× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Security guards did not allow the burn victims to leave
google_news print-icon

সিকিউরিটি গার্ডরা বের হতে দেয়নি দগ্ধদের

সিকিউরিটি-গার্ডরা-বের-হতে-দেয়নি-দগ্ধদের
বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন কাভার্ড ভ্যানচালক মোহাম্মদ রাব্বী। ছবি: নিউজবাংলা
কাভার্ড ভ্যানচালক মোহাম্মদ রাব্বী বলেন, ‘‘দগ্ধ হওয়ার পর আমি গাড়ি ছাড়া বের হতে চাই। তখন সিকিউরিটি গার্ড বলেন, ‘আমরা মরলে একসাথে মরব, বাঁচলে একসাথে বাঁচব।’ গেটে দড়ি টেনে দেয়া হয়। পরে পালিয়ে গিয়ে আমি ঝাঁপ দিই পাশের মসজিদের পুকুরে৷ এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে পাঠানো হয় আমাকে।’’

৪০ বছর বয়সী মোহাম্মদ সিরাজ বিএম কনটেইনার ডিপোয় ক্লিনার হিসেবে চার বছর ধরে কাজ করছেন। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ডিউটি শেষ করে বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। রাত ৯টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে ছুটে যান কর্মস্থলে। সেখানে যাওয়ার পর বিকট শব্দের বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন ১০০ গজ দূরে৷

মিনিট দশেক ঘোরের মধ্যে কাটে তার। বুঝতে পারছিলেন না কী হয়েছে। পরে সিকিউরিটি গেটের পাশের বালতিতে থাকা পানি শরীরে ঢেলে দেন তিনি। পরে স্থানীয়দের সহায়তা যান চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

আগুনে ঠোঁট ও বাম হাত ঝলসে গেছে তার। কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছিল। তবু রোববার সন্ধ্যায় নিউজবাংলার কাছে তুলে ধরেন বিভীষিকাময় সেই রাতের কথা।

তিনি বলেন, ‘ডিপোর ১ নম্বর গেটের দক্ষিণ পাশে স্কেলের সঙ্গেই তিনটি কনটেইনার একটির ওপর একটি ছিল। এই স্তূপ করা কনটেইনারের নিচে হঠাৎই ধোঁয়া দেখতে পাই। আগুন খুব একটা ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের প্রথম গাড়িটি এসে পানি মারতেই আগুন বেড়ে যায়।

‘এর মিনিট দুয়েকের মধ্যেই বিস্ফোরণ। আগুন লাগার আগে ধোঁয়া কীভাবে হলো তা কেউই দেখেনি। তবে আমার ধারণা, ডিপোয় আসা চালক-সহকারীদের সিগারেটের ফেলে দেয়া জ্বলন্ত অংশ থেকেই আগুন লেগেছে৷’


সিকিউরিটি গার্ডরা বের হতে দেয়নি দগ্ধদের


তিনি বলেন, ‘কনটেইনারগুলোয় কেমিক্যাল ছিল। এসব কেমিক্যাল ফর্ক লিফট মেশিনের মাধ্যমে কনটেইনারে লোড করা হয়ে থাকে। প্রায় সময় আমাদের ডিপোয় এসব রাসায়নিক আনতে দেখি আমরা। কিন্তু এভাবে আগুন থেকে এসব কেমিক্যাল বিস্ফোরিত হবে তা জানা ছিল না কারও৷’

বার্ন ওয়ার্ডে কথা হয় মোহাম্মদ রাব্বী নামে ১৯ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে। তিনি পেশায় কাভার্ড ভ্যানচালক। শনিবার বিকেলে রপ্তানির জন্য তৈরি পোশাক নিয়ে ঢাকা থেকে বিএম ডিপোয় যান তিনি। সেই যাওয়াই কাল হয়েছে তার। আগুন ও বিস্ফোরণে দুই হাত-পা ও মুখ ঝলসে গেছে৷

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘‘বিস্ফোরণের সময় কনটেইনার থেকে খুব কাছেই গাড়িতে ছিলাম আমি। হঠাৎ করে বিকট শব্দে আগুনের শিখা এসে আমার শরীরে পড়ে। এর আগে ধোঁয়া দেখে গাড়ি নিয়ে বের হতে চাইলেও সিকিউরিটিরা বের হতে দেয়নি৷

