× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
4 of the 20 A League BNP in the post of councilor in Comilla
google_news print-icon

কুমিল্লায় ২০ কাউন্সিলর আ.লীগের, বিএনপির ৪

কুমিল্লায়-২০-কাউন্সিলর-আলীগের-বিএনপির-৪
কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিজয়ী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল বুঝিয়ে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা
কাউন্সিলর নির্বাচনে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার বালাই দেখা যায়নি। সেখানে আওয়ামী লীগ যাদের সমর্থন দিয়েছে, তাদের মধ্যে কেবল সাতজন পরাজিত হয়েছেন। এই নির্বাচন অবশ্য দলীয় প্রতীকে হয় না। তবে এখন দল থেকে সমর্থন দেয়া হয় আর স্থানীয় এই নির্বাচনেও দলীয় প্রভাব এখন স্পষ্ট।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সিংহভাগ এলাকায় জয় পেয়েছেন।

নৌকা মার্কা নিয়ে মেয়র পদে দলের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত জিততে পেরেছেন বিএনপির ভোট দুই ভাগ হয়ে যাওয়ায়। দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জন করলেও দলটির কর্মী-সমর্থকদের একাংশ মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে এবং অপর অংশ নিজামউদ্দিন কায়সারের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

কায়সার ভোট পেয়েছেন ২৯ হাজারের বেশি আর সাক্কু হেরেছেন কেবল ৩৪৩ ভোটে।

তবে কাউন্সিলর নির্বাচনে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার বালাই ছিল না। মোট ২৭টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা জিতেছেন ২০টিতে। বিএনপি সমর্থকরা জয় পেয়েছেন চারটিতে। দুটিতে জিতেছেন স্থানীয় জামায়াত নেতারা। একটিতে জিতেছেন যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন।

বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়। ফলাফল ঘোষণার একেবারে শেষ দিকে দেখা দেয় হাঙ্গামা। শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই একেবারে শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে। ঘোষিত শেষ চার কেন্দ্রের ফল আসার পর নৌকার জয় সামান্য ভোটে।

তবে কাউন্সিলর নির্বাচনে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার বালাই দেখা যায়নি। সেখানে আওয়ামী লীগ যাদের সমর্থন দিয়েছে, তাদের মধ্যে কেবল সাতজন পরাজিত হয়েছেন। এই নির্বাচন অবশ্য দলীয় প্রতীকে হয় না। তবে এখন দল থেকে সমর্থন দেয়া হয় আর স্থানীয় এই নির্বাচনেও দলীয় প্রভাব এখন স্পষ্ট।

নির্বাচনে বেশ কয়েকজন প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর হয়েছেন। আবার সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর মিলে ১০ জন জয় পেয়েছেন টানা তিন নির্বাচনে।

কুমিল্লায় ২০ কাউন্সিলর আ.লীগের, বিএনপির ৪

বৃহস্পতিবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল বিজয়ী মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের হাতে তুলে দেন।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত যারা

২ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন কাউন্সিলর বেছে নিয়েছেন ওয়ার্ডবাসী। গাজী গোলাম সারোয়ার শিপন পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৯৬০ ভোট।

তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছেন সরকার মাহমুদ জাবেদ। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২ হাজার ১৯০ ভোট।

৪ নম্বর ওয়ার্ডবাসী এবার নতুন কাউন্সিলর বেছে নিলেন নাসির উদ্দিন নাজিমকে। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৬ ভোট।

৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে সৈয়দ রায়হান আহমেদ।

৬ নম্বর ওয়ার্ডবাসী এবার জামায়াত নেতা মোশাররফ হোসেনকে বর্জন করেছেন। দুইবারের কাউন্সিলর ফেল করেছেন নতুন মুখ আমিনুল ইকরামের কাছে৷ ইকরাম পেয়েছেন ২ হাজার ৯৯৮ ভোট। মোশাররফের পক্ষে রায় দিয়েছেন ২ হাজার ২১২ জন।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুইবারের কাউন্সিলর শাহ আলম খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন নতুন মুখ আবদুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৪০৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২ হাজার ১৪ ভোট।

আবদুর রহমান স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা।

৯ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন জমির উদ্দিন খান জম্পি। এ নিয়ে তিনি সাতবার কাউন্সিলর হয়েছেন। পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাউছার জামান কায়েস পেয়েছেন ৬৪৭ ভোট। জম্পি কুমিল্লা আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা।

নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন মঞ্জুর কাদের মনি।

১১ নম্বরে বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন হাবিবুর আল আমিন সাদি। পেয়েছেন ২ হাজার ৮২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৬০১ ভোট।

