ভারতের বিজেপি নেতাদের মহানবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আবারও মাঠে নামার হুমকি দিলো ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বৃহস্পতিবার এক মানববন্ধনে ওই হুমকি দেয়া হয়।
ভারতের বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন জিন্দাল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার প্রতিবাদে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক ওই সংগঠন।
ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র নূপুর শর্মা এক টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে মহানবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। পরে মহানবীকে নিয়ে বিতর্কিত টুইট করেন নবীন জিন্দাল।
ওই ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে দলটি। অন্তত ১৫টি দেশ এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। ব্যাপক প্রতিক্রিয়া এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে।
মানববন্ধনে অংশ নেন হেফাজতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহাসচিব সাজিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদরিস নদভী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী।
সভাপতির বক্তব্যে মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা হেফাজতে ইসলাম সাড়ে ৩ বছর ধরে রাস্তায় নামি নাই। আমরা কোনো প্রতিবাদ করি নাই। আমরা মিটিং-মিছিল কিছুই করি নাই।
‘আজকে আমাদের কে রাস্তায় নামালো? আমরা কেন রাস্তায় নেমেছি?’
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মরহুম আমীর আল্লামা শাহ আহমেদ শফী যেভাবে ঐক্য গড়ে তুলেন, সেভাবে তৌহিদী জনতার ঐক্য চালু হবে। ইসলামের দুশমনদের মোকাবিলার জন্য আমরা হেফাজতে ইসলাম সোচ্চার ভূমিকার পালন করব।
‘আজকে সেই ঘাদানিক, সেই শাহরিয়ার কবির, তুরিন আফরোজ, তথাকথিত বিচারপতি তারা ওলামাদের কলঙ্কিত করে দ্বীনি শিক্ষাকে বন্ধ করতে চায়। এ দেশকে মুসলমান শূন্য করতে চায়।’
সরকারের উদ্দেশে হেফাজতের এ নেতা বলেন, ‘আমাদের ওপর বার বার আপনারা হস্তক্ষেপ করবেন, আর আমরা কোনো ব্যবস্থা নেব না, তা হতে পারে না। আমাদের সংগ্রাম হবে আত্ম রক্ষার লড়াই।’
হেফাজতের মহাসচিব বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাদের একের পর এক মহানবী ও তাঁর পরিবার নিয়ে কটূক্তি সারা বিশ্বের মুসলমানদের চরমভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। বিজেপি নেতারা প্রায় ২০০ কোটি মুসলমানের অন্তরে আঘাত করেছে। বিজেপি নেতারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে।
‘যেহেতু ভারতের সরকারি দলের জাতীয় মুখপাত্র এ হীন বক্তব্য দিয়েছে যা ইসলাম ধর্মের ওপর রাষ্ট্রীয় আঘাতের শামিল। তাই সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে তাদের প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে যথাযথ শাস্তি প্রদান করতে হবে।’
সাজিদুর রহমান বলেন, ‘এবারই প্রথম নয়, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লাগাতার ইসলামের ওপর বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দেশটিতে মুসলমানদের ওপর চলছে নানারকম নির্যাতন।
‘দিন দিন তাদের এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এটি সম্ভব হচ্ছে মুসলিম বিশ্ব চুপ থাকার কারণে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের উচিত বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শিক্ষা গ্রহণ করা। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও এখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা বরাবরের মতো নিরাপদ ও সম্প্রিতির মধ্যে বসবাস করে যাচ্ছে। ভারতের উচিত এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।’
মানববন্ধনে ৫ দফা দাবি জানায় হেফাজত
১. ভারত সরকারকে অবশ্যই কটূক্তিকারী দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
২. বিশ্ব মুসলমানদের কাছে ভারতকে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. অন্যথায় সারা বিশ্বের মুসলমানরা ভারতীয় পণ্য বয়কট করবে।
৪. মুসলমানদের বিশ্বাস ও ধর্মের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাতে হবে।
৫. কারাগারে আটক আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
আরও পড়ুন:খাল-নদী সংস্কারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নিজস্ব অর্থায়নে শুরু করেছে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের খনন। নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে এ উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
নগরীর শহীদ নগর এলাকায় বুধবার বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের খাল-নদীগুলো সংস্কার করতে হবে। সংস্কারে কারও ব্যক্তিগত ক্ষতি করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। তবে যারা খাল-নদী দখলের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন, আমাদের কাজে তারা মনক্ষুন্ন হতেই পারেন।
‘দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরী ঢাকা। এর পরিবেশ ঠিক করতে হবে আমাদের। ঢাকার পরিবেশ সুন্দর করার মাধ্যেমে আমারের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। ঢাকাকে উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য খাল এবং নদীগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।’
মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘সিএস ম্যাপ অনুযায়ী আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনঃখনন কাজ এগিয়ে নেয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার অংশের খনন হবে। নদীর সীমানা নির্ধারণ করে বেষ্টনী দেবো।
‘আদি বুড়িগঙ্গা, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, হাজারীবাগ, চকবাজার ও পুরান ঢাকা ঘিরে কীভাবে একটি নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করা যায়, সে চেষ্টা চলছে। নদীর প্রবাহ ও নদী পুনরুদ্ধার করে একটি বাসযোগ্য নগরী উপহার দেয়া হবে।’
দক্ষিণ সিটির নিজস্ব অর্থায়নে বুড়িগঙ্গায় খনন কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সাড়ে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। আগামী অর্থবছরে আরও বেশি বরাদ্দ রাখা হবে। আনন্দের বিষয় যে, আমরা কাজটি শুরু করতে পেরেছি।’
পরে নগরীর ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মেয়র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিররা।
আরও পড়ুন:অর্থপাচার মামলায় এসএম গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমসহ আট জনের বিরুদ্ধে আরও পাঁচ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে বুধবার তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এই পর্যন্ত ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে এই মামলায়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৮ জুলাই দিন ঠিক করেছেন বিচারক।
