× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The mother lost her life leaving her children behind
google_news print-icon

সন্তানদের আগলে রেখে প্রাণ হারিয়েছেন মা

সন্তানদের-আগলে-রেখে-প্রাণ-হারিয়েছেন-মা
প্রতিবেশী মাজেদা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার সময় শাহিনুর যমজ দুই সন্তান নিয়ে মা-বাবা ও বোনের সঙ্গে ঘরে ছিলেন। পাহাড় ধসে পড়ার পর সবার ক্ষতি হলেও দুই মেয়েকে বুকে আগলে রেখেছিলেন শাহীনুর। নিজে মরে গেলেও তাদের কোনো ক্ষতি হতে দেননি।’

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা এলাকার ফজলুল হকের বাসা। মূল ঘরটি সেমি পাকা হলেও অর্ধেক টিনের তৈরি। এখানে স্ত্রী, দুই মেয়ে, জামাতা, তিন নাতি-নাতনিকে থাকতেন ফজলুল।

শুক্রবার রাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ফজলুলের ঠিকানা। ঘরের ঠিক মাঝ বরাবর ধসে পড়ে পাহাড়। এতে চাপা পড়েন গৃহকর্তা, তার স্ত্রী রানু বেগম, দুই মেয়ে শাহীনুর আক্তার, মাইনুর আক্তার, শাহীনুরের সাত মাসের যমজ কন্যা তাকিয়া ইয়াসমিন তিন্নি ও তাসকিয়া ইসলাম তানহা।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন শাহিনুর ও মাইনুর। কিছুটা আঘাত পান তাদের মা-বাবা। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুই বোনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আকবর শাহ থানার ১ নম্বর ঝিলের শেষ প্রান্তে শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ফজলুলের ঘর। এই ঘরের কিছুটা নিচে থাকেন তার আরেক মেয়ে নার্গিস বেগম। ছোট দুই বোন হারিয়ে বিলাপ করছিলেন তিনি।

প্রতিবেশী মাজেদা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার সময় শাহিনুর যমজ দুই সন্তান নিয়ে মা-বাবা ও বোনের সঙ্গে ঘরে ছিলেন। পাহাড় ধসে পড়ার পর সবার ক্ষতি হলেও দুই মেয়েকে বুকে আগলে রেখেছিলেন শাহীনুর। নিজে মরে গেলেও তাদের কোনো ক্ষতি হতে দেননি।’

ঝিলের গলিতে দাঁড়িয়ে কান্না করছিলেন শাহীনুরের স্বামী জয়নুল আবেদীন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ছেলেকে নিয়ে বাইরে ছিলাম। আমরা বলার কোনো ভাষা নেই। আমার তিনটা বাচ্চার মা আর নাই। আমি আর কিছু বলতে পারব না।’

আলাদা পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই বোন ছাড়াও চট্টগ্রামে প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন।

পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাকের আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১টার দিকে ১ নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধস হয়। সেখান থেকে আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

‘এরপর আমরা রাত ৩টার দিকে ফয়েস লেকের বিজয়নগর এলাকায় আরেকটি ধসের খবর পাই। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস দুই ভাইয়ের মাটিচাপা মরদেহ উদ্ধার করে।’

আরও পড়ুন:
আশ্রয়কেন্দ্রে পাহাড়ের আরও ১ হাজার মানুষ
ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটা পাহাড়ে ধস
পাহাড়ধস: নিরাপদ আশ্রয়ে ২ হাজার মানুষ
চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে সরানো হলো ১৩০ পরিবার
চট্টগ্রামে অতিভারী বর্ষণ, জলাবদ্ধতা শহরে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The sale of onion has decreased

কমেছে বিক্রি, আড়তেও নেই পেঁয়াজ

কমেছে বিক্রি, আড়তেও নেই পেঁয়াজ ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজারে আমরা অভিযান চালিয়েছি। কারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

সারা দেশে পেঁয়াজের বাজার এখন অস্থির। খুচরা বাজারের পাশাপাশি এমন অবস্থা চট্টগ্রামের আড়তগুলোতেও। পেঁয়াজ বিক্রি তাই অনেকটা কমে গেছে আড়তে। এর বাইরে বেশিরভাগ আড়তেই পেঁয়াজ নেই।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর নগরীর ব্যবসাকেন্দ্র চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে রোববার এ দৃশ্য দেখা গেছে।

