লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নুরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান।
আদালতের পিপি মো. আকমল হোসেন রায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার শালমারা এলাকায় নুরুজ্জামান তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মামলায় পুলিশ নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে।
নুরুজ্জামানের বাড়ি আদিতমারীর ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে।
লালমনিরহাট কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. মুসা মিয়া জানান, জেলা জজ দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি নুরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেন।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে তাকসিম এ খান গত ১৩ বছর বেতনসহ কতটাকা নিয়েছেন তার হিসাব চেয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
বিস্তারিত আসছে….
স্লিভলেস টপ পরা এক তরুণীকে নরসিংদী রেলস্টেশনে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার মার্জিয়া আক্তার শিলাকে জামিন দেয়ার সময় হাইকোর্টের মন্তব্য নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
মার্জিয়ার আইনজীবী মো. কামাল হোসেনের বরাতে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শুনানির সময় আদালত দেশের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে তরুণীর পোশাক সঙ্গতিপূর্ণ কিনা- সেই প্রশ্ন তুলেছে। ওই তরুণী যে পোশাক পরেছিলেন সেটি দেশের সবচেয়ে ‘ফাস্ট এরিয়া’ গুলশান-বনানীতেও কোনো মেয়ে পরে রাস্তায় বের হন না।
বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার এ শুনানির পর মার্জিয়া ছয় মাসের জামিন পান।
ঘটনার পরদিন বুধবার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার বিষয়টি হাইকোর্টের একই বেঞ্চের নজরে এনেছেন মার্জিয়ার আইনজীবী কামাল হোসেন। আদালতের কাছে কামাল হোসেনের আর্জি ছিল, ‘ফেসবুকে বাজে মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।’
আদালত ফেসবুকে মন্তব্যকারীদের বিষয়ে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে স্ক্রিনশট জমা দিতে বলেছে।
পাশাপাশি হাইকোর্ট বেঞ্চটির জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, ‘আমরা তো আদেশে পোশাক নিয়ে কিছুই লিখেনি, আমরা ভিডিও দেখে আইনজীবীদের কাছে শুধু জানতে চেয়েছি।
‘ভিডিও দেখে রাষ্ট্রের কাছে জানতে চেয়েছি, এমন ড্রেস পরে এমন গ্রাম এলাকায় যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কিনা।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. কামাল হোসেনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মাদ আবুল হাশেমও ফেসবুকের একটি স্ক্রিনশট উপস্থাপন করেন। তিনি মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন।
আইনজীবী কামাল হোসেন পরে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত শুনানিকালে যেসব প্রশ্ন করেছেন, মন্তব্য করেছেন, সেটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আদালত সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদালত অবমাননা করা হয়েছে।
‘তাদের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশকে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে আদালতের নজরে আনি। আদালত আরও সুনির্দিষ্ট করে বিষয়গুলো নিয়ে যেতে বলেছেন।’
আইনজীবী কামাল হোসেন দাবি করছেন, তার মঙ্গলবারের বক্তব্য সঠিক। তরুণী যে পোশাক পরেছিলেন সেটি কোনো সভ্য দেশের পোশাক হতে পারে কিনা- সেই প্রশ্ন আদালত তুলেছে। তবে কামাল হোসাইনের মতে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করার সুযোগ নেই।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল আমি আদালতের যে বক্তব্য গণমাধ্যমে বলেছি, তা তো বলেছি। কিন্তু এটি নিয়ে আদালতকে হেয় করে ফেসবুকে মন্তব্য করা ঠিক নয়। আদালতের আদেশ কারও বিরুদ্ধে গেলে তিনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। তার মানে এই নয় যে, আদালতকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন।’
আরও পড়ুন:চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম রিফাত হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও এসএম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ মোর্শেদ।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাজাপ্রাপ্ত শামছু হাবিব বিদ্যুৎ, রুমান কার্জন, মানিক ও রাসেল কবীর।
এর আগে ২০১৪ সালে এ মামলায় একবার রায় দিয়েছিল আপিল বিভাগ। সে সময় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে তিন বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিল, তবে আসামিরা রিভিউ আবেদন করলে মামলাটি ফের আপিল শুনানির জন্য পাঠায় আপিল বিভাগ।
