× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Elahi court arrested under digital security law
google_news print-icon

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার এলাহী আদালতে

ডিজিটাল-নিরাপত্তা-আইনে-গ্রেপ্তার-এলাহী-আদালতে
সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে আদালতে নেয়া হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার এসআই অরূপ তালুকদার বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিক এলাহীকে সকালে আদালতে নেয়া হয়েছে।’ 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে আদালতে তোলা হয়েছে।

বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তোলা হয়। ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে হওয়া মামলায় ফজলে এলাহীকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার এসআই অরূপ তালুকদার। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিক এলাহীকে সকালে আদালতে নেয়া হয়েছে।’

ফজলে এলাহী জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক।

কোতোয়ালি থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থানা থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের ওয়ারেন্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সকালে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে।

‘২০২০ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলার প্রসেস নম্বর ৮১৭/২২। মামলা নম্বর- ২৮/২১।’

মামলার পরোয়ানায় বাদীর নামের জায়গায় নাজনীন আনোয়ার লেখা রয়েছে। তবে নাজনীনের মা সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনুর দাবি, তিনিই মামলাটি করেছেন।

চিনু বর্তমানে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

মামলার বিষয়ে নিউজবাংলাকে চিনু বলেন, ‘ডিসি বাংলো পার্কে আমার মেয়ে লিজ নিয়ে রেস্টুরেন্ট দেয়। ৩ বছরের জন্য লিজ ছিল, বিনিয়োগ করেছিল প্রায় ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিসি পরিবর্তন হলে রেস্টুরেন্ট নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। ডিসি অফিসের লোকজনের সঙ্গে রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের বিবাদ হয়।

‘সে সময় এলাহী নিউজ করে যে এই লিজ পেতে আমি আমার প্রভাব খাটিয়েছি। সে আপত্তিকর কথাবার্তা লিখেছে। আমি তখন কোর্টে মামলা করেছি।’

পরোয়ানায় মেয়ের নাম থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের নাম কেন দিয়েছে জানি না, বাদী আমি-ই।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেসবাহ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি মামলা করার পর যদি পরিচালনার পাওয়ার অন্য কাউকে দেয়, তাহলে ওয়ারেন্ট ইস্যুতে পরিচালনাকারীর নাম থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয় না।’

ফজলে এলাহীর স্ত্রী সেলিনা সুমি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিনুর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে একটি নিউজ করেছিলেন আমার হাজব্যান্ড। সেটা ডিসি পার্কের একটি রেস্টুরেন্টের লিজ নেয়া বিষয়ে। হঠাৎ আজকে পুলিশ এসে জানাল তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট। আমরা কিছুই জানতাম না।’

গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরই নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন সাংবাদিক ফজলে এলাহী। তাতে তিনি বলেন, ‘ফিরোজা বেগম চিনু ও তার মেয়ের মামলায় আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট দেখিয়ে থানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ... সাংবাদিকতার এই প্রতিদান? আমার মৃত্যুর জন্য চিনু ও তার মেয়েকে দায়ী করে গেলাম...... রাঙামাটিবাসী এদের বিচার করিও’। (মূল পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)।

আরও পড়ুন:
নঈম নিজামসহ ৭ জনের মামলার তদন্ত করবে সিআইডি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকের আগাম জামিন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: মন্ত্রীর বক্তব্যে টিআইবির ‘সতর্ক সাধুবাদ’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক কারাগারে
জামিন পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Helena Jahangir sentenced to 2 years imprisonment

প্রতারণার মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের ২ বছরের কারাদণ্ড

প্রতারণার মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের ২ বছরের কারাদণ্ড
হেলেনা জাহাঙ্গীর। ছবি: সংগৃহীত
হেলেনা জাহাঙ্গীর প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে ২০২১ সালের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যপদ হারান তিনি।

প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আসামিদের দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

গত ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য সোমবার দিন ঠিক করে।

২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে।

এর আগে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

চার্জশিটভুক্ত অন্য চার আসামি হলেন জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন ওরফে অনি, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্লাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার।

