বাবার কারণে আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছেন জানিয়ে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেছেন, তাকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে আপ্লুত হয়ে যান আবেগে।
বাবা দিবস উপলক্ষে রোববার রাতে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনের গ্র্যান্ড বল রুমে ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গর্বিত বাবা অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সন্তানকে যোগ্য করে গড়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে দেশে প্রথমবারের মতো ‘গর্বিত বাবা অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয় ২৫ জনকে। গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এ সম্মাননা দেয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান। সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি দিলীপ কুমার আগারওয়ালা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এতে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ ও নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ।
অনুষ্ঠানে চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বাবা প্রয়াত সরাফাত হোসেন চৌধুরীকে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গর্বিত বাবা অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
বাবার পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করে স্মৃতিচারণা করেন পদ্মা ব্যাংক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রত্যেকের বাবা এখানে উপস্থিত হয়েছেন, কিন্তু আমার বাবা আসতে পারেননি। আমার বাবার জন্য আপনারা দোয়া করবেন।
‘২০১১ সালে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। আমি বাবা নিয়ে কিছু বলতে পারি না, আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই। আজকে এই সম্মানটা আমার বাবার জন্য। আমরা সন্তানেরা এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি শুধু বাবার জন্য।’
শৈশবের স্মৃতিচারণা করে বিশিষ্ট এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপের ব্যবস্থা ছিল। আমি স্কলারশিপ পেয়েছিলাম। প্রতিষ্ঠান প্রিন্সিপাল স্কলারশিপের টাকা আমার হাতে তুলে দেন। সেই টাকা আমি আমার আব্বুর কাছে তুলে দেই। সেই সময়কার রাষ্ট্রপতি ছিলেন আমার বাবার বন্ধু।
‘আমার বাবা তার সঙ্গে নাশতায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাবা তার রাষ্ট্রপতি বন্ধুর কাছে বলছিলেন, আমার ছেলে স্কলারশিপের টাকাটা আমার হাতে তুলে দিয়েছে। সেই টাকাটা বাবার পকেটে ছিল তখন।’
তিনি বলেন, ‘বাবার সেই হাসিখুশি চেহারাটা আমার এখনও মনে পড়ে। সন্তান মায়ের গর্ভে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন বাবা। তা-ই হচ্ছে বাবাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর স্বাগত বক্তব্য দেন গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ড্যাড’ এবং ‘বাবাকে জানো’ প্রোগ্রাম চালু থাকবে। ‘বাবা’ নামে একটি ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন বের করা হবে, যেখানে থাকবে ছবি, চিত্রকলা, স্মৃতিকথা, ছোট গল্প ও কবিতা।
মেহেদী বলেন, সংগঠনটির বড় একটি স্বপ্ন আছে। একটি ‘আনন্দ আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। বৃদ্ধ বাবারা যাতে শেষ দিনগুলো সুন্দরভাবে, আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করতে পারে, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রত্যেক বাবা তার সন্তান ও পরিবারকে নিয়ে আলাদাভাবে বাবা দিবসের কেক কাটেন।
উপস্থাপক শান্তা জাহানের সঞ্চালনায় বাবাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। পুরস্কারপ্রাপ্তদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন বিশেষ অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, ‘আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন; সমর্থন দিন। এই সংগঠনকে আমরা অনেক দূর নিয়ে যাব।’
যারা পেলেন গর্বিত বাবা অ্যাওয়ার্ড
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বাবা সরাফাত হোসেন চৌধুরীকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বাবা অমিয় কুমার আগারওয়ালা, সামাউন আহমেদ মৌসুমীর বাবা বশির আহমেদ, কাওসার আহমেদের বাবা আলী আকবর, সালাউদ্দিন চৌধুরীর বাবা আব্দুল আজিজ চৌধুরী, শিল্পী হাবিব ওয়াহিদের গায়ক বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদ, অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মিমের বাবা বীরেন্দ্র নাথ সাহা, অভিনেতা বাপ্পি চৌধুরীর বাবা ননী গোপাল সাহা, ড. গোলাম মাহমুদর রায়হানের বাবা আতাউর রহমান, কিশোর কুমার দাসের বাবা হরিপদ দাস, ক্রিকেটার ও এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা, সাংবাদিক জ ই মামুনের বাবা গাজী আবদুল লতিফ, ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির বাবা নাসির উদ্দিন সাথী, অমিত কুমার পাল ও মৃনাল কুমার পালের বাবা উত্তম কুমার পাল, শরিফা চৌধুরীর বাবা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল মামুনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন, ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বাবা আজিজুল হক, ভাস্কর শাকিল আহমেদ ও প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহমেদ শিল্পীর বাবা সিরাজউদ্দিন আহমেদ, কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার বাবা দৌলত উল্লাহ, আবু সায়েমের বাবা আলমগীর হোসেন, রুকন উল হাসানের বাবা নজরউদ্দিন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাশেম মিয়া, অভিনেতা তাহসান রহমান খানের বাবা সানাউর রহমান খান, অভিনেতা সিয়াম আহমেদের বাবা অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন আহমেদ, নির্মাতা রেদওয়ান রনির বাবা রজব আলী।
আরও পড়ুন:আক্ষরিক অর্থে বিদায় না নিলেও ঋতুরাজ বসন্তের আগমন আনুষ্ঠানিক বিদায় জানিয়ে দিয়েছে মাঘের সন্ন্যাসী শীতকে। দেশে এসেছে ফাগুন; শুরু হয়েছে আগুনরাঙা মাসের প্রথম দিনটি উদযাপন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় শুক্রবার ভোরে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’।
‘জুলাই অভ্যুত্থান: আমার দ্রোহ-ভালোবাসার গান’ ব্যানারে ঢাবির কলা ভবনের সামনে ‘সমগীত বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ দিয়ে শুরু হয় বসন্তের গান ও নৃত্য পরিবেশনা।
সমগীত আয়োজিত অনুষ্ঠানে লোকগীতির পাশাপাশি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সংগীতও পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
শুরুতে পাঠশালার নৃত্যশিল্পীরা নাচ পরিবেশন করেন। একই সঙ্গে পাহাড়ি ও চা বাগানের থিমে গানে অংশ নেন সমগীতের শিল্পীরা।
উপস্থিত কয়েকজন ইউএনবিকে জানান, সকালে উঠেই এখানে চলে এসেছেন বসন্ত উৎসব দেখতে। এরপর বইমেলায় যাবেন। দিনভর উৎসবটি উদযাপন করবেন।
উৎসবে আসা একজন বলেন, ‘বসন্ত আমাদের প্রাণের উৎসব। একই দিনে ফাগুনের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দিনটি আরও বেশি উপভোগ করছি।’
আরও পড়ুন:প্রিন্স পঞ্চম রাহিম আগা খানের অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ অভিষেক উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী শিয়া ইসমাইলি মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানটি পর্তুগালের লিসবনে অবস্থিত দিওয়ান অব দি ইসমাইলি ইমামাতে অনুষ্ঠিত হয়।
ইসমাইলি সম্প্রদায়ের নেতারা বিশ্বের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ৫০তম উত্তরাধিকারী ইমামের প্রতি আধ্যাত্মিক আনুগত্যের শপথ নেন। বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশে ইসমাইলি সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের জামাতখানায় (সমাবেশের স্থান) সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি অনুসরণ করেন।
ভাষণে পঞ্চম আগা খান তার প্রয়াত পিতা প্রিন্স চতুর্থ করিম আগা খানকে শ্রদ্ধা জানান এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি পর্তুগাল ও মিসরের সরকারগুলোকেও তার বাবার অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও কবরস্থানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ব্যবস্থা করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এটি ছিল পঞ্চম আগা খানের জন্য আন্তর্জাতিক ইসমাইলি সম্প্রদায়ের কাছে প্রথম ভাষণ দেওয়ার সুযোগ। তার প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি জীবনকে ইসমাইলি জামাতের আধ্যাত্মিক ও ভৌত কল্যাণের জন্য নিবেদিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি ইসমাইলি মুসলিম বিশ্বাসের নীতি, দুনিয়া ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে সঠিক সমতা বজায় রাখার গুরুত্ব এবং ধর্মীয় অনুশীলনের নিয়মিত অনুশীলনের কথা বলেন।
তার বার্তা শান্তি, সহিষ্ণুতা, অন্তর্ভুক্তি এবং অভাবী মানুষদের সাহায্য করার জন্য বৈশ্বিক ধারণাগুলোর ওপর প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারের আলাদিনস পার্কে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন সিপিআই এক্স স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বার্ষিক পিকনিক ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বছরের অনুষ্ঠানটি ‘আমরা সবাই একসাথে-এখন ও চিরকাল’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সিপিআই এক্স স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক নাজিমুজ্জামান হাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন প্যারাডাইজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল আমিন ভূঁইয়া, কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফা, শান্তি নিবাস প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি মো. আবুল কাশেম, সিপিআই ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান কবির প্রিন্স, ইঞ্জিনিয়ার সাদেকুল আমিন, পিকনিক কমিটির সচিব এমরান হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জাবেদ হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান কনক, মো. মাসুদ রানা, ফেরদৌস, নেছার পাটোয়ারি, মিশকাত, মো. সাইদুল ইসলাম মিঠু, মো. শিহাব, কামরুল, প্রান্ত, তুষার ও সাইমুনসহ কুমিল্লা পলিটেকনিকের বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে দুপুরে যোগ দেন ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও কুমিল্লা পলিটেকনিকের ১৯৮৩-১৯৮৪ সেশনের ছাত্র প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন। তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন ইভেন্ট ও পুরস্কার বিতরণ
পিকনিকে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়াও সাবেক শিক্ষার্থীর সন্তানদের মধ্যে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন, তাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আয়োজক কমিটির সব পৃষ্ঠপোষকদের ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করা হয়।
র্যাফেল ড্রর পুরস্কার বিতরণ
বার্ষিক মিলনমেলার অংশ হিসেবে আয়োজিত র্যাফেল ড্রর পুরস্কারগুলো ছিল আকর্ষণীয়। প্রথম পুরস্কার হিসেবে ওয়াশিং মেশিন, দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ৪৩ ইঞ্চি 4K Smart টিভি, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন, চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ইলেকট্রিক ওভেন এবং আরও ২০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার ছিল। র্যাফেল ড্র লটারি টিকিটের মূল্য ছিল ১০০ টাকা।
নতুন কার্যকরী কমিটি ঘোষণা
উৎসবের শেষে নির্বাচন উপকমিটি প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ সালের ৪১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি ও সাত সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়।
নতুন কার্যকরী কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন রেজাউল করিম রেজা। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গোলাম মোস্তফা (ভিপি) , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শাহজাহান কবির প্রিন্স এবং অর্থ সম্পাদক হিসেবে মাসুদ রানা নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন:বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী অঞ্চলের ফুলচাষিরা।
তিনটি দিবসকে সামনে রেখে নিজেদের খেতের ফুলগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
চাষিদের আশা, সামনের দিনগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে এবং তারা লাভবান হতে পারবেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী, নাভারণ ও পানিসারা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে নানা জাতের ফুল। এ অঞ্চলের কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছে গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গাঁদা, লিলিয়াম, জিপসি, চন্দ্রমল্লিকাসহ অন্তত ১৩ ধরনের ফুল।
গদখালীতে বৃহস্পতিবার সকালে ফুলের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরেই চাষিরা বিভিন্ন যানবাহনে তাদের উৎপাদিত বাহারি সব ফুল নিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বিক্রির জন্য দাঁড়িয়েছেন। হঠাৎ গরম পড়ায় ফুল ফুটে যাওয়া বাজারে ফুলের জোগানও বেশি। গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ফুলের দাম কিছুটা কম হলেও ঊর্ধ্বমুখী গোলাপের দাম।
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ফুলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। যে গোলাপ আগে বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকা দরে, গত বৃহস্পতিবার সে গোলাপ বিক্রি হয় আট থেকে ১০ টাকা দরে।
ফুল চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সামনের তিন দিবসে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে।
গত বৃহস্পতিবার বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয় ৮ থেকে ১০ টাকা। এ ছাড়া জারবেরা প্রতি পিস ৮ থেকে ১০ টাকা, রজনীগন্ধা স্টিক প্রতি পিস ৮ থেকে ১০ টাকা, জিপসি আঁটির প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাধা প্রতি হাজার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, গ্লাডিওলাস রংভেদে ৮ থেকে ১২ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা প্রতি পিস ৩ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎসব যত ঘনিয়ে আসছে, ফুলের দাম ততই বাড়ছে।
ফুলচাষি পলাশ হোসেন বলেন, ‘১০ কাঠা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি। গত দুই দিন আগে গোলাপের দাম ছিল পাঁচ টাকা। আজ আট থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে।
‘আশা করছি সামনের দিনগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে এবং আমরা লাভবান হতে পারব।’
