× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
There is nothing wrong with the result of those four centers in Comilla polls
google_news print-icon

কুমিল্লার ভোটে সেই চার কেন্দ্রের ফলে কোনো গড়বড় নেই

কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর উচ্ছ্বসিত আরফানুল হক রিফাত (ডানে), পাশে সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। ছবি: নিউজবাংলা
শেষ যে চারটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে বরাবর ভালো ব্যবধানে জয় পায় আওয়ামী লীগ। শালবন বিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আলাদা করে কোনো দলের প্রভাব নেই। একেকবার একেক প্রার্থী জেতেন। দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি কেন্দ্র। বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কুর প্রভাবিত এলাকা। বেশির ভাগ সময় বিএনপির প্রার্থীরাই জিতেছেন। এবার সাক্কু ও কায়সারের মধ্যে ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ায় নৌকা জিতেছে।

কুমিল্লায় একেবারে শেষে ঘোষণা করা যে চার কেন্দ্রের ভোট যোগ হওয়ার পর নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত অল্প ভোটে জিতেছেন, তার প্রতিটি কেন্দ্রের ফল নিউজবাংলার হাতে এসেছে।

প্রতিটি কেন্দ্রেই প্রার্থীদের এজেন্টদের কাছে আগেই ফল তুলে দেয়া হয়েছিল এবং পরে সেগুলো প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা পাঠান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সইসহ ফলাফলের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষণা করা ফলে কোনো পার্থক্য নেই।

পরাজিত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, তারা কেন্দ্র থেকেই সেই ফল পেয়েছেন।

গত বুধবার কুমিল্লায় ভোট হয় ১০৫টি কেন্দ্রে। এর মধ্যে ৫৪টিতে জয় পায় নৌকা। ৫০টিতে জয় পায় মনিরুল হক সাক্কুর টেবিল ঘড়ি আর একটিতে জয় হয় নিজামউদ্দিন কায়সারের ঘোড়া মার্কা।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ১০১টি কেন্দ্রে সাক্কু যখন পাঁচ শতাধিক ভোটে এগিয়ে ছিলেন, তখনও যে চারটি কেন্দ্রের ফলাফল আসতে বাকি, তার মধ্যে একটি নৌকার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। একটিতে কোনো একক দলের প্রভাব নেই। বাকি দুটিতে সাধারণত বিএনপির প্রার্থীরাই জিতে থাকেন, তবে এবারের সমীকরণে ছিলেন নিজামউদ্দিন কায়সার।

শেষ যে চারটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে বরাবর ভালো ব্যবধানে জয় পায় আওয়ামী লীগ।

শালবন বিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আলাদা করে কোনো দলের প্রভাব নেই। একেকবার একেক প্রার্থী জেতেন।

দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্র। বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরীর প্রভাবিত এলাকা। বেশির ভাগ সময় বিএনপির প্রার্থীরাই জিতেছেন।

এটি সদর দক্ষিণের একটি কেন্দ্র। এবার সদর দক্ষিণের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোট পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে ভোটে দাঁড়ানো নিজামউদ্দিন কায়সার। মূলত তিনি ভোট কাটার কারণেই সাক্কু এই দুটি কেন্দ্রে হেরে গেছেন।

দুই প্রধান প্রার্থীর যে কেউ জিততে পারেন, এই পরিস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণার একেবারে শেষ দিকে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে শুরু হয় হট্টগোল। নৌকা ও ঘড়ি প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে হাঙ্গামার কারণে মিনিট বিশেক ফল ঘোষণা স্থগিত থাকে। এরপর চারটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হওয়ার পর ৩৪৩ ভোটে জয় পায় নৌকা।

কুমিল্লার ভোটে সেই চার কেন্দ্রের ফলে কোনো গড়বড় নেই
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণার একেবারে শেষ দিকে শিল্পকলা একাডেমিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে শুরু হয় হট্টগোল

তাৎক্ষণিকভাবে সাক্কু অভিযোগ করেন, ফল ঘোষণা স্থগিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ফোনে ওপর মহলের সঙ্গে কথা বলে তার জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন।

তবে ভোটের পর দুই দিন সাক্কু বা তার এজেন্টের পক্ষ থেকে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতির খবর মেলেনি, বরং সাক্কু এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতির কথা বলছেন।

