× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Voting stopped in three more areas due to A League violence
google_news print-icon

‘আ.লীগের’ সহিংসতায় ভোট বন্ধ আরও তিন এলাকায়

আলীগের-সহিংসতায়-ভোট-বন্ধ-আরও-তিন-এলাকায়
গত ৫ জুন বরগুনার সোনাকাটা ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় অন্তত ২৪ জন আহত হয়। সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে। আইনের মধ্য থেকে কঠোর হয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসার কথাও বলছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের প্রথম পরীক্ষায় নামছে ১৫ জুন বুধবার। সেদিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ছাড়াও ১৩৫টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা এবং একটি উপজেলায় ভোট হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৯টিতে ভোট স্থগিত হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের আচরণে।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র পরিচয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতায় ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় আরও তিনটি ইউনিয়নে ভোট বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে মোট ৯টি এলাকায় ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা।

বুধবার ভোটের অপেক্ষায় থাকা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক ও বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন এবং বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলাধীন সোনাকাটা ইউনিয়নে ভোট স্থগিত করা হলো সোমবার।

এর পাশাপাশি টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন নির্বাচনে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান আলাদা চিঠিতে এই নির্দেশনা দেন। ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসাদুজ্জামান বিস্তারিত না জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনি পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

‘আ.লীগের’ সহিংসতায় ভোট বন্ধ আরও তিন এলাকায়
নির্বাচনি সহিংসতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা

গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে। আইনের মধ্য থেকে কঠোর হয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসার কথাও বলছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের প্রথম পরীক্ষায় নামছে ১৫ জুন বুধবার।

সেদিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ছাড়াও ১৩৫টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা এবং ১টি উপজেলায় ভোট হতে যাচ্ছে। ভোটের প্রচার চলাকালে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলার মতো পদক্ষেপে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, যা দেশে বিরলই বলা যায়।

কী হয়েছে আন্ধারমানিক ও বিদ্যানন্দপুরে

রোববার বিকেলে আন্ধারমানিক ইউনিয়নের পশ্চিম ভঙ্গা গ্রামে চশমা মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মোটরসাইকেল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরা দুজনই নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন।

ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা ও সহিংসতার খবর পাওয়া যায়।

একই দিন উঠান বৈঠকে হামলা হয় বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নে। ইউনিয়নের বানঘাট এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম মীরের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। নৌকার প্রার্থী আব্দুল জব্বারের সমর্থকরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ আছে।

তবে মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন খান দাবি করেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

সোনাকাটায় কী হয়েছে

নিউজবাংলার বরগুনা প্রতিনিধি রুদ্র রোহান জানান, সোনাকাটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মার্কা দিয়েছে সুলতান ফরাজিকে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া ইউনুস ফরাজি লড়ছেন আনারস প্রতীক নিয়ে।

প্রচার শুরুর পর নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা একাধিকবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা ও নির্বাচনি অফিস, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। গত ৫ জুন উভয় পক্ষের ২৪ জন আহত হয়। সেদিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি একাধিক প্রচার কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়।

‘আ.লীগের’ সহিংসতায় ভোট বন্ধ আরও তিন এলাকায়
বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলাধীন কাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে শনিবার নৌকার প্রার্থী সালাউদ্দিন সুমনের সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র কামাল সমর্থক ১০ জন আহত হন। আহতদের বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। ছবি: রুদ্র রোহান

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুচ ফরাজি বলেন, ‘প্রচারের সময় আমার লোকজনকে নৌকার প্রার্থী হামলা করে কোণঠাসা করেছিল। আমি মামলা ও অভিযোগ করেছি। নির্বাচনের পরিবেশ নেই, ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

তবে নৌকার প্রার্থী সুলতান ফরাজি বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে যাবে জেনেই আমার লোকজনের ওপর হামলা করে পরিবেশ ঘোলাটে করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে।’

আগের আদেশও সরকারদলীয় প্রার্থীদের কারণে

আগের দিন ভোট স্থগিত হয় মোট তিনটি এলাকায়। এর মধ্যে দুটি ছিল ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা।

