× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
What is behind the rise of hand fan in Patuakhali
google_news print-icon

পটুয়াখালীতে হাতপাখার উত্থানের নেপথ্যে কী

ইসলামী আন্দোলন
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলারসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুর রহিম। ছবি: নিউজবাংলা
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, প্রার্থী না থাকায় বিএনপি সমর্থকরা ভোট দিয়েছেন হাতপাখায়। যেখানে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল, সেখানেও তার অবস্থান ছিল দুর্বল। তার পাশেও ছিল না দলের কর্মী-সমর্থকরা। তবে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলছেন, তারা গত কয়েক বছরে পটুয়াখালীতে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েছেন অনেকটাই। তাদের ব্যাপক কর্মী তৈরি হয়েছে। ভোটের আগে তারা কেন্দ্রভিত্তিক পরিকল্পনা করে কাজ করেছেন। এর ফল মিলেছে ভোটে।

পটুয়াখালীতে বুধবারের ভোটের ফলাফলে বিস্ময় যেন কাটছেই না।

জেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা মার্কার প্রার্থীর জয়ের পাশাপাশি পাঁচটিতে দলটির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নানা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হাজির হচ্ছে।

এই আট ইউনিয়নে মোট ভোট পড়েছে ৭৯ হাজার ৫৫টি। এর মধ্যে নৌকায় পড়েছে ২৮ হাজার ৩৮৭টি। হাতপাখা প্রতীকে পড়েছে ১৮ হাজার ২৭৬টি।

এর মধ্যে ধুলারসর ইউনিয়নে নৌকার প্রায় দেড়গুণ ভোট পেয়ে জিতেছেন হাতপাখার আবদুর রহিম। ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে পাঁচ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে দলটি।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, তাদের প্রার্থী না থাকায় বিএনপি সমর্থকরা ভোট দিয়েছেন হাতপাখায়। যেখানে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল, সেখানেও তার অবস্থান ছিল দুর্বল। তার পাশেও ছিল না দলের কর্মী-সমর্থকরা।

তবে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলছেন, তারা গত কয়েক বছরে পটুয়াখালীতে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েছেন অনেকটাই। তাদের ব্যাপক কর্মী তৈরি হয়েছে। ভোটের আগে তারা কেন্দ্রভিত্তিক পরিকল্পনা করে কাজ করেছেন। এর ফল মিলেছে ভোটে।

৮ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে পাঁচটিতে। দুটিতে জিতেছেন দল নিরপেক্ষ প্রার্থীরা। একটিতে জয় পেয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। একটিতে জিতেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।

যেসব ইউনিয়নে নৌকা হেরেছে, তার প্রতিটিতেই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা অনেক ভোট নষ্ট করেছেন। নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মিলিয়ে ভোটসংখ্যা বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে বেশি হয়।

আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যেই দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দুর্নীতিবাজ লোক গোপনে কাজ করেছেন। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে কেন্দ্রে জানাচ্ছি। কারা কারা আমার ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে, কারা কারা অর্থ দিয়েছে, সব তালিকা আমার হাতে পৌঁছেছে। সবকিছু প্রমাণসহ আমি কেন্দ্রে পাঠাব।

ধূলারসর ইউনিয়নে পরাজয়ের নৌকার প্রার্থী মোদাচ্ছের হাওলাদার প্রচার চলাকালেই সাবেক এম‌পি মাহাবুবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, মাহবুবুর ও তার ভাই হা‌বিবুর রহমান নৌকাকে হারাতে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ‌রিয়ার সবুজের পক্ষে কাজ করেছেন।

আ.লীগের বিভক্তিতে হাতপাখার জয়

কলাপাড়া উপজেলার ধুলারসর ইউনিয়নে এখানে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল ঘরে তুলতে বেগ পেতে হয়নি হাতপাখার প্রার্থীকে। এখানে প্রার্থী ছিলেন সাতজন। এদের মধ্যে হাতপাখা আর বিএনপির নেতা আনারস প্রতীকের প্রার্থী বাদে বাকি পাঁচ জন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভোটের আগে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল।

নৌকা, ঘোড়া, মোটরসাইকেল, চশমা, অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থীরা সবাই মিলে মোট ভোট পেয়েছে ৫ হাজার ৭৫২। আর বিজয়ী হাতপাখার প্রার্থী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৩ ভোট।