১৯৯৭ সালের ১৭ জানুয়ারি ইফতার করানোর কথা বলে রিফাতকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন মহাখালীর রিফাত জাহাদ হোটেলের পেছনে রেললাইনে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি রিফাতের ভাই মো. ইসমাইল হোসেন ক্যান্টনমেন্ট থানায় ৮ জনের নামে মামলা করেন। পরের বছরের ৭ জানুয়ারি ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।
২০০৭ সালের ২১ জুন বিচারিক আদালত আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পর ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট পাঁচজনের সাজা বহাল রেখে তিনজনকে খালাস দেয়।
হাইকোর্টে সাজাপ্রাপ্তরা আপিল করলে বুধবার আপিল বিভাগ সবাইকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:নাটোরের বড়াইগ্রামে পৃথক অভিযানে পর্ন ভিডিও সংরক্ষণ ও বিক্রির অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় জব্দ করা হয় ৪টি কম্পিউটার ও ১০টি হার্ডডিস্ক।
উপজেলার বাগডোব এবং জোনাইল বাজারে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, একই উপজেলার পাড় বাগডোব গ্রামের সিডি ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন ও বাগডোব গ্রামের আল আমিন ও শামছুল হক এবং চাঁদপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বুধবার সকাল ৯টার দিকে এসব জানান।
তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পর্নো ভিডিও সংরক্ষণ ও বিক্রির অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়। এরপর রাতেই বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জব্দকৃত আলামত পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ এবং টাকার বিনিময়ে এলাকার যুবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে অনেকদিন ধরে হস্তান্তর করে আসছে তারা।
তারা মূলত কম্পিউটারের দোকানে গান, সফটওয়ার লোড,মোবাইল মেকানিক্সের ব্যবসার আড়ালে পর্নোগ্রাফী সংরক্ষণ ও বিক্রি করত।
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ তে বলা হয়েছে, পর্নোগ্রাফি বিক্রয়, ভাড়া, বিতরণ, সরবরাহ, প্রকাশ্যে প্রদর্শন বা যেকোনো প্রকারে প্রচার করিলে অথবা উক্ত সকল বা যেকোনো উদ্দেশ্যে প্রস্তত, উৎপাদন, পরিবহন বা সংরক্ষণ করিলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর সশ্রম কারাদন্ড এবং ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।
আরও পড়ুন:শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে করা মামলা বাতিলে জারি করা রুলের শুনানি চলছে।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার এ শুনানি শুরু হয়।
ইউনূসের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে ওই মামলা করেন।
ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবারও পিছিয়েছে।
আগামী ২ অক্টোবর প্রতিবেদন জমার নতুন দিন ঠিক করেছে আদালত।
প্রতিবেদন জমার দিন ছিল বুধবার, তবে তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব নতুন এ দিন ঠিক করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা তারা ফিলিপাইনের রিজল ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়।
দেশীয় কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করেন। এর পেছনে উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
ওই মামলার তদন্তে নামে সিআইডি। প্রতিবেদন জমা দিতে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দিন ঠিক করে দেয় আদালত। এর পর থেকে দফায় দফায় পিছিয়েছে প্রতিবেদন জমার তারিখ।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের মার্চে সে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।
রিজল ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে একটি ক্যাসিনোতে নিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশের পর সেই ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেয় ফিলিপাইন। বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন অগ্রগতি নেই।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম বুধবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মনোরঞ্জন দাশ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান, তার ভাই আবদুল গাফফার, বলকিপার রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনি।
পিপি জানান, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটি এলাকায় অবস্থিত দুটি মসজিদে জুমার নামাজের পর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন।
সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে করা এই মামলায় আসামি করা হয় ৪ জনকে। পরে পুলিশের তদন্তে আসামি আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
মনোরঞ্জন বলেন, ‘মামলার এক বছর পর ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। বিচার শুরুর পর চলতি বছরের ২৩ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।’
আসামিদের মধ্যে এম সাখাওয়াত হোসেন পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান পিপি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য