× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
22 missing in floods in Sylhet
google_news print-icon

সিলেট বিভাগে বন্যায় ২২ মৃত্যু, নিখোঁজ ১

সিলেট-বিভাগে-বন্যায়-২২-মৃত্যু-নিখোঁজ-১
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হিমাংশু লাল রায় জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত বন্যায় সিলেট বিভাগে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য তারা পেয়েছেন। তবে মঙ্গলবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুরে মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য তার কাছে নেই। এ তথ্য যোগ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সে অনুযায়ী বন্যায় সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

বন্যায় সিলেট বিভাগে ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়।

পরিচালক হিমাংশু লাল রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত বন্যায় সিলেট বিভাগে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে সিলেটে ১২ জন, মৌলভীবাজারে তিনজন ও সুনামগঞ্জে পাঁচজন।’

মঙ্গলবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুরে মা-ছেলের মরদেহ ভেসে উঠেছে। তাৎক্ষণিক এ দুই মরদেহের তথ্য তার কাছে নেই। তবে এ তথ্য যোগ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সে অনুযায়ী, বন্যায় সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে সোমবার পর্যন্ত সিলেটের জেলা প্রশাসক একজনের, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিনজনের ও ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে স্থানীয় সূত্রে আরও কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সত্যতা নিশ্চিত করেনি প্রশাসন।

সিলেট ও সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ বন্যা। দুই জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে পানিতে। সোমবার পর্যন্ত পানিবন্দি ছিলেন অন্তত ৪০ লাখ মানুষ। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।

বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট না থাকার কারণে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ফেরার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর তথ্য জানা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় পানিতে ভেসে আসে নাজমুন্নেসা ও তার ছেলে আব্দুর রহমানের মরদেহ। তারা দরবস্ত ইউনিয়নের কলাগ্রামের বাসিন্দা।

মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত শুক্রবার নাজমুন্নেসা তার ছেলেকে নিয়ে পাশের গ্রামে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। মেয়ের বাড়িতেও পানি উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে মা-ছেলে সড়কের পাশে পানিতে তলিয়ে যান। আজকে তাদের মরদেহ ভেসে উঠেছে।’

কানাইঘাটে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে একজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সাতবাক ইউনিয়নের ঠাকুরের ঘাঁটি এলাকার এক ব্যক্তি হাওরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। পরদিন পানিতে তার লাশ পাওয়া যায়।’

শুক্রবার মরদেহ উদ্ধার হলেও এ তথ্য জানা গেছে মঙ্গলবার। তবে তার নাম জানাতে পারেননি ওসি।

এ ছাড়া কানাইঘাটে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যুর তথ্য অনেকেই প্রচার করছেন ফেসবুকে। তবে এর সত্যতা নেই বলে জানিয়েছেন ওসি।

এর আগে সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘পানিতে পড়ে যাওয়া সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কোনো তথ্য আমি পাইনি।’

ডিসি জানান, পানিতে ছিঁড়ে যাওয়া বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে রোববার নগরের রায়নগরে নিজ বাসার সামনে মারা গেছেন সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা টিটু চৌধুরী।

সেদিনই স্থানীয় একটি শ্মশানে টিটুর মরদেহ সৎকার করা হয় বলে জানান সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক সোমবার জানিয়েছেন, বন্যায় এ পর্যন্ত তিনজন মারা যাওয়ার খবর তিনি জেনেছেন। এর মধ্যে একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ও দুজন পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া পানিতে ভেসে যাওয়া একজন এখনও নিখোঁজ আছেন।

তিনি জানান, এদিন সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার নোয়াপাড়া এলাকার নিজ বাসায় বন্যার পানির ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন মনির হোসেন নামে এক যুবক। গত শুক্রবার উপজেলার নলকট গ্রামের কলেজছাত্র আব্দুল হাদি পানিতে তলিয়ে যান। ওইদিনই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে সময় আরও একজন পানিতে তলিয়ে মারা গেছেন।

তবে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও স্থানীয় একটি কলেজের প্রভাষক সেলিম আহমদ জানিয়েছেন, পানিতে তলিয়ে উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নে আরও দুজন মারা গেছেন। তারা হলেন ছাত্রলীগ নেতা এ কে আবুল কাশেম ও তার দাদি ছুরেতুন নেছা। তাদের বাড়ি ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামে।

