বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য তিনটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক (এলসিটি) নির্মাণ করছে খুলনা শিপইয়ার্ড। কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, নির্মাণ শেষ হলে এগুলো হবে দেশে নির্মিত সর্ববৃহৎ এলসিটি।
খুলনা শিপইয়ার্ড চত্বরে বুধবার দুপুরে এলসিটির কিল লেয়িং উদ্বোধন করেন খুলনা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড কর্তৃক জাহাজ নির্মাণ এটাই প্রথম নয়। আগেও এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য পাঁচটি প্যাট্রল ক্র্যাফট, দুটি লার্জ প্যাট্রল ক্র্যাফট, দুটি টাগবোট এবং ছয়টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ইউটিলিটি সফলভাবে নির্মাণ করে হস্তান্তর করেছে।’
‘আর এখন সর্ববৃহৎ দৈর্ঘ্যের এলসিটি নির্মাণ করছে। এগুলো খুলনা শিপইয়ার্ডের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার প্রমাণ। কেবল নৌবাহিনীর জন্য নয়; বরং কোস্টগার্ড, মোংলা বন্দর, পায়রা বন্দর, মৎস্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ নির্মাণ করে শিপইয়ার্ড দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
খুলনা শিপইয়ার্ড জাহাজ নির্মাণ করে অচিরেই বিদেশে রপ্তানি করতে সক্ষম হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ১৯৯৯ সালে খুলনা শিপইয়ার্ডকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৃতপ্রায় এ প্রতিষ্ঠান বর্তমানে তার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করেছে এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
‘সঠিক নেতৃত্ব, কর্মনিষ্ঠা ও সততা যে একটি প্রতিষ্ঠানকে সফলতার অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে তার সফল উদাহরণ এই খুলনা শিপইয়ার্ড’ বলেন তিনি।
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ইন্টারনেট বন্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাসে ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। লন্ডনের ওয়েবসাইট ‘টপ টেনভিপিএন’-এর সর্বশেষ রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য।
‘টপ টেন ভিপিএন' হলো একটি নেতৃস্থানীয় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক পর্যালোচনা ওয়েবসাইট। সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাসের ক্ষতি পুরো ২০২১ সালের ক্ষতির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
সংস্থাটি ১৬টি দেশজুড়ে প্রধান শাটডাউন তালিকাভুক্ত করেছে, যার ক্ষতির পরিমাণ ১০.৬ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালে ৫০টি বড় শাটডাউনে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫.৪৫ বিলিয়ন ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালে ইন্টারনেট শাটডাউনের ক্ষেত্রে ১৬টি দেশের মধ্যে ৬ নম্বর স্থানে আছে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ভারতে ৫৩৫ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল সরকারি নির্দেশে, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭৯.৫ মিলিয়ন ডলার।
ইন্টারনেট শাটডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৫৭ জন।
প্রতিবেদনে তিন ধরনের শাটডাউন উল্লেখ করা হয়েছে: ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, সোশ্যাল মিডিয়া শাটডাউন এবং গুরুতর কণ্ঠরোধ করা, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র ভয়েস কল এবং টেক্সট বার্তা প্রেরণ করতে সক্ষম।
চলতি বছর সারা বিশ্বে ১০.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সবচেয়ে বড় অংশ রাশিয়ার, যেখানে ইন্টারনেট বন্ধ করার জন্য ৮.৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সীমিত করার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে ইন্টারনেট শাটডাউন শুরু হয়।
সুদান, সিরিয়া এবং আলজেরিয়ায় সরকার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় জালিয়াতি বন্ধ করতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়।