কলাপাড়া উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক কে এম সোহেল আনারস প্রতীকে এখানে পেয়েছেন ১ হাজার ৯০৭ ভোট।

এই ইউনিয়নটিকে ‘বিএনপির ঘাঁটি’ বলে দাবি করেন দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভোটগ্রহণের পরেও দলের নেতার ভোট এত কম কেন?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক সমর্থক জানান, নৌকা ঠেকাতে হাতপাখার দিকে ঝুঁকেছেন তারা।

পটুয়াখালী-৪ কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান তালুকদারের গ্রামের বাড়ি পাশের ইউনিয়ন ধুলারসরে। বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমানের গ্রামের বাড়িও একই এলাকায়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন এবং মনিরুজ্জামানেরও গ্রামের বাড়িও ওই ইউনিয়নে। সেখানে হাতপাখার প্রার্থীর এত শক্ত অবস্থান তৈরির পেছনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ- ‍দুই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকেই দায়ী করা হচ্ছে।

ভোটের আগে সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান তালুকদার লতাচাপলি ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করলেও ধুলারসর ইউনিয়নে তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে এক দিনের জন্যও গণসংযোগ করেননি। বরং সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহরিয়ার সবুজের আনারসের প্রতীকের পক্ষে গোপনে তৎপরতা চালিয়ে গেছেন-এমন অভিযোগ খোদ দল থেকেই পাওয়া গেছে।

তবে বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমান বলেন, ‘আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যেই দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় দুর্নীতিবাজ লোক গোপনে কাজ করেছেন। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে কেন্দ্রে জানাচ্ছি। কারা কারা আমার ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে, কারা কারা অর্থ দিয়েছে সব তালিকা আমার হাতে পৌঁছেছে। সবকিছু প্রমাণসহ আমি কেন্দ্রে পাঠাব।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী মিলে পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছে। যদি এখান থেকে সবাই মিলে নৌকাকে সমর্থন দিত, তাহলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত ছিল।’

কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম বলেন, ‘ধুলারসরে হাতপাখার সাংগঠনিক অবস্থা নাই বললেই চলে। নির্বাচনের আগে যখন বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পরাজয় টের পাওয়া গেছে, তখন তাদের নেতা-কর্মীরা হাতপাখাকে ভোট দিয়েছে।

‘তারপরও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে না থাকলে সেখানে নৌকার জয় সুনিশ্চিত ছিল। কারণ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট আর নৌকার ভোট একত্রিত করলে যে ভোট হয় তা কিন্তু হাতপাখা আর বিএনপি প্রার্থীর ভোট যোগ করলেও সমান হয় না।’

প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো শক্ত প্রার্থী না থাকায় আমাদের নৌকার প্রার্থী প্রথমে অনেক গা ছাড়া ভাব দেখিয়েছে। মনে করেছিল যে, নৌকা এমনিতেই জিতে যাবে। তারা এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। হাতপাখার এত বেশি ভোট পাওয়া এটাও আরেকটি অন্যতম কারণ।

ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘আমি যেহেতু শেখ হাসিনার কর্মী সেহেতু নৌকার পক্ষে তো কাজ করবই।’

অনেকেই অভিযোগ করেছেন ধুলারসরে আপনি বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে গোপনে কাজ করেছেন এবং সে কারণে নৌকা হেরেছে- এমন প্রশ্নে মাহবুবুর বলেন, 'এটি কোনো প্রশ্ন হলো? এসব বিষয়ে আমি টেলিফোনে মিডিয়ার সামনে কিছু বলব না।'

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থীদের তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠানোর দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘নৌকা দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানে আমার কোনো হাত নাই। নৌকা যারা পেয়েছে তাদের বিজয়ী করার জন্য আমার নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা দিনরাত সমানতালে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক চালিয়েছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতে ভোটগ্রহণ হয়, সে জন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকেও সব ধরনের সহায়তা করা হয়েছে।

‘নৌকার বিরুদ্ধে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর কখনও তারা দলে আসতে পারবে না। দলের মধ্যে যদি কেউ ঘাপটি মেরে নৌকাকে হারাতে ইন্ধন দিয়ে থাকে, সেটি আমরা যাচাই করে দেখে তথ্য-প্রমাণ পেলে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেব।’