সেই চার কেন্দ্রে কোন প্রার্থী কত ভোট পেলেন

আওয়ামী লীগ প্রভাবিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৮৭ জন। সেখানে নৌকা নিয়ে আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৮৫৩ ভোট, ঘড়ি নিয়ে সাক্কুর পক্ষে পড়েছে ৪০৮ ভোট এবং নিজামউদ্দিন কায়সার ১৫৭ ভোট পেয়েছেন।

এই কেন্দ্রে রিফাত ব্যবধান কমিয়ে ফেলেন ৪৪৫ ভোট।

গোটা নির্বাচনে ৫৮ শতাংশ ভোট পড়লেও এই কেন্দ্রে এর চেয়ে কম ভোটাররা ভোট দিতে আসেন। সেখানে ভোট পড়ে ৪৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শালবন বিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন ২ হাজার ১৫৩ জন। ভোট পড়ে ১ হাজার ৪০৫টি। এর মধ্যে দুটি ভোটকে বাতিল করা হয়। ভোটের হার ৬৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এখানে নৌকা নিয়ে রিফাত পেয়েছেন ৬৫৬ ভোট, সাক্কুর ঘড়িতে পড়েছে ৩২৬ ভোট এবং কায়সারের ঘোড়ায় পড়েছে ৩০৮ ভোট।

অর্থাৎ এই কেন্দ্রে নৌকা বেশি পেয়েছে ৩৩০ ভোট, যা ভোটের ব্যবধান ঘুচিয়ে রিফাতকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।

এই কেন্দ্রে কায়সারের কারণেই মূলত সাক্কু বড় ব্যবধানে হেরেছেন। বিএনপিপন্থিদের ভোটের বেশির ভাগ অংশই পেয়েছেন তিনি।

বাকি দুই কেন্দ্রের মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটিতে ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৫৯৪ জন। এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ১০২ জন। বাতিল হয়েছে দুটি ভোট। ওই কেন্দ্রে শতকরা ভোট পড়ে ৬৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এই ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ৪১৩টি, সাক্কু পেয়েছেন ৩৭৮টি আর কায়সার পেয়েছেন ২৫৬টি।

স্পষ্টতই বিএনপিপন্থিদের ভোট দুই ভাগ হয়ে যাওয়ায় নৌকার জয় দেখেছে এই কেন্দ্রটি। সাক্কুর চেয়ে রিফাত বেশি পেয়েছেন ৩৫ ভোট। অন্যদিকে কায়সার আড়াই শরও বেশি ভোট নষ্ট করেছেন সাক্কুর।

দিশাবন্দেই আরেক কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৬৩৯ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ হাাজর ২১২টি। ভোটের হার ৬৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

এই ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ৫২৫টি, সাক্কুর ঘড়িতে পড়েছে ৩৬৭টি আর কায়সারের ঘোড়ায় পড়েছে ২৩৬ ভোট।

ঘড়ির তুলনায় নৌকা বেশি পেয়েছে ১৫৮ ভোট। এখানেও বিএনপিপন্থিদের ভোট এক বাক্সে পড়লে অতীতে জয়ের ধারাবাহিকতা দেখা যেত।

কী বলছেন সাক্কুর সমন্বয়ক

শেষে ঘোষণা করা চার কেন্দ্রের ফলের বিষয়ে সাক্কুর নির্বাচনি সমন্বয়ক কবির মজুমদার বলেন, ‘সব কেন্দ্রেই আমাদের এজেন্ট ছিল। আমরা ফলাফল বুঝে পেয়েছি। সেখানে কোনো সমস্যা ছিল না।’

সেই কেন্দ্রগুলোতে সাক্কুর এজেন্টদের নাম দিতে পারেননি জনাব মজুমদার। ফলে তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার আপনাদের বিস্তারিত জানাব।’

তবে শুক্রবার যোগাযোগ করা হলে আরও এক দিন সময় নেন তিনি।

কী বলছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

চার কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ইভিএমের ফলাফল বের করে এজেন্টদের হাতে দিয়েছি। সরকারি যেসব গোয়েন্দা সংস্থা আছে, সেগুলো ছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় যেখানে ফলাফল পাঠাতে হয় আমরা সবখানে পাঠিয়েছি।’