নিউজবাংলাকে সেলিম বলেন, ‘আবুল কাশেম তার পরিবারের সঙ্গে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় বসবাস করেন। বন্যার পানি বেড়েছে জেনে গ্রামের বাড়ি থেকে বৃদ্ধ দাদি ও চাচাতো বোনকে উদ্ধার করতে বৃহস্পতিবার সকালে একটি নৌকা নিয়ে আসেন। দাদিকে নিয়ে শহরে ফেরার পথে সুজাতপুর আইডিয়াল স্কুল এলাকায় পানির স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়।

‘এ সময় তার ছোট চাচাতো বোন উল্টে যাওয়া নৌকা ধরে প্রাণে বাঁচলেও দাদি-নাতি দুজনই পানিতে তলিয়ে যান। শুক্রবার দাদি ছুরেতুন নেছার মরদেহ ভেসে ওঠে। আর রোববার সকালে আবুল কাশেমের লাশ একই জায়গায় ভেসে ওঠে। তাদের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’

সিলেট বিভাগে বন্যায় ২২ মৃত্যু, নিখোঁজ ১

তবে এ দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি বলে জানিয়েছেন ইউএনও নুসরাত।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পানিতে তলিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ফেসবুকে প্রচার হয়েছে। তবে একে গুজব বলেছেন উপজেলার ইউএনও লুসিকান্ত হাজং।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর তথ্য পাইনি। অনেকে মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।’

বন্যায় পানিতে তলিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর এলাকার জুনেদ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাতকের ইউএনও মামুনুর রশীদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতক পৌরসভার কানাখালী রোডের আখড়া এলাকায় পীযূষ ও জাউয়া বাজার এলাকায় হানিফা বেগম নামে এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে পানিতে তলিয়ে। তবে এই দুই ঘটনা ইউএনও নিশ্চিত করেননি।

এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আদিত্যের মহাল এলাকায় ঢলের পানিতে তলিয়ে এক শিশু মারা যাওয়ার খবরও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এটিও প্রশাসন নিশ্চিত করেনি।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিতদের উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘আমরা কানাইঘাট থেকে অসুস্থ অবস্থায় সাতজনকে উদ্ধার করেছি। তার মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে মৃত্যুর কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি।’

আরও পড়ুন:
গাইবান্ধায় পানিবন্দি ৪০ হাজার মানুষ
এখনও ত্রাণ পায়নি সিরাজগঞ্জের পানিবন্দি মানুষ
আসাম মেঘালয় অরুণাচলে বন্যায় ১১৯ জনের মৃত্যু
বন্যার ভয়াবহতা দেখতে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
বন্যার ভয়াবহতা দেখতে সিলেটের পথে প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Report of inquiry committee submitted on Justin Trudeaus birth certificate forgery in Pabna
প্রতিবেদন জমা তদন্ত কমিটির

জালিয়াতির মাধ্যমে জাস্টিন ট্রুডোর ভুয়া জন্মসনদ

জালিয়াতির মাধ্যমে জাস্টিন ট্রুডোর ভুয়া জন্মসনদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার ভুয়া জন্মসনদ। কোলাজ: নিউজবাংলা
স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপপরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি সুজানগরের সেই আহম্মদপুর ইউনিয়নে গিয়ে সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। সেখানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ও অনিয়ম পেয়েছি। দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’   

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে পাবনায় ভুয়া জন্মসনদ তৈরির ঘটনায় জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপপরিচালক সাইফুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তদন্ত প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে জমা দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করা হয়। এতে বহিরাগত কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন জড়িত।

প্রতিবেদনে জেলার সুজানগরের আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল, যার জবাব দিয়েছেন তারা।

পাবনার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির ঘটনায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নির্দেশে ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

‘পাবনার স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সাইফুর রহমানকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনি জমা দেন। আমি প্রতিবেদনটি এখনও দেখিনি। দেখার পর বিস্তারিত জানাতে পারব।’

