খুলনা জেলার চালনা পৌরসভার সাবেক মেয়র অচিন্ত্যকুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন এবং বেতন ভাতা গ্রহণের অভিযোগে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শাওন মিয়া বাদী হয়ে 8 লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে এ মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে চালনা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে অচিন্ত্যকুমার মণ্ডল চালনা কেসি পাইলট স্কুল ও কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কিন্তু মেয়র হিসেবে দায়িত্ব ও বেতন-ভাতা গ্রহণের পাশাপাশি তিনি কলেজের বেতন-ভাতাও গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত না হওয়ায় তিনি আবারও দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করছিলেন।
২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অন্য কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন না কেউ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ লাখ ৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং অপরাধমূলক অসদাচরণ করায় দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অচিন্ত্যকুমারের নামে মামলা করা হয়।
তবে ড. অচিন্ত্যকুমার মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মামলার কোনো ভিত্তি নেই। শুধু হয়রানি করতে আমার নামে এ মামলা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে আমি যখন নির্বাচনের তফসিল জমা দিয়েছিলাম, তখন ফরমে আমার পেশা লেখা ছিল। বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতার জন্য যদি নির্বাচন করা না যায়, তবে আমার নির্বাচনের প্রার্থিতা হারাতাম।
‘ওই সময়ে নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়নি। আমার নির্বাচনেও কোনো বাধা দেয়া হয়নি।
‘নির্বাচনে জিতলাম, দায়িত্ব পালন করলাম। দায়িত্ব শেষ হওয়ার দুই বছর পরে দুদক থেকে ডেকে বলা হলো, আমার মেয়র পদের সম্মানি নেয়া বেআইনি হয়েছে।’
অচিন্ত্যকুমার আরও বলেন, ‘মেয়র থাকাকালে যে সম্মানি নিয়েছি ও কলেজ থেকে যে বেতন পেয়েছি, ওই সময়ে আমি সেই টাকার আয়করও দিয়েছি। পৌরসভা থেকে আমার টাকা নেয়া যদি অবৈধ হতো, তাহলে সরকার কেন সেই টাকার ট্যাক্স নিলো?
‘এ ছাড়া আমার যে তিন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনের কথা বলা হচ্ছে, তা সত্য। তবে আমি স্কুল শাখা থেকে কখনও বেতন নেইনি। কলেজ শাখা থেকে নিয়মিত বেতন নিয়েছি। এ ছাড়া পৌরসভা থেকে সম্মানি নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘দুদক আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে মামলা করছে, তাদের ব্যাখ্যা মতে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ১৯ ধারার ২ (ঙ) অনুচ্ছেদে আমাকে মেয়র হওয়ার অযোগ্য বলা হয়েছে।
ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “কোনো ব্যক্তি মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হইবার জন্য এবং উক্তরূপ মেয়র বা কাউন্সিলর পদে থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি প্রজাতন্ত্রের বা পৌরসভার অথবা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন”।’
তিনি বলেন, ‘এই আইনে লাভজনক পদের ব্যাখ্য প্রথম অধ্যায়ের ৫৭ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে বলা হয়েছে, “লাভজনক পদ” অর্থ প্রজাতন্ত্র বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বা সরকারের শতকরা পঞ্চাশ ভাগ বা তদূর্ধ্ব শেয়ার রহিয়াছে এইরূপ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে সার্বক্ষণিক বেতনভুক্ত পদ বা অবস্থান”।’
তিনি বলেন, ‘এই আইনগুলি বিশ্লেষণ করতে সহজে বোঝা যায়, আমি কোনোভাবেই অপরাধী না। তারপরও এখন মামলাটি আদালতে চলে গেছে। আদালত যদি আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে, তবে আমি মেনে নেব। আর যদি খালাস দেয় তবে দুদকের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে দেব।’
এ প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান বলেন, ‘চালনা পৌরসভার সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে করা মামলাটি আদালতে জমা হয়েছে। বর্তমানে সেই মামলাটি তদন্তে রয়েছে, এখনো চার্জশিট জমা হয়নি। তবে মামলার সঙ্গে দুদক যেসব নথি জমা দিয়েছে, তাতেই প্রামাণিত হয় তিনি দোষী। চার্জশিট জমা হওয়ার পরে বিচারিক কাজ শুরু হবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন বিভাগের ৭ শিক্ষার্থীকে যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার সাব-ইন্সপেক্টর নওশের আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘থানার একটি মামলায় আমরা ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে জামায়াত-শিবিরের বইপত্র পাওয়া গেছে। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে। তারা যাত্রাবাড়ী থানায় হেফাজতে রয়েছে।’
বুধবার মধ্যরাতে ওয়ারী থানার একটি টিম নারিন্দা কাঁচা বাজারের একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৯ জনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তরের পর দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ছাড়া পাওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশের দুটি গাড়িতে প্রায় ৪০ জনের মতো এসে প্রথমে আমাদের সবার মোবাইল ফোন সেট নিয়ে নেয়। মেসে তল্লাশি শেষে তারা ৯ জনকে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর আমাদের দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে জানান, তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলা এলাকার একটি মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীকে আটকর করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তারা কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:দেশের প্রচলিত আইনি সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডারেরা। তারা নানামুখী হয়রানির শিকার হচ্ছে। অথচ ন্যায্য নাগরিক অধিকারটুকুও পাচ্ছে না।
লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর আইনি সুরক্ষা ও অধিকার সংরক্ষণে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা এমন মন্তব্য করেন। এলইজিডি প্রকল্পের সহযোগিতায় এই সভার আয়োজন করে ‘সম্পর্কের নয়া সেতু’।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জয়া সিকদার বলেন, ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ফলে আইনি সুরক্ষা ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন এই জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা ঠিকমতো স্বাস্থ্যসেবাও পান না।’
নারী পক্ষের সদস্য আইনজীবী কামরুন নাহার বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গের অনেক মানুষ সমাজের ভয়ে নিজের পরিচয় গোপন রাখে। কারণ পরিচয় প্রকাশ হলে হয়রানির শঙ্কা থাকে। তবে সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
‘দেশে প্রতিদিন ৩০০ ট্রান্সজেন্ডার শিশু জন্মগ্রহণ করে। পরবর্তীতে এদের কেউ কেউ হত্যা বা পাচারের শিকার হয়। দেশে সবচেয়ে বেশি পাচারের শিকার হয় সাতক্ষীরায়।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় আরও অংশ নেন মানবাধিকার কর্মী মুশফিকা লাইজু, নাগরিক উদ্যোগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাদিরা পারভীন, আশার আলোর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন:রংপুরের পীরগঞ্জে স্বামীকে গাছে বেঁধে গৃহবধূকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৮ বছর পর দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এম আলী আহাম্মেদ এ আদেশ দেন।