নতুন মুখ বেছে নিলেন নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডবাসী। জিতেছেন জিয়াউল হক মুন্না। পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৭০৩ ভোট। এ ওয়ার্ডে দুইবারের কাউন্সিলর ছিলেন ইমরান বাচ্চু।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচবারের কাউন্সিলর সেলিম খানকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ২৪২ ভোট। সেলিম খান পেয়েছেন ১ হাজার ১৯২ ভোট।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যাটট্রিক করেছেন সাইফুল বিন জলিল৷ ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৫৮০টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৯ ভোট।

১৬ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যাটট্রিক করলেন জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল। ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৫৭৭টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১ হাজার ৪৬৫ ভোট পেয়েছেন।

১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ বেছে নিলেন ওয়ার্ডবাসী। জিতেছেন হানিফ মাহমুদ। পেয়েছেন ২ হাজার ৩০৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২ হাজার ২০৮ ভোট।

১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন আইনজীবী শওকত আকবর। পেয়েছেন ৩ হাজার ২২৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৪ ভোট।

২০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি নতুন মুখ। পেয়েছেন ৩ হাজার ১১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯৫ ভোট।

আনোয়ার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

২২ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ হিসেবে কাউন্সিলর হলেন আজাদ হোসেন। পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৯৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৮ ভোট।

আজাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

২৫ নম্বর ওয়ার্ডে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছেন এমদাদ উল্লাহ। পেয়েছেন ১ হাজার ৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৯৩১ ভোট।

২৬ নম্বর ওয়ার্ডেও টানা ‍দ্বিতীয় জয় পেয়েছেন আবদুস সাত্তার। পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৫২৫ ভোট।

২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দুবার টানা কাউন্সিলর হলেন আবুল হাসান। পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৭৯০ ভোট।

বিএনপির যে চারজন

১৩ নম্বর ওয়ার্ডেও জয় পেয়েছেন নতুন মুখ রাজিউর রহমান। তিনি ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুবারের কাউন্সিলর শাখায়াত উল্লাহ শিপন পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৩ ভোট।

১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন নতুন মুখ রেজাউল করিম। পেয়েছেন ১ হাজার ৩৬৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৭৬ ভোট।

২১ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যাটট্রিক কাউন্সিলর হলেন কাজী মাহাবুবুর রহমান। পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৬২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৩ হাজার ২০২ ভোট।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডেও নতুন মুখ মহিবুর রহমান জয়ী হয়েছেন। পেয়েছেন ২ হাজার ২২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৫২২ ভোট।

জামায়াতের যারা

কুমিল্লা নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত নেতা কাজী গোলাম কিবরিয়া। তিনি এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল হোসেন ছোটনকে পরাজিত করেছেন।

কিবরিয়া ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৬২১টি। ছোটন পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৪ ভোট।

৮ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যাটট্রিক করলেন জামায়াত নেতা একরাম হোসেন। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ১৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৭ ভোট।

দল নিরপেক্ষ

২৩ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মুখ আনিসুজ্জামান কোনো দলের রাজনীতিতে জড়িত নন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ২৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১ হাজার ১২৬ ভোট।

সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর যারা

সংরক্ষিত কাউন্সিলর (নারী) পদে পুরোনোদের সঙ্গে কিছু নতুন মুখ এসেছে।

এই আসনের ৯ জনের মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। এবার হলেন ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউছাড়া বেগম সুমি; ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাদিয়া নাসরিন; ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেন উম্মে কুলসুম মুনমুন; ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নুরজাহান আলম পুতুল এবং ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফারহানা পারভীন।

১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রুমা আক্তার সাথী এবং ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন মুখ তাহমিনা আক্তার বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত।

১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নেহার বেগম এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পাওয়া শাহিন আক্তার কোনো দলীয় রাজনীতিতে জড়িন নন।

আরও পড়ুন:
আগেই বলেছিলাম নৌকা জিতবে: রিফাত
জিতলেও ভোট কমল নৌকার, ‘বিএনপির ভোট’ দুই ভাগ
‘কোনো অভিযোগ না থাকা’ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান সাক্কুর
কুমিল্লায় ফল ঘোষণার কেন্দ্রে হাঙ্গামা
কুমিল্লায় ফল নিয়ে টানটান উত্তেজনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
During the illegal infiltration the Bangladeshi detained with the smugglers on the Garo Hill border

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।

বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police Super Ujjal Kumar Roy inaugurated the Loto Showroom in Jhalakathi

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।

এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।

পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।

কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ, আসামীর যাবজ্জীবন

নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র‌্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।

মন্তব্য

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

হিল্লা বিয়ে না করার জেরে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' দম্পতি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।

এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।

গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।

বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।

আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।

গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।

আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In July 2021 the growth rate of revenue collection is about 20 percent 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জুলাই-২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।

জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।

আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।

রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

p
উপরে