আদালতে যে পাঁচ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন হোসাইনী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার কনস্টেবল মিনহাজুল আবেদীন, গুলশান থানার এএসআই বুলবুল হক আনাছ, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানার এএসআই নুরে আলম ও বাগেরহাট সদর মডেল থানার এএসআই তারক চন্দ্র দাস।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
আলোচিত এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, সামসাদ হোসেন, আনিছুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম। তারা জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত।
জি কে শামীমকে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আটক করে র্যাব। এ সময় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং, মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করে।
আরও পড়ুন:আত্মসমর্পণের পর জামিন পাননি ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাজা পাওয়া চার কর্মকর্তা। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
গ্রাহকদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালত ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজার রায় দেয়। তখন চার আসামি পলাতক থাকায় তাদের নামে পরোয়ানা জারি হয়।
বুধবার ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের উপস্থিতিতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- ডেসটিনি গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর সাকিবুজ্জামান খান (অব.), সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেস্ট এভিয়েশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মোল্লা আল আমিন, সুনীল বরণ কর্মকার ও হেড অব ফাইন্যান্স কাজী মোহাম্মদ ফজলুর করিম।
এ মামলায় গত ১২ মে রায় দেন ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
রায়ে অন্য আসামিদের পাশাপাশি মেজর সাকিবুজ্জামান খানের (অব.) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা জরিমানা হয়। মোল্লা আল আমিনের চার বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, সুনীল বরণ কর্মকারের ৮ বছর কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং কাজী মোহাম্মদ ফজলুর করিমের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:রাজধানীর রায়ের বাজার পুলপার বটতলা এলাকায় এক যুবককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকের নাম মো. রবিন। তার বয়স ২৩ বছর।
রবিন রায়েরবাজার কাঁচাবাজারের পাশে একটি বাসায় থাকেন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক।
গুরুতর আহত অবস্থায় রবিনকে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিলশাদ নামে সিএনজি চালকের মাধ্যমে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকরা জানান, ওই যুবকের পেটে, পিঠে চার থেকে পাঁচটি ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তখনন হয়েছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিনের বন্ধু বাবু জানান, রবিনসহ তারা তিনজন রায়েরবাজার বটতলা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী মিঠুর ছেলেসহ ৫/৬ জন তাদের পথ রোধ করে। সেখান থেকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায় পাশের রাস্তায়। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
গতকাল ওই এলাকায় দুই গ্রুপের মারামারি হয়। এরই জেরে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে তার বন্ধুরা জানান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:শিশুদের সঙ্গে সময় কাটালেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সুপ্রিম কোর্টে নবনির্মিত ‘বিজয় ৭১ ভবনে’ বুধবার ডে কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।
বিকেল ৪টায় তিনি ফিতা কেটে সেন্টারটি উদ্বোধন করেন।
ওই সময় তিনি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। পরে ছবি তোলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
নতুন এই ডে কেয়ার সেন্টারে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সন্তানরা রয়েছে।
আরও পড়ুন:সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে নিজেদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি জ্ঞানভিত্তিক, সুখি-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হবে।’
বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা/কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, বিদ্যুৎসেবা আরও বাড়াতে হবে। টিমওয়ার্কের জন্যই এ অর্জন দ্রুত হয়েছে। টিমওয়ার্ক করেই কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে।
‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা। কখন কোন কাজ সম্পাদন করতে হবে তার টাইমলাইন থাকায় সাফল্য পেতে সহজ হয়। অতীতে ভালো করলেও বিগত দুটি বছরে অর্জিত সম্মানজনক অবস্থান বিদ্যুৎ বিভাগ ধরে রাখতে পারিনি। আগামীতে প্রথম স্থান পেতে হবে।
‘আমাদের যে অর্জন হয়েছে তা ধরে রাখা হবে। রক্ষণাবেক্ষণের জায়গায় আরও সচেতন হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পান নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহসিন চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনিসুল হক এবং অফিস সহায়ক আফরোজা আক্তার।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরক্ত সচিব ও এপিএ টিম লিডার মোহসিন চৌধুরী, পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বহরে যুক্ত হয়েছে প্রগতির পাজেরো জিপ।
বাহিনীর আভিযানিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ৩০টি পাজেরো স্পোর্ট কিউএক্স জিপ কেনা হয়েছে।
প্রগতি হলো বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীনে পরিচালিত দেশে বৃহত্তম গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান।
ঢাকায় র্যাব ফোর্সেস হেড কোয়ার্টারে মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কাছে বিএসইসি ও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হক ভূঁঞা এসব হস্তান্তর করেন।
প্রগতি সুনামের সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে জাপান, কোরিয়া, চীন ও ভারতে বিশ্বখ্যাত কোম্পানির জীপ, বাস, মিনি বাস, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাক সংযোজন ও বাজারজাত করে যাচ্ছে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত সব পণ্য নিয়ম মেনে সরবরাহ করা হবে। র্যাবে উচ্চ সিসির গাড়ি লাগলে প্রগতি দিতে পারবে।’
প্রগতির ৩০টি পাজেরো কেনার জন্য তিনি বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘নিয়ম অনুসরণ করে প্রগতি থেকে গাড়ি নেয়া হবে। বিএসইসির যত পণ্য রয়েছে র্যাবে, তার প্রয়োজন থাকলে সংগ্রহ করা হবে।
বিএসইসির পরিচালক বাণিজ্যিক ও যুগ্মসচিব বদরুন নাহার এবং র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. কামরুল হাসান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ইমতিয়াজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য