‘‘দগ্ধ হওয়ার পর আমি গাড়ি ছাড়া বের হতে চাই। তখন সিকিউরিটি গার্ড বলেন, ‘আমরা মরলে একসাথে মরব, বাঁচলে একসাথে বাঁচব।’ গেটে দড়ি টেনে দেয়া হয়। পরে পালিয়ে গিয়ে আমি ঝাঁপ দিই পাশের মসজিদের পুকুরে৷ এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে পাঠানো হয় আমাকে।’’

রাব্বীর বেডের পাশেই নির্বাক চোখে সন্তানের দিকে চেয়ে আছেন মা আমেনা খাতুন। তার সঙ্গেও কথা হয় নিউজবাংলার। তিনি বলেন, ‘৯টার দিকে আমার ছেলে মোবাইলে ফোন করে জানায় আগুনে পুড়ে গেছে সে৷ পরে দ্রুত ছুটে আসি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।’

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোয় শনিবার রাতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীও রয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:
নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেবে বিএম ডিপো
চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পোড়া মরদেহের গন্ধ
সংকট কেটেছে বার্ন ক্রিমের, মিলছে নেগেটিভ রক্ত
আরেক কর্মী হারাল ফায়ার সার্ভিস, সব মিলিয়ে ৯
প্রাণ গেল ভিডিওর নেশাতেও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
This coup was not just for elections Sargis in Sylhet

শুধু নির্বাচনের জন্য এই অভ্যুত্থান হয়নি: সিলেটে সারজিস

শুধু নির্বাচনের জন্য এই অভ্যুত্থান হয়নি: সিলেটে সারজিস আন্দোলনে সিলেট বিভাগে শহিদ ১৮ জনের পরিবারকে শনিবার আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি: নিউজবাংলা
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেয়া হবে এমনটি নয়। আবার আগামী ৫-৬ বছর লাগবে সংস্কার করতে- বিষয়টি এমনও নয়। কিন্তু সংস্কারের জন্য একটা যৌক্তিক সময় লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে।’

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেননি, এই অভ্যুত্থানও হয়নি। দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য বিগত ১৬ বছর ধরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল মানুষের।’

শনিবার দুপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিলেট বিভাগে শহিদ ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস বলেন, ‘যে ফ্যাসিস্ট সরকারকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের নামিদামি রাজনৈতিক সংগঠন নাড়াতে পারেনি, সেই শেখ হাসিনা কিছু লোকের জন্য এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলেই অভ্যুত্থান সফল হয়েছে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেয়া হবে এমনটি নয়। আবার আগামী ৫-৬ বছর লাগবে সংস্কার করতে- বিষয়টি এমনও নয়। কিন্তু সংস্কারের জন্য একটা যৌক্তিক সময় লাগবে। কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে।

‘১৬ বছর ধরে যে সিস্টেমগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন। সর্বোপরি বিগত ১৬ বছরসহ দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্যও দেশের মানুষকে একটি ‘জনতার সরকার’ উপহার দিতে পারেনি। তাই সংবিধানেরও সংস্কার প্রয়োজন।’

এই অন্যতম সমন্বয়ক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যাবে না।

‘আর শুধু একটা নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না। এর সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত। এর মধ্যে অন্যতম হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদেরও সংস্কার করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আবার এই নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে জন্য একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচার ব্যবস্থারও সংস্কার প্রয়োজন।

‘হাইকোর্টে এখনও আওয়ামী লীগের কিছু দোসর বসে আছে। তারা যোগ্যতার বলে সেখানে যায়নি। তোষামোদি আর তেলবাজি করে গিয়েছিল। তাদেরকে এই জায়গা থেকে অপসারণ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি যারা যোগ্য তাদেরকে এসব জায়গার বসাতে হবে।’

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই এসব শহিদ পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াই। শহিদদের পরিবার এবং যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে আমরা সবাই সহযোগিতা করি। আর জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সবসময় তাদের পাশে আছে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।

শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এসব পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। এসময় সংগঠনটির আরও আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ১৮টি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়।

ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ জানান, সারা দেশের এক হাজার ছয় শ’ জনের বেশি শহিদ পরিবারের তালিকা তাদের কাছে এসেছে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচিতদের পরিবারের কাছে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে।

ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দল প্রতি বিভাগে গিয়ে শহিদদের পরিবারের কাছে চেক প্রদান করছে। তালিকায় আরও যেসব শহিদ রয়েছেন তাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলোও যাচাই-বাছাই শেষে তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। বাকি যারা রয়েছেন তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে সেসব পরিবারকেও অনুদান দেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগের পদধারী হলেই গণ হারে গ্রেপ্তার গ্রহণযোগ্য নয়: সারজিস
অপরাধের জন্য শুধু বদলিই পুলিশের শাস্তি হতে পারে না: সারজিস
সমন্বয়কের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বহিষ্কার: সারজিস
শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে হবে: সারজিস
এক ফ্যাসিস্টকে দেশছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দিতে নয়: সারজিস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Spokesperson Humayun Kabir said irregularities were detected while integrating one crore handwritten cards of TCB with NID It has been seen that he took the card once in Dhaka with the same NID and may have done another card at home in his village In this situation while verifying with NID 43 lakh cards were left out

অনিয়মের দায়ে টিসিবি’র ৪৩ লাখ ফ্যামিলি কার্ড বাতিল

অনিয়মের দায়ে টিসিবি’র ৪৩ লাখ ফ্যামিলি কার্ড বাতিল ফাইল ছবি।
মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ‘টিসিবির এক কোটি হাতে লেখা কার্ড এনআইডি’র সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করতে গিয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে। দেখা গেছে, একই এনআইডি দিয়ে ঢাকায় একবার কার্ড নিয়েছে, আবার নিজের গ্রামের বাড়িতে হয়তো আরেকটি কার্ড করেছে। এ অবস্থায় এনআইডি দিয়ে যাচাই করতে গিয়ে ৪৩ লাখ কার্ড বাদ পড়ে গেছে।’

অনিয়মের কারণে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ-(টিসিবি) এর ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল হয়ে গেছে। হাতে লেখা কার্ডগুলোকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে রূপান্তর করতে গিয়ে এনআইডি যাচাইকালে এসব কার্ড বাদ পড়ে যায়।

তবে নানা জটিলতায় টিসিবির সব কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা সম্ভব হয়নি। তাই এখনও আগের হাতের লেখা কার্ডেই টিসিবির পণ্য বিতরণ করতে হচ্ছে।

রাজধানীর তেঁজগাওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির।

মুখপাত্র বলেন, ‘টিসিবির এক কোটি হাতে লেখা কার্ড এনআইডি’র সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করতে গিয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে। দেখা গেছে, একই এনআইডি দিয়ে ঢাকায় একবার কার্ড নিয়েছে, আবার নিজের গ্রামের বাড়িতে হয়তো আরেকটি কার্ড করেছে। ফলে যখন আমরা এনআইডি দিয়ে যাচাই করতে গেলাম তখন ৪৩ লাখ কার্ড বাদ পড়ে গেছে।’

তিনি জানান, ‘এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি পণ্য পাচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রনিধিরা না থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে কি না তা-ও সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে না।

হুমায়ূন কবির বলেন, ‘ফ্যামিলি কার্ডের এসব সমস্যা দূর করার জন্য একটি পরিবার যাতে একটি কার্ডের বেশি না পায়, সেজন্য আমরা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৫৭ লাখ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড হয়েছে।

‘বাকি কার্ডগুলো করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে চার দফা চিঠি দিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনে যে রদবদল হচ্ছে সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে এই তথ্যগুলো না পাওয়ার কারণে বাকি কার্ডগুলো আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি।’

