গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু।
সোমবার দুপুরে শহরে ব্যক্তিগত অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
১৫ জুন গোপালগঞ্জ পৌরসভায় ভোট।
গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভার এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। এতে মেয়র পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। একজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী।
লিখিত বক্তব্যে কাজী লিয়াকত বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হই। গোপালগঞ্জ পৌরসভা অবহেলিত ছিল। আমি মেয়র হওয়ার পর একটি আধুনিক শহর গড়ার লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। একটি বিরোধী চক্র দীর্ঘদিন গোপালগঞ্জ পৌর এলাকার কোনো উন্নয়ন করতে দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনে অন্য যারা মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন তারাও আওয়ামী লীগ করেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ড গোপালগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে কাউকে নৌকা না দিয়ে উন্মুক্ত রেখেছেন। যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা অনুযায়ী যিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন, তিনি মেয়র হিসেবে পৌরবাসীর সেবা করবেন।’
কাজী লিয়াকত বলেন, ‘অনেকে অনেক ধরনের কথা বলছেন। তাতে ভোটাররা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান এক মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা বলে যে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার ব্যক্তিগত বক্তব্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কারণ দলীয় সভানেত্রী এই নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। নির্বাচন ঘিরে অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার এহিয়া খালেদ সাদী, কাজী জিন্নাত আলী, রফিবুল ইসলাম মিটু, সাইফুল ইসলাম।
আগামী ২৭ জুলাইয়ের ভোটকে ঘিরে একটি উপজেলা, দুটি পৌরসভা ও ২৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
পরে দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রার্থী তালিকা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
কোথায় কারা প্রার্থী
ঝিনাইদহ শৈলকূপায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন এম আব্দুল হাকিম আহমেদ।
দুটিটি পৌরসভার মধ্যে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মেয়র পদে হাবিবুর রহমান, ক্ষেতলালে সিরাজুল ইসলাম বুলুকে মেয়র পদে প্রার্থী করা হয়েছে।
ইউনিয়নের ভোটে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁওয়ে মতিউর রহমান, বাচোরে জীতেন্দ্র নাথ বর্মন, নন্দুয়ারে আব্দুল বারীর হাতে নৌকা তুলে দেয়া হয়েছে।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে রেজাউল করিম নান্নু, রামনাথপুরে শাহ্ মো. মোফাজ্জল হোসেন, পীরগঞ্জে নূরুল ইসলামকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নে হোসেন আলী বাগছীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে নৌকা।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়নে ইব্রাহিম ফারুক, টাঙ্গাইল সদরের কাতুলী ইউনিয়নে ইকবাল হোসেন, মাহমুদনগরে সাহাদৎ হোসেন, কাকুয়ায় বদিউজ্জামান ফারুকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে নৌকা।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নে খুরশীদ আলম (মাসুম), মেঘচামীতে হাসান আলী খাঁন, আড়পাড়ায় আরমান হোসেন (বাবু) কে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ।
মুন্সীগঞ্জ সদরের বজ্রযোগিনী ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নে শাহ নাজিম উদ্দিন পেয়েছেন নৌকা।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়ায় হাফিজুল ইসলাম জুয়েল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা (উত্তর) ইউনিয়নে আবুল খায়ের, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইলে আবু মুছা মজুমদার, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁওয়ে সৈয়দ মনজুর হোসেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বড়খেরীতে হাসান মাকসুদ, চরআবদুল্যাহে কামাল উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর সদরের দিঘলী ইউনিয়নে সালাউদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন নৌকা।
রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়নে রকি চাকমাকে মার্কা তুলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
আরও পড়ুন:ফোন পেয়ে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের দাবির বিষয়টিকে গুজব উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি ফোনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল পাল্টানোর বক্তব্যটি গুজব। কেননা এটি অসম্ভব।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। কোনো বিপর্যয় দেখিনি। সিসি টিভির মাধ্যমে আমরা কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি দেখছিলাম। কিন্তু একটা টেলিফোনে ফলাফল পাল্টে গেল, এমন একটি কথা শোনা যাচ্ছে। শেষ মুহূর্তে একটা ফোনে ফল পাল্টে যায়, এটা একেবারে অসম্ভব। একটা বা দুইটা টেলিফোন আমি নিজেও করেছিলাম। আমাদের রিটার্নিং অফিসার আমাকে খুব বিপর্যস্ত অবস্থায় ফোন করে বললেন, আমি বিপদে পড়েছি। সে সময় আমি সেখানে প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। আমি ভাবলাম তাকে মারধর করা হচ্ছে।’