দুদিন ধরে পাইকারি বাজারের পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ায় নগরীর খুচরা বাজারেও ক্রেতার সংখ্যা কমেছে অনেক। রোববার পাইকারি বাজারে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তবে ক্রেতা ছিল খুবই কম।

স্থানীয়রা বলছেন, শনিবার হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। আর আড়তদারেরা বলছেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কম। যা আছে তার ক্রেতাও নাই। দাম শুনে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করছেন না ক্রেতারা।

পাইকারি বাজার চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগই আড়ত পেঁয়াজশুন্য। কয়েকটাতে পেঁয়াজ থাকলেও ক্রেতা নেই। বসে আছেন বিক্রেতারা। দু-চারজন আসলেও দাম শুনে না কিনেই ফেরত গেছেন।

রিয়াজুদ্দিন বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা শামীম খান বলেন, পাইকারি বাজারে দাম ১৭০-১৮০ টাকা। খুচরায় ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি করতে হবে। এই দামে ক্রেতারা কিনতে চাইবে না।

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার দাম হঠাৎ করেই দ্বিগুণ হয়ে যায়। কেজিতে বাড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

বাজার নিয়ন্ত্রণে এদিন সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের বাজারগুলোতেও অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে অভিযান চালায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়,মুদি দোকানগুলোতে পেঁয়াজ তেমন একটা নেই কয়েকটাতে থাকলেও দাম ২০০ টাকার আশেপাশে। তবে কোনো দোকানেই ক্রেতা নেই।

চাক্তাই,খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ না আসায় আড়ত এখন খালি। যাও দুএকজনের কাছে আছে তাও বিক্রি হচ্ছে না। পেঁয়াজ পচনশীল হওয়ায় আমদানিকারক ও আড়তদাররা সমস্যায় পড়েছেন। লোকসান দিতে হবে তাদের।

এদিকে শনিবার হঠাৎ দাম বাড়িয়ে কয়েকটি সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ।

পেঁয়াজের কেনা দাম ৮০-৮৫ টাকার বেশি নয়, কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকার বেশি। পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ওই সিন্ডিকেট মুনাফা করেছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

খুচরা বাজারে শুক্রবার পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা থাকলেও শনিবার ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়। একদিনে কেজিতে ১২০-১৪০ টাকার বেশি মূল্যবৃদ্ধির ঘটনাকে নজিরবিহীন আখ্যায়িত করা হয়েছে।

দাম বাড়ার পর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। টনে টনে পেঁয়াজ বিক্রি হয়। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা আগের কেনা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজারে আমরা অভিযান চালিয়েছি। কারা এ ধরনের ঘটনায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ink over Whips name on Inaugural Plaque of Lake Bridge at Gaibandha

গাইবান্ধায় লেকের সেতুর উদ্বোধনী ফলকে হুইপের নামের ওপর কালি

গাইবান্ধায় লেকের সেতুর উদ্বোধনী ফলকে হুইপের নামের ওপর কালি
৫ ডিসেম্বর সকালে পথচারী ও স্থানীয়রা দেখতে পান, ওই ফলকে উদ্বোধকের নামের ওপর কালি দিয়ে নাম মুছে দিয়েছে কে বা কারা।

গাইবান্ধা জেলা শহরের ঘাঘট লেকের উওপর দৃষ্টিনন্দন ব্রিজের উদ্বোধনী ফলকে উদ্বোধকের নামের ওপর কালি দিয়ে নাম মুছে দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রাতের আঁধারে কে বা কারা আর এ কাজ করেছে তা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।

গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌর শহরের ডেভিড কোম্পানি পাড়া এলাকায়, নতুন বাজার সংলগ্ন ঘাঘট নদীর ওপর (ঘাঘট লেক) দৃষ্টিনন্দন এই গার্ডার সেতুর উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাংসদ মাহাবুব আরা বেগম গিনি।

৫ ডিসেম্বর সকালে পথচারী ও স্থানীয়রা দেখতে পান, ওই ফলকে উদ্বোধকের নামের ওপর কালি দিয়ে নাম মুছে দিয়েছে কে বা কারা।