স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপপরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি সুজানগরের সেই আহম্মদপুর ইউনিয়নে গিয়ে সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। সেখানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ও অনিয়ম পেয়েছি। দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুখময় সরকার বলেন, ‘সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইউনিয়নটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তারা সেটির জবাব দেন।

‘এটা (তদন্ত প্রতিবেদন) আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দিই। জেলা প্রশাসক দেখার পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব কারণ দর্শানোর নোটিশের যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক কি না, সে বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘সব বিষয় ডিসি স্যার বলতে পারবেন।’

পাবনার সুজানগর উপজেলার আহমেদপুর ইউনিয়নে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করা হয়। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে আসার পর সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে জন্মনিবন্ধনের সার্ভার থেকে ভুয়া সনদটি সরানো হয়।

এ ঘটনায় নিলয় পারভেজসহ কয়েকজনকে আসামি করে আমিনপুর থানায় মামলা করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Handing over the dead body of a Bangladeshi who was shot at Naogaon border

নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর নওগাঁর পোরশা সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বুধবার রাত ৯টার দিকে বিএসএফ ও বিজিবি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ ১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা। এরপর সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের পর রাতে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে দেয়া হয় আল আমিনের মরদেহ।

নওগাঁর পোরশা সীমান্তে ২৬ মার্চ গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বুধবার রাত ৯টার দিকে বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

ওই সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ ১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা। এরপর সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের পর রাতে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে দেয়া হয় আল আমিনের মরদেহ।

তিনি জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারিপাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।

নীতপুর সীমান্ত এলাকায় ২৬ মার্চ ভোরে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন।

আরও পড়ুন:
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি আহত
দুই রাত গোলাগুলির পর শান্ত টেকনাফ সীমান্ত
সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা চায় বিজিবি
উখিয়া সীমান্তে অনুপ্রবেশ চেষ্টাকারীর গ্রেনেডে আহত যুবকের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Al Amin has cheated various businesses by killing customers money
সিরাজগঞ্জে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখায় অর্থ জালিয়াতি

ব্যাংক ও গ্রাহকের টাকা মেরে ম্যানেজার আল-আমিনের নানা ব্যবসা

ব্যাংক ও গ্রাহকের টাকা মেরে ম্যানেজার আল-আমিনের নানা ব্যবসা জনতা ব্যাংক তামাই শাখার সদ্য সাবেক ব্যবস্থাপক আল-আমিন। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যাংকের ক্যাশ ভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার খোঁজ এখনও মেলেনি। এরই মাঝে তথ্য মিলেছে, ব্যাংকের ম্যানেজার আল-আমিনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা চক্র গ্রাহকদের বিপুল টাকা তাদের অগোচরে তুলে নিয়েছে। আর সেসব টাকায় আল-আমিন ঠিকাদারিসহ পার্টনারশিপে গড়ে তুলেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা ও দোকানপাট।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ম্যানেজার আল-আমিনের জালিয়াতির নতুন নতুন খবর বেরিয়ে আসছে। ব্যাংক ও গ্রাহকের টাকা নয়-ছয় করে এই কর্মকর্তা ব্যক্তি জীবনে বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছেন। চাকরির আড়ালে গড়ে তুলেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

ব্যাংকের ক্যাশ ভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার খোঁজ এখনও মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের উদ্যোগে তদন্ত চলছে। এরই মাঝে তথ্য মিলেছে, ব্যাংকের ম্যানেজারের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা চক্র গ্রাহকদের বিপুল টাকা তাদের অগোচরে তুলে নিয়েছে। আর এভাবে ব্যাংকের বিপুল টাকা সরিয়ে নিয়ে চাকরির আড়ালে নিজের ব্যবসা ফেঁদেছেন ম্যানেজার আল-আমিন। ঠিকাদারিসহ পার্টনারশিপে গড়ে তুলেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা ও দোকানপাট।

সরেজমিন অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এদিকে জনতা ব্যাংক প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল বুধবার সকাল থেকে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে সোমবার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই সদস্যের তদন্ত দলও তাদের মতো করে তদন্ত করছে।

ব্যাংকের ক্যাশ ভল্টের বিপুল পরিমাণ টাকার হদিস মিলছে না- এমন খবরে জনতা ব্যাংক তামাই শাখার হিসাবধারী গ্রাহকরাও উৎকণ্ঠিত। তারা নিজ নিজ হিসাবের টাকার খবর জানতে ভিড় করছেন ব্যাংক কার্যালয়ে।