কুমিল্লার ভোটে সেই চার কেন্দ্রের ফলে কোনো গড়বড় নেই
কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিজয়ী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল বুঝিয়ে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের ফল পরিবর্তনের কোনো সুযোগই নেই। কেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্টদের স্বাক্ষর রেখে ফল দেয়া হয়। তারপর ফলাফল ঘোষণা করি।’

সেই রাতের হট্টগোলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার সময় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্লোগান শুরু হয়। বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ আসে সেখানে।

এ সময় আমি ওয়াশরুমে যাই। উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয়, ডিসি ও এসপি সাহেবকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করি। এসে বাকি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করি।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় আরও বড় জয় চেয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী
আগেই বলেছিলাম নৌকা জিতবে: রিফাত
জিতলেও ভোট কমল নৌকার, ‘বিএনপির ভোট’ দুই ভাগ
‘কোনো অভিযোগ না থাকা’ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান সাক্কুর
কুমিল্লায় ফল ঘোষণার কেন্দ্রে হাঙ্গামা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The image of Daksu Jaksu Chaksu will be seen by the nation in the future Jamaat Amir

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঢাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে। সব জায়গায় একই চিত্র। মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে। এর প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন বক্তব্যজুড়ে।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ্য করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটি আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেছে। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসূলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করব।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রাধান্য আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাইছি, যেখানে শাসকেরা জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি ও ঘাটতির জন্য মাফ চাইবে। তারা কারও কাছ থেকে প্রশংসা চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, যেমন “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।

তিনি বলেন, যে সমাজে যুব সমাজ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজ ও জাতি কখনো পরিবর্তন না হয়ে পারে না।

তিনি জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রথম অঙ্গীকার, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো। শিক্ষা ভালো না হলে জাতি কখনো ভালো হতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।

দ্বিতীয়ত, সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি বাসা গেঁড়ে বসে আছে। এই দুর্নীতি থাকবে না। এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, করবো ইনশাআল্লাহ। লড়াই করবো, হিমালয়ের মতো পর্বত সমান বাধা আসলেও দুর্নীতির অস্তিত্ব যেন আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি।

তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার প্রাপ্ত হক বা ন্যায়বিচার পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এজন্য যেন আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা, নারী ও শিশু কাউকে চেষ্টা করতে না হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no option but to have national elections and referendum together Ruhul Kabir Rizvi

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে আবারও জোরালো মত দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে। আর জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যে যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই এমন এক জায়গায় উপনীত হবেন যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে আমাদের যেন বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে, কালো ঘোড়া ঢুকে যেতে পারে।
রিজভী বলেন, উন্নত দেশ দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে, এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশন হয় না। এ নিয়ে সেইসব দেশে আলাপ-আলোচনা, বির্তক চলছে। আপনি জানেন যে, জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। যেখানে সারাবিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি, সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেনো চালু করতে চাইবেন?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি হঠাৎ করে পিআরের কথা বলেন, এতে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করবে। আমি এ পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে- সেখানে অধিকাংশ মানুষের আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ যেগুলো অতি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ব্রিটেন, আমেরিকা যদি আমরা বলি বা আরও অন্য দেশে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে পদ্ধতিটা চালু আছে- সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। আমাদের এখানে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে পিআর উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের মডেল? এটা আমার মনে হয়, অবান্তর কথা তারা (জামায়াতে ইসলামী) বলছেন। এটা বলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছেন অথবা তাদের অন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না আমি জানি না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
NCP will not sign July charter without legal basis

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নাটকীয়তায় অংশ নেবে না এনসিপি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোনো ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য হয়নি। বরং একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো সংস্কারের জন্য হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম।’

এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সনদ স্বাক্ষরের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দিয়ে এ আদেশ প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাক্ষরের আগেই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় দলগুলোর ঐক্যমত হতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টা বিবেচনা করব। আদেশের টেক্সটের খসড়া আমরা আগে দেখতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে সরকার গঠন করেছেন, সেই জায়গা থেকে সেটা প্রেসিডেন্ট নয় বরং সরকার প্রধান হিসেবে তিনি সেটি জারি করবেন।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গণভোট দ্বারা জনগণ সনদের পক্ষে ভোট দিলে পরের সংসদকে কনস্টিটিউট পাওয়ার দেওয়া হবে। সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করতে এই দাবির সঙ্গে মোটামুটি সবাই একমত। এটার সংশোধনী হবে কিনা আমাদের কাছে কিন্তু তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে ৮৪টি সংস্কারের বিষয়ে গণভোট হবে। এতে নোট অব ডিসেন্টের আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের প্রশ্ন কি হবে তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব ও আহ্বায়ক জাবেদ রাসিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP Liberation War Party Freedom Fighters