টাঙ্গাইল মধুপুর উপজেলার আরনখোলা ইউনিয়নে ভোট স্থগিত হয় আওয়ামী লীগ নেতার হুমকিতে। সেখানে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিমের পক্ষে প্রচারে অংশ নিয়ে একই উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ ছিল।

সাদিকুল প্রকাশ্যে বলেন, ‘নির্বাচনে নৌকায় যারা ভোট দিতে নারাজ, দয়া করে কেন্দ্রে আসবেন না। আমরা আশপাশেই অবস্থান করব। এখানে ২ হাজার ৪০০ ভোট রয়েছে, যদি দুই হাজার ভোট কাস্ট হয়, আমরা দুই হাজার ভোটই পেতে চাই।’

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলাধীন কাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট স্থগিতের পেছনে কারণ ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা।

এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে সালাউদ্দিন সুমনকে। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। তবে দল নির্বাচন বর্জন করায় প্রার্থী হয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে।

‘আ.লীগের’ সহিংসতায় ভোট বন্ধ আরও তিন এলাকায়
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নে এক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে সেটি ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তাকে মারধর করা হয়

গত শনিবার সেই এলাকায় কামাল সমর্থকদের ওপর নৌকা সমর্থকদের হামলার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কামাল লিখিত অভিযোগ দেন নির্বাচন কমিশনে। প্রাথমিক তদন্তের পর ভোট স্থগিতের আদেশ দেয়া হয়।

একই দিন ভোট স্থগিত হয় ঝিনাইদহ পৌরসভায়। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল খালেকের অনুসারীরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন- এমন অভিযোগ ওঠার পর ২ জুন নৌকার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। ছয় দিন পর হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের সেই আদেশ এক মাসের জন্য স্থগিত করার পর খালেক প্রচারে ফেরেন।

উচ্চ আদালতের এই আদেশের চতুর্থ দিনের মাথায় সেই এলাকায় ভোট স্থগিত করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে গোপন কক্ষে কর্মী রেখে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে বাটন চেপে নিজের পক্ষে ভোট নেয়ার বিষয়ে নিজের পরিকল্পনা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী। তার বক্তব্যের ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সেটি আমলে নিয়ে গত ৫ জুন সেই ইউনিয়নে ভোট স্থগিত করে দেয়া হয়। পাশাপাশি মুজিবুলের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেয়া হয়।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী গোপন কক্ষে লোক রেখে ভোটারদের তার মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন

একই দিন স্থগিত করা হয় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ভোট। এক প্রার্থীর সই নকল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অভিযোগ ছিল সেখানে। সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করার পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন উপসচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

‘আ.লীগের’ সহিংসতায় ভোট বন্ধ আরও তিন এলাকায়
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী গোপন কক্ষে লোক রেখে ভোটারদের তার মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন

গত ১৭ মে স্থগিত করা হয় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের ভোট। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নেয়ামুল আকন অভিযোগ করেন, তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, তার এবং সঙ্গে থাকা স্ত্রীসহ পাঁচজনকে মারধর করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়। সেদিনই ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়।

বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর ভোট স্থগিত করা হয়।

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নে এক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে সেটি ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তাকে মারধর করা হয়

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকেও সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন। আইন অমান্য করে তার হয়ে পরোক্ষভাবে ভোটের প্রচারে থাকায় ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকেও সতর্ক করে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাকে এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাহার অবশ্য এলাকা ছাড়েননি।

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আওয়ামী লীগের আরও তিনজন সংসদ সদস্যকে সাবধান করে দিয়েছে কমিশন। এরা হলেন শরীয়তপুর-১ আসনের ইকবাল হাসান, ঝিনাইদহ-২ আসনের তাহজীব আলম সিদ্দিকী ও ঝিনাইদহ-১ আসনের মো. আব্দুল হাই।

তবে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচন কমিশন এলাকা ছাড়তে বললেও তিনি সে আদেশ মানেননি।

