সিলেটে সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও বাড়ছে কুশিয়ারার, তবে এখনও পানির নিচে জেলার বেশির ভাগ এলাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমেছে। এ সময়ে কুশিয়ারার পানি শেরপুর পয়েন্টে কমলেও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েছে ৫ সেন্টিমটার, তবে কমেছে সারি ও লোভা নদীর পানি।
পাউবোর সিলেট কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, ‘আজ (সোমবার) সুরমা নদীর পানি আরও হ্রাস পাবে। কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জে বাড়ার কারণে ওই উপজেলার কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হতে পারে, তবে তা মারাত্মক কিছু হবে না।’
নদীর পানি কমতে থাকায় প্লাবিত এলাকাগুলোর পানিও হ্রাস পেতে শুরু করেছে। নগরের নিচু এলাকাগুলো ছাড়া অন্যান্য এলাকা থেকে পানি প্রায় নেমেই গেছে, তবে উপশহর, তালতলা, তেররতন, ঘাসিটুলাসহ বিভিন্ন এলাকা এখনও জলমগ্ন।
নগরের বাইরের বেশির ভাগ এলাকা এখনও প্লাবিত। দুর্ভোগ বাড়ছে এসব এলাকার মানুষের। নগরের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরে এলেও বাইরের প্লাবিত এলাকাগুলো অন্ধকারে।
দক্ষিণ সুরমার হবিনন্দি এলাকার বাসিন্দা সুজন আহমদ বলেন, ‘চার দিন ধরে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। ঘরে এখনও পানি।
‘নারী ও শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছি, কিন্তু ঘরের জিনিসপত্রের নিরাপত্তায় আমাদের এই ভয়ংকর অবস্থার মধ্যেই থাকতে হচ্ছে।’
বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলার প্রায় পুরোটাই তলিয়ে যায় পানিতে।
সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কও তলিয়ে যায়, তবে এখন পানি অনেকটাই কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং।
তিনি বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ধীরগতিতে পানি নামতে শুরু করেছে। বর্ণি এলাকা ছাড়া সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের বাকি এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে গেছে।’
পানি কমলেই ক্ষয়ক্ষতির আসল চিত্র জানা যাবে বলে জানান এই ইউএনও।
কোম্পানীগঞ্জ ছাড়াও গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও সিলেট সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে ফেঞ্চুগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়েছে। নতুন করে ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের দোকানপাটে ঢুকেছে পানি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মজিবর রহমান বলেন, ‘পানি দ্রুতই কমছে। আজকে বৃষ্টিও হয়নি, তবে পানি কমলেও এই বন্যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রেখে যাবে। এই ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে মঙ্গলবার সিলেট আসবেন প্রধানমন্ত্রী।’
নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত ও কলেজে সহিংসতার ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
শনিবার রাত ৯টায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
এডিএম জুবায়ের হোসেন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১৮ জুন নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে একটি ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার বিষয়ে আমাকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে দেয় জেলা প্রশাসন।
‘আমরা তদন্ত শেষ করে জেলা প্রশাসকের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। তবে প্রতিবেদনে কারা জড়িত বা কাদের নাম এসেছে সেটা বলার সুযোগ নেই। যেহেতু মামলা হয়েছে সেজন্য কারও নাম বলা সম্ভব নয়। আমি এর বেশি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
কমিটির দুই সদস্য ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান ও নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত কবীর।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটিকে ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। তবে কমিটি আরও দুইদিন সময় চেয়েছিল। আজ প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে মিটিং করে দোষীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
একই ঘটনায় পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল নড়াইল জেলা পুলিশ। এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলামকে। অন্য সদস্যরা হলেন- ডিআই ওয়ান মীর শরীফুল হক ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) রফিকুল ইসলাম।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, ‘পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা হয়নি।’
ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে কলেজের এক শিক্ষার্থীর পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে ১৮ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, সহিংসতা চলে।
গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয় যে ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস।
এরপর পুলিশ পাহারায় বিকেল ৪টার দিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দাঁড় করিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় একদল ব্যক্তি। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পুলিশের সামনে শিক্ষকের এমন অপদস্ত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সারাদেশে।
আরও পড়ুন:গত ২৩ জুন নিশাত আহম্মেদ খান নামের কুমিল্লার এক আওয়ামীলীগ নেতা সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রীর মর্যাদা ও জীবনের নিরাপত্তাসহ সন্তানের অধিকার চান। এ ঘটনার পর শনিবার ২ জুন দুপুরে কুমিল্লা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রবাসী মিনহাজুর রহমান।
নিশাত আহম্মেদ খান একসময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ২০২১ সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, কুমিল্লা দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জোবেদা খাতুন পারুল।
