× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Extinct coconut chela and tit putti will return to the leaves
google_news print-icon

পাতে ফিরবে বিলুপ্তপ্রায় নারকেলি চেলা ও তিতপুঁটি

পাতে-ফিরবে-বিলুপ্তপ্রায়-নারকেলি-চেলা-ও-তিতপুঁটি
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিপন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ সুরক্ষায় বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। দেশে বিপন্ন ৬৪ প্রজাতির মাছের মধ্যে নারকেলি চেলা, তিতপুঁটিসহ মোট ৩৬ প্রজাতির মাছের কৃত্রিম প্রজনন সম্ভব হয়েছে। বাকি দেশীয় বিপন্ন মাছকে পর্যায়ক্রমে চাষের আওতায় আনতে গবেষণা চলছে।’

নারকেলি চেলা ও তিতপুঁটি; বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির এই দুই জাতের মাছ নিয়ে সুখবর দিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা।

সে অনুযায়ী, আবারও বাঙালির খাবারের পাতে ফিরবে বিলুপ্তির পথে হাঁটা নারকেলি চেলা (Salmostoma bacaila) ও তিতপুঁটি (Pethia ticto)।

এই দুই জাতের মাছের কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন বিএফআরআই বিজ্ঞানীরা। এক বছরের গবেষণায় এ সাফল্য পেয়েছেন তারা। ফলে মাছ দুটির পোনাপ্রাপ্তি ও চাষ সহজতর হবে এবং বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

নারকেলি চেলা মাছের প্রজনন গবেষণায় ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খোন্দকার রশীদুল হাসান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক হায়দার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাশরিফ মাহমুদ মিনহাজ ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শ্রীবাস কুমার সাহা।

অন্যদিকে তিতপুঁটির গবেষণায় ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অনুরাধা ভদ্র, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শাহীন আলম ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিনা ইয়াসমিন।

বিএফআরআই সূত্র জানায়, নারকেলি চেলা কোনো কোনো অঞ্চলে কাটারি নামেও পরিচিত। মাছটি বাস করে নদী, পুকুর, বিল, হ্রদ ও খালের তলদেশে। সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাছটি বেশ জনপ্রিয়। এ মাছের প্রাচুর্যতাও প্রকৃতিতে ব্যাপকভাবে কমেছে।

প্রজাতিটিকে বিপন্নের হাত থেকে বাঁচাতে স্বাদুপানি উপকেন্দ্র সৈয়দপুরের বিজ্ঞানীরা ২০২১ সালে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ও চিকলী নদী থেকে ৫ থেকে ৭ গ্রাম ওজনের নারকেলি চেলা মাছ সংগ্রহ করে উপকেন্দ্রের পুকুরে গবেষণা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মাছটির কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন তারা।

পাতে ফিরবে বিলুপ্তপ্রায় নারকেলি চেলা ও তিতপুঁটি

এ ছাড়া তিতপুঁটি মাছটি একসময় বাংলাদেশের নদীনালা, খালবিল, হাওর, বাঁওড় ও পুকুরে প্রচুর পাওয়া যেত। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) ২০১৫-এর তথ্য অনুযায়ী, মাছটি বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। মাছটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় ২০২১ সালে ময়মনসিংহের স্বাদুপানি কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জের হাওর ও ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে পুঁটি সংগ্রহ করে কেন্দ্রের পুকুরে গবেষণাকাজ শুরু করেন। গত মে মাসে তিতপুঁটি মাছের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদনে সফলতা পাওয়া যায়।

নারকেলি চেলা মাছের কৃত্রিম প্রজননের উদ্ভাবক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খোন্দকার রশীদুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাছটিতে মানবদেহের জন্য উপকারী ভিটামিন এ ও জিঙ্ক রয়েছে। এ মাছের প্রাচুর্যও বর্তমানে প্রকৃতিতে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ফলে এ প্রজাতিটিকে বিপন্নের হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের গবেষণা শুরু হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ মাছটি অন্য মাছের মতো বর্ষা ঋতুতে হালকা স্রোতযুক্ত জলাশয়ে প্রজনন করে থাকে। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নদী, খালবিল, হাওর, প্লাবিত ধান ও পাটক্ষেতে। স্বল্প জলজ উদ্ভিদপূর্ণ পরিষ্কার পানির উপরিভাগে এরা থাকতে ভালোবাসে। এরা জলজ পোকামাকড়, পোকামাকড়ের শূককীট ও প্ল্যাংকটন (জীবাণুবিশেষ) খেয়ে থাকে। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৪ সেন্টিমিটারের বেশি হলেও সচরাচর ৬ থেকে ৮ সেন্টিমিটার আকারের মাছগুলোকেই বেশি দেখা যায়।’