তিনি জানান, রমজানে টিসিবির পাঁচটি পণ্য তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, ডাল বিক্রি করা হবে। আর সিটি করপোরেশনের বাইরে খেজুর বাদে চারটি পণ্য বিক্রি হবে। কার্ডের বাইরেও ট্রাকে করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ৭০টি পয়েন্টে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ পণ্য কিনতে পারবে। প্রতি ট্রাকে ৩৫০ জনের উপযোগী পণ্য দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য: জানুয়ারির বিক্রি শুরু
রাজধানীতে সবার জন্য খোলা ট্রাকে আলু-পেঁয়াজ মঙ্গলবার থেকে
কুড়িগ্রামে টিসিবির কার্ড নবায়নের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ
টিসিবির চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ
কোটি পরিবারের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু রোববার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Workers protest in Gazipur demanding unpaid salaries 

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ 

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ  সকাল ৯টার পর শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ছবি: ইউএনবি
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘টিঅ্যান্ডজেড কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে মহাসড়কে নেমে এলে যানজট লেগে যায়। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।’

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের কারখানার শ্রমিকরা।

এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং তিন ঘণ্টা ধরে এ অবস্থা চলে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়কে চলাচলকারী লোকজন।

সকাল ৯টার পর তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাননি। এ কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘টিঅ্যান্ডজেড কারখানার শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে মহাসড়কে নেমে এলে যানজট লেগে যায়। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
নির্মাণাধীন ভবনের আট তলা থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
সাত কলেজ ঢাবি অধিভুক্তই থাকবে, তবে দেখভালে আলাদা ব্যবস্থা
বাসচাপায় ববি শিক্ষার্থী নিহত, বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
মিরপুরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২ পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ
কাল ফের অবরোধের ঘোষণা ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegations of death in childbirth due to doctors negligence in Comilla 

কুমিল্লায় চিকিৎসকের ভুলে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ 

কুমিল্লায় চিকিৎসকের ভুলে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ  এইচআর হসপিটালে শুক্রবার রাত আটটার দিকে মৃত্যু হয় ইসরাত জাহান এরিনের। ছবি: নিউজবাংলা
কুমিল্লার সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার শনিবার সকালে জানান, তিনি ঘটনা শুনে তদন্ত দল গঠন করেছেন। তদন্তে দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কুমিল্লা নগরে চিকিৎসকের ভুলে এক প্রসূতির মূত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।

নগরের ঝাউতলার এইচআর হসপিটালে শুক্রবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো ইসরাত জাহান এরিন (২০) কুমিল্লা সদর উপজেলার শিমপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। বছরখানেক আগে শিমপুরের পাশের ভুবনঘর গ্রামের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ইসমিত পাশা দিদারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

স্বামী দিদার অভিযোগ করেন, চিকিৎসক মারজান সুলতানা নিঝুম অস্ত্রোপচারে সময় এরিনের নাড়ি কেটে ফেলেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়।

তিনি আর্তনাদ করে বলেন, ‘একজন চিকিৎসকের ভুলে আমার স্ত্রী মারা গেল। সদ্য জন্ম নেয়া ছেলেটিও মাকে হারাল।’

এরিনের মামা হাসনাত জানান, এরিন সন্তানসম্ভবা ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে নগরের ঝাউতলার এইচআর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতেই তার ভাগনির অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক নিঝুম।

তিনি জানান, শুক্রবার দুপুরে এরিনের অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসক পালস খুঁজে না পেলে তাকে আইসিউতে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে এরিনের স্বজনরা পার্শ্ববর্তী মুন হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পর এরিনের পেটে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। ততক্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় এরিনের।

হাসনাতের অভিযোগ, চিকিৎসক একটি নাড়ি কেটে ফেলায় তার ভাগনির মৃত্যু হয়েছে।

এরিনের বাবা মোবারক হোসাইন বলেন, ‘তারা আমার মেয়ের নাড়ি কেটে ফেলেছে। আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময় পার করেছে। নার্সরা অনেক দুর্ব্যবহার করেছে।

‘তাদের ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি আমি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

