প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত বলে মন্তব্য করেছে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক।
শুক্রবার নিউজবাংলাকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
কাজি আমিনুল হক বলেন, ‘২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেট জনহিতকর, বাস্তবসম্মত, উন্নয়নমুখী, কৃষি ও ব্যবসাবান্ধব এবং যুগোপযোগী। খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পরিষদ তাই মনে করে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে উন্নয়নের ধারায় ফিরে আসতে ব্যবসায়ী সমাজসহ সব শ্রেণির মানুষের স্বার্থে সরকারের প্রস্তাবিত এ বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
‘পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ করা, ব্যক্তিগত আয়করের স্লাব কমানো, উৎপাদন পর্যায়ে ওষুধ শিল্পে ভ্যাট কমানোসহ খানজাহান আলী বিমানবন্দর যথা শিগগিরই চালু করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খুলনা চেম্বার সভাতি বলেন, ‘এ বাজেট দেশে চলমান মেগা প্রকল্প ও জাতিসংঘের ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়নে এ বাজেট ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এ বাজেটে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখাসহ ২৫জন প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ নিয়োগ দিলে কর ছাড়ের সুযোগ রাখাকে সাধুবাদ জানাই।
‘বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটসহ ভবিষ্যৎ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং কোভিড ১৯ জনিত অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ১০০ কোটি ডলার বাজেট সাপোর্ট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটূক্তি করে তার পরিবারের অকল্যাণ কামনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে সৌভিক সাহা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশালের গৌরনদী থানা পুলিশ।
কটূক্তির অভিযোগে মামলা হলে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারের পর সৌভিককে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
সদ্য এইচএসসি পাশ করা সৌভিক সাহা জেলার গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ‘বার্থী তাঁরা মায়ের মন্দির’ পরিচালনা কমিটির সদস্য বেল্টু সাহার পুত্র। ওই মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি শান্তনু ঘোষ কটূক্তির দায়ে মামলাটি করেন।
মামলার বাদি শান্তুনু ঘোষ বলেন, ‘মন্দির কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বেল্টু সাহার ছেলে সৌভিক। সে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করে এবং তার পরিবারের অকল্যাণ চেয়ে মন্দিরে প্রার্থণা চলছে উল্লেখ করে এতে যোগ দিতে সবাইকে আহ্বান করে সোমবার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়।’
শান্তনু জানান, বিষয়টি গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেনকে জানালে পুলিশ সৌভিককে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে পোস্ট দেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
সৌভিক সাহার বাবা বেল্টু সাহা বলেন, ‘আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন।’
গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘ফেসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজবাড়ীর কালুখালীতে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের কুমড়িরানী গ্রামে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাট্টা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফয়জুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। সেই সঙ্গে হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি।’
পাট্টা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা জানান, ইউপি সদস্য ফয়েজুর রহমান পাট্টা বাহের মোড় বাজার থেকে ভ্যানে করে তেবাড়িয়ার বাড়িতে ফিরছিলেন। কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের কুমড়িরানী এলাকায় পৌঁছলে পাট ক্ষেত থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান।
জালিয়াতির দায়ে গেল বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিখা পিরেগুকে। তিনি ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাবেক সভাপতি। বহিষ্কারের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকছেন তিনি।
বিষয়টি স্বীকার করে মার্কেটিং বিভাগের ৪৪ ব্যাচের বহিষ্কৃত এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদন করেছি। এ বিষয়ে এখনও জবাব পাইনি, তাই হলে থাকছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০১, ৪১২ ও ৪১৩ নম্বর কক্ষ তিনটি ছাত্র ইউনিয়রের ‘কক্ষ’ হিসেবে পরিচিত। মিখা পিরেগু নিয়মিত থাকেন ৪১২ নম্বর কক্ষে। চার সিটের এই কক্ষে আরও থাকেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি রিফাত খান অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক অমর্ত্য রায় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়কসম্পাদক মো. সৈকত।
আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত একজন ছাত্র কীভাবে হলে থাকেন জানতে চাইলে অমর্ত্য রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সে (পিরেগু) নিয়মিত ঢাকায় থাকত। মাঝে মাঝে হলে আসত। তার পারিবারিক সমস্যার কারণে গত দেড় মাস ধরে হলে নিয়মিত থাকছে।’
সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও আপনি কেন ব্যবস্থা নেননি? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
সহ সভাপতি রিফাত খান অনিক বলেন, ‘পিরেগু আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পুনঃবিবেচনার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। সেই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তিনি হলে থাকতে পারবেন। তাই এই বিষয়ে আমরা কোনো ব্যবস্থা নেইনি।’
একই কক্ষে থাকলেও পিরেগুর বহিষ্কারের বিষয়টি জানতেন না দাবি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকতের। বলেন, ‘আমি ভাইয়ের বহিষ্কারের বিষয়টি জানতাম না।’
গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘বিশেষ পরীক্ষার অনুমতির আবেদনপত্রে বিভাগীয় সভাপতির স্বাক্ষর ও সিলমোহর জালিয়াতি করায় এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মিখা পিরেগুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।’