মিনহাজ বলেন, ‘আমার সম্পত্তির লোভে নিশাত খান ভুয়া কাবিন বানিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেন। পরে ভুয়া কাবিননামা তৈরির অভিযোগে মামলা দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. জাইদুল হোসাইন আদালতে কাছে এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে জেলহাজতে আছেন।’
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানান, তার বাড়ি নগরীর রাজাপাড়া এলাকায়। ওই এলাকার শহীদুল হক স্বপনের মাধ্যমে নিশাতের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই সময় তার রূপগঞ্জের জমিজমা, কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটে পাঁচ তলা বাড়ি ও ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাট দেখাশোনা ও ভাড়া সংগ্রহের জন্য একজন লোকের দরকার ছিল।
সে সময় নিশাত তাকে সাহায্য করার আগ্রহ প্রকাশ করলে মিনহাজ তাকে মৌখিক চুক্তিতে দায়িত্ব দেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিশাত অজ্ঞাতনামা একজনকে মিনহাজ সাজিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিবাহ দেখিয়ে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট নগরীর অশোকতলা এলাকার নারীনেত্রী ফাহমিদা জেবিনের বাসায় কাজী মো. জাইদুল হোসাইনের মাধ্যমে দুজনের (মিনহাজ-নিশাত) একই জন্ম তারিখ দেখিয়ে ভুয়া কাবিননামা বানিয়েছে।
বিয়ে অনুষ্ঠানের যে তারিখ বলা হচ্ছে, সেই সময় তিনি ইংল্যান্ডে ছিলেন বলে জানান। ওই সময় নিশাত তার ধানমন্ডির ফ্ল্যাট দখল করে সেখানে তার মা, দুই সন্তান ও মেয়ের স্বামীসহ বসবাস শুরু করে। মিনহাজ বলেন, এর আগে ২০১৭ নিশাত পাসপোর্টে নিজেকে মিনহাজের স্ত্রী বলে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণা শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের এপ্রিলে মিনহাজ দেশে আসেন। এরপর তিনি নিজের ফ্ল্যাটে গেলে নিশাত, তার মেয়ে ও মেয়ের স্বামী তাকে সেখানে প্রবেশে বাধা দেয় এবং তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়।
এ ঘটনার পর নিশাত কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটের মিনহাজের ৫তলা বাড়ির কেয়ারটেকারকে মারধর করে একটি ফ্ল্যাট দখল করে নেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় নিশাত বাড়ির কেয়ারটেকার জিলানী ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন। মিনহাজ বলেন, এই নারী ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য তাকে স্বামী দাবি করছে। ভুয়া নিকাহনামায় নিশাত নিজেকে তালাকপ্রাপ্তা বললেও তিনি তা নন। তার সন্তান,
মেয়ের স্বামী ও নাতি-নাতনী রয়েছে।
এখন নিশাত মিনহাজকে স্বামী দাবি করে বলছে, সে মিনশাত রহমান স্বাধীন নামের সন্তানের মা এবং ওই সন্তানের বাবা নাকি তিনি। স্বাধীন নামের ওই শিশুর জন্ম-পরিচয় সনাক্তের জন্য তিনি ডিএনএ টেস্টের জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘নিশাত একজন প্রতারক নারী। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। ভুয়া কাবিননামার বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। এরই মধ্যে নিকাহ রেজিস্ট্রার ভুয়া কাবিননানা সৃষ্টির বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং বর্তমানে কারাগারে আছেন।’
তিনি নিশাত ও তার চক্রের দ্বারা হয়রানীর হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন, ভ‚ক্তভোগী মিনহাজের বোন ফরিদা আক্তার, শাহনাজ রহমান, ভাবী মাসুদা বেগম, ভগ্নিপতি মতিউর রহমান প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে নিশাত বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। মিনহাজুর রহমান মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে, বিয়ের প্রমাণও আছে।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১৩ সালে মিনহাজ ইতালি থেকে দেশে আসেন। এর পর তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ের দিন ঠিক হয়। এটি তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে।
বিয়ের আগ মুহূর্তে মিনহাজ জানান, তার নামে মামলা আছে। সেই মামলা নিষ্পত্তি হতে দুই মাস সময় লাগবে। তাই তিনি এখন বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে পারছেন না।
পরে হুজুর ডেকে ঘরোয়াভাবে তাদের বিয়ে হয়। এর পর তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করেন।
বিয়ের ১৯ দিন পর মিনহাজ ইতালি ফিরে যান। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর দেশে এসে বিভিন্ন কাগজে নিশাতের সই নিয়ে জানান, তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়ে গেছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জোবেদা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিশাত আহম্মেদ খান এ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ২০২১ সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার ব্যক্তিগত কোনো কাজের দায়ভার দল নেবে না।’
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারী মানবাধিকারকর্মীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মুরাদনগর থানায় শনিবার সকালে মামলার পর বিকেলে উপজেলার ত্রিশগ্রাম থেকে জামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম জানান, শনিবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের পরিদর্শক মজিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুমিল্লার ৮ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ ওমর ফারুক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
গ্রেপ্তার ৩০ বছরের জামাল হোসেনের বাড়ি উপজেলার ত্রিশগ্রামে। মামলার এজাহারভুক্ত ৭ নম্বর আসামি তিনি।
২৮ জুন রাতে নবীপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের সালিশে ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশনের কর্মী মরিয়ম বেগমকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।
মরিয়ম বলেন, ‘নবীপুর (পশ্চিম) ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেনের সামনে তার ভাতিজা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন দলবল নিয়ে আমার ওপর চড়াও হয়।’