সিইসি বলেন, ‘আমি এরপর ডিসি-এসপিকে ফোন করেছিলাম। তারা তখন জানালেন, তাৎক্ষণিক বিষয়টি দেখছেন। এরপর রিটার্নিং অফিসারকে বললাম, সমস্যা হবে না। পরে তিনি জানালেন পুলিশ এসেছে। মানুষ সরিয়ে দেয়া হয়েছে। উচ্ছৃঙ্খল ঘটনাটা মাত্র ১৫ মিনিট ছিল। কোনোভাবেই ২০ মিনিটের বেশি দীর্ঘ হয়নি। এরপর তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে ফলাফল ঘোষণা করলেন সেটি আমরা দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘একটা ফোনে ফল পাল্টে গেল, এটা একজন বলার পর হাজার মানুষ বলল। এটা আমাদের দেশের কালচার, এটা গুজব। মেশিনের ফল অথবা হাতের রেজাল্ট আমরা ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছি।’
সিইসি আরও বলেন, ‘ফলাফল ঘোষণার সময় মিছিলের বিষয়টি হয়েছে মানুষের আবেগ-উচ্ছ্বাসের কারণে। এটা আমাদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত, কিন্তু তাদের কাছে কাঙ্ক্ষিত। তারা উচ্ছ্বাসের কারণেই এটা করেছেন। আর রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণার সময় টয়লেটে গেছেন বলে যেটি বলা হচ্ছে, তিনি ন্যাচারাল কলিং হলে যেতেই পারেন। এটাকে বড় করে দেখার কিছু নেই। আমি শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি, আপনারাও খোঁজ নিয়ে দেখতে পারবেন পাঁচ মিনিটে ফল পাল্টানো সম্ভব নয়।’
স্থানীয় এমপিকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তিনি এলাকা না ছাড়ার কারণেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ইসিকে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘অনেকে বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’
বাহাউদ্দিনকে নির্দেশ নয়, অনুরোধ করেছিলাম
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়ার কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি বলে জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল।
স্থানীয় এমপিকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই শুনছি, তাকে নির্বাচন কমিশন থেকে আদেশ করা হয়েছে এলাকা ত্যাগ করার। আমরা তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি নির্বাচন কমিশন থেকে কখনই একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে এলাকা ত্যাগ করার আদেশ করা হয়নি। আমরা তাকে প্রকাশ্যে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখিনি। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, উনি কৌশলে অংশ নিয়েছেন। আমাদের একটা প্রত্যাশা ছিলে ওনাকে যদি রিকোয়েস্ট করি তাহলে আর কথা উঠবে না।’
আচরণবিধি অনুযায়ী উনি (বাহাউদ্দিন) অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংসদ সদস্য কেন কোনো সাধারণ মানুষকেও তার এলাকা ত্যাগ করার আদেশ দিতে পারে না। আমরাও বাহাউদ্দিনকে এলাকা ত্যাগ করার কোনো আদেশ দেইনি। তাকে বিনিতভাবে অনুরোধ করেছিলাম, সেই চিঠি আছে। কিন্তু চারদিকে ছড়িয়ে গেল আদেশ করার পরও তিনি প্রতিপালন করতে পারলেন না। এ কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুসিক নির্বাচনে মাত্র ৩৪৩ ভোটে পরাজিত হতে হয় দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে। ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই ফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয় এবং শেষ মুহূর্তে একটি ফোনে ফল পরিবর্তনের অভিযোগ তোলা হয় সাক্কু ও তার সমর্থকদের মধ্য থেকে। এ ছাড়া তিনি ফল প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণাও দেন।
আরও পড়ুন:কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত জয়লাভ করলেও ভোটের ব্যবধান আরও বেশি আশা করেছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) প্রকাশনা বিএসআরএফ বার্তার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মেয়র সেখানে জয়লাভ করেছে। সুন্দর নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।
‘আমরা আশা করেছিলাম আরও বেশি ভোটে জিতব। আমাদের ধারণা ছিল ৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধান থাকবে।’
‘সব প্রার্থী বলেছে স্বচ্ছ নির্বাচন হয়েছে। পুরোটা সময় নির্বাচন কমিশন আমাদের প্রার্থীর ওপর নজরদারি বেশি করেছে। বাহারকে এলাকা ছেড়ে যেতে বলা সমীচীন হয়নি। অন্য এলাকার এমপি হলে আমাদের কোনো বক্তব্য ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘পরাজিত প্রার্থীকেও অভিনন্দন। তিনি অনেক অল্প ভোটে হেরেছেন। এত অল্প ভোটে হারলে আদালতে যাওয়ার কথা তিনি বলতেই পারেন।’
তৃতীয়বারের চেষ্টায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে তাদের ভোট কমেছে সাত হাজারের বেশি।
আরও পড়ুন:মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খানের বদলির আদেশ কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রাত পোহালে মেহেরপুর পৌরসভাসহ চার ইউনিয়ন পরিষদে ভোট।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শককে মেহেরপুর সদরের ওসির বদলির আদেশ কার্যকরের জন্য পত্র দেয়া হয়েছে।