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

কোটালীপাড়ায় এস এম জিলানী
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আমরা এই আদর্শকে ধারণ করি, লালন করি। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, গণহত্যা চালিয়েছিল তখন একজন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার শহীদ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানীদের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তান সরকারের সাথে। আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে কোর্ট মার্শালে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো এই বিদ্রোহ ঘোষণার কারণে। নিশ্চিত ফাঁসি জেনেও তিনি দেশ মাতৃকার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজি মন্টু কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এসএম জিলানী বলেন, ইতিহাস থেকে জেনেছি, যখন কোনো দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নেতা সে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সেদিন দিকবেদিক নেতৃত্ব শূণ্যতায় ছিল। জিয়াউর রহমান অপেক্ষায় ছিলেন হয়তো স্বাধীনতার ঘোষণা কেউ দিবে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের নেতা যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করলেন যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দেই তাহলে বাংলাদেশর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে না। আর যদি বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হতে পারব না।

সমাবেশে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা মোদাচ্ছের ঠাকুরসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সিনিয়র নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chaksu and Hall have ended voting in the parliamentary elections

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনার প্রস্তুতি। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হচ্ছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে। এজন্য রয়েছে ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।


উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখে সত্যি ভালো লাগছে। আমাদের পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সিভিল প্রশাসনের লোকবল রয়েছে। ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If voting will be easier to go to heaven campaigning Rizvi

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত কোরআন অবমাননা ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জামায়াত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা কিছু ছেলেপেলেকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, কটূক্তি ও করুচিপূর্ণ কথা ছড়ানোর বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা মিথ্যাকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত আওয়ামী লীগের লেজ ধরে চলতে ভালোবাসে, এখনো কেন যেন আওয়ামী লীগের ভোট নেওয়ার জন্য কায়দা কানুন করছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ইসলামের মৌলিক নীতির বাইরে কথা বলছে তারা।’
সাধারণ মানুষ পিআর সম্পর্কে জানে না জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন তাদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে, তারা শর্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করে জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Some advisers have a record of conspiracy to us Taher

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন ও উপদেষ্টা পর্যায়ে দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে কাজ করছেন। কারা কারা ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের তালিকা ও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, বর্তমানে ডিসি, এসপি ও ইউএনও নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারের কিছু উপদেষ্টা, যারা নিজেরা নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও, মূলত একটি দলের হয়ে ভূমিকা রাখছেন।
তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ষড়যন্ত্র থামাতে হবে। প্রশাসনের ভেতর দলীয় প্রভাব ও গোপন মদদ থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা নির্বাচনের নামে নাটক করতে চায়, জনগণ তা মেনে নেবে না।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আবারও গণভোটের দাবি তুলে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গণভোট আয়োজন করতে হবে। এতে জনগণের ইচ্ছা ও বাস্তবতা পরিস্কার হবে। স্বচ্ছতা থাকলে ২১ দিনেই গণভোট সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একটি দল মুখে গণতন্ত্র ও সংস্কারের কথা বললেও ঐক্যমতের ক্ষেত্রে তারা অনুপস্থিত। জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাজপথে থাকব। প্রয়োজন হলে আরও বড় কর্মসূচিতে যাব।
জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে তাহের বলেন, জামায়াত দখলবাজি করে না, চাঁদাবাজি করে না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ক্ষমতায় গেলে কৃষকের ঋণ মামলাগুলো প্রত্যাহার করব। আমরা সুষ্ঠু ও ন্যায়ভিত্তিক বিচার চাই, যেন-তেন বিচার নয়।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের দাবি মেনে নিতে হবে। গণভোট দিতে হবে। পিআর পদ্ধতি মানতে হবে। আর যারা খুন-গুমে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

p
উপরে