আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পরও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় ক্ষমতাসীন দলের দুই শতাধিক নেতাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সে বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না হলে গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়াও হয়েছে।
যাদেরকে এই নোটিশ দেয়া হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী। একটি ঘরোয়া বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করেন বলে অীভযোগ উঠার পর গাজীপুর সাম্রাজ্য টলে উঠে তার।
কারণ দর্শানোর নোটিশে জানানো হয়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টে নোটিশ প্রাপ্তদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া যায়।
নোটিশে বলা হয়েছে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে জাহাঙ্গীর আলমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক শোকজ ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পরও দলীয় কিছু নেতাকর্মী শৃঙ্খলাভঙ্গ করে প্রকাশ্যে ও গোপনে তার সঙ্গে সভা-সমাবেশে দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল।’
গত ১ জুন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডলের সেই করা নোটিশ যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রউফ নয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোকসেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান মুজিব, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান তরুন, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন মিয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আক্কাছ আলী, সিটি কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিশ, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী।
নোটিশ পাওয়ার কথা জানিয়ে টঙ্গী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী দাবি করেন, বহিষ্কারের পর তিনি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কোনো সভা-সমাবেশে অংশ নেননি। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পূর্বের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণেই শোকজ করা হয়েছে।
৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ বলেন, ঈর্ষা থেকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নোটিশ করা হয়েছে।
৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবুল কাশেম বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আমার সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের সম্পর্ক ছিল। এটাই আমার অপরাধ।’
যাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা শিগগির বসে করণীয় ঠিক করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলে প্রত্যেকের ত্যাগ ও অবদান আছে। এই শোকজ নোটিশ আমাদের রাজনৈতিক জীবনে কালি লেপন করে দিয়েছে।’
নোটিশ পাওয়া মজিবুর রহমান মুজিব বলেন, ‘বাপ, দাদার আমল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। শুনেছি অনেককেই শোকজ করা হয়েছে। এসব করে তারা দলে বিভেদ তৈরি করছে। সামনে নির্বাচন, এখন সংগঠিত হওয়ার পরিবর্তে দলে বিভাজন করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হচ্ছে। জবাব সন্তাষজনক না হলে শাস্তি পেতে হবে। তবে সিদ্ধান্ত দলীয় সভায় হবে।’
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু পারাপারে সংসদের নিজের আতঙ্কের কথা তুলে ধরেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিলেন। জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ এবং ভাঙ্গার সাংসদ নিক্সন চৌধুরী সেতু হওয়ার পর তাদের বাড়ি যাওয়ার দাওয়াত করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের শাজাহান খানসহ অনেকেই পদ্মা সেতু দিয়ে পার হতে নিষেধ করছেন।
হারুন বলেন, ‘পদ্মা পার হতে আমি আতঙ্কে আছি। পার হতে গেলে আমাকে ডুবিয়ে দেবে কি-না, ফেলে দেবে কি-না নদীতে! আমি তো ভয়ের মধ্যে আছি।’
রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারন আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন হারুনুর রশীদ।
তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে দাওয়াত দিবেন, অন্যদিকে ভয় দেখাবেন। আমি তো আতঙ্কে আছি।
এ সময় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আগের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের জন্য গৌরবের। এটা নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেছেন- বিএনপির মন খারাপ, বুকে বড় জ্বালা।
‘আমাদের মন খারাপ না। আমাদের মন খারাপ হবে কেন? আমরা আনন্দে আছি। আমাদের মন খারাপ হচ্ছে- আমরা মুজিবর্ষ পালন করলাম, আমরা পদ্মা ব্রিজ উদ্বোধন করলাম, কিন্তু দেশে যে গুম ও খুনের সংস্কৃতি চালু হয়েছে- আমরা এখান থেকে কি বের হতে পারবো? ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলেছি, সেটা কি ফিরিয়ে আনতে পারবো?’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমশক্তি রপ্তানিতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হলেও সিন্ডিকেটের কারণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।
রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রুস্তম ফরাজী বলেন, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী স্পষ্ট করেই আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীকে জানালেন যে তারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবেন। আমাদের মন্ত্রী ওখানে গেলেন। আলোচনা হলো। তখন মালয়েশিয়া বলল, আপনারা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানান। কিন্তু বারবার মালয়েশিয়া সফর করেও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। সেটা শুধুই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে।
‘কয়েকটি বিশেষ গোষ্ঠীকে আমরা যদি সুযোগ দিই তাহলে ব্যয় বেড়ে যাবে। এখন মালয়েশিয়ায় যাওয়া যায় ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায়। তখন লাগবে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। দেশের নিম্নবিত্ত ও সাধারণ মানুষ কী করে এত টাকা সংগ্রহ করবে?’