তিতপুঁটি মাছের কৃত্রিম প্রজননের উদ্ভাবক ও ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অনুরাধা ভদ্র বলেন, ‘এ মাছ মানবদেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন, মিনারেল ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করে। অ্যাকুরিয়ামের বাহারি মাছ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া সিদল ও শুঁটকি তৈরিতেও তিতপুঁটি ব্যবহৃত হয়।’

মাছটি একসময় নদীনালা, খালবিল, হাওর, বাঁওড় ও পুকুরে পাওয়া যেত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিতপুঁটি মাছের চচ্চড়ি দিয়ে অনেকের রসনা পূরণ হতো। একসময় বাংলাদেশসহ ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে পাওয়া গেলেও বর্তমানে বিপন্নের তালিকায় রয়েছে।’

আরও বলেন, ‘এ মাছের কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফলতা পাওয়ায় পোনাপ্রাপ্তি ও চাষ সহজতর হবে এবং মাছটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি মাছের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষিত হবে।’

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিপন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ সুরক্ষায় বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। দেশে বিপন্ন ৬৪ প্রজাতির মাছের মধ্যে নারকেলি চেলা, তিতপুঁটিসহ মোট ৩৬ প্রজাতির মাছের কৃত্রিম প্রজনন সম্ভব হয়েছে। বাকি দেশীয় বিপন্ন মাছকে পর্যায়ক্রমে চাষের আওতায় আনতে গবেষণা চলছে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The body of the young man was spread over the hill with multiple injuries

পাহাড়ি ছড়ায় যুবকের মরদেহ, শরীরে একাধিক আঘাত

পাহাড়ি ছড়ায় যুবকের মরদেহ, শরীরে একাধিক আঘাত প্রতীকী ছবি
পুলিশের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার সকালে কুরঞ্জি পুঞ্জির কাছে পাহাড়ি ছড়ায় একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তার শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। পরে স্বজনরা সেখানে গিয়ে লাশটি দীপেন মুন্ডার বলে শনাক্ত করে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের একটি পাহাড়ি ছড়া থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা-বাগানের ফাঁড়ি কুরঞ্জি এলাকার একটি ছড়া থেকে দীপেন মুন্ডার (৩৫) মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

দীপেন কুরমা চা বাগানের ফাঁড়ি কুরঞ্জি এলাকার প্রসাদ মুন্ডার ছেলে।

পুলিশের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার সকালে কুরঞ্জি পুঞ্জির কাছে পাহাড়ি ছড়ায় একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তার শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। পরে স্বজনরা সেখানে গিয়ে লাশটি দীপেন মুন্ডার বলে শনাক্ত করে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ আরও জানায়, বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা দীপেনকে নির্মমভাবে হত্যা করে কুরঞ্জি এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় লাশ ফেলে দিতে পারে।

এদিকে কমলগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবগত করলে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেনের নেতৃত্বে লাশ উদ্ধারে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

দীপেনের বাবা প্রসাদ মুন্ডা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, জানা নেই। শেষকৃত্যানুষ্ঠান শেষে মামলা করব।’

কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় দীপেনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করতে পারে।

আরও পড়ুন:
আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা নারীর কঙ্কাল উদ্ধার
বোরো জমিতে যুবকের নাক-কান কাটা মরদেহ
৩ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিকল্পিত হত্যা দাবি স্বজনদের
মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের খবর শুনে হার্ট অ্যাটাকে বাবার মৃত্যু
আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে, বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Howree will be buffer warehouse for fertilizer DAE Director General