ইতোমধ্যে গ্রাহকদের সিসি একাউন্টসহ বিভিন্ন হিসাব থেকে বড় অংকের টাকা নয়-ছয় হওয়ার শঙ্কা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। তবে এখনই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে চাচ্ছেন না তদন্তকারী দলের সদস্যরা।

জনতা ব্যাংক এরিয়া কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে জনতা ব্যাংক তামাই শাখা থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে রোববার রাতে গ্রেপ্তার হন ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তা। এর আগে অভিযুক্তরা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে ২০ লাখ টাকা ভল্টে ফেরত দিয়েছেন- এমন তথ্য অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনুসন্ধানে গিয়ে ব্যবস্থাপক আল-আমিনের পার্টনারশিপে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাওয়া যায়। আল-আমিনের বসবাস সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্ধি মতি সাহেবের ঘাট মহল্লায়।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ছয়-মাস ধরে ব্যবস্থাপক আল-আমিন তার বসতবাড়ির পাশে আবুল পাটোয়ারীর পাকা বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে গড়ে তুলেছেন বৈদ্যুতিক তার উৎপাদনের কারখানা। ‘এম আর ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামের কারখানাটিতে পিভিসি ইনস্যুলেটেড ক্যাবল তৈরি হয়।

এই কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার জন্য সিরাজগঞ্জ শহরের বড়বাজার পাতিলাপট্টিতে পুরাতন হিরাঝিল মার্কেটে ‘আবরার এন্টারপ্রাইজ’ নামে ইলেক্ট্রিক দোকানের প্রোপ্রাইটার হিসেবে ব্যবসায় করছেন আল-আমিনের ভাতিজা মঈন উদ্দিন পলাশ। ‘আবরার এন্টারপ্রাইজ’-এর আবরার নামটি আল-আমিনের ছোট ছেলের।

আল-আমিনের ব্যবসার গণ্ডি ছড়িয়েছে রাজধানীতেও। ঢাকার নবাবপুর ও মিরপুরে এম আর এন্টারপ্রাইজ নামে ইলেক্ট্রিক সামগ্রীর দুটি দোকান রয়েছে তার। গাইবান্ধায় যমুনা নদী তীর রক্ষাবাঁধের কাজে সিসি ব্লক তৈরি প্রকল্পেও আল-আমিন টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের হোসেনপুর মোল্লাবাড়ি মহল্লার মিজানুর রহমানের সঙ্গে পার্টনারশিপে এসব ব্যবসা কারখানা ও দোকানপাট পরিচালনা করেন ব্যাংক ম্যানেজার আল-আমিন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তাদের ব্যবসায়িক অফিস রয়েছে।

মঈন উদ্দিন পলাশ অবশ্য ‘আবরার এন্টারপ্রাইজের মালিকানা নিজের বলে দাবি বলেন, ইলেক্ট্রিক তার উৎপাদন কারখানাটি তার চাচার নয়, মিজানুর রহমানের।

অপরদিকে আল-আমিনের বন্ধু মিজান বলেন, ‘আবরার এন্টারপ্রাইজের মালিক আমি। আল-আমিন বা তার ভাতিজা পলাশ নয়।’

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক যৌথভাবে ব্যাংক ম্যানেজার আল-আমিন ও মিজানুর রহমান।

বুধবার দুপুরে আল-আমিনের ধানবান্ধি মহল্লার বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার স্ত্রী রুনা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মিজানের সাথে আমার স্বামী আল-আমিনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব আছে। কিন্তু তার সাথে কোনো প্রকার অংশীদারত্বমূলক ব্যবসার কথা আমি জানেন না।’

একইসঙ্গে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, তার স্বামী আল-আমিন কারও খপ্পরে পড়ে এরকম পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন।

