কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সিংহভাগ এলাকায় জয় পেয়েছেন।
নৌকা মার্কা নিয়ে মেয়র পদে দলের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত জিততে পেরেছেন বিএনপির ভোট দুই ভাগ হয়ে যাওয়ায়। দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জন করলেও দলটির কর্মী-সমর্থকদের একাংশ মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে এবং অপর অংশ নিজামউদ্দিন কায়সারের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
কায়সার ভোট পেয়েছেন ২৯ হাজারের বেশি আর সাক্কু হেরেছেন কেবল ৩৪৩ ভোটে।
তবে কাউন্সিলর নির্বাচনে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার বালাই ছিল না। মোট ২৭টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা জিতেছেন ২০টিতে। বিএনপি সমর্থকরা জয় পেয়েছেন চারটিতে। দুটিতে জিতেছেন স্থানীয় জামায়াত নেতারা। একটিতে জিতেছেন যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়। ফলাফল ঘোষণার একেবারে শেষ দিকে দেখা দেয় হাঙ্গামা। শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই একেবারে শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে। ঘোষিত শেষ চার কেন্দ্রের ফল আসার পর নৌকার জয় সামান্য ভোটে।
তবে কাউন্সিলর নির্বাচনে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার বালাই দেখা যায়নি। সেখানে আওয়ামী লীগ যাদের সমর্থন দিয়েছে, তাদের মধ্যে কেবল সাতজন পরাজিত হয়েছেন। এই নির্বাচন অবশ্য দলীয় প্রতীকে হয় না। তবে এখন দল থেকে সমর্থন দেয়া হয় আর স্থানীয় এই নির্বাচনেও দলীয় প্রভাব এখন স্পষ্ট।
নির্বাচনে বেশ কয়েকজন প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর হয়েছেন। আবার সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর মিলে ১০ জন জয় পেয়েছেন টানা তিন নির্বাচনে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল বিজয়ী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের হাতে তুলে দেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত যারা
২ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন কাউন্সিলর বেছে নিয়েছেন ওয়ার্ডবাসী। গাজী গোলাম সারোয়ার শিপন পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৯৬০ ভোট।
তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছেন সরকার মাহমুদ জাবেদ। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২ হাজার ১৯০ ভোট।
৪ নম্বর ওয়ার্ডবাসী এবার নতুন কাউন্সিলর বেছে নিলেন নাসির উদ্দিন নাজিমকে। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৬ ভোট।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে সৈয়দ রায়হান আহমেদ।
৬ নম্বর ওয়ার্ডবাসী এবার জামায়াত নেতা মোশাররফ হোসেনকে বর্জন করেছেন। দুইবারের কাউন্সিলর ফেল করেছেন নতুন মুখ আমিনুল ইকরামের কাছে৷ ইকরাম পেয়েছেন ২ হাজার ৯৯৮ ভোট। মোশাররফের পক্ষে রায় দিয়েছেন ২ হাজার ২১২ জন।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুইবারের কাউন্সিলর শাহ আলম খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন নতুন মুখ আবদুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৪০৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২ হাজার ১৪ ভোট।
আবদুর রহমান স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন জমির উদ্দিন খান জম্পি। এ নিয়ে তিনি সাতবার কাউন্সিলর হয়েছেন। পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাউছার জামান কায়েস পেয়েছেন ৬৪৭ ভোট। জম্পি কুমিল্লা আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা।
নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন মঞ্জুর কাদের মনি।
১১ নম্বরে বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন হাবিবুর আল আমিন সাদি। পেয়েছেন ২ হাজার ৮২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৬০১ ভোট।
নতুন মুখ বেছে নিলেন নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডবাসী। জিতেছেন জিয়াউল হক মুন্না। পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৭০৩ ভোট। এ ওয়ার্ডে দুইবারের কাউন্সিলর ছিলেন ইমরান বাচ্চু।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচবারের কাউন্সিলর সেলিম খানকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ২৪২ ভোট। সেলিম খান পেয়েছেন ১ হাজার ১৯২ ভোট।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যাটট্রিক করেছেন সাইফুল বিন জলিল৷ ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৫৮০টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৯ ভোট।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যাটট্রিক করলেন জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল। ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৫৭৭টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১ হাজার ৪৬৫ ভোট পেয়েছেন।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ বেছে নিলেন ওয়ার্ডবাসী। জিতেছেন হানিফ মাহমুদ। পেয়েছেন ২ হাজার ৩০৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২ হাজার ২০৮ ভোট।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন আইনজীবী শওকত আকবর। পেয়েছেন ৩ হাজার ২২৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৪ ভোট।
২০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি নতুন মুখ। পেয়েছেন ৩ হাজার ১১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯৫ ভোট।
আনোয়ার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
২২ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ হিসেবে কাউন্সিলর হলেন আজাদ হোসেন। পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৯৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৮ ভোট।
আজাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছেন এমদাদ উল্লাহ। পেয়েছেন ১ হাজার ৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৯৩১ ভোট।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডেও টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছেন আবদুস সাত্তার। পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৫২৫ ভোট।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দুবার টানা কাউন্সিলর হলেন আবুল হাসান। পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৭৯০ ভোট।