হাওরে হবে সারের বাফার গুদাম: ডিএই মহাপরিচালক

হাওরে হবে সারের বাফার গুদাম: ডিএই মহাপরিচালক কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলরুমে সোমবার দুপুরে আয়োজিত অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন ডিএই মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের কৃষকদের জন্য অনেক দূর থেকে সার সরবরাহ করতে হয়। এ কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যায়। এ অবস্থায় হাওর অঞ্চলে সারের বাফার গুদাম করা প্রয়োজন।’

হাওর অঞ্চলে সারের বাফার গুদাম করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম।

তিনি বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের কৃষকদের জন্য অনেক দূর থেকে সার সরবরাহ করতে হয়। এ কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যায়। এ অবস্থায় হাওর অঞ্চলে সারের বাফার গুদাম করা প্রয়োজন।

‘সম্প্রতি ‍কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে জুম মিটিংয়ে এখানকার কৃষি কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলরুমে সোমবার দুপুরে আয়োজিত অবহিতকরণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

রবি/২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বোরো আবাদ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা এবং হাওর খুবই বৈচিত্র্যময়। আমরা যদি কৌশলী হই, এখানকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারি এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে খাদ্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।’

বিএডিসির কর্মকর্তাদের এখানে কিছুটা অবহেলা রয়েছে উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি সচিব মহোদয় অবহিত আছেন। এ অবহেলা কাটিয়ে উঠতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ফসলের মাঠ যদি ভালো না হয়, তবে বীজও ভালো হবে না। সে জন্য আগে ফসলের মাঠ ভালো করতে হবে। বীজ সরবরাহের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে যে এলাকার জন্য যে জাত উপযোগী, সেটাই দিতে হবে।’

জমিতে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‌‘জমিতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সার ব্যবহার করা হচ্ছে। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। কৃষকদেরকে বোঝাতে হবে।

‘জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। জৈব সার ব্যবহারে রাসায়নিক সারের ওপর চাপ কমে আসবে এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।’

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উইং) কৃষিবিদ আবু মো. এনায়েত উল্লাহ।

কর্মশালায় জেলার ১৩টি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।এতে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন তারা।

আরও পড়ুন:
তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত: পুলিশ
পুরানা পল্টনে মানিকগঞ্জ হাউসের আগুন নিয়ন্ত্রণে
বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও জমিতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ বীর মুক্তিযোদ্ধার
প্যারোলে মেলেনি মুক্তি, বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান
বিপ্লবের পর সুশীলতা দেখানো প্রাসঙ্গিক হতে পারে না: সারজিস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Indian national arrested with 18 gold bars at Meherpur border

মেহেরপুর সীমান্তে ১৮ স্বর্ণের বারসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

মেহেরপুর সীমান্তে ১৮ স্বর্ণের বারসহ ভারতীয় নাগরিক আটক মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকৃত ২ কেজি ১৮ গ্রাম ওজনের ১৮টি স্বর্ণের বার। ছবি: নিউজবাংলা
এ ঘটনায় হাবিলদার রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ছাড়াও স্বর্ণের বারগুলো মেহেরপুর ট্রেজারি অফিসে জমার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ১৮ গ্রাম ওজনের ১৮টি স্বর্ণের বারসহ নুর হোসেন (৪৮) নামের ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সীমান্তের ১০৪ নম্বর পিলারের কাছ থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

নুরের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামে।

৬ বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান জানান, মুজিবনগরের সীমান্ত মাঠের মধ্যে দিয়ে স্বর্ণ চালান হবে, এমন খবরের ভিত্তিতে সীমান্তের মেইন পিলার ১০৪-এর সাব পিলার ৫-এর কাছে অবস্থান নেন মুজিবনগর সীমান্ত চৌকির (বিওপি) টহল কমান্ডার হাবিলদার রফিকুল ইসলামসহ বাহিনীর সদস্যরা। সন্দেহভাজন একজন বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করলে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন বিজিবির সদস্যরা। ওই সময় পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তার পেছনে ধাওয়া করেন।