অন্য পাঁচ ইউনিয়নেও হাতপাখার চমক

সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ছাড়াও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ উদ্দিন সিকদার এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের ছোট ভাই কামাল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগেই কামাল হোসেন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও ফরিদ উদ্দিন সিকদার মাঠে থেকে যান। তার জন্য আনারস প্রতীক বরাদ্দ হয়।

নৌকার সঙ্গে আনারসের তুমুল লড়াই হবে- এমন গুঞ্জনের মধ্যে দুই দিনের মাথায় ফরিদ ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তবে তখন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল না বলে ব্যালটে তার প্রতীক থেকে যায়।

ভোট শেষে দেখা যায় ফরিদের আনারসে ভোট পড়েছে ২৪৩টি। সেখানে হাত পাখার প্রার্থী জাকারিয়া হাওলাদার পান ৫ হাজার ৭৫৬ ভোট। এই মার্কায় এত ভোট কীভাবে এলো, এ নিয়ে প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে।

যে ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান সিকদার, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাসহ আরও অনেকের বাড়ি, সেখানে নৌকার বিপরীতে ছোট দলের প্রার্থীর এত ভোট কীভাবে এলো?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, অনেক নেতা-কর্মীই দলীয় প্রতীকের বদলে কাজ করেছেন হাতপাখার পক্ষে। তারা ‘দিনে নৌকা, রাতে হাতপাখা’ এই নীতিতে ছিলেন।

দুই বছর আগে ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডকে পৌরসভার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে নৌকা প্রার্থীর মোজাম্মেল হোসেন সেসব ওয়ার্ডে যাননি। উন্নয়নও হয়নি সেখানে। ওই তিন ওয়ার্ডে সাধারণ ভোটাররা হাতপাখার পক্ষে রায় দিয়েছে।

নৌকার প্রার্থীর খুব কাছের এক কর্মী বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো শক্ত প্রার্থী না থাকায় আমাদের নৌকার প্রার্থী প্রথমে অনেক গা ছাড়া ভাব দেখিয়েছে। মনে করেছিল যে, নৌকা এমনিতেই জিতে যাবে। তারা এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। হাতপাখার এত বেশি ভোট পাওয়া এটাও আরেকটি অন্যতম কারণ।’

তবে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা অহিদুজ্জামান বলেন, ‘মূলত এখানকার চেয়ারম্যানের বিগত দিনের কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তিনি সপ্তাহে দুই দিন এলাকায় আসতেন। বাকি সময় ঢাকায় থাকতেন। আরও অনেক কারণে সেখানকার মানুষ আমাদের দিকে ঝুঁকছে।’

শহরসংলগ্ন মৌকরন ইউনিয়নে ৩ হাজার ৭৭৯ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে নৌকার প্রার্থী হেরেছেন। এখানে হাতপাখা পেয়েছে ৭৪০ ভোট।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেনের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে কাজী রাইসুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম বশির আহম্মেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১১৩ ভোট।

পাশের ইউনিয়ন লাউকাঠিতে একসময়ের বিএনপি নেতা ইলিয়াস বাচ্চু টেলিফোন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হাতপাখার প্রার্থী ইদ্রিস আলী। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৭ ভোট।

এখানে নৌকার প্রার্থী আশিষ কুমার চক্রবর্ত্তী ১ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা আবুল বাশার সোহাগ ১ হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।

স্থানীয়দের মতে, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে নৌকা প্রতীক দেয়ায় ভুলের কারণে ভরাডুবি হয়েছে এখানে। যদি এখানে আবুল বাশার সোহাগকে নৌকা প্রতীক দেয়া হতো, তাহলে নৌকার বিজয় হতে পারত।

কারণ নৌকা আর বিদ্রোহী প্রার্থী মিলে এখানে পেয়েছে ৩ হাজার ১৫৪ ভোট, যা বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি।

সদর উপজেলার জৈনকা‌ঠিতে নৌকার প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ মোহ‌সিন ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৯৭২টি। এখানে হাতপাখার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৭ ভোট।

কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপ‌লি‌তে ৬ হাজার ১১৩ ভোট পেয়ে জিতেছেন নৌকার আনসার উ‌দ্দিন মোল্লা। হাতপাখার প্রার্থী মোসলেম মুসল্লি ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৫টি। তিনি সেখানে তৃতীয় হয়েছেন।