ঘাঘট লেক পাড়ার (ডেভিট কোম্পানীনি পাড়া) বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শেখ রোহিত হাসান রিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে উন্নয়ন তথা গিনি আপার উন্নয়নের ধারায় ঈর্শান্বিত হয়ে তার নামের ওপর কালি লেপন করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের হুইপ ও গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের এমপি মাহাবুব আরা বেগম গিনি মোবাইল ফোনে বলেন, কে বা কারা এই কাজটি করেছে আমি জানিনা।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী মো. বাবলু মিয়া মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না, আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত মোতাবেক, যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
An onion trader in Narayanganj was fined lakhs of rupees

নারায়ণগঞ্জের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা

নারায়ণগঞ্জের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
অভিযান শুরুতে বাজারের পেঁয়াজের দোকানে দোকানে গিয়ে মূল্য তালিকা ও ক্রয়-বিক্রয় মূল্য যাচাই বাছাই করেন কর্মকর্তারা। পরে কয়েকটি দোকানে গরমিল পাওয়া গেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন।

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে একটি বাজারের কয়েকটি পেঁয়াজের পাইকারি দোকানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রম্যমাণ আদালত।

রোববার দুপুরে নগরীর দ্বিগু বাবুর বাজারে চালানো এই অভিযানে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য কারসাজি করায় এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারশিদ ইবনে এনামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিপণন আধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে সহায়তা করে র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা।

অভিযান শুরুতে বাজারের পেঁয়াজের দোকানে দোকানে গিয়ে মূল্য তালিকা ও ক্রয়-বিক্রয় মূল্য যাচাই বাছাই করেন কর্মকর্তারা। পরে কয়েকটি দোকানে গরমিল পাওয়া গেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন।

এ সময় অধিকাংশ দোকানের মালিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে সটকে পড়েন। তবে কয়েকটি দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা ও ভুল তথ্য দিয়ে দোকানদাররা বিভ্রান্ত করাসহ চালানপত্র যাচাই-বাছাই করে পেঁয়াজ ক্রয়-বিক্রয় মূল্যের কারসাজির প্রমাণ পান তারা।

রাজধানীর শ্যামবাজারের আমদানিকারাকের কাছ থেকে ৯৩ টাকার কিনে ১৫৬ টাকায় ও এর চেয়েও অধিক মূল্যে বিক্রির অভিযোগে ইউনুস বেপারি নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

অভিযান শেষে কৃষি বিপণন কর্মকতা আতিকুল ইসলাম জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বিব্রত করতে ও বেকায়দায় ফেলতে একটি কুচক্রি মহল পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।

তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন:
ভারত থেকে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে ‘শিগগিরই’
এক দিনে পেঁয়াজের দ্বিগুণ দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতা
বাগেরহাটের বাজারে কেজিতে ১০০ টাকা বাড়ল পেঁয়াজের দাম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After 8 hours ferry starts Paturia Daulatdia

সোয়া ৮ ঘণ্টা পর ফেরি চালু পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায়

সোয়া ৮ ঘণ্টা পর ফেরি চালু পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় কুয়াশা কেটে যাওয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। ফাইল ছবি
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মোহাম্মদ শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘কুয়াশার তীব্রতা কমে যাওয়ায় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করা হয়। তবে মাঝনদীতে আটকা পড়া ফেরিগুলো পারে পৌঁছালে তারপর উভয় পার থেকে ফেরি ছাড়া হয়।’

ঘন কুয়াশায় সোয়া আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে।

ঘন কুয়াশার তীব্রতা কমে গেলে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুনরায় ফেরি চালু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।

এর আগে, ঘন কুয়াশার কারণে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার রাত সোয়া ১টার দিকে ওই নৌপথে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোহাম্মদ শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘কুয়াশার তীব্রতা কমে যাওয়ায় পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করা হয়। তবে মাঝনদীতে আটকা পড়া ফেরিগুলো পারে পৌঁছালে তারপর উভয় পার থেকে ফেরি ছাড়া হয়।

‘এর আগে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি বন্ধ রাখা হয়। ফেরি বন্ধ রাখায় যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই চারটি ফেরি নদীতে আটকা পড়ে। ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার পর সিরিয়াল অনুযায়ী এসব যানবাহন পারপার করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় বন্ধ ফেরি
চালুর এক মাসেই কুড়িগ্রামে ফেরি বন্ধ, ফের ভোগান্তি
শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ভোগান্তি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে
শিমুলিয়ায় ফেরিতে মোটরসাইকেল ওঠা শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EC order to withdraw Meherpur SP

