রাত ৮টার পর ঢাকায় বিভিন্ন দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধের প্রভাব পরিবেশে পড়তে শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র বলেন, ঢাকা শহরকে বিশ্রাম দেয়া শুরু হয়েছে। এখন বায়ুমানও ভালো হচ্ছে। এটি অর্থনীতির সূচকেও ভালো করবে।
বুধবার বিকেলে ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) ‘ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
তাপস বলেন, ‘আজকের এই মুহূর্তে ঢাকা শহরের একিউআই ২০। মানে ঢাকার পরিবেশ এখন চমৎকার। কারণ আমরা ঢাকা শহরকে বিশ্রাম দেয়া আরম্ভ করেছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মশা নিধন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আগে ভঙ্গুর ছিল। মশা বেড়ে গেলে পদক্ষেপ নেয়া হতো। আগে এটি নিয়ে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ছিল না। আমরা এখন বিষয়টি বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার মধ্যে এনেছি।’
মশা নিধন শুরু হলে কীটনাশক স্বল্পতাসহ নানা ধরনের খবরও উঠে এসেছে অতীতে। সে সম্পর্কে তাপস বলেন, ‘আগে মজুতের ব্যবস্থা ছিল না। এখন কীটনাশকের পূর্ণাঙ্গ মজুত আমাদের রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে সরকার সিটি করপোরেশনকে কীটনাশক কিনতে অনুমতি দেয়। এখন আমাদের কাছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত কীটনাশক মজুত রয়েছে।’
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে মশার জন্ম বেশি। জীববৈচিত্র্যের মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণ শূন্যের নিচে, যেমন তেলাপিয়া মাছ মশা খায়, কদমগাছে ফিঙে পাখি এসে কীটপতঙ্গ খায়। হাঁস দিয়ে মশা নির্মূল করা হচ্ছে। সে পানি পরিষ্কার রাখে। জলবায়ুর প্রভাবে এডিসের বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। শরৎ না এসে বর্ষা মৌসুম বিলম্ব হয়েছে। বৃষ্টি হলে এডিসের বিস্তার হবে।’
তাপস বলেন, ‘জনসম্পৃক্ততা ও জনসচেতনতা না থাকলে এডিস মশা নিধন সম্ভব নয়। এ জন্য ঢাকাবাসীর প্রথম করণীয় পানি জমতে না দিয়ে ফেলে দিতে হবে। প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দিতে হবে। দ্বিতীয় করণীয় হচ্ছে, তথ্য দিতে হবে। তথ্য পেলে সেখানে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়। আমরা সঠিক তথ্য সব সময় পাই না। কীটনাশক ও ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করলে সেখানে ১৫ দিন এডিসের কোনো জন্ম হবে না।’
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মানুষের সচেতনতার চেয়ে সয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। জরিমানা কাজে আসছে না। মশক বাহিনীর লোকদের নাজেহাল ও অপমান করা হয়। এসব বিষয় আমাদের ক্ষতবিক্ষত করে।’
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আইপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, ডুরার সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী ভাদুড়ী।
ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘লাইট পলিউশনের কারণে এডিসের চরিত্র পাল্টে গেছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হলে এডিসের মাত্রা বেড়ে যায়। মশা মারার বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ নেই। কীটনাশকে এডিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বরং পরিবেশগত পরিবর্তন প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা হচ্ছে, একক দেশে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছে। সিঙ্গাপুর ও ঢাকার সম্প্রসারণ প্রকৃতি পুরো আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প এডিস মশার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। ১৯৬০-এর দশকে এডিস বাহিত রোগ বা ঢাকা ফ্লিভার নামে চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘদিন জ্বরসহ বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের এখন জনসম্পৃক্ততা ও জনসচেতনতা প্রয়োজন।’
সংলাপে ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘মহামারির কারণ মূলত নগরায়ণ সমস্যার ফলে। এসির কারণে ডেঙ্গু হচ্ছে সিঙ্গাপুরে। এ জন্য প্রয়োজন মুক্ত বাতাস ও এলাকা। বর্জ্য ব্যবস্থা ঠিক না হলে মশার জন্ম হবেই। কালভার্টে ডেঙ্গুর লার্ভার জন্ম হচ্ছে, এ জন্য নগরের বিল্ডিং কোড, ভলিয়ম, পরিকল্পিত নগরায়ণ প্রয়োজন। জলাশয়গুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
সংলাপে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি ফজলে কাউসার বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ৫০ জনবল নিয়ে কাজ করছি। ছাদবাগান মশার জন্মের উৎস হিসেবে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ ও চারটি কম ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড ঘোষণা করলে সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিতাস, রেলওয়ে ও ওয়াসার বিভিন্ন স্থানে মশার লার্ভা জন্মের আদর্শ জায়গা বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ নির্দেশনায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে রাজধানী মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান তথা বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বুধবার জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি প্রবেশ ফি ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
১২ বছরের নিচে প্রতিজনের প্রবেশ ফি আগে ছিল ৫০ টাকা। বর্তমানে ৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের প্রবেশ ফি করা হয়েছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা বিনা মূল্যে গার্ডেনে প্রবেশ করতে পারবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত ১০০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দলগত ফি ১ হাজার টাকা। ১০১ থেকে ২০০ জনের দল হলে ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা।
