× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The Hajj camp will be inaugurated on Friday
google_news print-icon

হজ ক্যাম্প উদ্বোধন শুক্রবার

হজ-ক্যাম্প-উদ্বোধন-শুক্রবার
রাজধানীর আশকোনার হজ ক্যাম্প। ছবি: নিউজবাংলা
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার হজ হতে পারে ৮ জুলাই। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্যাকেজটি হলো ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বনিম্নটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকার। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে জনপ্রতি ন্যূনতম খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিস অফ বাংলাদেশ (হাব)।

চলতি বছর হজ যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে আশকোনা হজ ক্যাম্প। শুক্রবার সকাল ১০টায় হজ যাত্রীদের জন্য ক্যাম্পের দরজা খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ১০টায় আশকোনায় হজ ক্যাম্পের কার্যক্রম গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় হজ যাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময়ও করবেন তিনি।

৩১ মে হজ ফ্লাইট চালুর কথা থাকলেও সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় ৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট।

এরই মধ্যে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর সারা বিশ্বের ২০ থেকে ২৫ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি।

পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সৌদি সরকার এবার সারা বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দিচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মুসল্লি হজব্রত পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার মুসল্লি। বাকিরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।

সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্যাকেজটি হলো ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বনিম্নটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকার।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে জনপ্রতি ন্যূনতম খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিস অফ বাংলাদেশ (হাব)।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার হজ হতে পারে ৮ জুলাই। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৫৭ হাজার হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বাকি অর্ধেক করবে সৌদি রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ও ফ্লাই নাস।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ বছর ৭৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে ৩১ হাজার যাত্রী বহন করবে। যাত্রী পরিবহনে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বহরে থাকা বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হবে।

আরও পড়ুন:
৫ জুন হজ ফ্লাইট শুরু করতে চিঠি
দুই বছর পর রং চড়ছে আশকোনার হজক্যাম্পে
হজের নিয়মিত ফ্লাইট ৫ জুন থেকে
ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহনের নির্দেশ
হজযাত্রীদের প্যাকেজ নির্বাচনের সময় বাড়ল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

পবিত্র শবে বরাত আজ

পবিত্র শবে বরাত আজ শবে বরাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইবাদতে মশগুল মুসল্লিরা। ফাইল ছবি
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ গভীর রাতটি মুসলমানরা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। রাতটি লাইলাতুল বরাত হিসেবেও পরিচিত।

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় শুক্রবার রাতে দেশজুড়ে পালন করা হবে পবিত্র শবে বরাত।

হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ গভীর রাতটি মুসলমানরা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। রাতটি লাইলাতুল বরাত হিসেবেও পরিচিত।

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে শনিবার সরকারি ছুুটি থাকবে।

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘এ সৌভাগ্যময় রজনী মানব জাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদান ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।’

পবিত্র এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষণ হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ মহিমাময় রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি; অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফিরাত।’

পবিত্র শবে বরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’

এ রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।

আরও পড়ুন:
পবিত্র শবে বরাত আজ
শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণে চাঁদ দেখা কমিটির সভা রোববার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jagannath Hall Saraswati Puja Mandap is two advisers

জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন দুই উপদেষ্টার

জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন দুই উপদেষ্টার ঢাবির জগন্নাথ হলে সোমবার সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: ইউএনবি
সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে দুই উপদেষ্টা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় তারা পূজার সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে সোমবার সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে দুই উপদেষ্টা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় তারা পূজার সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যরা।

এবার জগন্নাথ হলের মূল পূজামণ্ডপের বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আরও ৭২টি পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন:
তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
স্টাফদের দাবির বিষয়ে আলোচনার দরজা খোলা: রেলপথ উপদেষ্টা
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The first episode of the World Ijtema ended in the last prayer

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে ফরিয়াদরত এক মুসল্লি। ছবি: ইউএনবি
সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হওয়া ২৪ মিনিটের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা জুবায়ের।

গাজীপুরের তুরাগ নদের তীরে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হওয়া ২৪ মিনিটের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা জুবায়ের।

আখেরি মোনাজাতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি অংশ নেন।

ইজতেমা মাঠের চারদিকে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় মুসল্লিতে পূর্ণ হওয়ায় ভবনের ছাদ থেকে, যানবাহনে করে লোকজনকে দোয়ায় অংশ নিতে দেখা যায়।

পার্থিব জীবন ও আখিরাতে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। দোয়ায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারীও অংশ নেন।