এ সময় আসামি একরামুল হক ও আবুল কালাম আজাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে পীরগঞ্জের একবারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এক দম্পতির পথ রোধ করেন একরামুল হক ও আবুল কালাম আজাদ। আসামিরা অস্ত্রের মুখে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে অন্যত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী পরদিন পীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইকবাল বাহার দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। মামলায় ১৫ সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
১৮ বছর মামলা চলার পর একরামুল ও আবুল কালামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি তাইবুর রহমান লাইজু। তিনি জানান, দেরিতে হলেও ন্যায়বিচার পেয়েছে বাদীপক্ষ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম জানান, তার মক্কেল ন্যায়বিচার পাননি। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আরও পড়ুন:পণ্য আমদানির নামে ব্যাংক থেকে দেড় শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার তৎকালীন উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার তার করা জামিন আবেদন খারিজের নির্দেশ দেয় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানিয়েছেন, অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রবাদ শাখা থেকে ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১৬ মে ডবলমুরিং থানায় অগ্রণী ব্যাংকের তৎকালীন পাঁচ কর্মকতা ও ইলিয়াস ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সামসুল আলমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে আত্মসমর্পণের পর একই বছরের ১৭ জুলাই নুরুল আমিনকে কারাগারে পাঠান চট্টগ্রামের আদালত।
এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর তাকে জামিন দিয়ে রুল জারি করে। ওই আদেশের পর তিনি জামিনে মুক্ত হন।
সম্প্রতি এ মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়। তখন নুরুল আমিন বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আবেদন দিয়েও হাজির হননি। এ অবস্থায় তার জামিনের ওপর রুল শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।
ধর্মান্তরিত বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ছয় সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কুড়িগ্রামের একটি বিচারিক আদালত।
এ ছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় তিন জেএমবি সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন জাহাঙ্গীর ওরফে রাজিব ওরফে রাজিব গান্ধী, রিয়াজুল ইসলাম মেহেদী, গোলাম রব্বানী, হাসান ফিরোজ ওরফে মোখলেছ, মাহবুব হাসান মিলন ও আবু নাসির ওরফে রুবেল।
রায়ের সময় মেহেদী ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের গাড়িয়াল পাড়া এলাকায় প্রাতঃভ্রমণের সময় খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। পরে ককটেল ফাঁটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন ওই মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রাহুল আমিন আজাদ। ৭ নভেম্বর কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ১০ জেএমবি সদস্যকে অভিযুক্ত করে জেলার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, রায়ে হত্যা মামলায় ৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। এ ছাড়া বিস্ফোরক আইনের ৩ ধারায় আসামি রাজিব গান্ধী, রিয়াজুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এর পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের জেল দেন বিচারক। এ ছাড়া বিস্ফোরক আইনের ৪ ধারায় ওই ৩ আসামিকে ২০ বছর কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের হাজতবাসের আদেশ দেন বিচারক।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তুষ্ট প্রকাশ করলেও উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আসামি পক্ষের আইনজীবী।
আসামি পক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবির জানান, রায়ের কপি বিশ্লেষণ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
রায় ঘোষণার আগে কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের আদালতে তেলা হয়। সাজা ঘোষণার পর ফের তাদের পাঠানো হয় জেলা কারাগারে।
এ মামলার আরেক আসামি সাদ্দাম হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিডেটের ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করেনি আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে এ আবেদন করেন ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সরকার। তার জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার আবেদনটি গ্রহণ না করে ফেরত দেন বিচারক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় বাবদ পায়। ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে আরও ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা পাওয়ার কথা।
এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। বাকি ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬ টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে তাকসিম এ খানের নির্দেশে অপর আসামিরা টাকা আত্মসাৎ করেন।
আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সমিতির গাড়িসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা সমমূল্যের সম্পদ চুরির অভিযোগও আনা হয়।
মামলায় আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়, তারা হলেন প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ, রাজস্ব পরিদর্শক জাকির হোসেন, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, প্রকৌশলী বদরুল আলম ও উপ প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সালেকুর রহমান।
অজ্ঞাতনামা আরও অনেককেই আসামি করার আবেদন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের নামে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনে ওই ৯ ব্যক্তি ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও অনেকের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে বৃহস্পতিবার এ আবেদন করেন ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সরকার।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মুনজুর আলম।
মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সংস্থাটির কাছ থেকে রাজস্ব আদায় বাবদ পায় ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা। আর ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা পায়। এর মধ্যে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। বাকি ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে তাকসিম এ খানের নির্দেশে অপর আসামিরা আত্মসাৎ করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিদের এই ‘আত্মসাতের’ বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণ হয়েছে।
মামলায় আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম ও উপপ্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য