এ ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, দোকানের সামনে কয়েকজন মানুষের জটলা। এর মধ্যে থেকে তিন ব্যক্তি বোরকা পরা এক নারীকে ধরার চেষ্টা করলে তিনি ওই দোকানের ভেতর ঢুকে পড়েন। এ সময় দেলোয়ারের লোকজন তার বোরকা ধরে টানাটানি করতে থাকলে তাদের বাধা দেন জাকির। একপর্যায়ে দেলোয়ার ও তার লোকজন দোকান থেকে ওই নারীকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যান।
শনিবার সকালে মুরাদনগর থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেছেন মরিয়ম।
আসামিরা হলেন উপজেলার উত্তর ত্রিশগ্রামের মেম্বারের ছেলে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন, তার ছোট ভাই সুমন সরকার, রাসেল মিয়া, সুধন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া, হাসু মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, তবদল মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, লতু মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন।
যদিও ঘটনার পর থানায় গেলেও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
ওসি আবুল হাশিম বলেন, ‘একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসমিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন:নড়াইলের ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরানোর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রহমত উল্লাহ রনির ছাত্রত্ব বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রনি খুলনার সরকারি বিএল কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র। কলেজের স্নাতক শাখা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লেখাপড়া করছেন তিনি।
বিএল কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আতিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (রোববার) আমাদের কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা হবে। সেই সভায় রনির ছাত্রত্ব বাতিলের ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। যেহেতু সে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তাই সভার পর আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চিঠি পাঠাব।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো শিক্ষার্থীকে সরাসরি বহিষ্কার করার এখতিয়ার তাদের নেই জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সিদ্ধান্ত জানাব। তার (রনি) ছাত্রত্ব বাতিলের ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
‘ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে এক হিন্দু শিক্ষার্থী ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন’- এমন অভিযোগ তোলে কলেজে পুলিশের সামনেই শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে অপদস্থ করা হয়।
গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয় ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন স্বপন কুমার। কলেজে গত ১৮ জুন এ নিয়ে দিনভর চলে উত্তেজনা।
এদিন বিকেলে পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দাঁড় করিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় একদল ব্যক্তি। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সামনে শিক্ষকের এমন অপদস্থ হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সারা দেশে।
ঘটনার ৯ দিন পর গত ২৭ জুন দুপুরে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক ও মির্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ মোরছালিন।
দণ্ডবিধির ৩৪, ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩৪১, ৩৩২, ৩৫৩, ৩৫৫, ৪৩৬, ৪২৭, ৫০০ ধারায় করা এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৭০ থেকে ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় গত বুধবার দুপুরে খুলনা বিএল কলেজ এলাকা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন মির্জাপুরের শাওন খান, মির্জাপুর মধ্যপাড়ার মো. মনিরুল ইসলাম এবং মির্জাপুরের সৈয়দ রিমন আলী। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
নড়াইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সরাসরি অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিতে দেখা গেছে রহমত উল্লাহ রনিকে।’
গ্রেপ্তার প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোববার তাদের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুরে বিএনপির ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে হামলা ও পরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে দুই দিনের বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
সে অনুযায়ী, রোববার ফেনীর সব উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে এবং সোমবার ফেনীতে জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদারসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুলগাজী বাজারে বিএনপির ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
বিএনপির অভিযোগ, হামলায় তাদের ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ফের হামলা চালানো হয়। এতে আহতের ৩০ স্বজনও আহত হন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কথা ছিল। সেখানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনের আশার কথা ছিল।
‘হামলা’র ঘটনার পর উত্তেজনার মধ্যেই দৌলতপুর গ্রামে একই সময় বন্যাকবলিতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় শনিবার সকাল থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফুলগাজী উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।’
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতু ও তার ‘প্রেমিকা’ একই প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলে গত ৩০ জুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে নিউজবাংলাকে জানান হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান।
অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলেরর সিদ্ধান্ত অনুসারে জিতুকে শুক্রবার স্কুল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। আর যাকে নিয়ে ঘটনা, ওই মেয়েকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদি পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় ওই মেয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাহলে তাকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর দিনের বেলায় শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতুকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জিতু প্রেমিকাকে হিরোইজম দেখাতেই তার শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে সবার সামনে পিটিয়ে আহত করার কথা স্বীকার করেছেন।
অধ্যক্ষের সই করা নোটিশে বলা হয়েছে, ‘গত ২৫ জুন এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করা হলে পরদিন তার মৃত্যু হয়। উক্ত ঘটনায় পুলিশের তদন্ত ও আসামির জবানবন্দিতে ওই ছাত্রীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এই মুহূর্তে তদন্ত শেষ না হওয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
কলেজ চত্বরে মেয়েদের ক্রিকেট খেলার সময় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতু গত শনিবার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরদিন সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
একই দিন নিহতের বড় ভাই অসীম কুমার সরকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। বুধবার অভিযুক্ত ছাত্র জিতু ও বাবা উজ্জ্বল হোসেন গ্রেপ্তার হন। আসামিদের ৫ দিন করে রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ।
টিকিটের জন্য শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন আব্দুর রহিম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি না পেয়ে রাত কাটান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনেই। শনিবার সকাল হতেই ফের শুরু হয় টিকিট পাওয়ার লড়াই।
লাইনে দাঁড়িয়ে ‘সোনার হরিণের’ অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের এ ছাত্র। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অবসান হয় প্রতীক্ষার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে অবশেষে টিকিট ওঠে আব্দুর রহিমের হাতে।
কাউন্টারের সামনের ভিড় ঠেলে হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন জয়পুরহাটের টিকিট পাওয়া এ শিক্ষার্থী; নিউজবাংলার কাছে প্রকাশ করেন অভিব্যক্তি।
‘এত দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে পেলাম! টিকিট তো নয়, মনে হচ্ছে সোনার হরিণ দিচ্ছে তারা। এত ভিড়!’, ক্লান্তি আর শঙ্কা ভুলে এক চিলতে হাসি দিয়ে কথাগুলো বলছিলেন আব্দুর রহিম।
‘গতকাল বিকাল ৪টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। তারপরও যে পেলাম, এতেই আলহামদুলিল্লাহ!’, যোগ করেন এ শিক্ষার্থী।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শুক্রবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের টিকিট বেচা শুরু হয় শনিবার সকাল ৮টা থেকে।
আগের দিনের মতো শনিবারও কমলাপুরে টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বাড়ি ফেরার টিকিটের জন্য মরিয়া এসব মানুষের একজন দিনাজপুরের পার্বতীপুরের তানভীর।
অগ্রিম টিকিটের আশায় তিনিও লাইনে দাঁড়ান শুক্রবার বিকেলে। শনিবার সকালে টিকিট পাওয়া সৌভাগ্যবানদের একজন তিনি।
নিউজবাংলাকে তানভীর বলেন, ‘বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাব। গতকাল বিকেলে এসেছি, যাতে টিকিট পাই। কারণ সড়কপথে যানজট, দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি। টিকিট পেয়ে ভালো লাগছে।’
শনিবার ভোররাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন সিরাজগঞ্জের মানিক। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ৬ জুলাইয়ের কাঙ্ক্ষিত সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের টিকিট পান তিনি।
হাসিমুখে তিনি বলেন, ‘টিকিট হাতে পাওয়ার পর কষ্ট ভুলে গেছি। এখন বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারব।’
লাইনে রেলের কর্মীও
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের অনুসন্ধান বিভাগের কর্মী আনিসুরও অন্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন টিকিটের লাইনে। রেলওয়ের শৃঙ্খলার উদাহরণ দিতে গিয়ে গর্বিত স্বরে তিনি বলেন, ‘রেলের কর্মী বলেই যে লাইনে না দাঁড়িয়ে টিকিট পাব, তা নয়। আমাদেরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিকিট নিতে হচ্ছে।’
কবে কোন দিনের টিকিট
টিকিট বিক্রি শুরুর দিন ১ জুলাই দেয়া হয় ৫ জুলাইয়ের টিকিট। ২ জুলাই দেয়া হচ্ছে ৬ জুলাইয়ের টিকিট।
৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই দেয়া হবে ৮ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট। ৫ জুলাই দেয়া হবে ৯ জুলাইয়ের টিকিট।
ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। ওই দিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে।
এর বাইরে ৮ জুলাইয়ে ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে।
১১ জুলাই সীমিত পরিসরে কয়েকটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে। ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলবে।
কোথায় কোন গন্তব্যের টিকিট
ঢাকায় ছয়টি স্টেশন এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে থেকে ঈদের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সমগ্র উত্তরাঞ্চলগামী আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কমলাপুর শহরতলী প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মিলছে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট। ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মিলছে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট। গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে পঞ্চগড়ের ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিট।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য