দশ‌মিনা উপজেলার চরবোরহানে নৌকার প্রার্থী ন‌জির সরদার জিতেছেন ১ হাজার ৮২১ ভোট পেয়ে। এখানে হাতপাখার সাইফুল ইসলাম মুন্সী পেয়েছেন ৫৩৯ ভোট।

অন্য একটি আসনে হাতপাখার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

আরও পড়ুন:
মায়ের কোলে শিশু গুলিবিদ্ধ
পাতিবিলায় নিহত মেম্বারের স্ত্রী লিপির জয়
এমপির ইউনিয়নে নৌকা ডুবিয়ে হাতপাখার জয়
অফিস সহকারী এজেন্ট, জ‌রিমানা
হাতিয়ায় দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP Liberation War Party Freedom Fighters

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

কোটালীপাড়ায় এস এম জিলানী
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আমরা এই আদর্শকে ধারণ করি, লালন করি। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, গণহত্যা চালিয়েছিল তখন একজন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার শহীদ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানীদের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তান সরকারের সাথে। আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে কোর্ট মার্শালে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো এই বিদ্রোহ ঘোষণার কারণে। নিশ্চিত ফাঁসি জেনেও তিনি দেশ মাতৃকার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজি মন্টু কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এসএম জিলানী বলেন, ইতিহাস থেকে জেনেছি, যখন কোনো দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নেতা সে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সেদিন দিকবেদিক নেতৃত্ব শূণ্যতায় ছিল। জিয়াউর রহমান অপেক্ষায় ছিলেন হয়তো স্বাধীনতার ঘোষণা কেউ দিবে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের নেতা যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করলেন যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দেই তাহলে বাংলাদেশর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে না। আর যদি বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হতে পারব না।

সমাবেশে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা মোদাচ্ছের ঠাকুরসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সিনিয়র নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chaksu and Hall have ended voting in the parliamentary elections

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনার প্রস্তুতি। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হচ্ছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে। এজন্য রয়েছে ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।


উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখে সত্যি ভালো লাগছে। আমাদের পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সিভিল প্রশাসনের লোকবল রয়েছে। ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If voting will be easier to go to heaven campaigning Rizvi

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত কোরআন অবমাননা ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জামায়াত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা কিছু ছেলেপেলেকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, কটূক্তি ও করুচিপূর্ণ কথা ছড়ানোর বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা মিথ্যাকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত আওয়ামী লীগের লেজ ধরে চলতে ভালোবাসে, এখনো কেন যেন আওয়ামী লীগের ভোট নেওয়ার জন্য কায়দা কানুন করছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ইসলামের মৌলিক নীতির বাইরে কথা বলছে তারা।’
সাধারণ মানুষ পিআর সম্পর্কে জানে না জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন তাদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে, তারা শর্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করে জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Some advisers have a record of conspiracy to us Taher

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন ও উপদেষ্টা পর্যায়ে দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে কাজ করছেন। কারা কারা ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের তালিকা ও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, বর্তমানে ডিসি, এসপি ও ইউএনও নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারের কিছু উপদেষ্টা, যারা নিজেরা নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও, মূলত একটি দলের হয়ে ভূমিকা রাখছেন।
তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ষড়যন্ত্র থামাতে হবে। প্রশাসনের ভেতর দলীয় প্রভাব ও গোপন মদদ থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা নির্বাচনের নামে নাটক করতে চায়, জনগণ তা মেনে নেবে না।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আবারও গণভোটের দাবি তুলে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গণভোট আয়োজন করতে হবে। এতে জনগণের ইচ্ছা ও বাস্তবতা পরিস্কার হবে। স্বচ্ছতা থাকলে ২১ দিনেই গণভোট সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একটি দল মুখে গণতন্ত্র ও সংস্কারের কথা বললেও ঐক্যমতের ক্ষেত্রে তারা অনুপস্থিত। জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাজপথে থাকব। প্রয়োজন হলে আরও বড় কর্মসূচিতে যাব।
জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে তাহের বলেন, জামায়াত দখলবাজি করে না, চাঁদাবাজি করে না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ক্ষমতায় গেলে কৃষকের ঋণ মামলাগুলো প্রত্যাহার করব। আমরা সুষ্ঠু ও ন্যায়ভিত্তিক বিচার চাই, যেন-তেন বিচার নয়।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের দাবি মেনে নিতে হবে। গণভোট দিতে হবে। পিআর পদ্ধতি মানতে হবে। আর যারা খুন-গুমে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaats human chain in Sherpur demanding five points including election in PR system 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রথম গেইটে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির মাও: হাফিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি নুরুজ্জামান বাদল, সাবেক নায়েবে আমির মাও: আব্দুল বাতেনসহ আরো অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তারা জামায়াত ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Zoom meetings with Hasina are being trapped

