একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে নিষিদ্ধ এবং তাদের অর্থের উৎস বের করে তা জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নামে একটি সংগঠন। সরকার তার দায়িত্ব পালন না করলে জনগণ তার দায়িত্ব পালন করবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
ঢাকায় করতে না পেরে সারা দেশে ওলামা সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছে। কঠোর কোনো কর্মসূচিতে না গিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে পরিষদের নেতারা বলছেন, তারা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চান না।
রাজধানীর পল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ১৫টি দাবি তুলে ধরে এ কথা বলা হয়।
বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন যে ১১৬ ‘ধর্ম ব্যবসায়ীর’ তালিকা দিয়ে তাদের বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছিল, তাদের মধ্যে আছে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।
এই তালিকার প্রতিবাদে আগামী রোববার রাজধানীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ওলামা সম্মেলনের ডাক দেয়া হয়। কিন্তু অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এ কারণে এই সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
গণকমিশনের বিরুদ্ধে সারা দেশে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে আইম্মা পরিষদের সভাপতি নুরুল হুদা ফয়েজী বলেন, ‘আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে দেশের সব মসজিদ ও গণসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করা হবে।
‘এ লক্ষ্যে দেশের সব জেলা, মহানগর থানা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ওলামা সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। মতবিনিময় সভা করা হবে। এর পরও গণকমিশনের শ্বেতপত্র ও গণকমিশনের বিষয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করলে রাজধানী ঢাকায় ওলামা-মাশায়েখ ও সুধী সমাবেশ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে একটি বার্তা দিতে চাই। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা রাষ্ট্রের সংবিধান মেনেই কাজ করতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের অধিকার রয়েছে সভা-সমাবেশ করার। সরকার যদি সংবিধান লংঘন করে সে দায়িত্ব সরকারের। সরকারের উচিত ছিল আমাদের মতপ্রকাশের সুযোগ দেয়া কিন্তু সেটা সরকার দেয়নি। আমরা হলেও একটা প্রোগ্রাম করতে পারলাম না, এটা দুঃখজনক বিষয়। তবে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আন্দোলন করতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই শ্বেতপত্রের পেছনে যারা আছেন তারা রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি। সরকার যদি দেশকে ভালোবাসে তাহলে তাদের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করুক। তারা যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সেটা সরকার উন্মোচন করুক। সরকার যদি তাদের দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে জনগণ তাদের দায়িত্ব পালন করবে। সে ক্ষেত্রে ওলামা মশায়েখ জনগণকে সঠিক বার্তা দেবে।’
কর্মসূচি দিয়ে পিছু হটলেন কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের নাগরিক। দেশে সরকার আছে। তবে আমরা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা চাই প্রশাসন, সরকার এ বিষয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
পরিষদের সহসভাপতি আ ফ ম খালিদ হোসেন, খালেদ সাইফুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যেসব মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের অধিকাংশের প্রতিনিধিরা ওলামা সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সামগ্রিকভাবে শ্বেতপত্রে যাদের দিকে অভিযোগের তির ছোড়া হয়েছিল, এমন সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এই সম্মেলন হতে যাচ্ছিল।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলো, তাদেরকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। তাদের সম্মেলন করতে দেয়া হচ্ছে না। এর চেয়ে নির্লজ্জ পক্ষপাত ও বিদ্বেষমূলক আচরণ আর কী হতে পারে?’
লিখিত বক্তব্যে দাবি তুলে ধরে বলা হয়
১.একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিকে জনতার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে শ্বেতপত্র প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
২.এই শ্বেতপত্রের সঙ্গে জড়িত সবার রাজনৈতিক গোপন অভিলাষ প্রকাশ ও ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
৩. নির্মূল কমিটির অর্থের উৎস খুঁজে বের করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
৪. গণকমিশনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
৫. ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
৬.এই শ্বেতপত্রে মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের এই মিথ্যাচারের তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৭.গণকমিশন নিজ থেকে ক্ষমা চেয়ে শ্বেতপত্র প্রত্যাহার না করলে এই শ্বেতপত্র রাষ্ট্রকে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৮.এই শ্বেতপত্রে স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সবকিছুর পেছনে দেশের ইসলামি রাজনৈতিকে, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, মাদ্রাসা শিক্ষা এবং আলেম-ওলামাদেরকে একতরফাভাবে দায়ী করা হয়েছে। অতএব স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তা একটি শক্তিশালী বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে তদন্ত করতে হবে। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে এবং তদন্ত রিপোর্ট জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।
৯.যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করে, দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়, তাদের কার্যক্রমকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১০. নাশকতার অভিযোগে অভিযুক্ত আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
১১.কারাবন্দি সকল আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
১২. সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল সকল প্রশাসনিক বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখতে হবে।
১৩.সারা দেশের আলেম ওলামা ও মাদরাসার বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