মোনাজাত শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসল্লিরা তাদের গন্তব্যে রওনা হলে সড়ক ও ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় হয়।

পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুক্রবার সকালে ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়।

মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

তাবলিগ জামাতের শুরা-ই নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, ইজতেমার তিন দিনে মোট পাঁচজন মুসল্লির মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা: প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত রবিবার
বিশ্ব ইজতেমা: দ্বিতীয় দিনে আরও মুসল্লির আগমন, তিনজনের মৃত্যু
বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা ঘাটতি নেই: জিএমপি কমিশনার
বিশ্ব ইজতেমা শুরু শুক্রবার, চলবে ১৪ বিশেষ ট্রেন
খুলনায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের বিরোধ, পাহারায় যৌথবাহিনী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
World Ijtema The first Monajat of the first phase is Sunday

বিশ্ব ইজতেমা: প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত রবিবার

বিশ্ব ইজতেমা: প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত রবিবার টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের একাংশ। ফাইল ছবি
আগামীকাল সকাল ৯টায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের।

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে শুক্রবার শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

জিকির-আসকার, ইবাদত-বন্দেগি ও ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে শনিবার ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত করছেন মুসল্লিরা।

আগামীকাল রোববার সকাল ৯টায় আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে শেষ হবে শুরায়ে নেজাম আয়োজিত ইজতেমার প্রথম পর্ব।

দ্বিতীয় দিন শনিবার ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদ আলম। বাংলা তরজমা করেন বালাদেশের মাওলানা উবায়দুর রহমান। আসরের পর অনুষ্ঠিত হবে যৌতুকবিহীন গণবিয়ে।

আগামীকাল ফজরের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আবদুর রহমান। আখেরি মোনাজাতের আগে নসিহতমূলক বক্তব্য দেবেন মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। এরপর অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত।

সকাল ৯টায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের।

ইজতেমায় অংশ নিতে বিভিন্ন দেশের বিদেশি মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে গিয়ে উপস্থিত হন। তারা তাদের জন্য নির্ধারিত তাঁবুতে অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে দিন পার করছেন।

এদিকে ইজতেমায় আগত চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা বার্ধক্যজনিত ও অসুস্থ হয়ে তারা মারা যান বলে জানিয়েছেন ইজতেমার আয়োজকরা।

ইজতেমার এ ধাপে অংশ নিয়েছেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লি। এরপর ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। আর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা পালনের কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা: দ্বিতীয় দিনে আরও মুসল্লির আগমন, তিনজনের মৃত্যু
বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা ঘাটতি নেই: জিএমপি কমিশনার
বিশ্ব ইজতেমা শুরু শুক্রবার, চলবে ১৪ বিশেষ ট্রেন
খুলনায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের বিরোধ, পাহারায় যৌথবাহিনী
তাবলীগের দু’পক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
World Ijtema The death of three more Muslims on the second day

বিশ্ব ইজতেমা: দ্বিতীয় দিনে আরও মুসল্লির আগমন, তিনজনের মৃত্যু

বিশ্ব ইজতেমা: দ্বিতীয় দিনে আরও মুসল্লির আগমন, তিনজনের মৃত্যু বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের একাংশ। ফাইল ছবি
বিভিন্ন দেশের আড়াই হাজারের বেশি হাজিসহ কয়েক লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়ে ইবাদতে মশগুল রয়েছেন।

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবার শীর্ষ আলেমদের বয়ান শুনছেন মুসল্লিরা।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুক্রবার ইজতেমা শুরুর পর থেকে তিনজন মুসল্লির মৃত্যু হয়।

বিভিন্ন দেশের আড়াই হাজারের বেশি হাজিসহ কয়েক লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়ে ইবাদতে মশগুল রয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর মাওলানা জিয়াউল হকের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়।

পরের দিন শনিবার ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খুরশেদ এবং তা বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা ওবায়দুর রহমান।

এ ছাড়া বয়ান করবেন মাওলানা ইব্রাহিম দৌলা ও মাওলানা আকবর শরীফ।

এখনও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা বাস, ট্রাক, নৌকায় করে ও হেঁটে তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমা ময়দানে আসছেন।

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব।

আজ বাদ আসর মাঠে গণবিয়ের অনুষ্ঠান হবে।

ইজতেমায় সর্বশেষ হবিগঞ্জ জেলার ইয়াকুব আলী নামের এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে তিন মুসল্লির মৃত্যু হলো।

মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তাবলিগ জামাত ১৯৬৭ সাল থেকে এ ইজতেমার আয়োজন করে আসছে। বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগমের জন্য ২০১১ সালে ইজতেমাকে দুই পর্বে ভাগ করা হয়।

আরও পড়ুন:
সাদপন্থীদের ইজতেমার আর সুযোগ নেই: মামুনুল হক
ইজতেমা মাঠে নিহত ৪, খুনিদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা
তুরাগ তীরে শেষ হলো পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে দুই পর্বেই, চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Governments new instructions on Markaz of Tabligh

তাবলিগের মারকাজ নিয়ে সরকারের নতুন নির্দেশনা

তাবলিগের মারকাজ নিয়ে সরকারের নতুন নির্দেশনা তাবলিগ জামাতের মারকাজ কাকরাইল মসজিদ। ছবি: আশিক মাহমুদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ক্ষেত্রে এর আগে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, সেটি অনুসরণ করতে হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের তাবলিগি মারকাজে সহাবস্থান বজায় রাখতে মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি বৃহস্পতিবার জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে এক পক্ষকে অন্য পক্ষের মারকাজে কোনো ধরনের বাধা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ক্ষেত্রে এর আগে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, সেটি অনুসরণ করতে হবে।

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে গেল ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত চারজনের প্রাণহানি হয়েছে।

পরে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইজতেমা ময়দান খালি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।

ইজতেমা ময়দান ঘিরে জারি করা সে নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর মহানগর পুলিশ আইনের ক্ষমতাবলে গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুর দুইটা থেকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটারের মধ্যে জারি করা আদেশগুলো বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে প্রত্যাহার করা হলো।

আরও পড়ুন:
কাকরাইল মসজিদ ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা সাদপন্থিদের
বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদের উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ওলামা-মাশায়েখদের ৯ দাবি
লাখো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে শেষ হলো কেরাণীগঞ্জের জোড়
ইজতেমায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Khulna the joint forces guarded the conflict between pro Saad and pro Zubair

খুলনায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের বিরোধ, পাহারায় যৌথবাহিনী

খুলনায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের বিরোধ, পাহারায় যৌথবাহিনী
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘এই দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো সংঘর্ষ না হয় সেজন্য পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পাহারায় থাকবে।’

খুলনা মহানগরীর নিরালার তাবলীগ (মারকাজ) মসজিদে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে সেই বিরোধ আরও জোরালো হয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ওই তাবলীগ মসজিদে পাহারায় ছিলেন পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

খুলনায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের বিরোধ, পাহারায় যৌথবাহিনী

মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাদপন্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন যে আগামী দশ দিন জুবায়েরপন্থীর কোনো মুসল্লি তাবলীগ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন না। অপরদিকে জুবায়েরপন্থীরা পাল্টা ঘোষণা দেন তারা জুমার নামাজ নিরালা তাবলীগ মসজিদেই আদায় করবেন। এই পরিস্থিতিতে মুসল্লিদের ভেতরে যাতে সংঘর্ষ না বাধে সেজন্য শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা দেয়া শুরু করে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘এই দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো সংঘর্ষ না হয় সেজন্য পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পাহারায় থাকবে।’

দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যৌথবাহিনী এলাকার সাধারণ মুসল্লি বাদে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী কাউকে মসজিদে ঢুকতে দিচ্ছে না। এক পর্যায়ে মুসল্লিদের চাপ বাড়লে তাবলীগ মসজিদের মেইন গেটে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ফলে স্থানীয় সাধারণ মুসল্লিরাও ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেননি।

নিরালা তাবলীগ মসজিদ সংলগ্ন নাজিরঘাট এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, ‘মুসল্লিদের ভেতরে বিভাজনের কারণে আমরা আজ জুমার নামাজ পড়তে পারিনি। আমরা মুসলিম হিসাবে মুসলিমদের ভেতরে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী চাই না। সাধারণ মানুষের একটাই চাওয়া- মুসলমানদের ভেতরে সব ভেদাভেদ বাদ দিয়ে সবাই একসঙ্গে নামাজ পড়বে।’

আরও পড়ুন:
তাবলীগের দু’পক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা
সাদপন্থীদের ইজতেমার আর সুযোগ নেই: মামুনুল হক
ইজতেমা মাঠে নিহত ৪, খুনিদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

p
উপরে