চিকিৎসক মারজান সুলতানা নিঝুমকে কল করে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ঘটনা শোনামাত্রই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেলার সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার শনিবার সকালে জানান, তিনি ঘটনা শুনে তদন্ত দল গঠন করেছেন। তদন্তে দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় আলোচিত জাহিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসি
ভিডিও কলে নববধূর, পরে প্রবাসী প্রেমিকের আত্মহত্যা: পুলিশ
নিমসার বাজারে খাজনা বন্ধ ঘোষণা
কুমিল্লার মানুষ বাপ-বেটির কাছে জিম্মি ছিলো: ডা. জাহিদ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mayor Shahadats initiative of free dengue test in Chittagong

চট্টগ্রামে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু টেস্টের উদ্যোগ মেয়র শাহাদাতের

চট্টগ্রামে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু টেস্টের উদ্যোগ মেয়র শাহাদাতের ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা। ফাইল ছবি
মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘নগরীর মেমন হাসপাতালের ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল স্থাপন করেছি। কারও ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সেখানে বিনা মূল্যে এনএস-১ এন্টিজেন টেস্ট করাতে পারবেন। ফ্রি টেস্টের পাশাপাশি আক্রান্তদের সেবা দিতে প্রস্তুত আমাদের চিকিৎসকরা।’

চট্টগ্রামে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু টেস্ট করানোর উদ্যোগ নিয়েছেন নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

নগরের দক্ষিণ খুলশীর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ভিআইপি হাউজিং সোসাইটি জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে শুক্রবার তিনি এ সেবার কথা উল্লেখ করেন।

মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘নগরীর মেমন হাসপাতালের ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট সেল স্থাপন করেছি। কারও ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সেখানে বিনা মূল্যে এনএস-১ এন্টিজেন টেস্ট করাতে পারবেন।

‘ফ্রি টেস্টের পাশাপাশি আক্রান্তদের সেবা দিতে প্রস্তুত আমাদের চিকিৎসকরা। এ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রম চালু করা হয়েছে এবং মশার লার্ভা ধ্বংস করতে স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়, যা ডেঙ্গু রোগ বিস্তারের জন্য দায়ী। এ জন্য বাড়ির আঙিনার কোথাও পানি জমতে দেয়া যাবে না।

‘ছাদে বা বারান্দায় ফুলের টব বা পানির টব খালি রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যা নগরবাসীর সচেতনতার মধ্য দিয়ে সম্ভব।’

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে পাঁচ মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৬৬
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ছয়জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩৭০
ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে ছয় মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৯৭
ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯৬
ডেঙ্গুতে চলতি বছরের দশ মাসে ৩০০ জনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two killed in bike accident on elevated expressway in Chittagong

চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাইক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত

চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাইক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত এক্সপ্রেসওয়ের ইপিজেড থানার বে-শপিং সেন্টার এলাকায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: ইউএনবি 
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজারের দিকে যাওয়ার সময় ইপিজেড এলাকায় দুর্ঘটনায় ঘটে। ধারণা করছি, মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে আসার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কবাতির খুঁটিতে ধাক্কা গেলে দুই আরোহী ছিটকে পড়ে যায়। দুইজনই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।’

চট্টগ্রাম মহানগরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন।

এক্সপ্রেসওয়ের ইপিজেড থানার বে-শপিং সেন্টার এলাকায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো দুজন হলেন মোহাম্মদ মোক্তার (২৮) ও মোহাম্মদ রুবেল (৩৬), যারা নগরের সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজারের দিকে যাওয়ার সময় ইপিজেড এলাকায় দুর্ঘটনায় ঘটে। ধারণা করছি, মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে আসার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কবাতির খুঁটিতে ধাক্কা গেলে দুই আরোহী ছিটকে পড়ে যায়।

‘দুইজনই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। একজন খুঁটিতে আটকে ছিলেন, অন্যজন রাস্তায় ছিটকে পড়েছিলেন।’

ওসি আরও বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই প্রথম সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু।

এর আগে ছিনতাইকারী ‘ফাঁদ’ সুতাতে আটকে এক যুবক আহত হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:
বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে গেল চলন্ত গাড়ি
মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৪
নরসিংদীতে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় ছয়জন নিহত
চট্টগ্রামে টায়ার কারখানায় আগুন
সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় দুই বাইক আরোহী নিহত, আহত ১০