২০২২ সালে প্রথম ৬ মাসে ভারত ষষ্ঠ স্থানে থাকলেও, ২০২১-এ তৃতীয়, ২০২০-এ প্রথম এবং ২০১৯-এ তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ক্ষেত্রে।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল ২০২০ সাল। সে বছর ৮ হাজার ৯২৭ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ ছিল সরকারি নির্দেশে।
ওই বছর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ২.৮ বিলিয়ন ডলার। তখন ১০.৩ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিশ্বে তখন ভারত ছিল এক নম্বরে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন কমাতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। একজন ব্যবসায়ী নেতা প্রয়োজনে বাড়তি দাম দিয়ে হলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার দাবি করেছেন।
দেশে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা এই মুহূর্তে চাহিদা পূরণের জন্য কেবল যথেষ্ট নয়, উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনেরও ক্ষমতা রাখে, তবে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে এই উৎপাদন ক্ষমতার অনেকটাই বসিয়ে রাখতে চাইছে সরকার।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাসের যে চাহিদা, তা পূরণ করার সক্ষমতা নেই দেশীয় উৎপাদনে। আমদানি করা গ্যাস দিয়ে যে চাহিদা মেটানো হতো, সেটিও আপাতত কঠিন। কারণ গত এক বছরে তরল গ্যাস ও এলএনজির দাম ১০ গুণ হয়ে যাওয়ায় সরকার আপাতত আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জ্বালানি তেলের দামও এখন বেশি। আর আরেক কাঁচামাল কয়লাও সহজলভ্য নয়; যুদ্ধের কারণে পরিবহনও ঝুঁকিতে। আর বৈদেশিক লেনদেনে রেকর্ড ঘাটতির কারণে বাড়তি দাম দিয়ে আমদানি সীমিত করে দেশে লোডশেডিং করার নীতি নিয়েছে সরকার। এতে শিল্পের উদ্যোক্তারা পড়েছেন বিপাকে।
গত এক যুগে বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে অনেক শিল্পে নিজস্ব যে ব্যবস্থাপনা ছিল, সেটিও কমানো হয়েছে। বেশির ভাগ শিল্পেই নিজস্ব জেনারেটর না থাকায় লোডশেডিংয়ের পুরো সময় বন্ধ থাকছে উৎপাদন।
বড় শিল্পগুলোয় জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন চালিয়ে নেয়ার চেষ্টাও পুরোপুরি সফল হচ্ছে না। আড়াই ঘণ্টার লোডশেডিং হলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কারখানা সচল থাকছে বড়জোর দেড় ঘণ্টা। বাকি সময় থাকছে বন্ধ।
আবার এভাবে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে রপ্তানি পণ্যে নির্দিষ্ট সময়ে জাহাজীকরণ নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে এলএনজিসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এটি সত্য। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য জ্বালানিতে প্রতিদিন প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে এটিও সত্য। আবার আমরা ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ, জ্বালানির দাম না বাড়াতে বলছি—এটিও মিথ্যা নয়।
‘আমরা মনে করি, লোডশেডিং তো বিদ্যুৎ, জ্বালানির দাম বাড়ানোর চেয়েও আরও বেশি ক্ষতি করছে। সরকার যদি মনে করে যে ভর্তুকি দেয়া সম্ভব না, তাহলে দেবে না। প্রয়োজনে সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিক। কারণ করার তো কিছু নেই, কিন্তু আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, উৎপাদন ও সেবা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হলে বিদ্যুৎ, গ্যাস লাগবে।’
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে দাম না বাড়ালে তাদের প্রায় ৩০ হাজার ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে, আর গ্যাস সেক্টর বলছে দাম না বাড়ালে চলতি বছর (২০২২ সালে) তাদের প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা লোকসান হবে।
বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট করে বাড়ছে। বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা লোকসান গুনছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে মাসিক ক্ষতি হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