পরে মাঠের মধ্যে থেকে আটক করা হয়। ওই সময় নুর হোসেনের শরীর তল্লাশি চালান বিজিবির সদস্যরা। তার কোমরের সঙ্গে প্যান্টের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটের মধ্য থেকে ২ কেজি ১৮ গ্রাম ওজনের ১৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় হাবিলদার রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ছাড়াও স্বর্ণের বারগুলো মেহেরপুর ট্রেজারি অফিসে জমার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন:
সড়কের পাশে মাঠে পড়ে ছিল যুবদল নেতার গলা কাটা মরদেহ
ভাইদের হাতে বোন হত‍্যা মামলায় দুজন গ্রেপ্তার
হাড় কাঁপানো শীত আর কুয়াশায় জবুথবু মেহেরপুরের জনজীবন
নাটোরে শ্মশানের ঘটনা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার
বিএনপির তিন সংগঠনের পদযাত্রা রামপুরা ব্রিজে আটকে দিয়েছে পুলিশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Seven people were arrested in the gang rape case of a housewife who came to rob

ডাকাতি করতে এসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় সাতজন গ্রেপ্তার

ডাকাতি করতে এসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় সাতজন গ্রেপ্তার নওগাঁর মহাদেবপুরে ডাকাতি করতে এসে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুজন। ছবি: নিউজবাংলা
এসপি জানান, আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ডাকাতি করতে এসে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।

তিনি জানান, সোমবার রাতে নওগাঁর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকজামদই মুচিপাড়া এলাকার শরিফুল ইসলাম পচা (২৯), চকজামদই এলাকার তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর এলাকার সোলাইমান আলী (৩৮), গৌড়রা বৌদ্দপুর এলাকার সাগর হেসেন (১৯), বন্দীপুর এলাকার রুবেল সরদার (২৮), নিয়ামতপুর উপজেলার জিনারপুর (সাবিলপুর) এলাকার রিপন আলী (৩০) ও মহাদেবপুর উপজেলার চককন্দর্পপুর এলাকার সাগর হেসেন (১৯)।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি জানান, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাত দল প্রবেশ করে। তারা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণের চেইন, টাকা লুট করে। ডাকাতির মধ্যেই তারা গৃহবধূকে তুলে নিয়ে বাড়ির কাছে ফাঁকা মাঠে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।

এসপি আরও জানান, এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের অভিযানে সোমবার রাতে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন:
এসআই শফিকুলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই যুবক গ্রেপ্তার
শৈত্যপ্রবাহ: নওগাঁয় এক দিনে তাপমাত্রা কমল ৬.৪ ডিগ্রি
মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের খবর শুনে হার্ট অ্যাটাকে বাবার মৃত্যু
দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো পলক ও জ্যোতিকে
নওগাঁয় বিএনপির দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Chhatra Dal leader died in hospital after arrest

গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু আবদুর রহমান সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক। ছবি: পারিবারিক অ্যালবাম
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রাজিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‌‌‘গতকাল (সোমবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমান নামের দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমান মারা যান।’

নোয়াখালীতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সাবেক এক ছাত্রদল নেতার।

ছাত্রদলের ওই নেতার নাম আবদুর রহমান (৩৩), যিনি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মাওলানা সাইদুল হকের ছেলে।

আবদুর রহমান সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।

আবদুর রহমানের চাচা মো. হানিফ অভিযোগ করেন, ‌‌‌‘গতকাল (সোমবার) ভোররাতের দিকে যৌথবাহিনী হাওলাদার বাড়িতে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে আমার ভাতিজা আবদুর রহমান ও একই বাড়ির আরেক ভাতিজা হাবিবুর রহমানকে তাদের ঘর থেকে আটক করে যৌথবাহিনী।

‘আটকের পর তাদের পরিবারের সদস্যদের সামনে মারধর করা হয়। এরপর সকালে স্থানীয় পশ্চিমপাড়ার বাবুলের দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তাদের কাছ থেকে কার্তুজ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর সকাল আট-নয়টার দিকে তাদের সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।’

হানিফ জানান, থানায় সোপর্দ করার পর তারা সেখানে গিয়ে তার ভাতিজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। তখন তারা পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। পুলিশ জানায়, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর পর আদালতে আবেদন করলে সেখান থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

