নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত আইন কেন মানা হচ্ছে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ধান, চালসহ ১৯ পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কি না তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
এ বিষয়ে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ আদেশের পাশাপাশি পণ্যের প্যাকিংয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
বাণিজ্য সচিব, আইন সচিব, কৃষি সচিব, পাট ও বস্ত্র সচিব, খাদ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম জি সারোয়ার পায়েল ও ইশিতা পারভীন।
আদেশের পরে রিট করা আইনজীবী সুমাইয়া আজিজ বলেন, ‘পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক ব্যবহার সংক্রান্ত ২০১০ সালের একটি আইন আছে। যেখানে সব পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটজাত ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পরে ১৯টি পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
‘তাই ওই আইন অনুযায়ী নির্ধারিত পণ্যগুলো আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বহন, সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলকভাবে নিশ্চিত করতে গত ২৬ মে বাংলাদেশ জুট মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে থেকে রিটটি করা হয়।’
এ আইনজীবী বলেন, ‘পাটের ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত ২০১০ সালের একটি আইন করা হয়েছিল। যেখানে সমস্ত পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটজাত ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ১৯টি পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করার কথা বলা হয়।
‘এসব পণ্য আমদানি, রপ্তানি, বিক্রি সব ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এই আইন অমান্য করে আসছে বিভিন্ন কোম্পানি। এ কারণে গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ জুট মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে থেকে অবহিতকরণ চিঠি পাঠনো হয়। এর পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ২৩ মে প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নের জন্যে নির্দেশনা চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। তারপরও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিটটি করা হয়।’
এর আগে ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট মুরগি ও মাছের খাবার সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে সরকার। ‘পোল্ট্রি’ ও ‘ফিস ফিড’সহ মোট ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। ওই দিন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেয়া হয়।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০-এর ধারা ২২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩-এর অধিকতর সংশোধন করে ‘পোল্ট্রি’ ও ‘ফিস ফিড’ সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। আইন অনুযায়ী ছয়টি পণ্য— ধান, চাল, গম, ভূট্টা, সার ও চিনি পাটজাত মোড়কে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়াসহ মোট ১৭টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়।
আইন অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনাধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়। আর এ অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি বছর ১০০ কোটিরও বেশি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে। স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, পাট চাষিদের পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং সর্বোপরি পাটের উৎপাদন বেড়ে যাওয়াসহ পাট শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে।
আরও পড়ুন:ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান জেলা প্রশাসকরা।
‘জামুকার (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) অধ্যাদেশ পরিবর্তন হচ্ছে। তারপর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘টিআর-কাবিখাতে বরাদ্দ নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যথাযথভাবে যেন পুনর্বাসন কার্যক্রম চলে। এখন থেকে ইউএনওরা টিনসহ কিছু সামগ্রী স্থানীয়ভাবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কিনবেন।’
অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যত্থানের পর সরকারি কর্মকর্তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে মনে করি। তাই স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
‘এ মাসের মধ্যেই জুলাই অধিদপ্তর গঠন হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে মৃত্যুবরণ করা সবাই জুলাই শহীদ। আর আহতরা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে খ্যাত হবেন।’