শুধু তা-ই নয়, গ্যাস, বিদ্যুতের বিপুল পরিমাণ খেলাপি বিলও আছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এখন বিদ্যুতের বিল বকেয়া আছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। আর গ্যাসের বিল বকেয়া আছে ৬ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।
ব্যবসায়ীদের আরেক সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে একটি ক্রাইসিস পিরিয়ড টলছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সরকারকে যেখানে যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা নিতে হবে।
‘আমরা বলব, এই ব্যয় সংকোচন নীতি তথা কৃচ্ছ্রসাধনে লোডশেডিংয়ের উদ্যোগ যেন কোনোভাবেই শিল্প-কারখানার ওপর প্রভাব না ফেলে। আবার এই উদ্যোগের বিরোধিতাও করছি না। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচিত কৌশলী হওয়া।’
তিনি কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য ব্যাপক উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারের পরামর্শ দিয়েছেন যেন সাধারণ মানুষ বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয়।
এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘যার বাসায় একাধিক এসি আছে, তার তো সারা দিন সবকটি এসি ব্যবহার না করলেও চলে। প্রয়োজনে একটা চালাক। সব লাইট জ্বালিয়ে রাখার তো দরকার নেই। আজকে ঢাকা শহরে মসজিদের অভাব নেই। সব মসজিদেই এসি আছে। চার্চে এসি আছে।
‘এগুলো সাময়িক ব্যবহার না করলেও চলে। অফিস-আদালতেও এসি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে একই কথা প্রযোজ্য। তাহলে এখানেও বিদ্যুতের একটা বড় সাশ্রয় হয়। এ ক্ষেত্রে মোটিভেশনাল ম্যাসিভ প্রোগ্রাম ও প্রচারণা নেয়া দরকার।’
বিদ্যমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘বড় ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে তো সবারই ক্যাপটিভ পাওয়ার আছে, কিন্তু যারা ছোট-মাঝারি তাদের তো আর সবার ক্যাপটিভ পাওয়ার নেই। তারা সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। তা ছাড়া আমরা এমন একটা সময় অতিক্রম করছি যেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে সচল রাখা, কর্মসংস্থানকে ধরে রাখা।’
নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘লোডশেডিং চলাকালে আমরা পুরো সময় তো ক্যাপটিভ পাওয়ার চালাতে পারছি না। দুই ঘণ্টার জায়গায় হয়তো এক ঘণ্টা জেনারেটর চালালাম। বাকি সময় তো বন্ধই থাকছে। ফলে উৎপাদন কম হচ্ছে।
‘এভাবে চললে সময়মতো রপ্তানি অর্ডার শিপমেন্ট করা যাবে না। তখন বাধ্য হয়ে এয়ারশিপমেন্টে যেতে হবে অথবা নির্ধারিত প্রেইসের সঙ্গে ডিসকাউন্ট আপস করতে হবে, যার লোকসান উদ্যোক্তাকেই বহন করতে হয়।
‘এর চেয়ে বড় সমস্যা গ্যাসে। এতে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে সক্ষমতার ৫০ শতাংশে নেমে আসছে, যার কারণে আমরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এর বিরূপ প্রভাব কিন্তু গোটা অর্থনীতিতেই অচিরেই পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের কর্পোরেট সেবা ব্যবহারের জন্য ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে।
গত রোববার এই চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় টেলিটক সাশ্রয়ী মূল্যে এনপিওকে ভয়েস, ইন্টারনেট সেবাসহ বিভিন্ন কর্পোরেট সেবা প্রদান করবে বলে টেলিটকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এনপিও-এর মহাপরিচালক মুহম্মদ মেসবাহুল আলম এবং টেলিটকের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেলস্ এন্ড আইবি) সাইফুর রহমান খান চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এনপিও-এর ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান, মোছাম্মৎ ফাতেমা বেগম, আবিদা সুলতানা এবং টেলিটকের মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়, বিপনণ ও গ্রাহক সেবা বিভাগ) সালেহ মোঃ ফজলে রাব্বী, উপব্যবস্থাপক নিলুফার ইয়াসমিন শহীদুল ইসলাম এবং সহকারী ব্যবস্থাপক কাজী মোহাম্মদ এহসানসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে একজন বাংলাদেশির সর্বোচ্চ খরচ হবে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। আকাশপথে মালয়েশিয়ায় ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ বহন করবে ওই কর্মীকে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বুধবার এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব গাজী মো. শাহেদ আনোয়ারের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘একজন মালয়েশিয়াগামী কর্মীর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে সকল ব্যয় হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্মীকে বহন করতে হবে।’
২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশ অংশে পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবন্ধন ফি, কল্যাণ ফি, বীমা, ইন্স্যুরেন্স, স্মার্ট কার্ড ফি, প্রাক-বহির্গমন ফি, পোশাক পরিচ্ছদ, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্টের সার্ভিস চার্জ ও বিবিধ যেসব ক্ষেত্রে একজন কর্মীকে বিভিন্ন ব্যয় বহন করতে হবে।
আর এসব খরচ বিবেচনায় নিয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানে গমণে ইচ্ছুক একজন কর্মীর সর্বোচ্চ খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, বিমানভাড়া, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’, বিমা, মালয়েশিয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ইমিগ্রেশন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স, করোনারভাইরাস পরীক্ষাসহ ১৫টি খাতের ব্যয় সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন:ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র চার দিন। রাজধানীতে এখনও জমেনি পশুর হাটগুলো। বুধবারও বলার মতো পশু বিক্রি হয়নি কোনো হাটেই। পর্যাপ্ত পশু থাকলেও হাটে ক্রেতার চেয়ে কিশোর-তরুণ দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
কর্মব্যস্ত দিনে পরিবারের অভিভাবক ব্যস্ত, তাই হাট ঘুরে নিজেদের কোরবানির পশু পছন্দ করে রাখার দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
রাজধানীর কমলাপুর, শাহজাহানপুর, আফতাবনগরসহ বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কমলাপুর হাটে সারা দিনে বিক্রি হয়েছে ২০-২৫টি পশু। দিনভর অলস সময় পার করেছেন হাসিলঘরের হিসাবরক্ষকরা।
হিসাবরক্ষক কাঞ্চন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও পশু বিক্রি শুরু হয়নি। ঢাকায় তো পশু রাখার সমস্যা, এ কারণে দেখা যায় ঈদের দুই দিন আগে থেকে বিক্রি শুরু হয়। আমরা আশা করছি বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিক্রি শুরু হবে।’
কাঞ্চনের সঙ্গে কথা বলে কমলাপুর হাটে ঢুকতেই দেখা গেল হাটভর্তি পশুর সমাহার। মাঝারি থেকে বড় গরুর সংখ্যাই বেশি। বেপারিরা ব্যস্ত তার নিজের পশুটির যত্নআত্তি নিয়েই।
তবে হাটজুড়ে দেখা মেলে উৎসুক তরুণদের ভিড়। দল বেঁধে তারা এসেছেন হাটে পশুর দাম যাচাই করতে। আকর্ষণীয় ও বড় আকৃতির পশুগুলোকে ঘিরেই তাদের যত আকর্ষণ।
কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানির পশু কেনা হবে দু-এক দিন পর। কিন্তু বাজার পরিস্থিতি যাচাই ও আগাম পশু পছন্দ করতে আশপাশ থেকে হাটে গেছেন তরুণরা।
আবিদ খান নামে এক তরুণ বলেন, ‘বাবার আগামীকাল পর্যন্ত অফিস খোলা, তাই পরশু আমরা গরু কিনব। আগে এসে একটু দাম-দর দেখছি, কোনো গরু যদি পছন্দ হয় তাহলে মার্ক করে যাব।’
ইমন নামে এক তরুণ দাঁড়িয়ে ছিলেন কমলাপুর হাটের সবচেয়ে বড় গরুটির সামনে। কুষ্টিয়ার রোকনুজ্জামান খোকনের পালিত এই ব্রামহা জাতের ক্রস গরুটির ওজন ১ হাজার ২০০ কেজি। ইমন সময় নিয়ে খোকনের কাছ থেকে গরুটির খুঁটিনাটি যাচাই করছেন। ইমনের আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা শাহজাহানপুরে সব সময় চেষ্ট করি সবচেয়ে বড় গরুটা কোরবানি দিতে। বলতে পারেন এটা আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। আমি আশপাশের হাটগুলো ঘুরে সবচেয়ে বড় গরুটা খুঁজছি। মনে হচ্ছে এটাই সবচেয়ে বড়। বাসায় গিয়ে সবাইকে ছবি দেখাব। এরপর দাদা-চাচা-আব্বু আর আমাদের কাজিনরা মিলে কিনে নিয়ে যাব।’