বিদেশি পর্যটকদের জন্য জনপ্রতি প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা বা সমপরিমাণ ডলার।
উদ্যানে সকালে হাঁটার জন্য প্রতি ব্যক্তির বার্ষিক প্রবেশ কার্ড ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এবং এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ছয়টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কার্ডধারীরা বোটানিক্যাল গার্ডেনে সকালে ঘুরতে পারবেন।
কার্ড হারালে বা নবায়নের জন্য ২০০ টাকা ফি দিয়ে নতুন কার্ড নিতে হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই প্রবেশ ফি নিয়ে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি পুনরায় নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বুধবার রাত একটার পর রওনা হয়ে একটা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বাসসকে বিষয়টি জানান।
শায়রুল বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাহিনীটি তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বাসসকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে ২০১৫ সালে পুলিশি হেফাজতে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগে ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বর্তমান ও সাবেক ১৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করা হয়।
জনির বাবা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর ডিএমপির খিলগাঁও থানায় এ মামলা করেন।
রাজধানীর ধানমণ্ডি ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর সৃষ্ট এই সংঘর্ষে ১৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহতরা হলেন- ঢাকা কলেজের মশিউর রহমান, আব্দুল্লাহ, তৌহিদুর রহমান তানভীর, বাদল, সামির, তাহমিদ সালেহ, আব্দুল্লাহ, আরিফ, শামীম, বখতিয়ার, শামীম, নিশাত, হুজাইফা ও ইয়াসিন একং আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী উসাইব, মুসা ও আব্দুল্লাহ।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা বের হলে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে তাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়।
অপরদিকে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে এসে ভাঙচুর করে ও প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। এর জের ধরে তাদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে তাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা চিকিৎসা নিতে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে পাঁচটার মধ্যে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে আসে। তাদের অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বাকি কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে গণরুম বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
হলের গেমস রুমকে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চালুর বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয় এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রভোস্টবৃন্দকে নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে আশপাশের এলাকাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।
‘টেকনিক্যাল স্টুডেন্ট মুভমেন্ট’-এর ব্যানারে ছয় দফা দাবি আদায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে ফার্মগেট থেকে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত বাস, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাসহ সব ধরনের গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান ইউএনবি-কে বলেন, ‘অবরোধের কারণে সড়কের দুপাশে যানবাহন আটকা পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সড়ক অবরোধকালে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া সব ‘বিতর্কিত’ কারুশিল্প প্রশিক্ষককে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান থেকে অবিলম্বে বদলি করা, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি সেমিস্টার পূর্ণ মেয়াদের অর্থাৎ ছয় মাসের করা।
তারা আরও দাবি করেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে (দশম গ্রেড) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ব্যতীত অন্য কেউ আবেদন করতে পারবেন না এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংস্কার করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত কোনো জনবল থাকতে পারবে না।
শিক্ষক সংকট দূর করতে শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সব শূন্য পদে কারিগরি জনবল নিয়োগের দাবি জানান।
এছাড়াও উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন নিশ্চিত করার দাবি তাদের।
আরও পড়ুন:মেট্রো রেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
এর আগে ডিএমটিসিএল এমডির পদে থাকা এমএএন ছিদ্দিকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
সোমবার প্রথমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এমএএন ছিদ্দিকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগটি বাতিল করা হয়। আরেক অফিস আদেশে মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে এমডির চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এম এ এন ছিদ্দিক ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব হন। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এই পদে থেকে অবসরে যাওয়ার পর তাকে ডিএমটিসিএলের এমডি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন।
ডিএমটিসিএলের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আব্দুর রউফ এর আগে কোম্পানি সচিব ছিলেন। এরপর তাকে এমআরটি ৫-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালতের দায়িত্ব দেয়া হয়।
মন্তব্য