হাসিনার সঙ্গে জুম মিটিং, ফেঁসে যাচ্ছেন ২৮৬ নেতাকর্মী

হাসিনার সঙ্গে জুম মিটিং, ফেঁসে যাচ্ছেন ২৮৬ নেতাকর্মী

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। তবে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে দেশ ও বিদেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন মিটিং এ যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিতে দেখা গেছে হাসিনাকে।

এদিকে ২০২৪ সালের শেষভাগে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত একটি জুম বৈঠককে কেন্দ্র করে এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা গড়ে ওঠে। ২০২৪ সালে ১৯ ডিসেম্বর ওই ভার্চুয়াল সভায় দেশ ও বিদেশ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।

সিআইডির ফরেনসিক ও গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওই সভায় অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন বৈধ সরকার উৎখাতের আহ্বান, গৃহযুদ্ধ উসকে দেয়ার পরিকল্পনা এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনার ঘোষণা দেন।

এই তথ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলে, ২০২৫ সালের ৪ মার্চ মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইডিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত ও অভিযোগ দায়েরের অনুমতি প্রদান করে। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ রমনা থানায় সিআর মামলা নং-২২২/২০২৫ দাখিল হয়, যার ধারাগুলো- বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১২১, ১২১(ক), ১২৪(ক)।

পাঁচ মাসেই সিআইডির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিচার শুরু হচ্ছে। আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত তিনটি প্রধান এজেন্ডা- সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ সম্পর্কিত ধারায় (১২১/১২১ক/১২৪ক) অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সংস্থাটি। এ মামলার বিচারকার্য শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-১৮, ঢাকায় মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামিদের অধিকাংশ অনুপস্থিত থাকায় আদালত জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ প্রদান করেন।

ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ের বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে দেশে থাকা সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করে বিভিন্ন জেলা কারাগারে থাকা ৯১ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকি ১৯৫ জন আসামি এখনো পলাতক বলে জানা গেছে।

গতকালকের শুনানিতে প্রধান আসামিসহ অধিকাংশ অভিযুক্ত আদালতে অনুপস্থিত থাকায়, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য সমন ও গণবিজ্ঞপ্তি’ জারি করার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে আসামিদের হাজির হতে আহ্বান জানানোর নির্দেশ দেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা অনুপস্থিত থাকলে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫১২ ধারার আওতায় অনুপস্থিতিতেই বিচার পরিচালনা করা হবে বলে আদালত উল্লেখ করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন—রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিচার ও দায়বদ্ধতা’ এজেন্ডার বাস্তব প্রতিফলন, তেমনি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার দৃঢ় সঙ্কেতও।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tareq Rahmans public relations with Tareq Munshi

তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার দিনব্যাপী দেবিদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী। এ সময় তিনি খলিলপুর বাজার, নূরপুর, ফতেহাবাদ মোকামবাড়ি ও ফতেহাবাদ বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। এছাড়া খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গঙ্গামন্ডল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফতেহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগকালে এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি হলো জাতির পুনর্জাগরণের নকশা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ কেবল একটি প্রতীক নয়, এটি পরিবর্তন ও আশার প্রতীক। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মাহফুজ, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম পাঠান, ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পূর্ব বিএনপির সভাপতি শাকিল মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, পশ্চিম শাখার সভাপতি এডভোকেট সোহরাব হোসেন, সদস্য সচিব দৌলত খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ইমরান হাসান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল হাসান, জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ এবং উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কাউছার মোল্লা।

মন্তব্য

p
উপরে