চিঠির বিষয়টি সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আবু আনছার।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এরই মধ্যে বদলির আদেশপ্রাপ্ত মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খানকে নির্বাচনের আগেই বদলির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
মো. মিজানুর রহমানের (উপসচিব চলতি দায়িত্ব) সই করা পত্রে আরও বলা হয়, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য বুধবারের নির্বাচনের আগে এই আদেশ কার্যকর করতে হবে।
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ১১ প্রার্থীর মধ্যে শেষ পর্যন্ত মাঠে আছেন দুজন।
এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শেখ রকিব হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. দিদারুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত প্রার্থীরা একে একে বসে পড়েছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তারা শেখ রকিবকে সমর্থন দিয়ে কর্মী-সমর্থকদেরও তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম বদরুল আলম বদর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ৫ জুন রাতে একই কায়দায় জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
১০ জুন একইভাবে জেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম শাহাবুদ্দিন আজম, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রেজাউল হক সিকদার রাজু মেয়র পদে নির্বাচনি মাঠ ছেড়ে দিয়ে শেখ রকিবকে সমর্থন দেন।
শনিবার আওয়ামী লীগ সমর্থক দিলীপ কুমার সাহা দিপু ও এস এম নজরুল ইসলাম নূতন একই কায়দায় নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেন।
ভোটের দুদিন আগে রোববার বিকেলে মেয়র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
তার বাসায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের শেখ রকিবের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান। শেখ রকিবের নারিকেল গাছ মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
সব শেষে সন্ধ্যায় শেখ রকিব হোসেনের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান লিটনও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাকে সম্মান জানিয়ে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
১৫ জুন নৌকা প্রতীক ছাড়াই হচ্ছে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ভোট।
গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। উন্মুক্ত এই নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলি খান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন দেন। দলীয় নেতাকর্মীদের তার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন:আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ব্যয়ের হিসাব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়ার পাশাপাশি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
গত বুধবার ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে।
আগামী ১৫ জুন কুসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু, কামরুল আহসান বাবুল, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান।
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অর্থাৎ মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন পাঁচজন প্রার্থী।
এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী থাকছেন ভোটের মাঠে। সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ক্ষেত্রে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেয়া সব প্রার্থীকেই ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে।
মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয়ের সীমা
নির্বাচন বিধিমালায় বলা হয়েছে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অনধিক পাঁচ লাখ ভোটারসংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে ব্যয়ের সীমা ব্যক্তিগত খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচনে ব্যয় বাবদ সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা।
কুমিল্লা ভোটে ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। অর্থাৎ মেয়র পদের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খাতে ৭৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচন খাতে ১৫ লাখ টাকা, মোট ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
বিধিমালায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর ব্যয়
কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ অনধিক ১৫ হাজার ভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ১৫ হাজার ভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা। ১৫ হাজার এক হতে ৩০ হাজার ভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা। কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে, ১৬ হাজার ৪৭৪ জন। আর সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে, ৩ হাজার ৮৯৪ জন।
অর্থাৎ কাউন্সিলর প্রার্থীরা ওয়ার্ডভেদে ব্যক্তিগত খাতে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার ও সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা এবং নির্বাচন খাতে সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা ও সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