হানিফ অভিযোগ করেন, সারা দিন থানা থেকে তার ভাই ও ভাতিজাকে আদালতে না পাঠিয়ে পাঠানো হয় বিকেল পাঁচটায়। আদালতে তাদের উপস্থাপনের পর গ্রহণ না করে আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ তাদের বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার ভাই আবদুর রহমান মারা যান। আর ভাতিজা হাবিবুর রহমান একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, ‘সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। তখন তাদের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। যখন তাদের পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়, তখন তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তখন তাদের স্থানীয় বজরা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

‘আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া পূর্বের তিনটি মামলা রয়েছে। আর হাবিবের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নাই। তাদের কাছ থেকে রাইফেলের লম্বা দুইটি গুলি ও তিনটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।’

ওসি মোরশেদ আলম জানান, যুবকের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মঙ্গলবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রাজিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‌‌‘গতকাল (সোমবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমান নামের দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

‘ভর্তির পর সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমান মারা যান। তাদের দুইজনেরই শরীরে নীলা-ফোলা জখম ছিল।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহীতে মদ্যপানে অসুস্থ চারজনের মৃত্যু
কামরুন নাহারের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নোয়াখালীর বয়ারচরে ডাকাতদলের তাণ্ডব, আটজনকে কুপিয়ে জখম
চলে গেলেন বিশিষ্ট অভিনেতা প্রবীর মিত্র
চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The skeleton of a woman buried in a potato field was recovered

আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা নারীর কঙ্কাল উদ্ধার

আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা নারীর কঙ্কাল উদ্ধার আলুক্ষেতের পাশে পড়ে থাকা জামাকাপড় দেখে সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই নারীকে শনাক্ত করে পরিবার। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে মরদেহ উদ্ধারে আসে তারা। ছবি: নিউজবাংলা
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মর্গে পাঠানো হয়। অপহরণ মামলার প্রধান আসামিকে কারাগার থেকে ফের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা হালিমা বেগমের (৩৪) কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া গেছে।

আলুক্ষেতের পাশে পড়ে থাকা জামাকাপড় দেখে সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই নারীকে শনাক্ত করে পরিবার। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে মরদেহ উদ্ধারে আসে তারা।

এক মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন হালিমা।

পরিবারের ভাষ্য, ৯ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই নারী। পরে এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অপহরণ মামলা করেন তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন। থানা পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সামিউল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন না হওয়ায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মর্গে পাঠানো হয়। অপহরণ মামলার প্রধান আসামিকে কারাগার থেকে ফের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আরও পড়ুন:
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাতভর অভিযানে ৫০ মামলা, ৪ বাস জব্দ
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আলাদা দুর্ঘটনায় চারজন নিহত
ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে পুলিশে দিলেন ছাত্ররা
মেঘনায় কার্গো জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
চাঁদপুরে মেঘনায় থেমে থাকা কার্গো জাহাজে ৫ মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Body of young man with severed nose and ears found in Borough land

বোরো জমিতে যুবকের নাক-কান কাটা মরদেহ

বোরো জমিতে যুবকের নাক-কান কাটা মরদেহ প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বোরো ধানের জমি থেকে নাক ও কান কাটা এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রামের বোরো জমি থেকে রোববার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ওই যুবকের নাম মনির হোসেন (৩০), যিনি শান্তিগঞ্জের উকারগাঁও গ্রামের প্রয়াত মোকসেদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুজন পরিচিত মানুষ ওই যুবককে ডেকে নিয়ে যায়। সারা রাত বাড়িতে না ফেরায় সকালে পরিবার ও গ্রামের লোকজন খোঁজাখুঁজি করলে উকারগাঁও গ্রামের বোরো জমিতে নাক-কান কাটা অবস্থায় যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ বোরো জমি থেকে লাশ উদ্ধার করে।

কী কারণে যুবককে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘নাক-কান কাটা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

আরও পড়ুন:
৩ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিকল্পিত হত্যা দাবি স্বজনদের
মেঘনায় কার্গো জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
চাঁদপুরে মেঘনায় থেমে থাকা কার্গো জাহাজে ৫ মরদেহ
শার্শা সীমান্তে নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
শহীদ মিনার সংলগ্ন ফুটপাতে নবজাতকের মরদেহ

মন্তব্য

p
উপরে