ফুলচাষি সোহান হোসেন বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে জারবেরা চাষ করেছি। এ বছর ফুলের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এখন ১০ থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
‘আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ফুলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সামনের দিবসগুলোতে দাম আরও বাড়বে এবং লাভবান হতে পারব।’
কুষ্টিয়া থেকে ফুল কিনতে আসা ব্যবসায়ী শাকিল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ১৫ হাজার টাকার ফুল কিনেছি। গোলাপ ফুলটা বেশি কিনেছি। অন্যান্যবারের তুলনায় এ বছর বেশি লাভ হবে বলে আশা করছি।’
গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর জানান, সারা বছর ফুল বিক্রি হলেও মূলত বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে ফুল বেচাকেনা বেশি হয়। তিন দিবসকে ঘিরে গদখালী বাজারে ফুলের বেচাকেনা জমে উঠেছে।
তিনি জানান, উৎসবের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ফুলের দামও ততই বাড়ছে। বাজারদর ভালো পেয়ে ফুলচাষি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা খুশি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্তবরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে ১০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গদখালী অঞ্চলে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করেন চাষিরা। প্রায় ছয় হাজার চাষি এ ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন:আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫।
ভাষাশহীদ, ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।
বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম ও সচিব ড. মো. সেলিম রেজা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল তিন ঘটিকায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বই এবং বইমেলা সহায়ক। আমরা আশা করি সকল সম্ভাবনায় আলোকিত হবে এবারের মেলা; আমাদের প্রাণের বইমেলা।’
তিনি বলেন, ‘এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে, তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহির পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে।
‘এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৪টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে।’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা-ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য খাবারের স্টলগুলোকে এবার বিশেষভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, “শিশুচত্বর মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
“বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য একটি স্টল থাকবে। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাংকন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।”
এবারের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেয়া হবে।
২০২৪ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে।
এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি ও পুনর্মুদ্রিত ৪১টি বই।
বইমেলার সময়সূচি
পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত)। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
পলিথিনমুক্ত হবে এবারের বইমেলা
এবারের অমর একুশে বইমেলার আয়োজনকে জিরো ওয়েস্ট বইমেলায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আয়োজনস্থল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্থাপিতব্য সব স্টল, দোকান, মঞ্চ, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, ফাস্ট ফুড, কফি শপ, খাবার দোকান ইত্যাদি প্রস্তুতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার শতভাগ পরিহার করে পুনঃব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ, যেমন পাট, কাপড়, কাগজ ইত্যাদির ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
স্টল সংক্রান্ত তথ্য
এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১ হাজার ৯১৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি। মোট ইউনিট ১ হাজার ৮৪টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬টি)।
এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি (গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭টি)।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৮টি এবং ইউনিট ১০৯টি)।
আরও পড়ুন:শীতের সকালে শত শিশুর কোলাহলে মুখর শক্তি+হেলদি কিডস জোন। এমন সময় সামনে এলো ‘শক্তি মাসকট লায়ন’; গাইল ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’। চমকে উঠল অপেক্ষায় থাকা কৌতূহলী শিশু ও তাদের মা-বাবারা।
শক্তি মাসকট লায়ন তাদের বলল, ‘তোমরা কি আমার গল্প শুনতে চাও?’