আরও পড়ুন:
‘সাধারণ ক্ষমা’য় পাচার বাড়তে পারে: এফআইসিসিআই
সবাইকে সাহস করে ভোটে আসতে হবে: সিইসি
বাজেটে আইসিটি বিভাগে ২৭৪ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ
এবার সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রস্তুতি ইসির
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র, স্বচ্ছ ভোটের নিশ্চয়তা সিইসির

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
IFAD is the main adviser to proposes to form a social business fund for young agricultural entrepreneurs in Bangladesh

আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রোববার ইতালির রোমে ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ইভেন্টের ফাঁকে আইএফএডির প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিওর সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলকে (আইএফএডি) বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা, নারী, কৃষক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারীদের সহায়তার জন্য একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার ইতালির রোমে ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ইভেন্টের ফাঁকে আইএফএডির প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিওর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমি আপনাদের একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান জানাই। এমন তহবিল দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, তরুণ, কৃষক, নারী ও মৎস্য খাতের উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেবে।’

বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিল্প গড়ে তোলা, আম ও কাঁঠালের রপ্তানি সম্প্রসারণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং মহিষের দুধ দিয়ে মোজারেলা চিজসহ দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে সহায়তা।

অধ্যাপক ইউনূস আইএফএডি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং কৃষি, সামাজিক ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা যাচাইয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর অনুরোধ করেন।

প্রত্যুত্তরে আইএফএডি প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথভাবে সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগে কাজ করার ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বর্তমানে আইএফএডি বাংলাদেশের কৃষিখাতে অর্ধডজনেরও বেশি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।

প্রধান উপদেষ্টা ফল প্রক্রিয়াকরণ, কোল্ড স্টোরেজ, গুদাম সুবিধা ও আম-কাঁঠালের বৃহৎ পরিসরে রপ্তানিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আম রপ্তানি শুরু করেছি, তবে পরিমাণ এখনো কম। চীন বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ আম ও কাঁঠাল আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি জানান, বাংলাদেশের নারী দুগ্ধ খামারিরা মহিষের দুধ দিয়ে মোজারেলা চিজ তৈরি করছেন। তিনি এ খাত সম্প্রসারণে আইএফএডির সহায়তা চান।

বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ নিয়ে আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশের জেলেরা এখনো অগভীর পানিতেই সীমাবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো গভীর সমুদ্রে যেতে সাহস পাই না। আইএফএডি এই খাতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

বাংলাদেশে ১৯৭৮ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে আইএফএডি ৩৭টি প্রকল্পে অংশীদার হয়েছে, যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার সরাসরি আইএফএডি অর্থায়ন করেছে। বর্তমানে ৪১২ মিলিয়ন ডলারের ছয়টি প্রকল্প চলমান এবং আরও একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।

অধ্যাপক ইউনূস স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে রোমে পৌঁছেন। তিনি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে অংশ নেবেন এবং সেখানে মূল অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং আইএফএডির এসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট ডোনাল ব্রাউন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Want to give a transparent and accountable selection gift CEC

স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই : সিইসি

স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই : সিইসি ছবি : বাসস

লুকানো নয়, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চান উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই, রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। আমরা চাই এমন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, যা সবাই নিজের চোখে দেখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটারদের জন্য এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভোট দিতে পারে। প্রবাসে যারা আছেন, তাদের জন্যও আমরা ভোটের ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই ভোট দিতে পারেন না— এটা কেমন কথা ? তিনি ভোট সংগ্রহ করবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না, এটা তো যুক্তিসঙ্গত নয়। এবার আমরা তাদেরও ভোট দেওয়ার সেই ব্যবস্থা করছি।’

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

সিইসি এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, একটি জিনিস ধরে রাখেন—আমাদের নিয়তের মধ্যে কোনো গলদ নেই। আমরা অতি স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। বরং আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, পার্টনার হিসেবে পাশে পেতে চাই। সিইসি হিসেবে যেমন আমার দায়িত্ব আছে, আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এখানেও আপনাদেরও অবদান রাখতে হবে। আমি যেমন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, তেমনি নাগরিক হিসেবেও আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি এবং পাশে পেতে চাই।

এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। দেখেন, ২০২৪-এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা ছিল, তারাই কিন্তু এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন এটা আমি মনে করি না। কোনো অংশে তাদেরকে আমরা কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। এনসিপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান, ভালো চান। আমার বিশ্বাস, গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা যাতে সুন্দর হয় সেরকম একটা পরিবেশের তারা সম্মতি দেবে।

চট্টগ্রামের ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের ভোটের ইতিহাস বদলাতে চাই। আগের মতো যেন না হয়, সেই নিশ্চয়তা আমি এখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আগের মতো হবে না। আমি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে নিজের ভোট দিতে পারে নিরাপদ পরিবেশে। যাতে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন আপনারা আমাদের সম্পর্কে প্রচার বা অপপ্রচার যা শুনবেন, দয়া করে আগে ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন। আমরা এজন্য একটি ফ্যাক্ট চেক সেল গঠন করছি। যাতে তথ্য পেলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়। সত্য হলে প্রচার করবেন।

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Irregularities in Meghna Gomati Bridge Toll ACC case against Sheikh Hasina

মেঘনা-গোমতী সেতু টোল আদায়ে অনিয়ম : শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মেঘনা-গোমতী সেতু টোল আদায়ে অনিয়ম : শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের চুক্তিতে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের শতকোটি টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ছয় মন্ত্রী ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বাসসকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)-কে একক উৎসভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পূর্বের বৈধ টেন্ডার বাতিল করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই চুক্তিটি সম্পাদন করা হয়।

দুদক জানায়, সিএনএস লিমিটেডকে টাকার অংকে নয় বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জে (ভ্যাট ও আইটি ব্যতীত) কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি বিল গ্রহণ করে। অথচ ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে এমবিইএল-এটিটি কোম্পানিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে খরচ হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।

২০২২-২০২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড একই ধরনের প্রযুক্তিতে তিন বছরের জন্য ৬৭ কোটি টাকায় চুক্তি পায়, যা পাঁচ বছরে রূপান্তর করলে প্রায় ১১২ কোটি টাকা হয়। ফলে সিএনএস লিমিটেডকে একক উৎসভিত্তিক চুক্তির মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়ায় সরকারের ৩০৯ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম, এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।

অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের বা অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও আত্মসাৎমূলক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no plan to issue arrest warrant against any other armed forces official Press Secretary

সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব

সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটরের তথ্য উদ্ধৃত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো পরিকল্পনা নেই।

শনিবার বাসসকে প্রেস সচিব বলেন, দআমরা আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে জানতে পেরেছি যে এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই।’

শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে শফিকুল আলম বলেন, ‘এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া গুজব।’

তিনি জনগণকে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।’

শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই এসব অসৎ গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

প্রেস সচিব স্পষ্ট করে জানান, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) বিলুপ্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্থাটির সীমান্তবর্তী ও বহিঃদেশীয় গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে সরকার সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বিবেচনা করছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
National Charter Signature Ceremony on October 1

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৫ অক্টোবরের (বুধবার) পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগ্রহী জনগণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটি ১৭ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এর আগে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিদের এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Safe Exit does not want to be in the country with normal exit Religious Advisor

সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই দেশে থাকব: ধর্ম উপদেষ্টা

সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই দেশে থাকব: ধর্ম উপদেষ্টা

অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেছেন, আমরা সেইফ এক্সিট চাইনা, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী এদেশেই থাকতে চাই। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং সুষ্ঠুভাবেই হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচিত সরকারের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা চলে যাবো। তিনি বলেন, সেইফ একজিট বলতে আমি কিছু জানিনা। আমার কোন সেকেন্ড হোম নেই। এমনকি ঢাকায় আমার থাকার কোন বাড়ীও নেই। বর্তমানে আমি সরকারী বাড়ীতে থাকি আর চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকি। আমি এই দেশেরই মানুষ,এই দেশ আমার আপনার, এখানেই আমি থাকব। তিনি আরো বলেছেন আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে চাই এবং সম্প্রীতিই একমাত্র মৌলিক বিষয়। এটা নিয়েই পার্বত্য এলাকাসহ পুরো দেশে আমরা সকলে একসাথে থাকতে পারব বলে আমি আশাবাদি।