বহিষ্কার হওয়ার পর কেউ হলে অবস্থান করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবু হাসান (শিক্ষা)। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কেউ সাময়িক বহিষ্কার হলেও তার হলে থাকার অধিকার নেই। সেক্ষেত্রে আজীবন বহিষ্কার হলে কোনোভাবেই হলে থাকার সুযোগ নেই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী হোক বা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী হোক, আজীবন বহিষ্কার হয়ে কেউ কোনোভাবেই হলে অবস্থান করতে পারেন না। এটি একটি নৈতিকতাবিরোধী কাজ।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি স্কুলছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতুকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বুধবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘নগরহাওলা গ্রাম থেকে জিতুকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এ বিষয়ে কাল সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে এদিন ভোরে জিতুর বাবা উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক জানান, সকালে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।
যা ঘটেছিল
হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা ছেলেদের ফুটবল ও মেয়েদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি। শনিবার স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। এ সময় প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় তলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিল ছেলে শিক্ষার্থীরা।
‘অভিযুক্ত ছাত্রও দ্বিতীয় তলায় ছিল। হঠাৎ সে নেমে মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় উৎপলকে উদ্ধার করে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ (সোমবার) সকালে উৎপলের মৃত্যু হয়।’
অধ্যক্ষ জানান, উৎপলের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন।
দায়িত্বের অংশ হিসেবেই উৎপল শিক্ষার্থীদের আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করতেন ও তাদের নানা অপরাধ বা নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিচার করতেন বলে জানান অধ্যক্ষ। তার ধারণা, অভিযুক্ত ছাত্রকেও উৎপল কোনো কারণে শাসন করেছিলেন। সেই ক্ষোভ থেকে ওই কিশোর তার ওপর হামলা করেছে।
নিহতের ভাই ও মামলার বাদী অসীম কুমার সরকার বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, ওই শিক্ষার্থী মেয়েদের ইভটিজিংসহ নানা উচ্ছৃঙ্খল কাজে অভিযুক্ত। তাকে শাসন করায় আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে সে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহত শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি থাকায় নিয়মকানুন মানাতে শিক্ষার্থীদের শাসন করতেন। তিনি ওই শিক্ষার্থীকেও শাসন করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।’
আরও পড়ুন:সাভারে শিক্ষক হত্যা ও নড়াইলে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বুধবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সেলিনা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক সজীব কুমার ঘোষের সই করা প্রতিবাদলিপিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সাভারে অবস্থিত ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা ও নড়াইল সদর উপজেলার ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনা জাতিকে হতবাক করেছে ৷
একজনের অপরাধ- ডিসিপ্লিনারি কমিটির প্রধান হিসেবে ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ছাত্রকে কাউন্সেলিং করা, আর অপরজনের অপরাধ, কলেজে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য পুলিশকে ডাকা। এ দুটি ঘটনাই অত্যন্ত লজ্জার৷
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দুটি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়া অপরাধগুলো পুরো জাতিকে ভাবিয়ে তুলছে৷ মুক্তবুদ্ধির চর্চার জন্য শিক্ষকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সমাজ ও রাষ্ট্রের। প্রতিটি ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার ব্যর্থতায় ও দায়িত্বে অবহেলায় বারবার এই অপরাধগুলো ঘটছে৷
মানবিক সমাজ গঠনে অপরাধ দমনে সরকারকে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলেও মনে করে শিক্ষক সমিতি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃ্হস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে চবি শিক্ষক সমিতি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার ফয়েজনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ৫০ বছর বয়সী ওই স্কুলশিক্ষকের নাম জয় চ্যাটার্জি। তিনি পটিয়ার গুয়াতলী এলাকার শান্তিপ্রিয় চ্যাটার্জির ছেলে। চরলক্ষ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন জয়।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার বিকেলে কর্ণফুলীর ফয়েজনগরে ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান জয় চ্যাটার্জি। বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক জয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, পরিবারের সদস্যরা জয় চ্যাটার্জির ‘আত্মহত্যা’র বিষয়ে কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ আইন বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ ছিল বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আশিক একাধিকবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটিয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। বুধবার আইন বিভাগের ক্লাসরুমে অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকাকে তিনি হেনস্তা করেন।
তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আশিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেটের রিপোর্ট সাপেক্ষে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষককে হুমকি দেন আশিক। এ সময় তাকে বিভাগের সভাপতির কক্ষে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগ থেকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আশিক উল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, প্রকাশ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষকের পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলার দাবি জানান।
আইন বিভাগ ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলার সময় ইমপ্রুভমেন্টের কথা বলে ক্লাসে প্রবেশ করেন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ। কিন্তু তার কোনো ইমপ্রুভমেন্ট ছিল না। ক্লাসের শেষ দিকে অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দীকাকে বিব্রত করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকেন তিনি।
একপর্যায়ে শিক্ষক ক্লাস থেকে বের হতে গেলে আশিক উল্লাহ দরজা লাগিয়ে তাকে মারার জন্য উদ্যত হন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ক্লাসরুমে আটকে রেখে ওই শিক্ষককে রক্ষা করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দীকা বলেন, ‘আমি চতুর্থ বর্ষের ক্লাস শেষ করে বের হতে গেলেই সে আমার পথ রোধ করে। ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি তাকে চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। কিন্তু সে তা না শুনেই আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য