২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে রাজধানীর পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন হেলেনা জাহাঙ্গীর, হাজেরা খাতুন, কামরুজ্জামান আরিফ, সানাউল্লাহ নূরী, মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এতে অভিযোগ করা হয়, আসামিরা সরকারের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও জয়যাত্রা টিভিকে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি নিয়োগ করে মোটা অঙ্কের টাকা জামানত হিসেবে গ্রহণ করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন। প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছিলেন তারা।

ওই বছরের ২৯ জুলাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়।

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েও আলোচনায় আসেন তিনি।

হেলেনা জাহাঙ্গীর প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে ২০২১ সালের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যপদ হারান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Got news of red notice issued against Arab Khan IGP

আরাব খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশের খবর পেয়েছি: আইজিপি

আরাব খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশের খবর পেয়েছি: আইজিপি দুবাইয়ে থাকা পলাতক আসামি আরাব খান। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আরাভ খানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারপোলসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ শুরু করেছি। আমি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি যে, তার যে নামে আমরা চার্জশিট দিয়েছি, ওই নামে রেড নোটিশ জারির একটা বিষয় (আবেদন/অনুরোধ) দিয়েছি। এটা বোধ হয় ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে, এ রকম একটা খবর আমি পেয়েছি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, কীভাবে কাজ করছি সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছি না তদন্তের স্বার্থে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে থাকা পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন গ্রহণের কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আরাভ খানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারপোলসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ শুরু করেছি। আমি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি যে, তার যে নামে আমরা চার্জশিট দিয়েছি, ওই নামে রেড নোটিশ জারির একটা বিষয় (আবেদন/অনুরোধ) দিয়েছি। এটা বোধ হয় ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে, এ রকম একটা খবর আমি পেয়েছি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, কীভাবে কাজ করছি সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছি না তদন্তের স্বার্থে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ থেকে যদি কোনো আসামি পলায়ন করে বিদেশে চলে যায়, যখন আমরা তার সম্পর্কে মোটামুটি কিছু তথ্য পাই, তখন আমরা একটা রেড নোটিশ জারি করি। এটা ইন্টারপোল হেড কোয়ার্টারে যায়। আমি যেটা খবর পেয়েছি যে, এটা তারা অ্যাকসেপ্ট করেছে।’

এর আগে গত শনিবার পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার ফেরারি আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়ার খবর জানায় বাংলাদেশ পুলিশ।

ইন্টারপোল বাংলাদেশ ডেস্কের এক কর্মকর্তা ওই দিন বিকেলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে (আরাবকে দেশে ফেরানো) ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইন্টারপোলকে মেইল করেছি। তারা আমাদের দেয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।’

একই দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, আরাবকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাবকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারপোলের সহায়তায় তাকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

‘আমরা অনেক কিছুই শুনেছি, জেনেছি। যেসব তথ্য আমাদের কাছে এসেছে, তা যাচাই-বাচাই করে বাদবাকি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরাবকে নিয়ে আলোচনার শুরু যেখান থেকে

আরাবের এই জুয়েলারি শপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সাকিব আল হাসানের ভিডিওবার্তার পর বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)।

সে সময় ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘পুলিশ পরিদর্শককে হত্যা মামলার চার্জশিট হয়েছে অনেক আগেই। রবিউল চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি। জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের ঘোষণার পর আইডেন্টিফাই করি, যে ব্যক্তি আরাব খান নামে আইডিটি পরিচালনা করছেন, তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তার ভারতীয় একটি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট আমাদের কাছে রয়েছে।’

রবিউলকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজিব আল মাসুদ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলাম। দুবাইতে তিনি অবস্থান করছেন, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে এখন আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেব।’

ফেরারি আসামি আরাব খানের মালিকানাধীন আরাব জুয়েলার্স উদ্বোধন হয় ১৫ মার্চ রাতে। দুবাইয়ে নিউ গোল্ড সোক হিন্দ প্লাজার ৫ নম্বর ভবনের ১৬ নম্বর দোকানটি আরাবের।

তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি পাকিস্তানের ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির, আফগানিস্তানের ক্রিকেটার হযরতউল্লাহ জাজাই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার এভিন লুইস, ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল, শ্রীলঙ্কার ইসুরু উদানা, বাংলাদেশি লেখক সাদাত হোসাইন, অভিনেত্রী দীঘি, আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম, চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী নোবেল, বেলাল খানসহ অনেকে জুয়েলারি শপ উদ্বোধন উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা দেন। তাদের একটি বড় অংশ দুবাইতে গিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আরও পড়ুন:
আরাবকে ফেরাতে ইন্টারপোলকে চিঠি
দুবাইয়ে খুনের আসামির বিষয়ে সাকিবকে কোন মাধ্যমে জানিয়েছিল পুলিশ
প্রয়োজনে সাকিব, হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ: ডিবি
সাকিবকে দুবাইয়ে ডাকা আরাবের বিরুদ্ধে ১২ মামলার খোঁজ
সাকিবকে দুবাইয়ে নিমন্ত্রণ জানানো আসামিকে নিয়ে কী জানা গেল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BUET professor in jail in bank leak case

ব্যাংকের প্রশ্নফাঁস মামলায় বুয়েট অধ্যাপক কারাগারে

ব্যাংকের প্রশ্নফাঁস মামলায় বুয়েট অধ্যাপক কারাগারে নিখিল রঞ্জন ধর। ফাইল ছবি
গত ৩১ জানুয়ারি অধ্যাপক নিখিলের নাম আসামির তালিকায় যুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম আহমেদ।

ব্যাংক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে।

২০২১ সালের নভেম্বরের ওই মামলায় সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরির আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

এদিন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন নিখিল রঞ্জন ধর। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে নিখিল রঞ্জন ধরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৫ এপ্রিল দিন ঠিক করেন।

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম এ মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করে নিখিল রঞ্জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ৩১ জানুয়ারি অধ্যাপক নিখিলের নাম আসামির তালিকায় যুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম আহমেদ।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে নিখিল ধরকে ‘পলাতক’ দেখিয়ে এবং কোনো আদালত থেকে জামিন না নেয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকায় বিভিন্ন কেন্দ্রে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে ওই পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন।

পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তে নেমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়ার কথাও জানায়।

ঢাকাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে প্রশ্ন ফাঁস করে উত্তর বিক্রির অভিযোগে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন, পারভেজ মিয়া ও প্রেসকর্মী রবিউল আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদে ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য পাওয়ার কথা জানায় ডিবি।

প্রশ্ন ফাঁসের ওই ঘটনায় সেসময় রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ৩০ বছর বয়সী জানে আলম মিলন, ৩৮ বছর বয়সী পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন ও ৩৬ বছর বয়সী রাইসুল ইসলাম স্বপন এবং জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার অফিসার ৩৪ বছর বয়সী শামসুল হক শ্যামলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই তদন্তেই বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান নিখিল রঞ্জন ধরের নাম পাওয়ার কথা জানান ডিবির কর্মকর্তারা। পরে ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর ওই বিভাগের প্রধানের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিয়ে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে বুয়েট প্রশাসন।

আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ন দেলোয়ার তার স্বীকারোক্তিতে নিখিল রঞ্জনের নাম উল্লেখ করেন।

দেলোয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ছাপার বিভিন্ন কাজে তিনি আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানায় যেতেন। বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধর নিজেই তার ব্যাগে প্রশ্নপত্র ঢুকিয়ে নিতেন। তিনি নিজেও নিখিল রঞ্জনের ব্যাগে প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিতেন।’

আরও পড়ুন:
ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী বুশরার স্থায়ী জামিন
বুয়েট শিক্ষার্থী সানি হত্যা মামলার প্রতিবেদন ফের পেছাল
ফারদিন হত্যা মামলা: চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বুশরাকে অব্যাহতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
RABs Dog Squad dogs are receiving gallantry medals