উচ্ছ্বসিত শিশুরা সমস্বরে বলল, ‘চাই! চাই!’ এরপর চমৎকার একটি গল্প বলে কিডস টাইম ফেয়ারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠল চরিত্রটি।
একটি শিশুর গল্প বলে শক্তি মাসকট লায়ন; যার পছন্দের রং নীল, সবুজ আর হলুদ। প্রিয় খেলা ফুটবল ও দাবা। কিন্তু একটু খেললেই হাঁপিয়ে ওঠে সে। ব্যথা হতো পায়ে। আবার বুদ্ধি খাটিয়ে দিতে পারত না দাবার চাল।
একটু থেমে শক্তি মাসকট লায়ন বলে, ‘তোমরা কি জানতে চাও এরপর বাচ্চাটির সাথে কী হয়েছিল?’
গল্পে বুঁদ হওয়া শিশুদের চোখে-মুখে তখন আনন্দের ঝলকানি। তারা আবারও বলল, ‘চাই! চাই!’
শক্তি মাসকট লায়ন বলল, ‘বাচ্চাটি শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার বলেন, আয়রন, আয়োডিন, ভিটামিন এ ও জিংকের অভাব শিশুটির সুস্থতা ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত করছে। সে অল্পতেই ক্লান্ত হয়, মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। আর এ জন্য পুষ্টিকর সব খাবারের সঙ্গে খেতে বলা হয় শক্তি দই।’
গল্প শেষ হতেই চারিদিকে তুমুল হাততালি।
গত ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ জমকালো উৎসবে এভাবেই শিশুদের মন জিতে নেয় শক্তি মাসকট লায়ন। এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপেশ নাগ, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর সুরাইয়া সিদ্দিকা, মার্কেটিং ম্যানেজার পূর্বা চৌধুরী, লাইট অফ হোপের সিইও ওয়ালিউল্লাহ ভূইয়াঁ, কিডস টাইমের ফাউন্ডার তাহমিনা রহমান এবং অন্য কর্মকর্তারা।
এবারের উৎসবে গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের হেলদি কিডস জোনে আসা প্রতিটি শিশুই পেয়েছে আকর্ষণীয় হেলদি কিড ব্যাজ। ৪ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ছিল ভিন্নধর্মী মজার মজার অগমেন্টেড রিয়েলিটি গেম। যেমন: ট্যাব গেম, বিগ স্ক্রিন গেম।
এ ছাড়া ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ছিল ভার্চুয়াল গ্যালাক্সি ট্যুর। ফিজিক্যাল গেমের মধ্যে ছিল রিং টস, বল টস আর বেলুন পপ। ছিল জিনিয়াস কিড গেম।
অনবদ্য এ আয়োজনে প্রতিটি গেমেই ছিল দারুণ সব গিফট জেতার সুযোগ। হেলদি খাবারের জন্য ছিল হেলদি ফুড জোন। ছিল নিউট্রিশন কর্নার থেকে ফ্রি কনসালটেশন নেওয়ার সুযোগ।
খেলা, বিনোদন আর শিক্ষণীয় কার্যক্রমের এক অপূর্ব মিশেল এই কিডস টাইম ফেয়ার। প্রতিবারের মতো এবারও শিশু, অভিভাবক, শিক্ষক ও বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে এটি হয়ে ওঠে দুর্দান্ত উপলক্ষ।
নিজের সন্তানের সঙ্গে স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত কাটাবার সুযোগ হাতছাড়া করেননি অভিভাবকরা।
শিশুদের বিকাশে ২০১৮ সাল থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে কিডস টাইম ফেয়ার। শিশুদের জন্য কারুকাজ, অংকন, পুতুল প্রদর্শনী, মঞ্চ পরিবেশনা এবং অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টিং সেশনের মতো কার্যক্রম আয়োজন করা হয় এ ইভেন্টে।
শিশুদের সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রেখে আসছে এ ধরনের কার্যক্রম।
দেশে অপুষ্টি প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড। বিশেষ করে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর শক্তি+পণ্য আরও সহজলভ্য করার মাধ্যমে দেশে অপুষ্টির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে গ্রামীণ ডানোন, যা সামাজিক পর্যায়ে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রবিবার শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী দশম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন।
দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশসহ আন্তসীমানায় পানি ও নদী নিয়ে চলমান ভূ-রাজনীতি এবং সমুদ্রের বিদ্যমান সংকট, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোকপাত হবে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা এতে বক্তব্য দিচ্ছেন।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পানির ভূ-রাজনীতি এবং সমুদ্রের ভবিষ্যৎ’।
এ সম্মেলন চলবে সোমবার পর্যন্ত। এর আয়োজক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ।
এবারের সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো দেশ-বিদেশের যুব, নারী, অ্যাকাডেমিক, গবেষক, নীতিনির্ধারক, এনজিও, দাতা সংস্থা এবং বাস্তবায়নকারীদের সম্পৃক্ত করে পানিশাসন, নদী ব্যবস্থাপনা এবং পানি ও সমুদ্রের ভবিষ্যতের স্থায়িত্ব নিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে সক্রিয় আলোচনা করা। একই সঙ্গে আলোচনাকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ ও সচেতনতা তৈরি।
পাশাপাশি পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক সহযোগিতা, ন্যায়সঙ্গত বণ্টন এবং পানি ও সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করা এবং সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাও এর উদ্দেশ্য।
এ ছাড়াও পানি, নদী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভাবনীমূলক সমাধান চিহ্নিত করা ও প্রচার করা, টেকসই এবং সহনশীলনতার দিকে অগ্রসর হওয়া এবং পানি ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ন্যায়সঙ্গত ও ন্যায্যতার দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করা সম্মেলনের উদ্দেশ্য।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনে তিস্তা ও সীমান্তবর্তী নদীগুলোর ভবিষ্যৎ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থানীয় উদ্ভাবন, জলবায়ু ভবিষ্যৎ, পানি অর্থায়ন এবং হাইড্রো-কূটনীতির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে।
দ্বিতীয় দিনে পানি ব্যবস্থাপনায় নারীবাদী দৃষ্টিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্ষমতার সম্পর্ক মূল্যায়ন, পানিবিষয়ক শিক্ষাকে মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ এবং সহযোগিতার ভূ-রাজনীতি এবং সমুদ্র ও পানিসম্পদ রক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে।
পানিসম্পদের গুরুত্ব, পানির ন্যায্যতা ও নদীর অধিকার নিশ্চিত করবার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে একশনএইড বাংলাদেশ।
পানিসম্পদ ও তার ব্যবস্থাপনা নিয়ে মানুষের চিন্তার প্রসার, পানি নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ঘটানো, বিভিন্ন ধরনের সংলাপকে উৎসাহিত করা, পানি নিয়ে একত্রে কাজ করতে জোট গঠন, আন্তসীমান্ত কার্যক্রমের উৎসাহ প্রদানের মতো উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই ২০১৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন আয়োজন করে আসছে দেশের অন্যতম শীর্ষ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাটি। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর পানির ভূ-রাজনীতি ও মহাসাগরীয় ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্মেলনটির আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য