বিএনপির যে চারজন
১৩ নম্বর ওয়ার্ডেও জয় পেয়েছেন নতুন মুখ রাজিউর রহমান। তিনি ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুবারের কাউন্সিলর শাখায়াত উল্লাহ শিপন পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৩ ভোট।
১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন নতুন মুখ রেজাউল করিম। পেয়েছেন ১ হাজার ৩৬৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৭৬ ভোট।
২১ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যাটট্রিক কাউন্সিলর হলেন কাজী মাহাবুবুর রহমান। পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৬২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৩ হাজার ২০২ ভোট।
২৪ নম্বর ওয়ার্ডেও নতুন মুখ মহিবুর রহমান জয়ী হয়েছেন। পেয়েছেন ২ হাজার ২২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৫২২ ভোট।
জামায়াতের যারা
কুমিল্লা নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত নেতা কাজী গোলাম কিবরিয়া। তিনি এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল হোসেন ছোটনকে পরাজিত করেছেন।
কিবরিয়া ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৬২১টি। ছোটন পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৪ ভোট।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যাটট্রিক করলেন জামায়াত নেতা একরাম হোসেন। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ১৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৭ ভোট।
দল নিরপেক্ষ
২৩ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ আনিসুজ্জামান কোনো দলের রাজনীতিতে জড়িত নন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ২৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ১২৬ ভোট।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর যারা
সংরক্ষিত কাউন্সিলর (নারী) পদে পুরোনোদের সঙ্গে কিছু নতুন মুখ এসেছে।
এই আসনের ৯ জনের মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। এবার হলেন ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউছাড়া বেগম সুমি; ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাদিয়া নাসরিন; ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেন উম্মে কুলসুম মুনমুন; ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নুরজাহান আলম পুতুল এবং ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফারহানা পারভীন।
১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রুমা আক্তার সাথী এবং ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন মুখ তাহমিনা আক্তার বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত।
১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নেহার বেগম এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পাওয়া শাহিন আক্তার কোনো দলীয় রাজনীতিতে জড়িন নন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের পটিয়ার সড়কে শুক্রবার বিকেল ও রাতে দুটি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
বাস উল্টে হেলপার নিহত
পটিয়ার মনসা বাদামতলা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী একটি মিনিবাস বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে মহাসড়কের পাশে উল্টে যায়। ওই সময় বাসটির হেলপার রফিক (২৩) লাফ দিলে বাসের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান তিনি।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছেন।
অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত
উপজেলার খরনা চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
নিহত দুজন হলেন চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসিফ (১৮) ও কক্সবাজারের ঈদগাহ মধ্যম মাইজপাড়া এলাকার নুরুল আমিন (২৭)।
আহত চারজন হলেন বৈলতলীর রাকিব হোসেন (২০), মোহাম্মদ জাবেদ (১৯), মোহাম্মদ সিহাব (২২) ও চকরিয়ার অটোরিকশার চালক লিটন (৩৫)।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম অভিমুখী দ্রুতগামী মারসা পরিবহনের একটি বাস নম্বরবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা অটোরিকশার যাত্রীদের উদ্ধার করে চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চারজনকে হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জের ছাতকের ঐতিহ্যবাহী জাউয়া বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি ধারা জারি করা হয়েছে।
সংঘর্ষ এড়াতে শনিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যধারার এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেন ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মুস্তাফা মুন্না।
আদেশে বলা হয়েছে, “যেহেতু ছাতক উপজেলাধীন ‘জাউয়া বাজার’ ইজারাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান পক্ষসমূহের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এর ফলে আইন শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বিদ্যমান রয়েছে মর্মে অফিসার ইন- চার্জ, ছাতক থানা, সুনামগঞ্জ থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে।
“সেহেতু সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আমি গোলাম মুস্তাফা মুন্না, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ছাতক, সুনামগঞ্জ আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ২০ এপ্রিল সকাল ৬ ঘটিকা হতে রাত ১২ ঘটিকা পর্যন্ত জাউয়া বাজার এলাকা এবং তার আশেপাশের এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করলাম।”
আদেশ অনুযায়ী, এ সময় উক্ত এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় কোনো অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন, যে কোনো ধরনের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা তার অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একসঙ্গে চলাফেরা, সভা সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।
ঢাকার সাভারে দৈনিক যুগান্তরের এক সাংবাদিকের ওপর ঝাঁঝালো রাসায়নিক নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে কলমা এলাকায় শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ইকবাল হাসান ফরিদ দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক।
ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফরিদকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদ বলেন, ‘রাতে অফিস শেষে ঢাকা থেকে সাভারের বাসায় ফিরছিলাম। আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে বাসার অদূরে অন্ধকার গলিতে পৌঁছালে পেছন থেকে একজন মুখোশধারী যুবক আমাকে নাম ধরে ডাক দেয়। ডাক শুনে দাঁড়ানোর পর মুখোশধারী দুই যুবক স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে আগামী এক মাসের মধ্যে সাভার এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এলাকা ছেড়ে না গেলে সপরিবারে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় তারা।
‘এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগে পেছন থেকে তাদের একজন মরিচের গুঁড়াসদৃশ এক প্রকার ঝাঁঝালো কেমিক্যাল আমার মাথায় ও চোখে-মুখে ছিটিয়ে দেয় এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঝাঁঝালো কেমিক্যাল ছিটিয়ে দেয়ার পর চোখে-মুখে ও শরীরে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা সাভারের যে দুইজন জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে হুমকি দিয়েছে, তাদের কারও সঙ্গে আমার পরিচয়, যোগাযোগ কিংবা কোনো ধরনের বিরোধ নেই। তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে তাদের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালে অসুস্থ সাংবাদিক ফরিদকে দেখতে যায় সাভার মডেল থানা পুলিশ।
সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, ‘তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে প্রকৃতি যেন পুড়ে যাচ্ছে। এমন বৈরী আবহাওয়াতে কুমিল্লার কৃষকরা মেতে উঠেছেন রোরো ধান ঘরে তোলার উৎসবে। পাকা ধানের ঘ্রাণে মোহিত হচ্ছে চারপাশ।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কুমিল্লায় এক লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে ব্রি ধান ৯৬, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবাদে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ। তিনি জানান, বোরো ধান তোলার উৎসবে শুরু হয়েছে। ভালো ফলনে খুশি কৃষকরা।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ও মিগজাউমের আঘাতে রবি ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের মৌসুমের শুরু থেকেই আধুনিক উফশী জাত ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেচ নিশ্চিতকরণ, কালবৈশাখি ঝড়, অতিবৃষ্টি, তাপদাহ, রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাবসহ নানা প্রতিকূলতা ছিল।
‘নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও সঠিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বছর বোরো মৌসুমে ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে।’
জেলার দেবিদ্বার এলাকা ঘুরে শুক্রবার দেখা যায়, ফসলের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জমিতে ব্রি ধান ৯৬ জাতের একটি জমিতে প্রতি হেক্টরে ফলন পাওয়া গেছে ৪ দশমিক ১৮ টন।
কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবারের মতো ব্রি ধান ৯৬ জাতটি চাষ করেছেন কৃষক আবুল কালাম আজাদ। মাত্র ১৩০ দিনের জীবনকালে বাম্পার ফলন পেয়ে বেজায় খুশি তিনি।
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, এ বছর দেবিদ্বার উপজেলায় ১২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১২ হাজার ৬৩০ হেক্টর। বোরো ধানে ব্রি ধান ২৮ এর পরিবর্তে একই জীবনকালের, তবে অধিক ফলনের ব্রি ধান ৯৬ চাষের পরামর্শ প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান ছিল।
তিনি জানান, স্বর্ণা ধানের মতো রঙের এ ধানটিতে প্রোটিনের পরিমাণ ১০ দশমিক ৮ শতাংশ ও এমাইলোজের পরিমাণ ২৮ শতাংশ হওয়ায় ভাত খেতে সুস্বাদু ও ঝরঝরে।
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে ১২ ফুট লম্বা একটি অজগরের।
মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বন বিভাগের ভাষ্য, অজগরটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ জানায়, লাউয়াছড়ায় বনের ভেতরে যানবাহন চলাচলের জন্য বন বিভাগ দিকনির্দেশনা দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে, কিন্তু কেউ সেটা মানে না। যেভাবে খুশি সেভাবে চলাচল করে সব ধরনের গাড়ি। ধারণা করা হচ্ছে কোনো এক সময় রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির চাপায় ১২ফুট লম্বা অজগরটি পিষ্ট হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায়।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘লাউয়াছড়া বনের মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে শুক্রবার সকালে অজগর সাপকে মৃত অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।
‘খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন মৃত অজগরটিকে উদ্ধার করে জানকীছড়ায় মাটিচাপা দেন।’
কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে, যেগুলোর গণনা চলছে এ মুহূর্তে।
জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে ৯টি দানবাক্স আছে, যেগুলো প্রতি তিন মাস পরপর খোলা হয়। রমজানের কারণে এবার এবার খোলা হয়েছে চার মাস ১০ দিন পর।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৯টি দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে।
ডিসি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এসব দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
এসপি মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে ব্যাংকে পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ছাড়াও মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে এসেছেন দূরদুরান্ত থেকে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। সম্প্রসারণের পর মসজিদের আওতাভুক্ত জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন একর ৮৮ শতাংশে।
আরও পড়ুন:নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে কারণ দর্শোনোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থির সামিল।
‘এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
ওই সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশা অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের পরিবার লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় রুবেলকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
লুৎফুল হাবীব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য