বীরত্বপূর্ণ পদক পাচ্ছে র‍্যাবের ডগ স্কোয়াডের কুকুর

বীরত্বপূর্ণ পদক পাচ্ছে র‍্যাবের ডগ স্কোয়াডের কুকুর র‌্যাবের ডগ স্কোয়াডের কুকুর। ফাইল ছবি
‘দেশে প্রথমবারের মতো র‍্যাব ডগ স্কোয়াডের একটি কুকুর বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য র‍্যাব মহাপরিচালক পদক পাচ্ছে। র‍্যাব ফোর্সেসের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও র‍্যাব মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে মহাপরিচালকের দরবার অনুষ্ঠানে ডগ স্কোয়াডের কুকুর চিতাকে মহাপরিচালক পদক দেয়া হবে।’

দেশে প্রথমবারের মতো ডগ স্কোয়াডের একটি কুকুর বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য পদক পেতে যাচ্ছে। এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‌্যাবের ডগ স্কোয়াডের কুকুর ‘চিতা’ পাচ্ছে এ পদক।

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম অংশগ্রহণ করে দুর্ঘটনায় নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে র‍্যাবের ডগ স্কোয়াডের কুকুর চিতা। এরপরই পদকের সিদ্ধান্ত আসে।

র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো র‍্যাব ডগ স্কোয়াডের একটি কুকুর বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য র‍্যাব মহাপরিচালক পদক পাচ্ছে। র‍্যাব ফোর্সেসের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও র‍্যাব মেমোরিয়াল ডে-২০২৩ উপলক্ষে মহাপরিচালকের দরবার অনুষ্ঠানে ডগ স্কোয়াডের কুকুর চিতাকে মহাপরিচালক পদক দেয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, বিশেষ অতিথি থাকবেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কামরুল হাসান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ইমতিয়াজ আহমেদ।

আরও পড়ুন:
গোয়েন্দা পরিচয়ে পুলিশকে ‘ঘোল খাইয়ে’ লুটপাট
জঙ্গিরা চতুর হয়ে গেছে: র‌্যাব মহাপরিচালক
ছেলেকে দেখতে এসে গ্রেপ্তার ফাঁসির আসামি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There was no option to take the help of law and order forces in the polls

‘ভোটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নেয়ার বিকল্প ছিল না’

‘ভোটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নেয়ার বিকল্প ছিল না’ রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটরিয়ামে রোববার সংবাদ সম্মেলন করে সদ্য নির্বাচিত কমিটি। ছবি: নিউজবাংলা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদ্য নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘নির্বাচনে আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন একতরফা হয়নি। আর এই নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিএনপিপন্থিদের গণতন্ত্রবিরোধী, ভোটবিরোধী, নির্বাচনবিমুখ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দায়ী।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নেয়ার বিকল্প ছিল না বলে দাবি করেছেন সদ্য নির্বাচিত আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী নেতারা।

রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এমনটা দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল। এ সময় সমিতির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘নির্বাচনে আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন একতরফা হয়নি।’

নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘তাদের গণতন্ত্রবিরোধী, ভোটবিরোধী, নির্বাচনবিমুখ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মো. রুহুল কুদ্দুস এজন্য দায়ী।’

লিখিত বক্তব্যে আব্দুন নূর দুলাল বলেন, ‘প্রচলিত বিধান অনুযায়ী ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান এবং সম্পাদক মো. আবদুন নূর দুলাল সমিতির কনফারেন্স রুমে বসে ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর করছিলেন। হঠাৎ দরজায় ধাক্কা দিয়ে বহিরাগত লোকজনসহ সন্ত্রাসী কায়দায় মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল কনফারেন্স রুমে ঢুকে আহ্বায়ককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।

‘তারা টেবিলের ওপরে থাকা ব্যালট পেপার ছিনতাই করে কিছু ছিঁড়ে ফেলেন এবং কিছু নিয়ে যান। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন এবং ন্যক্কারজনক।’

‘এছাড়াও তারা ব্যালট পেপার তছনছ করেন এবং পায়ে মাড়িয়ে দলিত মথিত করেন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। ফলে নির্বাচনের আগের রাতেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ভোটগ্রহণ শুরুর চেষ্টা করলে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে অনেক বহিরাগত সন্ত্রাসী প্যান্ডেলে ঢুকে পড়েন ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।