রোকনুজ্জামান খোকন বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর ধরে এই একটি গরুই লালন-পালন করেছি। এই প্রথম আমি গরু নিয়ে ঢাকায় এসেছি। এখানে আনার পর দেখি কমলাপুর হাটে আমার গরুটাই সবচেয়ে বড়, মানুষের আগ্রহও অনেক গরুটিকে ঘিরে। আমি এর দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। এখন দেখা যাক কত দাম ওঠে। আমি যেহেতু একটা গরুই নিয়ে এসেছি তাই আশা করছি ন্যায্য দামেই বিক্রি হবে।’
খোকনের মতো অধিকাংশ বেপারিই নিজেদের পশু নিয়ে ঢাকায় এসেছেন একটু বাড়তি আয়ের আশায়। তারাও জানেন ঢাকায় হাট জমে ঈদের দুই-এক দিন আগেই। তাই বুধবার দিনব্যাপী ক্রেতার দেখা না পেলেও হতাশ নন তারা।
নজরুল নামে এক বেপারি বলেন, ‘ঢাকার মানুষ ব্যস্ত। তার ওপর গরু রাখার জায়গা আর যত্ন করার সময় কই? আজকে দিন খারাপ গেছে সমস্যা নাই, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিক্রি শুরু হলে সব পুষিয়ে যাবে।’
দাম ও চাহিদা কেমন
রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে ঘুরে এবারে দাম নিয়ে ত্রেতাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও পছন্দের তালিকায় মাঝারি আকৃতির পশুর চাহিদাই বেশি। ক্রেতাদের পছন্দ মাথায় রেখেই এবার হাটগুলোতে মাঝারি আকারের পশুর সরবরাহ বেশ। তবে দাম নিয়ে অনেকের মাঝে ক্রেতা-বিক্রেতার পক্ষ থেকে বিপরীত বক্তব্য পাওয়া যায়।
একাধিক বেপারি দাবি করেন, বন্যা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পশু পালন ব্যয় অনেক বেড়েছে। তাই এবার পছন্দের পশু কোরবানি দিতে হলে বাড়তি টাকা গুনতে হবে।
অন্যদিকে হাটের পরিস্থিতি যাচাই করতে আসা একাধিক ক্রেতা দাম নিয়ে অসন্তোষ জানালেও হতাশ হচ্ছেন না কেউই। তাদের আশা, অন্যান্যবারের মতো শুরুতে বেপারিরা দাম হাঁকাচ্ছেন ঠিকই, তবে ঈদ যত এগিয়ে আসবে, ততই দাম কমবে পশুর।
আফতাবনগর হাটের হাসিলঘরে দায়িত্বে থাকা ইউনুস বলেন, ‘আজকে পর্যন্ত হাটের পরিস্থিতি বোঝা যাচ্ছে না। ক্রেতা সমাগম শুরু হলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে।’
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘এই যেমন আজকে সকালে একজন একটা গরু কিনলেন দেখে আমার মনে হলো ওনার টাকা খরচ করার জায়গা নেই। ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাছুর কিনে নিয়ে গেছেন। আবার দুপুরে এত সুন্দর একটা গরু বিক্রি হলো মাত্র ৬৫ হাজারে।’
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রাজধানীর হাটগুলোকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। ১২ ঘণ্টার দুই শিফটে প্রতিটি হাটের প্রবেশ ও বাহির মুখে পাহারায় রয়েছেন একাধিক পুলিশ সদস্য। তারা যে শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন তা-ই নয়, জাল টাকা শনাক্ত করাসহ মানি স্কটিং ও সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন।
প্রতিটি হাটের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ডিএমপির পক্ষ থেকে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। কেউ সাহায্য চাইলে ব্যাংক বা নির্দিষ্ট গন্তব্যে টাকা পৌঁছে দিতে দুজন পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিক ছুটে যাচ্ছেন। এর বাইরেও বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করছে ডিএমপি।
কমলাপুর হাটে দায়িত্ব পালনরত মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক উজ্জল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার হাটে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে জন্য আমাদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা আছে। তাই বাড়তি পুলিশ সদস্য নিয়ে আমরা প্রতিটি হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি।’