ভোটের প্রচারপত্র বা প্রকাশনার মাধ্যমে অথবা অন্য কোনোভাবে ভোটারদের কাছে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিমত, লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য উপস্থাপনের জন্য ব্যয়িত অর্থসহ তার নির্বাচন পরিচালনার জন্য দান, ঋণ, অগ্রিম জমা বা অন্য কোনোভাবে পরিশোধিত অর্থ ‘নির্বাচনি ব্যয়’ বলে বিবেচিত হবে।
আত্মীয়-স্বজনের (স্বামী বা স্ত্রী, মাতা, পিতা, পুত্র, কন্যা, ভ্রাতা বা ভগ্নি) কাছ থেকে ধার, কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার স্বেচ্ছা প্রদত্ত দান গ্রহণ করাকে ব্যয়ের উৎস দেখানো যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো উৎস থেকে কোনো অর্থ প্রাপ্ত হলে অর্থপ্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।
এদিকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনি এজেন্ট ছাড়া অন্য কারো মাধ্যমে নির্বাচন বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে পুরো ব্যয় পরিচালনা করতে হবে তফসিলি ব্যাংকের নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্ট থেকে।
আরও পড়ুন:আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহলদান ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান।
ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার কুমিল্লা সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এমন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে ভোটগ্রহণের ১ মাস আগেই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার ভোটের দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময় বাকি তখন এমন নির্দেশনা দিল ইসি।
চিঠিতে বলা হয়েছে- ভোটদানের জন্য ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, সে পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার এবং কোনো প্রকার সহিংসতা বা নীতি গর্হিত কার্যকলাপ যাতে সংঘটিত না হয় তার জন্য সতর্ক থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
এ ছাড়া নির্বাচনের কয়েক দিন আগে যাতে অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা অস্ত্রসহ চলাচল না করেন সে জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য পরিকল্পিত উপায়ে তার সরকারি পদমর্যাদার অপব্যবহার করলে তিনি অন্যূন ৬ মাস ও অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কুমিল্লায় আগামী ১৫ জুনের এই ভোট বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রথম পরীক্ষা। সীমানা জটিলতা ও সময় স্বল্পতার কারণে অনেকটা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েই দেরিতে ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে আউয়াল কমিশন।
এই কমিশনের অধীনে কোনো ভোটে যাওয়া হবে না জানিয়ে বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করলেও সেখানে পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগ-বিএনপির লড়াই হচ্ছে।
পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন মিলিয়ে টানা তিনবারের মেয়র বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু সেখানে ভোটে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তার মার্কা টেবিল ঘড়ি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন নৌকা। লড়াইয়ে আছেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা নিজামউদ্দিন কায়সারও।
কুমিল্লা ভোটে প্রচলিত ব্যালট পদ্ধতি থেকে সরে এসে পুরোপুরি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ( ইভিএম) ভোট করছে ইসি। সে লক্ষ্যে এই প্রথমবারের মতো প্রার্থীদের সামনে ইভিএম কাস্টমাইজেশন করে দেখিয়েছেন ইসি। কাস্টমাইজেশন হল এমন এক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে যে ভোট দিবেন এবং যাকে ভোট দিবেন অর্থাৎ ভোটার এবং প্রার্থীদের তথ্য সংযুক্ত করা। এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হচ্ছে, কেউ কোনো কেন্দ্রে জোর করে ভোট নিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরোপুরি নিরপেক্ষ থাকার বিষয়ে নির্দেশ জারি করল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন মোট পাঁচজন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংশ্লিষ্ট দুজন ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল।
এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী থাকছেন ভোটের মাঠে। সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ক্ষেত্রে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থাকছে ১০৫টি, ভোটকক্ষ ৬৪০টি। প্রচার চলবে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।
দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার। পরের বছর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিএনপির সমর্থনে জেতেন মনিরুল হক সাক্কু। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আফজল খানকে তিনি হারান ৩৫ হাজার ভোটে।
২০১৭ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পাল্টে লড়াইয়ে অংশ নেয়। আফজলকন্যা আঞ্জুম সুলতানা সীমা তার বাবার তুলনায় বেশি ভোট পান। সাক্কু ওই বছর জয় পান ১১ হাজার ভোটে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ভোটের ব্যবধান কমায় ২৪ হাজার।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য