‘ভোটগ্রহণ বিলম্বিত হতে থাকে এবং একটানা ভাঙচুর চলতে থাকে। এ অবস্থায় ভোটগ্রহণ শুরু ও সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য গ্রহণ ব্যতীত কোনো বিকল্প অবশিষ্ট ছিল না।’

আবদুন নূর দুলাল বলেন, ‘ইতোপূর্বে সব নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নেয়া হয়। বর্তমান নির্বাচনেও পদত্যাগকারী আহ্বায়ক মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী সহায়তা চেয়ে চিঠি দেন। এমনকি প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন।’

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘দায়িত্ব পালনকালে ঘটনার আকস্মিকতায় সাংবাদিকরা কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সামগ্রিক দায়ভার বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী, ভোটবিরোধী, নির্বাচনবিমুখ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সামগ্রিক বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সংযম, দায়িত্বশীলতা ও গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল অঙ্গীকারের পরিচয় দিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। দুই দিনব্যাপী এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা ১৪ পদে জয়লাভ করেন।

আরও পড়ুন:
পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিএনপিপন্থীদের রিট
সমিতির নির্বাচনেও পুলিশের ব্যবহার লজ্জার: বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা
নতুন কমিটি দিয়ে পুনরায় ভোট দাবি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট শুরু বুধবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Writ of BNP supporters seeking investigation into police lathi charge incident
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন

পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিএনপিপন্থীদের রিট

পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিএনপিপন্থীদের রিট বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে ভোট দিতে আসা আইনজীবীদের সারি। ছবি: নিউজবাংলা
রিটে ভোট কেন্দ্রে পুলিশের অভিযান এবং আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের এই হামলাকে কেন আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা তদন্ত করতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ১৪ প্রার্থী।

সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।

রিটে ভোট কেন্দ্রে পুলিশের অভিযান এবং আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের এই হামলাকে কেন আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ), আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবির উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ১৫ ও ১৬ মার্চ দুই দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটের প্রথম দিন পুলিশের হামলায় আইনজীবী-সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। পরে এ ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

এদিকে রোববার পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ থেকে দাবি করা হয়, বিএনপির আইনজীবীরা ব্যালট ছিনতাই করেছেন। তারা সন্ত্রাস করেছেন। স্বতঃস্ফূর্ত ভোট হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপির আইনজীবীরা দাবি করছেন- কোনো ভোট হয়নি। নতুন করে ভোট দিতে হবে।

আরও পড়ুন:
সমিতির নির্বাচনেও পুলিশের ব্যবহার লজ্জার: বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা
ইসিকে ‘কেউ চাপ দেয়নি’
নির্বাচনি কেন্দ্র থেকে ঘোড়া জব্দ
শতাধিক ইউপি, পৌরসভায় চলছে ভোট
নতুন কমিটি দিয়ে পুনরায় ভোট দাবি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের
বাংলাদেশ
Khaledas trial in the Niko case has begun

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার বিচার শুরু

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার বিচার শুরু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
রোববার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ঠিক করেন বিচারক।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

রোববার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ঠিক করেন বিচারক।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার হাজিরা দেন। মামলার আসামি খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সি এম ইউছুফ হোসাইন ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সেলিম ভূঁইয়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন মুখ্যসচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এর মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের মৃত্যু হওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

দুদকের করা অন্য দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।

ওই কারাগার থেকে পরে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়াারপারসনকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে তিনি গুলশানের বাসায় যান।

আরও পড়ুন:
গ্যাটকো মামলা: খালেদার অভিযোগ গঠন শুনানি ১৭ মে
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে, তবে বিদেশযাত্রায় মানা
বিস্ফোরক মামলায় রিজভীকে জামিন দেয়নি আদালত
চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩
খালেদা ডাক্তার নাকি ফকিরের চিকিৎসা নেবেন, সিদ্ধান্ত তার: গয়েশ্বর

মন্তব্য

p
উপরে