আরও পড়ুন:অভ্যন্তরীণ তেল সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ডিজেল এবং পেট্রল রপ্তানি ভারত কমিয়ে আনতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ী এবং বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিশ্বব্যাপী দামের ওপর ভিত্তি করে এ পদক্ষেপ নিতে পারে দিল্লি।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়ায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে জ্বালানির চাহিদা। এই অবস্থায় অন্যতম জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে।
ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা হতে যাচ্ছে অনেকটা চীনের মতো। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বেইজিং জ্বালানি রপ্তানিতে কড়াকড়ি আগেভাগেই আরোপ করেছে। অন্যদিকে বিশ্বের ৩ নম্বর তেল আমদানিকারক দেশ ভারত কম টাকায় রাশিয়ান তেল আমদানি করে তেলপণ্যের রপ্তানি বাড়িয়েছে।
তবে ১ জুলাই স্থানীয় তেল উৎপাদক এবং শোধকদের ওপর একটি ‘উইন্ডফল’ ট্যাক্স চাপায় ভারত সরকার। আসলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রাজস্ব বাড়াতে চাইছে দিল্লি। পাশাপাশি স্থানীয় সরবরাহও বাড়াতে চাইছে দিল্লি।
কনসালটেন্সি এনার্জি অ্যাসপেক্টস বলছে, ‘রপ্তানি কর বাড়ানো হলে ত্রৈমাসিক ডিজেল রপ্তানি দিনে এক লাখ ব্যারেল থেকে গড়ে ৬ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল হতে পারে।
‘ভারতীয় রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামবে না। কারণ নতুন নিয়মগুলো কেবল রপ্তানির পরিমাণ কমাবে। পাশাপাশি বেসরকারি শোধকদের রপ্তানির পরিমাণ সর্বোচ্চ সীমাবদ্ধতায় রাখবে।’
গ্লোবাল এনার্জি কনসালটেন্সি এফজিইর পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছরের বাকি সময়টায় পেট্রল ৫০ হাজার এবং ডিজেল রপ্তানি ৯০ হাজার বিপিডি হতে পারে।
ভারত সরকারের হিসাবে, বছরের প্রথম পাঁচ মাসে পেট্রল ও ডিজেল রপ্তানি ১৬ শতাংশের বেশি বেড়ে ১৫০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছায়। এ সময়ে কমোডিটি ডেটা এবং অ্যানালিটিকস সলিউশন কোম্পানি কেপলারের কার্গোগুলো এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা এবং ইউরোপের দিকে পরিচালিত হয়েছিল।
নতুন নিয়মে ভারতীয় শোধনাগারগুলোকে ডিজেল রপ্তানি পরিমাণের কমপক্ষে ৩০ শতাংশের সমতুল্য দেশীয় ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হবে। পেট্রলের ক্ষেত্রে এটি ৫০ শতাংশ।
রিলায়েন্সের ৭ লাখ ৪ হাজার বিপিডি রপ্তানি শোধনাগারে উইন্ডফল ট্যাক্স প্রযোজ্য হবে। যদিও শোধনাগারটি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত। রিলায়েন্স ও নায়ারা এনার্জির সম্মিলিত ক্ষমতা প্রায় ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন বিপিডি।
এফজিই বলছে, সামনের মাসগুলোতে পেট্রল ও ডিজেল রপ্তানি ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বিপিডি কমতে পারে রিলায়েন্সের।
এনার্জি অ্যাসপেক্টস বলছে, ভারত এমন সময়ে রপ্তানি কমাচ্ছে, যখন বিশ্বজুড়ে জ্বালানির চাহিদা তীব্র। অন্যদিকে চীনের রপ্তানি কমে আসার আশঙ্কাও রয়েছে। যার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে সিঙ্গাপুরে। বাদ যাবে না পুঁজিবাজারও।
রিফিনিটিভ ইকনের তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী ঘাটতি এবং বাণিজ্যপ্রবাহের পরিবর্তনের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের শুরু ফেব্রুয়ারিতে। এরপর থেকে ডিজেলের এশিয়ান পরিশোধন ১৯২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে রপ্তানি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন:বেলজিয়ামের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বঙ্গভবনে বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে এলে তিনি বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহকে এ নির্দেশ দেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বেলজিয়ামের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
এ সুযোগ কাজে লাগাতে রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান। বেলজিয়ামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে কাজ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা এবং সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য