১৪. আল্লাহ, রাসূল (স.), ধর্মীয়-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন করতে হবে এবং তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. দুর্নীতিমুক্ত ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ সুনাগরিক গড়ে তুলতে সারা দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম সন্তানদের জন্য নামাজ শিক্ষা, কুরআন শিক্ষা এবং রাসূল (স.)-এর জীবনী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
রাজধানীর মাতুয়াইলে সোমবার সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় আবদুল জব্বার (৫২) ও রুমা খানম (৪০) নামের দুজন নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় তাদের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে জুঁই আক্তার আহত হয়েছে, যাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন আবদুল জাব্বার ও রুমা খানম। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে।
আহত জুঁই যাত্রাবাড়ীর ইকরা হাই স্কুলের ছাত্রী।
মাতুয়াইলের সাদ্দাম মার্কেটের বিপরীত পাশে সকাল সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রুমার। অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বামী আবদুল জব্বারকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ইরফান জানান, সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় বেপরোয়া একটি পিকআপ ভ্যান তিনজনকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রুমা আক্তার। পরে স্থানীয় হাসপাতালে মারা যান আবদুল জব্বার।
তিনি বলেন, ‘মরদেহ দুটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।’
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন-২০২৫ উদ্বোধন করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে রবিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিসিদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
নির্বাচন কবে হবে, সেটি জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির সামনে শনিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচনটা কবে হবে। কারণ এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা হয়তো কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারব। আর পরে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে, তারা বাস্তবায়ন করবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে, আমাদের আশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল এটাতে স্বাক্ষর করবে। সেটা হবে জুলাই চার্টার।’
সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, ‘আর যেসব ক্ষেত্রে প্রধান ঐকমত্য প্রয়োজন, সেটার জন্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং এরপরে আমরা যে রাজনৈতিক সমাধানে যাচ্ছি, কীভাবে আমাদের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনটা হবে, তার জন্য আজকে রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর পল্লবীতে শনিবার ভোরে কথাকাটাকাটির জেরে গুলিতে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও শাহিনুর বেগম নামের দুই সহোদর আহত হয়েছেন।
তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তাদের ভগ্নিপতি আমির হোসেন বলেন, ‘আমার শ্যালক জসিম টিভি শোরুমের ব্যবসায়ী। আজ ভোরের দিকে শবে বরাতের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার সময় বাসার সামনে আমাদের এলাকার কয়েকজন ছেলে শরিফ, তুহিন, শহিদুল, সুজন, রিয়াজের সঙ্গে জসিমের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে জসিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শহিদুল। এতে জসিমের দুই পায়ের হাঁটুর ওপর দুটি গুলি বিদ্ধ হয়।
‘এ দৃশ্য দেখে তার বোন শাহিনুর বেগম এগিয়ে আসলে শাহিনুর বেগমের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে একটি গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। দুইজনকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোরের দিকে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘আজ ভোরের দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভাই-বোনকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে রবিবার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, রবিবার সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
ডিসি সম্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, দিকনির্দেশনা গ্রহণ এবং সমাপনী অনুষ্ঠানসহ ৩৪টি কার্য অধিবেশন থাকবে।
সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এক দিনে সর্বোচ্চ চার লাখ ৩ হাজার ১৬৪ জন যাত্রী পরিবহন করে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে ডিএমটিসিএল শুক্রবার এ তথ্য জানায়।
এতে আরও বলা হয়, ‘ঢাকায় মেট্রোরেল সার্ভিস উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার এক দিনে সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড এটি।’
এ মাইলফলক অর্জনে সহযোগিতা করার জন্য যাত্রী, শুভানুধ্যায়ী ও অংশীজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি ধন্যবাদ জানায় ডিএমটিসিএল।
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন নরসিংহপুর এলাকার একটি বাসায় শুক্রবার রাতে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছে।
দগ্ধদের রাত পৌনে একটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তাদের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকি দুজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
দগ্ধদের মধ্যে চার বছর বয়সী মমিনের দেহের ২০ শতাংশ, ৯ বছরের মাহাদীর ১০ শতাংশ, ১৫ বছরের শামীমের ১৪ শতাংশ, চার বছরের সোয়াইদের ২৭ শতাংশ, তিন মাস বয়সী সুমাইয়ার ৯ শতাংশ, ৫০ বছরের সূর্য বানুর ৭ শতাংশ, ৩২ বছরের শিউলি আক্তারের ৯৫ শতাংশ, ৩৫ বছরের মোছাম্মৎ শারমিনের ৪২ শতাংশ, ৩৮ বছরের মোহাম্মদ সোহেল রানার ১০ শতাংশ, ৩২ বছরের মোহাম্মদ সুমন মিয়ার ৯৯ শতাংশ এবং ৭০ বছর বয়সী জহুরা বেগমের দেহের পাঁচ শতাংশ পুড়ে যায়।
দগ্ধদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা আবু ইসহাক জানান, আশুলিয়ার নরসিংহপুরের গোমাইল এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা তৈরির সময় হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে সাভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে তাদের ভর্তি রাখা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আশুলিয়া থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে।
মন্তব্য