তিনি শনিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

ধর্ম উপদেষ্টা ড, আ ফ ম খালিদ হোসাইন আরো বলেন, ‘কাউকে ধর্মীয়, সামাজিক বা অন্য কোনোভাবে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। আমাদের সকলের মাঝে সম্প্রীতি থাকা দরকার, কারণ এটিই আসল।’ দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমি সকল সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা। আমাদের দেশের সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সকল ধর্মের জন্য বরাদ্ধ আছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাজী শরীয়ত উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাদেক হোসেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো: হাবিব উল্লাহ মারুফ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। সম্প্রীতির এসভায় জেলা উপজেলার মসজিদ, মন্দির, বিহারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The presiding officer will be the Chief Election Officer of the Center CEC Nasir Uddin

প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’: সিইসি নাসির উদ্দিন

প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’: সিইসি নাসির উদ্দিন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন শনিবার চট্টগ্রামে নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস

এবারের নির্বাচনে আমরা আইনের শাসন কাকে বলে, সেটা দেখাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, ভোট গ্রহণকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’। আইন অনুযায়ী সব ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগের দায়িত্ব তার ওপরই থাকবে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিইসি একথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র স্থগিত করুন, আইন প্রয়োগ করুন। তবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সাহসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।

সিইসি নাসির উদ্দিন আরো বলেন, আজকের এই কর্মশালা থেকে আমাদের বিভিন্ন ক্যাপসগুলো উঠে আসবে। আমরা তো সব জানি না, তাই আমরা অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি। যারা এর আগে নির্বাচনে কাজ করেছেন, তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখছি। যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে, আমরা সেই ঘাটতি পূরণ করে নেব। আমাদের এখানে খুব দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে, অনেক চ্যালেঞ্জও আছে।

তিনি বলেন, যাই হোক, আমাদেরকে সবাই মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আমরা চাই, একটি এমপাওয়ার্ড (ক্ষমতাসম্পন্ন) প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার তৈরি করতে। আমরা একটি বিশ্বমানের ও সম্পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিজাইডিং অফিসার গড়ে তুলতে চাই।

সিইসি আরো বলেন, আপনাদের হাতে আমরা সমস্ত ক্ষমতা দিচ্ছি। আপনি যদি সেই ক্ষমতা ব্যবহার না করেন, তাহলে সেটাকে আমরা অপরাধ হিসেবে গণ্য করব। আপনি যদি যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নেন, সেটাও আমরা ভালোভাবে নেব না।

তিনি বলেন, ক্ষমতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তার সঠিক ব্যবহারও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, যেই পর্যায়ের ক্ষমতা আপনাদের দেওয়া হয়েছে, আপনারা সেটি দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করবেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা আইনের মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে— এই নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। এজন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে বিভিন্ন পেশার মানুষ যাদের মধ্যে কেউ কেউ আগে কখনো ভোটগ্রহণের অভিজ্ঞতা পাননি, তারাও দায়িত্ব পালনে দক্ষ হয়ে ওঠেন। ‘ওয়ান সাইজ ফিটস অল’ পদ্ধতিতে নয়, বরং অংশগ্রহণকারীদের পটভূমি বিবেচনায় প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিরাপত্তা। প্রশাসনিক, আইনগত ও প্রযুক্তিগত নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়।

এজন্য তিনি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচন কমিশন একটি ‘সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন সেল’ ও ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স ইউনিট’ গঠন করছে, যাতে দেশের যে কোনো স্থান থেকে দ্রুত যোগাযোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

তিনি বলেন, একটি সফল নির্বাচন আয়োজনের মূল চাবিকাঠি হলো সমন্বয়। প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ই নির্বাচনের সাফল্য নিশ্চিত করবে।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ও এআই-ভিত্তিক অপপ্রচার মোকাবিলায় একটি সেল গঠন করেছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

p
উপরে