একই দিন সকালে বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামে গিয়ে ব্যাংকের বিভিন্ন গ্রাহকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তামাই গ্রামের তাঁত ব্যবসায়ী শামীম সেখের ছেলে সাদি সেখ বলেন, “এই ব্যাংকে ‘শামীম ব্রাদার্স’ ও ‘সাদি এগ্রো ফার্ম’ নামে আমাদের দুটি একাউন্ট আছে। এর মধ্যে শামীম ব্রাদার্স-এর হিসাবের ২৩ লাখ আর সাদি এগ্রো’র হিসাব থেকে ৩২ লাখ টাকা ডামি চেকে স্বাক্ষর জাল করে তুলে নেয়া হয়েছে।”

মুসলিম উইভিং ফ্যাক্টরি নামীয় হিসাবধারী মোতালেব জোয়ার্দার বলেন, ‘আমার হিসাবে ৪৮ লাখ টাকার সিসি লোন পাস করা আছে। আমি ২০২২ সালের পর ব্যাংকের এই শাখা থেকে কোনো টাকা উত্তোলন করি নাই। ব্যাংকের এই অবস্থা জেনে হিসাবের প্রতিবেদন তুলে দেখা যায় যে, ৪৮ লাখ টাকাই তুলে নেয়া হয়েছে।’

জনতা ব্যাংক তামাই শাখার অনেক গ্রাহকেরই এমন অভিযোগ। শাহিন কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজের সিসি হিসাব থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। তাঁত ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের ১৫ লাখ, চান টেক্সটাইলের চান মিয়া আকন্দের ১০ লাখ, হাজী আব্দুল্লাহ আকন্দের পাঁচ লাখসহ অনেক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা তাদের একাউন্ট থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও বেশ কয়েকজন গ্রাহকের কাছ থেকে নগদ হাওলাতি টাকা নিয়েছেন শাখা ব্যবস্থাপক আল-আমিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক বলেন, ‘২৪ মার্চ বিপদের কথা বলে স্বল্প সময়ে পরিশোধের আশ্বাসে ২০ লাখ টাকা ধার চেয়েছিলেন আল-আমিন। দুই লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি না জানিয়ে আমার ব্যাংক হিসাব থেকে ১০ লাখ টাকা তুলে নেন। আর একই দিন সন্ধ্যায় ব্যবস্থাপক তার নামে আমার কাছ থেকে পিয়ন শহিদুল মারফত ১০ লাখ টাকার চেক লিখিয়ে নিয়েছেন।’

মোহাম্মদ আলী উইভিং ফ্যাক্টরির মালিক হাজী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ব্যাংককে বিশ্বাস করে টাকা রাখি। সেই ব্যাংক যদি এরকম কাজ করে তাহলে আমরা যাব কোথায়?’

বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল হক জানান, ম্যানেজার আল-আমিন বিভিন্ন সময় লুজ চেক ব্যবহার করে সিসি একাউন্টের টাকা তুলে নিয়েছেন। তাতে স্বাক্ষরের মিল নেই, চেকের সিরিয়ালের পরম্পরা নেই।

ব্যাংকের ক্যাজ্যুয়াল পিয়ন শহিদুল বলেন, ‘ম্যানেজার স্যার বিভিন্ন সময়ে আমার নাম ব্যবহার করে আমার মাধ্যমে বিভিন্ন একাউন্টে টাকা জমা দিয়েছেন। টাকা উত্তোলনে তিনি আমার নাম লিখে দিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু আমি জানি না।’

জনতা ব্যাংক এরিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ভল্টের ক্যাশ লিমিট ৭৫ লাখ টাকা। তাহলে সেই ভল্টে আত্মসাৎ করা পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থাকলো কীভাবে- এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত চলছে, তদন্তে সঠিক বিষয়টি বের হয়ে আসবে। তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করাই ভাল। তদন্ত শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’

প্রসঙ্গত, রোববার রাতে জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ এরিয়া কার্যালয়ের ডিজিএম নজরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল-আমিন, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও ব্যাংকের কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। পরদিন সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়। পরে অভিযোগটি বিধি মোতাবেক সাধারণ ডায়েরি আকারে গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবনা অফিসে পাঠানো হয়।

দুদক সমন্বিত পাবনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খায়রুল হক বলেন, ‘অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে কমিশনে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
জনতা ব্যাংক তামাই শাখার গ্রাহকদের টাকাও ‘হাওয়া’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
6 members of the family were electrocuted one by one