আরও পড়ুন:বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জনতা বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করছে। এ ক্ষেত্রে শুধু তৌহিদি জনতা নয়, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে দুপুরে কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে বাহিনীর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নদীপথ ও সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কোস্ট গার্ডের, যা তারা খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। কোস্ট গার্ড সেগুলো সফলতার সঙ্গে সমাধান করছে।
‘বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রেও কোস্ট গার্ড ভালো ভূমিকা রাখছে। কোস্ট গার্ড ও বিজিবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উপকূল এলাকা আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাওয়া সহজ হবে না। কারণ ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া পাসপোর্ট করা যাবে না।
‘রোহিঙ্গারা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র না পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর যারা ইতোমধ্যে পেয়েছে, তাদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করা হবে।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের বড় সমস্যা। এটি আমাদের সব ক্ষেত্রকে গ্রাস করে নিয়েছে। গত ছয় মাসে দুর্নীতির পরিমাণ অনেক কমেছে।
‘তবে এটি এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। দুর্নীতি যদি কমানো যায়, তাহলে সব সেক্টরে উন্নতি হবে।’
ওই সময় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সচিবালয়ে সোমবার আসন্ন রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং বিগত ৬ মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সামুদ্রিক জলসীমায়ও ইলিশ ও অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য আহরণের ওপর প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যেকোনো প্রকার মৎস্য ও চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি (ক্রাস্টাশিয়ান্স) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এর ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধির রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু এই সময়কাল পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সমন্বয় না থাকায় বাংলাদেশের মাছ আহরণে পার্শ্ববর্তী দেশের মৎস্যজীবীরা সুযোগ নিচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘তাই মৎস্য আহরণকারী সংগঠন এবং মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যানড পিরিয়ড সমন্বয় করার দাবি উত্থাপিত হয়ে আসছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘তারই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য অংশীজন এবং মৎস্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। কারিগরি কমিটি সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল আহরণ ও স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মাছের ব্রিডিং পিরিয়ড এপ্রিল থেকে জুন মাস হওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
‘অর্থাৎ এখন থেকে সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশ ও অন্যান্য মাছের আহরণের নিষিদ্ধ কাল হচ্ছে ৫৮ দিন (১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন)।’
এ ছাড়া হাওরে দেশীয় মাছ সংরক্ষণে জন্য ১৫ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত হাওরে পানি আসার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ দিন বা সর্বোচ্চ ১ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশ দুর্নীতির অনেক গভীরে ঢুকে গেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে। এটা থেকে বের হতে না পারলে বাংলাদেশের কোনো গতি নেই।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সামনে বিশাল সম্ভাবনাময় জগৎ, শুধু আমাদের সিদ্ধান্ত এবং কর্মসূচিগুলো ঠিক করার অপেক্ষা। তারুণ্য আমাদের আছে, প্রাকৃতিক সুযোগ আমাদের আছে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি, এই একটা জিনিস সব শেষ করে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো সমীক্ষায় আপনারা দেখবেন, বাংলাদেশ দুর্নীতির তালিকায় সর্বনিম্নে। সততা বলে আমাদের আর কোনো জিনিস নেই, শৃঙ্খলা বলে আমাদের আর কোনো জিনিস নেই। কাজেই এই দুর্নীতি থেকে বের না হলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব না।’
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা আজকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সম্মেলনে এসেছি। কাজেই দুর্নীতি কোথায় আছে, কীভাবে আছে।
‘তাদের কাছে এটা অজানা নয়। এটা থেকে উদ্ধার পাওয়া ছাড়া বাংলাদেশের কোনো গতি নাই। এটা থেকে বের হতেই হবে আমাদের।’
তিনি বলেন, ‘এটা (দুর্নীতি) থেকে আমরা কেউ মুক্ত হতে পারছি না। এমন গভীরে ঢুকে গেছি আমরা।
‘আমরা যত বক্তৃতাই করি, এটা অসাড় কথা, যদি আমরা একটা সৎ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারি।’
দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা অল্প সময়ের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আছি, কতটুকু সমাধান দিতে পারব জানি না। তবে শুরু থেকে আমরা একটা চেষ্টা করছি। সবাইকে এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
দুর্নীতি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন কার্যক্রম বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেসব জায়গাগুলোতে অনলাইন ব্যবস্থা আছে, সেগুলো পুরোপুরি কার্যকর করতে হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও চায় আমরা দুর্নীতিমুক্ত হই। কারণ দুর্নীতিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই চলছে না। তারাও চায় আমাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য হোক, এটা তাদের গবেষণা।
‘আমরা তাদের সুযোগ দিতে চাই না। আমরা ব্যক্তিগত সুযোগ নিয়ে ব্যস্ত আছি। জাতীয় সুযোগের জন্য আমরা মোটেই চিন্তিত নই। আমাদের সেই চিন্তা বদলে ফেলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা সরকারি কার্যক্রমে যুক্ত আছেন, তাদের অনুরোধ জানাই দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে। দুর্নীতি থেকে সরকারকে বের হতে হবে। সরকার যদি দেশের উপকারে আসতে চায়, তাহলে এটা থেকে আমাদের মুক্তি দিতে হবে।’
অনলাইন সেবা চালু করার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের এই আবেদন করব, আমরা থাকা অবস্থায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অনলাইন সার্ভিস, যেগুলো তৈরি আছে সেটা শতভাগ যেন আমরা বাস্তবায়ন করে যেতে পারি।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘কেউ এটা বাধা দেওয়ার জন্য যেন কোমর বেঁধে না লেগে যায়। কোমর বেঁধে লেগে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। কারণ এটি (দুর্নীতি) দিয়েই তো তারা সব সুযোগ সুবিধা পেত।
‘এটা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের হবেটা কী? তারা নানা ব্যাখ্যা দেবে, এটা ব্যাহত করার জন্য। আমরা তাদের (দুর্নীতিবাজদের) মুক্তি দিতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘এটা হলো লোহার ফটক (দুর্নীতি), এটা অতিক্রম না করলে উন্নতি বলেন, কিছুই আসবে না। কিচ্ছু হবে না।
‘সম্মান, উন্নতি যাই বলেন, কিছুই হবে না। এটা ভদ্র লোকের সংসারের মতো হতে হবে, যে আমরা দুর্নীতিমুক্ত জাতি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের মতো দেশ যদি দুর্নীতি মুক্ত হতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমরাও পারব।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি থেকে বিভিন্ন দেশ বের হয়ে এসেছে। এটা সম্ভব, অসম্ভব কিছু না। শুধু চেষ্টার দরকার। শুধু আমাদের প্রতিজ্ঞা দরকার, এটা আমরা করব।’
সম্প্রতি আরব আমিরাত সফরের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আরব আমিরাতের লোক আমাদের দুর্নীতি নিয়ে বলছে, আমরা তোমাদের কোনো ডকুমেন্ট বিশ্বাস করতে পারছি না। এত ভুয়া। গৃহকাজের লোক কিন্তু সে সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে মেডিক্যাল ডক্টর হিসেবে।
‘জলজ্যান্ত আমরা দেখছি এ ডাক্তার হতে পারে না। সে ডাক্তার না, কিন্তু সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে। ডাক্তারের সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি নিয়ে ওখানে আসছে। আমরা কতটা বাছাই করব? লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় যে, আমরা এটা কিছুই করতে পারছি না। আমরা কেউ না কেউ তাকে এই সার্টিফিকেট দিচ্ছি। এজেন্টরা জোগাড় করে দেয়। শুধু একটা এজেন্ট না বহু এজেন্ট আছে।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে আমাদের বহু মেয়ে মধ্যপ্রাচ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। নিয়ে গিয়ে কীসের মধ্যে ফেলে দিয়েছে কেউ জানেও না। মানব পাচারের যে বিষয়, তা অত্যন্ত বীভৎস।
‘আমাদের মেয়েরা যাচ্ছে, কী অবস্থায় ফিরে আসছে, যদি সশরীরে ফিরে আসতে পারে। কত লাশ কোথায় চলে যাচ্ছে, সেটারও কোনো হিসাব নেই। এই কোনো দেশ বানালাম আমরা। আমরা তো দায়ী।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নিজের কাছে, নিজের সন্তানদের কাছে আমরা কী জবাব দেব যে, কাউকে আমরা রক্ষা করতে পারছি না। এই মৃত্যুর জন্য, এই মানব পাচারের জন্য আমরা দায়ী না।’
তিনি বলেন, ‘এ ভীষণ রোগ। আমাদের সারা গায়ে ঘা। এটা থেকে মুক্ত হতে না পারলে কোনো দিকে অগ্রসর হওয়ার উপায় নেই। আমরা আজকে প্রতিজ্ঞা করি, আমরা এই ঘা থেকে মুক্ত হব, সুস্থ হব, দুর্নীতির দায়ে আমাদের কেউ অভিযুক্ত করতে পারবে না। এই রকম সরকার চালাব, এ রকম সমাজ চালাব।’
আরও পড়ুন:গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট মূলে ট্রাইব্যুনালে তাকে হাজির করা হলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেল রবিবার এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম, ব্যারিস্টার মইনুল করিম, তারেক আবদুল্লাহ ও সাইমুম রেজা।
মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতার প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ আদেশের ফলে নগদে প্রশাসক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আলাদা দুটি রিটের ওপর জারি করা রুল খারিজ করে রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এজেন্ট উল্লেখ করে রায়ে আদালত বলেন, ‘আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।’
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, মুহাম্মদ নওশাদ জমির, মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আবুল কালাম খান দাউদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি ও সাইফুল ইসলাম।
রায়ের পর আইনজীবী আবুল কালাম খান দাউদ বলেন, ‘নগদে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। রিটকারীদের লুকাস স্ট্যান্ডি নাই (আইনগত এখতিয়ার নেই), এই গ্রাউন্ডে রিটটি খারিজ করেছে আদালত।’
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিটকারীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রায়ের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি বলেন, ‘নগদ ডাক বিভাগের এজেন্ট বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশাসক নিয়োগের আগে কারণ দর্শানোর জন্য ডাক বিভাগকে নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ডাক বিভাগ নোটিশের জবাব দেয়। এ ছাড়া নগদের কার্যক্রম পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়ম পায়। এসবের ভিত্তিতে গ্রাহকদের স্বার্থেই প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে রিট আবেদনকারীকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয় রিটে।
‘যেহেতু নগদ ডাক বিভাগের এজেন্ট, তাই রিট আবেদনকারীর সংক্ষুব্ধতা থাকলে তিনি সেখানে আবেদন করতে পারতেন, যা তিনি করেননি। এসব দিক বিবেচনায় রিট গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তা খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদে প্রশাসক নিয়োগ বৈধ বলে প্রমাণিত হলো।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ২১ আগস্ট এক বছরের জন্য নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অভ্যন্তরীণ আদেশে বলা হয়, “ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এ চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক আনোয়ার উল্লাহ, পলাশ মন্ডল, আবু ছাদাত মোহাম্মদ ইয়াছিন, উপপরিচালক চয়ন বিশ্বাস ও আইয়ুব খানকে সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলো।”
সে সময় নগদের আগের পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়।
পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, নগদ ডাক বিভাগের সেবা। তাদের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক সেবাটি পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদে নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বিবাদী করা হয়।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুলে নগদে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ১০ দিনের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় অপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ ডিসেম্বর নগদে নিয়োগ করা প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর দুই সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রবিবার রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
একই বিষয়ে মোহাম্মদ আমিনুল হক নামে নগদের অপর এক পরিচালক আরেকটি রিট করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত একইভাবে রুল জারি করে। আজ সেই রুল খারিজ করে রায় দেয় একই আদালত।
আরও পড়ুন:রাজধানীর পল্লবীতে শনিবার ভোরে কথাকাটাকাটির জেরে গুলিতে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও শাহিনুর বেগম নামের দুই সহোদর আহত হয়েছেন।
তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তাদের ভগ্নিপতি আমির হোসেন বলেন, ‘আমার শ্যালক জসিম টিভি শোরুমের ব্যবসায়ী। আজ ভোরের দিকে শবে বরাতের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার সময় বাসার সামনে আমাদের এলাকার কয়েকজন ছেলে শরিফ, তুহিন, শহিদুল, সুজন, রিয়াজের সঙ্গে জসিমের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে জসিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শহিদুল। এতে জসিমের দুই পায়ের হাঁটুর ওপর দুটি গুলি বিদ্ধ হয়।
‘এ দৃশ্য দেখে তার বোন শাহিনুর বেগম এগিয়ে আসলে শাহিনুর বেগমের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে একটি গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। দুইজনকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোরের দিকে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘আজ ভোরের দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভাই-বোনকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
মন্তব্য