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If the court wants it will hand over Sheikh Hasina to the law and order forces
নীলফামারীতে কর্মী সম্মেলনে ভারতের প্রতি জামায়াত আমির

বিচারালয় চাইলে শেখ হাসিনাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন

বিচারালয় চাইলে শেখ হাসিনাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন নীলফামারীদতে শুক্রবার কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসেই ৫৭জন চৌকস, সাহসী ও দেশপ্রেমিক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে। তারা হত্যা করেছিল নির্মমভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের। রাতে বাতি নিভিয়ে দিয়ে ঘাতকদের পিলখানা থেকে পালানোর সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল।’

বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম ও নির্যাতনের সমালোচনা করে দেশে বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিুর রহমান।

শুক্রবার সকালে নীলফামারীর বড় মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

ডা. শফিকুর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছরে দেশবাসীর শান্তি কেড়ে নিয়েছিল। সব ধরনের, সব বর্ণের মানুষ তাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

‘তারা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলো সিলগালা করে দিয়েছিল। ঘরে বসেও জামায়াতের নেতাকর্মীরা শান্তি পায়নি। ঘর থেকে তুলে নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেয়া হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের নামে যুদ্ধাপরাধীর মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে বিচারের নামে খুন করা হয়েছে।’

জামায়াত প্রধান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসার পরই ঝাল মিটিয়েছিল আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর। তারা তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ৫৭জন চৌকস, সাহসী ও দেশপ্রেমিক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে। হত্যা করেছিল নির্মমভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের।’

তিনি বলেন, ‘রাতে বাতি নিভিয়ে দিয়ে ঘাতকদের পিলখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সুষ্টি করা হয়েছিল। ঘাতকদের পরিচয় জাতিকে জানতে দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেয়া হয়নি। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকারীদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।’

জামায়াত আমির বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামী। মিথ্যা মামলায় তাদের শীর্ষ ১১ নেতাকে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে হত্যার অভিযোগ করেন ডা. শফিকুর।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবের শাসনামলে ১৯৭১ সালে যারা বিভিন্ন অপরাধ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। যুদ্ধপারাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যে মামলা হয়েছিল, সেখানে একটি মামলাও তাদের বিরুদ্ধে ছিল না।

‘এছাড়া শেখ মুজিব সরকার সে সময় যাচাই-বাচাই করে ১৯৫ জনের যে তালিকা করেছিল তাদের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের সীমানার ভেতরের কোনো নাগরিক ছিল না।’

ডা. শফিকুর বলেন, ‘৫ আগস্ট যখন পরিবর্তন এলো আমরা সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছি ধৈর্য্য ধরার জন্য। দেশবাসী আমাদের কথা শুনেছে।

‘আওয়ামী লীগ নির্দয় হতে পারে, খুনি হতে পারে। কিন্তু দেশের ১৮ কোটি মানুষ অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক।’

জামায়াত আমির বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন পালাবেন না। তিনি চলে গেলেন তার প্রিয় দেশে। তারা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা তাদের সম্মান করি। আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে অনুরোধ করব- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫০টির অধিক মামলা হয়েছে। আমাদের বিচারালয় যখন তাকে চাইবে তখন তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’

জামায়াত প্রধান বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমরা দুর্নীতি করব না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেবো না। আমরা ঘুষ খাবো না, কাউকে খেতেও দেবো না। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই- যে সমাজে লেখাপড়া করার পর ‘আমরা শিক্ষিত বেকার’ শব্দটি আমাদের কানে আসবে না।

‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সমাজের উন্নয়নে নারীরা অবদান রাখতে পারেন। নারীরা নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ও মর্যাদার সঙ্গে জাতি গঠনে অবদান রাখবেন।’

নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বেলাল প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন: জামায়াত আমির
৭ নভেম্বরের চেতনা ও ৫ আগস্টের বিপ্লব একসূত্রে গাঁথা: গোলাম পরওয়ার
শহীদদের স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর
বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ঐক্যের ডাক জামায়াত আমিরের
জামায়াতের জেলা ও মহানগর আমিরদের নাম ঘোষণা

মন্তব্য

p
উপরে