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবারের পাঁচ সদস্যের পর চলে গেল শিশু সোনিয়াও

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবারের পাঁচ সদস্যের পর চলে গেল শিশু সোনিয়াও সিলেট থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়ার কিছুক্ষণ পর বুধবার ভোররাত চারটার দিকে মৃত্যু হয় শিশু সোনিয়ার। ছবি: নিউজবাংলা
সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে মঙ্গলবার সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়।

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের পর মৃত্যু হলো আট বছর বয়সী শিশু সোনিয়ারও।

সিলেট থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়ার কিছুক্ষণ পর বুধবার ভোররাত চারটার দিকে মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় এর আগে মৃত্যু হয়েছিল সোনিয়ার মা, বাবা ও তিন ভাই-বোনের।

সোনিয়া জুড়ীর উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি জানান।

সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে মঙ্গলবার সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সোনিয়ার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

স্বাধীনতা দিবসের দিন মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব জুড়ীতে ঝড় ও বজ্রপাতের সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পুরো টিনের ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্য ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া (১৫), সাবিনা (০৯) এবং একমাত্র ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বিকেল চারটায় ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন:
একুশে ফেব্রুয়ারিতে পতাকা টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু
ডোবার পানিতে ভাসছিল দুই শিশুর মরদেহ
মৌলভীবাজারে দেয়াল ধসে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
মায়ের সাহসিকতায় বেঁচে গেল শিশু, কব্জি বিদ্যুতের তারে
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Trawler sinking in Bhairab bodies of three including constable Sohail recovered

ভৈরবে ট্রলারডুবি: কনস্টেবল সোহেলসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

ভৈরবে ট্রলারডুবি: কনস্টেবল সোহেলসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে কনস্টেবল সোহেল রানা। ফাইল ছবি
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে সোমবার সকালে আলাদা স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই তিনজন হলেন পুলিশ কনস্টেবল কুমিল্লার দেবিদ্বারের সোহেল রানা (৩৫), তার ছেলে রাইসুল (৫) ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)।

এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত রোববার বিকেল তিনটার দিকে মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ যৌথভাবে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তারা হলেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)। একই দিন দুপুর ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার দিন শুক্রবার একজনের এবং পরের দিন দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন ভৈরব পৌরসভার কমলপুর এলাকার সুবর্ণা বেগম (৩৫), পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী (২৫) ও ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী চন্দন দের মেয়ে আরাধ্য দে (১২)।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে সুন্দরবন নামের পর্যটকবাহী একটি ট্রলার বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।

এ ঘটনায় বাল্কহেডের অজ্ঞাতনামা সুকানি ও ইঞ্জিনচালকের নামে ভৈরব নৌ থানায় একটি মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৪
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: একজনের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৫ 
পদ্মায় পিকনিকের ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ১০
পদ্মায় পিকনিকের ট্রলারডুবি: আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার  
পদ্মায় পিকনিকের ট্রলারডুবি: আট মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ পাঁচ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Super Board factory fire under control after 13 hours

১৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুপার বোর্ড কারখানার আগুন

১৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুপার বোর্ড কারখানার আগুন গজারিয়ার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদীর সুপার বোর্ড কারখানাটিতে গতকাল দুপুর একটার দিকে আগুন ধরেছিল। ফাইল ছবি
ঘটনার পরের দিন সোমবার সকাল সাতটার দিকে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর রোববার রাত দুইটার দিকে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আগুন এখন আর বাড়ার বা অন্য ভবনে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই, তবে ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন সম্পূর্ণ নিভতে আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে।’

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় টি কে গ্রুপের সুপার বোর্ড কারখানায় রোববার দুপুরে ধরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।

বাহিনীর ১২টি ইউনিট ১৩ ঘণ্টার চেষ্টায় রোববার রাত দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গজারিয়ার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদীতে সুপার বোর্ড কারখানাটিতে গতকাল দুপুর একটার দিকে আগুন ধরে। এ আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানা যায়নি।

ঘটনার পরের দিন সোমবার সকাল সাতটার দিকে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর রোববার রাত দুইটার দিকে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আগুন এখন আর বাড়ার বা অন্য ভবনে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই, তবে ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন সম্পূর্ণ নিভতে আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে।

‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে।’

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক জামাল হোসেন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত ১১টাা ৫০ মিনিটের দিকে আমরা আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম। রাত দুইটার দিকে আগুনের তীব্রতা একেবারেই কমে যায়। আমরা চারদিক থেকে আগুনটিকে ঘিরে ফেলি ফলে। তা আর আশপাশের ভবনে ছড়াতে পারেনি। যদি নতুন ভবন বা শেডে আগুন লাগত, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে।

‘আমরা এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি। সে জন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস এখন আর আগের ফায়ার সার্ভিস নেই। আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং প্রশিক্ষিত জনবলের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক গুণ কমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে।

‘আমাদের ১২টি ইউনিটের ১৪৭ জন প্রশিক্ষিত কর্মী এখানে কাজ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় এখন মাত্র তিনটি ইউনিট কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে আরও কিছু সময় লাগবে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দুপুর একটার দিকে প্রতিষ্ঠানটির পাটের গুদামে আগুন দেখতে পান কর্মরত শ্রমিকরা। সে আগুন নদীতে নোঙর করে রাখা পাটখড়িবোঝাই ট্রলারে লেগে যায়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে বাহিনীর সদস্যরা অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করেন।

তারা আরও জানান, প্রতিষ্ঠানের ভেতর পার্টিকেল বোর্ড, পাটখড়ি, প্লাস্টিকের দরজা ও প্লাস্টিকের পাইপের মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন কোম্পানির সাত কর্মী

যা বলছেন কোম্পানির কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি

বিষয়টি সম্পর্কে সুপার বোর্ড কোম্পানির পরিচালক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) শফিউল আতাহার তাসলিম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে আমাদের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ চিত্র নিরূপণ করতে আরও বেশ খানিকটা সময় লাগবে।’

হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, ‘কারখানাটিতে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন। প্রায় ১০ বছর আগেও কারখানাটিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল।

‘সেবার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যায়। সেই ঘটনার পরও কোম্পানিটি অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা প্রতিরোধে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

তদন্ত কমিটি

আগুনের ঘটনা তদন্তে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
গাজীপুরের বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১৬
গাউছিয়া কাঁচাবাজারে আগুনে পুড়ল ১৮০ দোকান, দাবি ব্যবসায়ীর
পুরান ঢাকায় রাসায়নিক গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
নেত্রকোণায় অগ্নিকাণ্ডে ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই
ধানমন্ডিতে ভবনের ছাদে অগ্নিকাণ্ড

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death toll rises to 115 in Moscow concert attack

মস্কোয় কনসার্টে হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩৩

মস্কোয় কনসার্টে হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩৩ ছবি: সংগৃহীত
প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় এখন পর্যন্ত ১১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

কনসার্ট হলে মুখোশ পরা বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে এখন পর্যন্ত ১৩৩ জনে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার এ তথ্য বিশ্ব মিডিয়াকে জানিয়েছে।

তদন্তকারী কমিটি আরও জানিয়েছে, এখনও ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উৎসবের আমেজে চলছিল কনসার্ট। সেখানে হামলা হয় দুর্বৃত্তদের। রাশিয়ার মস্কোর এই ঘটনায় পুরো বিশ্ব হতবাক। এই হামলাকে পরিকল্পিত বলছে রাশিয়া।

এদিকে ক্রেমলিনের বরাতে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন সরাসরি জড়িত বলে জানা গেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকেন।

এর আগে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, হামলায় এখন পর্যন্ত ১১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। তার আগে, নিহতের সংখ্যা ৯৩ জন বলে জানানো হয়েছিল।

এ ঘটনাকে ‘রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা’ উল্লেখ করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ হামলায় কারা জড়িত তেমন কিছুই নিশ্চিত করেনি।

কয়েক দশকের মধ্যে রাশিয়ায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর একটি এটি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, কিউবাসহ বিশ্বনেতারা।

আরও পড়ুন:
হামলার বিষয়ে মার্চের শুরুতে রাশিয়াকে সতর্কবার্তা: যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের গুলি, নিহত ৬০

মন্তব্য

p
উপরে