ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিটি স্ক্যান ঘরের পাশ থেকে নবজাতক কন্যা সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। নবজাতকের বয়স অনুমানিক ৩ দিন।
নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া।
বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিন ঘরের পাশের একটি ফাঁকা জায়গা থেকে একটি লাল কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় এক মেয়ে নবজাতকের মরদেহ দেখতে পাই। বিষয়টি শাহবাগ থানা কে জানানো হয়েছে।’
শাহবাগ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে নবজাতক কন্যা সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার করি।’
‘তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত পেলে পরে জানানো হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।’
অর্থপাচার মামলায় এসএম গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমসহ আট জনের বিরুদ্ধে আরও পাঁচ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে বুধবার তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এই পর্যন্ত ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে এই মামলায়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৮ জুলাই দিন ঠিক করেছেন বিচারক।
আদালতে যে পাঁচ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন হোসাইনী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার কনস্টেবল মিনহাজুল আবেদীন, গুলশান থানার এএসআই বুলবুল হক আনাছ, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানার এএসআই নুরে আলম ও বাগেরহাট সদর মডেল থানার এএসআই তারক চন্দ্র দাস।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
আলোচিত এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, সামসাদ হোসেন, আনিছুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম। তারা জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত।
জি কে শামীমকে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আটক করে র্যাব। এ সময় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং, মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করে।
আরও পড়ুন:আত্মসমর্পণের পর জামিন পাননি ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাজা পাওয়া চার কর্মকর্তা। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
গ্রাহকদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালত ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজার রায় দেয়। তখন চার আসামি পলাতক থাকায় তাদের নামে পরোয়ানা জারি হয়।
বুধবার ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের উপস্থিতিতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- ডেসটিনি গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর সাকিবুজ্জামান খান (অব.), সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেস্ট এভিয়েশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মোল্লা আল আমিন, সুনীল বরণ কর্মকার ও হেড অব ফাইন্যান্স কাজী মোহাম্মদ ফজলুর করিম।
এ মামলায় গত ১২ মে রায় দেন ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
রায়ে অন্য আসামিদের পাশাপাশি মেজর সাকিবুজ্জামান খানের (অব.) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা জরিমানা হয়। মোল্লা আল আমিনের চার বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, সুনীল বরণ কর্মকারের ৮ বছর কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং কাজী মোহাম্মদ ফজলুর করিমের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:রাজধানীর রায়ের বাজার পুলপার বটতলা এলাকায় এক যুবককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকের নাম মো. রবিন। তার বয়স ২৩ বছর।
রবিন রায়েরবাজার কাঁচাবাজারের পাশে একটি বাসায় থাকেন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক।
গুরুতর আহত অবস্থায় রবিনকে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিলশাদ নামে সিএনজি চালকের মাধ্যমে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকরা জানান, ওই যুবকের পেটে, পিঠে চার থেকে পাঁচটি ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তখনন হয়েছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিনের বন্ধু বাবু জানান, রবিনসহ তারা তিনজন রায়েরবাজার বটতলা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী মিঠুর ছেলেসহ ৫/৬ জন তাদের পথ রোধ করে। সেখান থেকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায় পাশের রাস্তায়। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
গতকাল ওই এলাকায় দুই গ্রুপের মারামারি হয়। এরই জেরে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে তার বন্ধুরা জানান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:শিশুদের সঙ্গে সময় কাটালেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সুপ্রিম কোর্টে নবনির্মিত ‘বিজয় ৭১ ভবনে’ বুধবার ডে কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।
বিকেল ৪টায় তিনি ফিতা কেটে সেন্টারটি উদ্বোধন করেন।
ওই সময় তিনি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। পরে ছবি তোলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
নতুন এই ডে কেয়ার সেন্টারে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সন্তানরা রয়েছে।
আরও পড়ুন:সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে নিজেদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি জ্ঞানভিত্তিক, সুখি-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হবে।’
বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা/কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, বিদ্যুৎসেবা আরও বাড়াতে হবে। টিমওয়ার্কের জন্যই এ অর্জন দ্রুত হয়েছে। টিমওয়ার্ক করেই কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে।
‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা। কখন কোন কাজ সম্পাদন করতে হবে তার টাইমলাইন থাকায় সাফল্য পেতে সহজ হয়। অতীতে ভালো করলেও বিগত দুটি বছরে অর্জিত সম্মানজনক অবস্থান বিদ্যুৎ বিভাগ ধরে রাখতে পারিনি। আগামীতে প্রথম স্থান পেতে হবে।
‘আমাদের যে অর্জন হয়েছে তা ধরে রাখা হবে। রক্ষণাবেক্ষণের জায়গায় আরও সচেতন হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পান নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহসিন চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনিসুল হক এবং অফিস সহায়ক আফরোজা আক্তার।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরক্ত সচিব ও এপিএ টিম লিডার মোহসিন চৌধুরী, পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বহরে যুক্ত হয়েছে প্রগতির পাজেরো জিপ।
বাহিনীর আভিযানিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ৩০টি পাজেরো স্পোর্ট কিউএক্স জিপ কেনা হয়েছে।
প্রগতি হলো বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীনে পরিচালিত দেশে বৃহত্তম গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান।
ঢাকায় র্যাব ফোর্সেস হেড কোয়ার্টারে মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কাছে বিএসইসি ও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হক ভূঁঞা এসব হস্তান্তর করেন।
প্রগতি সুনামের সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে জাপান, কোরিয়া, চীন ও ভারতে বিশ্বখ্যাত কোম্পানির জীপ, বাস, মিনি বাস, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাক সংযোজন ও বাজারজাত করে যাচ্ছে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত সব পণ্য নিয়ম মেনে সরবরাহ করা হবে। র্যাবে উচ্চ সিসির গাড়ি লাগলে প্রগতি দিতে পারবে।’
প্রগতির ৩০টি পাজেরো কেনার জন্য তিনি বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘নিয়ম অনুসরণ করে প্রগতি থেকে গাড়ি নেয়া হবে। বিএসইসির যত পণ্য রয়েছে র্যাবে, তার প্রয়োজন থাকলে সংগ্রহ করা হবে।
বিএসইসির পরিচালক বাণিজ্যিক ও যুগ্মসচিব বদরুন নাহার এবং র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. কামরুল হাসান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ইমতিয়াজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:পশুর হাটে অর্থ লেনদেনে এবার থাকছে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ। এর জন্য যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে তাকে বলা হচ্ছে ‘স্মার্ট হাট’।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গাবতলী, বসিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নম্বরে পশুর হাটে এসব ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন হচ্ছে
বুধবার দুপুরে বনানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট- শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুতই সমাপ্ত হচ্ছে, কিছুদিন পর পাতাল রেলও হয়ে যাবে। এই দেশে হাটে গেলে পথে কোনো খামারির টাকা ছিনতাই হবে সেটা মেনে নেয়া যায় না। নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে আমরা স্মার্ট হাটের উদ্যোগ নিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্মার্ট হাটের পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে মাস্টারকার্ড, ভিসা ও আমেরিকান এক্সপ্রেস।
ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য লিড ব্যাংক হিসেবে থাকছে ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হিসেবে এতে যুক্ত থাকছে বিকাশ ও এম ক্যাশ।
রিকশায় কিউআর কোডসহ নম্বর প্লেট
ঢাকার রিকশাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনে ডিজিটাল নম্বর প্লেট বসানোর ঘোষণাও দেন আতিকুল। বলেন, ‘আমরা আগামী ছয় মাসের মধ্যে রিকশাগুলোতে ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেব কিউআর কোডসহ। কিউআর কোড থাকায় সব তথ্য থাকবে, এভাবে আমরা নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারব।’
প্রথম অবস্থায় ঢাকা শহরে দুই লাখ রিকশায় ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেয়া হবে। এই নম্বর প্লেট নকল করা যাবে না বলেও জানান মেয়র।
আগামী মাসে উত্তর সিটি এলাকায় ডিজিটাল কার পার্কিংয়ের ঘোষণাও দেন তিনি। বলেন, ‘স্মার্ট সিটি-স্মার্ট বাংলাদেশ-স্মার্ট ডিএনসিসি উপহার দিতে চাই। স্মার্ট ঢাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতা
নগরবাসীকে ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকার তাগিদও দেন মেয়র আতিকুল। বলেন, ‘এই ডেঙ্গুর সময় বাড়িতে বাড়িতে ছাদবাগান চেক করা চ্যালেঞ্জ; কেউ অব্যবহৃত টায়ার রেখে দিল কি না, ছাদবাগান যারা করেছে তারা ঠিকমতো মেইনটেইন করছে কি না।
১০ দিন যাবৎ ড্রোনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ছাদবাগান পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানান মেয়র। জানান, যেখানে লার্ভা মিলছে, সেখানে জরিমানা করা হচ্ছে।
আতিকুল বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, যার যার বাড়ির দায়িত্ব তার নিতে হবে। আমরা ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু আপনার বাসায় আপনি যদি এডিস মশার জন্ম দেন এর দায়দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে এবং জেল-জরিমানা ও নিয়মিত মামলা হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি শুধু উত্তর সিটি করপোরেশনের পশুর হাট নয়, পর্যায়ক্রমে দেশের সকল জায়গায় ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা হবে।’
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ইয়ামিন চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো খুরশীদ আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য