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে রুস্তম ফরাজী বলেন, টালবাহানা না করে আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। সবাইকে ছেড়ে দিন, ওনাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। মানুষ যাতে কর্মসংস্থানের জন্য অল্প টাকায় মালয়েশিয়ায় যেতে পারে সে ব্যবস্থা করুন।
সমস্যা আশু সমাধানে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান রুস্তম ফরাজী। তিনি বলেন, ‘সাধারণ ঘরের সন্তানরা মালয়েশিয়ায় গেলে কর্মসংস্থান হবে, রেমিট্যান্স আসবে। দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।’
আরও পড়ুন:বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তার গুলশানের বাসভবনে এসেছেন দুই নাতনি।
সূত্র জানায়, দাদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তার স্বাস্থ্যগত খোঁজখবর নিতে আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাইফা রহমান রোববার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার গুলাশনের বাসভবন ফিরোজায় আসেন। রাত সাড়ে ৭টার দিকেও তারা সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
তবে এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান দুই মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তারা দেশে আসেন।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা যান।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় বিএনপি খুশি হতে পারেনি বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। দেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে অভিনন্দন বার্তা এলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বার্তা না পাওয়ায় এই বিশ্বাস জন্মেছে মন্ত্রীর।
দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটিতে যান চলাচল শুরুর দিন রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
আগের দিন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিএনপির সাত নেতা তাতে যোগ দেননি। দেশজুড়ে তুমুল আলোচিত এই সেতুটি নিয়ে সেদিন বিএনপির নেতারা পুরোপুরি চুপ।
এই সেতু নির্মাণের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একাধিকবার বলেছেন, আওয়ামী লীগ এই সেতু নির্মাণ করতে পারবে না। আর জোড়াতালির সেতু নির্মাণ করলেও সেটি ভেঙে পড়ে যাবে।
সেতু নির্মাণকাজ শুরু করার আগে বিশ্বব্যাংক পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতিচেষ্টার যে অভিযোগ তুলেছিল, সেটিই এখনও বিএনপি নেতারা বলে যাচ্ছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর জবাব দিয়ে বলেছেন, ২০১৭ সালে কানাডার আদালত এই অভিযোগকে বায়বীয় ও গালগপ্প বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এরপর আর কোনো কথা থাকতে পারে না। তবে বিএনপি নেতারা কানাডা আদালতের রায় নিয়ে কোনো কথা বলেন না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান অভিনন্দন জানালেও দুঃখজনক সত্য যে বিএনপি অভিনন্দন জানাতে পারেনি।
‘অর্থাৎ পদ্মা সেতু হওয়াতে দেশ ও বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত বাঙালি, বাংলাদেশিরা আনন্দিত হলেও বিএনপি নেতারা খুশি হতে পারেননি এবং অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ হয়ে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
‘এরপরও এই পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী সবার জন্যই নির্মাণ করেছেন, যারা প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারাও এই সেতু ব্যবহার করবেন।’
সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া করোনাকালীন বিশেষ সহায়তার অবশিষ্ট টাকা ঈদের আগেই বিতরণ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘এ বছর সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে সাংবাদিকদের কল্যাণার্থে সাধারণ খাতে ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ছিল, তন্মধ্যে ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ইতোমধ্যেই বিতরিত হয়েছে, বাকি অর্থ বিতরণে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
‘এর বাইরে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত করোনাকালীন বিশেষ সহায়তার ১০ কোটি টাকার তহবিলের প্রায় ৬ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে, আর ৪ কোটি টাকার সিংহভাগ আগামী কোরবানি ঈদের আগেই বিতরণ করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:সুন্দর, খোলামেলা ও স্বচ্ছ পরিবেশে বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় অস্ট্রেলিয়া।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রত্যাশার কথা জানান দেশটির হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুআর।
অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুআর বলেন, ‘সিইসি ও আমার মধ্যে খুব সুন্দর আলোচনা হয়েছে। এটি খুব সময়োপযোগী আলোচনা হলো। নির্বাচনের কারিগরি ও অন্যান্য উপকরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচন হলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খুব সুন্দরভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অস্ট্রেলিয়ায় নেই, নির্বাচনী ব্যবস্থার এমন অনেক সাদৃশ্য-বৈশাদৃশ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব সুন্দর ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার বলেন, ‘সুন্দর, খোলামেলা, স্বচ্ছ পরিবেশে নির্বাচন হতে হবে।’
এর আগে ৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সিইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশে নির্বাচনে কে জিতবে না জিতবে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানিয়েছিলেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তবে ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে- এমন প্রত্যাশা ছিল তার।
আরও পড়ুন:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
শায়রুল বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যারের কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তিনি ডাক্তার রায়হান রাব্বানী সাহেবের তত্ত্বাবধানে আছেন।’
ছয় মাসের মধ্যে মির্জা ফখরুল এ নিয়ে দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হলেন। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তিনি একবার করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন।
মির্জা ফখরুলের করোনা প্রতিরোধী তিনটি টিকা নেয়া আছে।
দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে বলেও জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির।
আগামীকাল রোববার বেলা ১১টায় জিয়াউর রহমানের কবরে নবগঠিত যুবদল কমিটির নেতাদের নিয়ে মির্জা ফখরুলের শ্রদ্ধা জানানোর কথা ছিল, সেটি স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশাল জনসভা মঞ্চে ওঠার আগে বক্তব্য দেন জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা। মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, আজ ঈদের দিনের মতো খুশি লাগছে।
শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন। প্রত্যেক নেতার বক্তব্যে ছিল উচ্ছ্বসিত, উল্লসিত।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপ সভা পরিচালনা করেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, মির্জা আজম, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল।
আব্দুর রহমান বলেন, এই বিজয় শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর বিজয় নয়, এটা পুরো বাংলাদেশের বিজয়। এই বিজয়ের মহানায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রধানমন্ত্রী না হলে এ দেশে পদ্মা সেতু হতো না। আমরা নতুন করে আরেকটি বিজয় পেলাম।’
শাজাহান খান বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি ছিল পদ্মা সেতু। বিএনপি শুধু ফাঁকা বুলি দিয়ে গেছে, তারা কোনো কাজে আসেনি। শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে পদ্মা সেতুর মতো এত বড় কর্মযজ্ঞ শেষ করতে। আমাদের আজ বিজয় উল্লাসের দিন। দিনটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জনসভার আয়োজক হিসেবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছাড়াও ছয় দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।’
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজ নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পেলাম। আমাদের ঈদের দিনের মতো খুশি লাগছে। এই বিজয় পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীকে উৎসর্গ করলাম। আমরা তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।’
মাদারীপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে উপস্থিত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১টা ৮ মিনিট থেকে ১টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য