইন, গ্যাসলাইন, বিদ্যুতের লাইন নিয়ে এটার ডিজাইনটা পাল্টে মাল্টিপারপাস ব্রিজ করে আমরাই তৈরি করি।’
তারেকের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাগরিকত্বের পরিচয় নিয়ে আবার প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তারের পরের বছর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে চিকিৎকার জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়ে আর ফেরেননি তারেক রহমান। এর মধ্যে বিদেশে অর্থ পাচার, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির মামলায় তার সাজা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বলে আগের দিন করা সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গটি আওয়ামী লীগের আলোচনাতেও তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতি করে যদি টাকা না বানাবে বিদেশে এত বিলাসবহুল জীবন-যাপন করে কী করে? কত টাকা খরচ করে সেখানে কোম্পানি খুলেছে এবং সেই কোম্পানিতে প্রথমেই সে যে ব্রিটিশ নাগরিক সেটা লিখেছে। পরে এক বছর পরে সেটাকে আবার সংশোধন করে সেখানে বাংলাদেশের নাগরিক লিখেছে।
‘কারণ, মিথ্যা কথা লেখাতে ধরা পড়ে যায়। কাজেই সেটাকে আবার সংশোধনও করেছে। যখন টাকার কথা তুলেছি যে সে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেল কোথা থেকে? একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ব্রিটিশরা কীভাবে নাগরিকত্ব দেয়? সেটা এখন তারা উইথড্র করেছে। এখন বাংলাদেশের লিখেছে।’
সব জেনেশুনেই প্রসঙ্গটি তুলেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য তো আমাদের কাছে আছে। এদেরই বেশি বড় গলা। কথাই তো বলে, চোরের মায়ের বড় গলা।’
আমাকে হত্যার চেষ্টা করেন খালেদা-তারেক
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা তুলে ধরে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সরাসরি দায়ী করেন শেখ হাসিনা। বলেন, '২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুড়ে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করেছে। কোটালীপাড়ার বিশাল বোমার পেছনে কি তারা ছিল না? সেখানেও তাদের হাত ছিল।
‘বারবার আমার ওপর যে আঘাত করেছে, গুলি বোমা, ট্রেনের মধ্যে গুলি এবং ট্রেনের মধ্যে পাথর মারা, কারা করেছে? এরাই করেছে। এরাই যে ১৫ আগস্টের হত্যা এবং চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ৭৫-এর হাতিয়ারকে সমর্থন দেয়, অর্থাৎ খুনিদের সমর্থন দেয়।’
‘বন্যায় সহায়তা না দিয়ে তারা মায়াকান্নায় ব্যস্ত’
সিলেট অঞ্চল ও উত্তরের বন্যায় বিএনপি দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায়নি বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তারা সেখানে না দিয়ে ঢাকায় বসে নানা কথা বলছে।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘আজকে বন্যা হয়েছে, আজ পর্যন্ত কোনো বিএনপির নেতা বা কেউ কোনো সাহায্য দিয়েছে বন্যাবাসীদের? দেয়নি। ঢাকায় বসে বসে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এমন এমন দুর্গম এলাকা যেখানে বন্যার পানির জন্য কেউ পৌঁছাতে পারছে না।
‘আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগও ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে। তারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, খাদ্য সাহাষ্য দিচ্ছে, উদ্ধার কাজ করছে। তারা (বিএনপি) বন্যাবাসীদের জন্য আজ পর্যন্ত এক মুঠো খাবারও দিতে পারেনি বা তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে এখানে বসে বসে মায়াকান্না কেঁদে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে এদের চরিত্র।’
ত্রাণ নিয়ে এতটুকু গাফিলতি নেই
বানভাসি মানুষের পাশে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, প্রশাসন সবাইকেই নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘তারা সবাই সেখানে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত উদ্ধার করা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, খাদ্য দেয়ায় সেখানে এতটুকু গাফলতি নেই।
‘ডে ওয়ান থেকে আমরা এই বানবাসী মানুষের পাশে আছি। বন্যা- এটা প্রাকৃতিক কারণেই বাংলাদেশে আসবে, হবেই। এর সঙ্গে আমাদের বসবাস করতে হবে।’
আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্যা চলতেই থাকবে বলেও সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এই পানি আস্তে আস্তে নিচে যত নামতে থাকবে ধীরে ধীরে একেকটা এলাকা প্লাবিত হতে থাকবে। আমাদের সেই প্রস্তুতিও রাখতে হবে। এটা কিন্তু একেবারে ভাদ্র মাস পর্যন্ত চলবে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে এই বন্যা। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের কিন্তু প্রস্তুতি নিতে হবে।
করোনা আবার বাড়ছে বলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:কদিন ধরেই তীব্র গরম। দেশের কোথাও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম অবশ্য কমছে না। আবহাওয়া আপাতত এমনই থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী পাঁচ দিনের পূর্বভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ প্রায় একই রকম থাকতে পারে। আবহাওয়ায় তেমন পরিবতর্তন আসবে না।
দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’
৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।
অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’
‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’
আরও পড়ুন:সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি
সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’
জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’
সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’
মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।
‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’
জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।
পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।
বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।
এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য