মেহেরপুরের এসপিকে প্রত্যাহারে ইসির নির্দেশ

মেহেরপুরের এসপিকে প্রত্যাহারে ইসির নির্দেশ মেহেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) রাফিউল আলম। ছবি: সংগৃহীত
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল ও সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক এবং হবিগঞ্জ, পিরোজপুর, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপারকে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) রাফিউল আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার দুপুরে ইসি থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল ও সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক এবং হবিগঞ্জ, পিরোজপুর, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপারকে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার ও বদলির এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

রাফিউল আলম ২০২১ সালের ১৫ জুলাই পুলিশ সুপার হিসেবে মেহেরপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যোগদান করেছিলেন।

একইসঙ্গে তাদের স্থলে অভিজ্ঞ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়নের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবদের চিঠি দিয়েছে ইসি।

আরও পড়ুন:
প্রার্থীকে ‘গেট আউট’ বলে হাইকোর্টে যেতে বললেন সিইসি
দুই পুলিশ কমিশনার পাঁচ এসপি এক ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Common people of Kurigram suffer due to thick fog

ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ

ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ কুড়িগ্রামে রোববার ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। ছবি: নিউজবাংলা
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ওসি সুবল চন্দ্র বলেন, ‘এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকবে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদীপাড়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

জেলায় রোববার ভোর ছয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই এখানে কমতে শুরু করে তাপমাত্রা, যার ফলে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা।

এমন পরিস্থিতিতে দিনমজুর ও কাজে যাওয়া লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের অটোভ্যান চালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘রাত থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। সকালে কুয়াশার জন্য সড়কে কিছু দেখা যায় না। ভ্যান নিয়ে বের হতে কষ্ট হচ্ছে।’

ঘন কুয়াশায় কিছু দেখা না যাওয়ায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।

ওই এলাকার অটোরিকশার চালক রুবেল মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। যাত্রীও অনেক কমে গেছে।’

এ বিষয়ে জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ওসি সুবল চন্দ্র বলেন, ‘এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকবে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
২৫ বছর আগে ঢাকায় হারানো মাইদুল খুঁজে পেলেন পরিবার
শিক্ষা অফিসারের রোষানলে পদ গেল প্রধান শিক্ষকের
নদীগর্ভে চিলমারীতে বিলীন স্কুলের পাঠদান রৌমারীতে
মানসিক ভারসাম্যহীনের চুল-দাড়ি কাটিয়ে নতুন জামা পরিয়ে দিলেন স্থানীয়রা
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে মাদ্রাসার ৯ শিক্ষার্থী আহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
44 passengers rescued from St Martin ship stuck in the water

ডুবোচরে আটকা সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ থেকে ৪৪ যাত্রী উদ্ধার

ডুবোচরে আটকা সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ থেকে ৪৪ যাত্রী উদ্ধার আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
রোববার বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

ডুবোচরে আটকে যাওয়া টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী একটি জাহাজ থেকে ৪৪ যাত্রীকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।

রোববার বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এম ভি গ্রিন লাইন-১’ টেকনাফের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ৪৪ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। পরে সেন্টমার্টিনের ৪ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সমুদ্র এলাকায় ডুবোচরে জাহাজটি আটকে যায়।

কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পর্যটকবাহী জাহাজ থেকে পর্যটকরা কোস্ট গার্ড স্টেশন সেন্টমার্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিক কোস্ট গার্ডের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ স্টেশন থেকে একাধিক উদ্ধারকারীদল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করে। তাদের নিরাপদে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সেন্টমার্টিন নোঙ্গরে অবস্থানরত কোস্ট গার্ড জাহাজ কামরুজ্জামান-এ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় বলেও জানান কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
মিগজাউমে উত্তাল সাগর, সেন্টমার্টিনে জাহাজ বন্ধ
সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি জাহাজে টেকনাফের পথে পর্যটকরা
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে ডুবোচরে আটকা ‘বার আউলিয়া’

মন্তব্য

p
উপরে