বরিশালের বাকেরগঞ্জের তুলাতলী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে সুকানি নিখোঁজ রয়েছেন।
উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ইমামকাঠি গ্রামের ঘোষবাড়িসংলগ্ন নদীর অংশে বৃহস্পতিবার ভোর ডুবে যায় নোঙর করে রাখা আবু সালেহ-২ নামের বাল্কহেডটি।
বাকেরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজ সুকানির নাম মিলন মোল্লা। ২৩ বছরের এ যুবক উপজেলার গাড়ুরিয়া ইউনিয়নের হিরাধর গ্রামের কালাম মোল্লার ছেলে।
এসআই মনির বলেন, ‘নদীতে জোয়ার থাকায় শ্রমিকরা রাতে আবু সালেহ-২ নামের বাল্কহেডটি ইমামকাঠি গ্রামের ঘোষবাড়িসংলগ্ন অংশে নোঙর করে। এতে চারজন শ্রমিক ছিলেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা বাল্কহেডে ঘুমিয়ে পড়েন।
‘ভোরের দিকে নদীতে ভাটা শুরু হলে একপাশ কাত হয়ে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তিন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন সুকানি মিলন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালাচ্ছে।’
বাল্কহেডের শ্রমিক নাসিরুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফজরের আজানের সময় কাত হয়ে পানি উঠে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। বিষয়টি প্রথমে টের পেয়ে সবাইকে ডেকে তুলেন মিলন। এ সময় বাল্কহেড অর্ধেক ডুবে যায়। তারা নদীতে ঝাঁপ দেয়ার আগে মিলন ইঞ্জিনরুম থেকে কিছু একটা আনতে যান। তাকে মানা করার পরও ইঞ্জিন রুমে যায়। তখনই বাল্কহেডটি ডুবে যায়।’
কক্সবাজারে জমকালো আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে শুরু হয়েছে বিশ্ব পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিশাল র্যালি লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা হয়ে পুনরায় লাবণী পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
এ সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহীন ইমরানের নেতৃত্বে র্যালিতে অংশ নেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুল ইসলাম, টুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলামসহ পর্যটন ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
ডিসি শাহীন ইমরান বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো এমন আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলোর আকর্ষণ বাড়াতে এ মেলা বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসপি মাহফুজুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়েছে।
কোন দিন কী অনুষ্ঠান
বৃহস্পতিবার: সকাল ১০টার দিকে রোড শো ও বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেটস্কি শোর পাশাপাশি হবে সেমিনার।
শুক্রবার: বিকেল তিনটার দিকে ঘুড়ি উৎসব, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেমিনার, সাড়ে ৫টার দিকে ম্যাজিক শো। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ফায়ার স্পিন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে রাত ৯টার দিকে ফানুস উৎসব ও রাত ১১টার দিকে ডিজে শো।
শনিবার: সকাল ১০টার দিকে সার্ফিং প্রদর্শনী, বিকেল তিনটার দিকে ঘুড়ি উৎসব, বিকেল চারটার দিকে বিচ ম্যারাথন, বিকেল ৫টার দিকে সেমিনার, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ডিজে শো।
রোববার: বিকেল ৫টা থেকে সেমিনার ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সোমবার: বিকেল ৪টায় বিচ ভলিবল, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাত ৮টায় বিদেশি নাগরিকদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১১টায় ডিজে শো।
মঙ্গলবার: বিকেল তিনটার দিকে সেমিনার, বিকেল চারটার দিকে পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্র্যান্ড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্ট, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিজে শো ও রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে আতশবাজি প্রদর্শনী।
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর ওপর নির্মিত বেইলি সেতুটির মধ্যবর্তী খুঁটি আকস্মিকভাবে দেবে গেছে। এতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
মঙ্গলবার সওজ মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যান চলাচল নিষিদ্ধ সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
ধলাই সেতুর খুঁটি দেবে যাওয়ার ঘটনায় প্রতিনিয়ত ড্রেজার মেশিন দিয়ে সেতুর কাছ থেকে নদীর বালু উত্তোলন করাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কমলগঞ্জের নয়টি ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ কয়েক হাজার মানুষ। কমলগঞ্জ থেকে জেলা সদর মৌলভীবাজার যাতায়াতের এটিই সরাসরি সড়ক।
সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় অফিসগামী লোকজন, শিক্ষার্থী, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষকে বিকল্প পথে বেশ কয়েক কিলোমিটার ঘুরে কালেঙ্গা হয়ে মৌলভীবাজার যেতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত সময় ও ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
প্রায় আট মাস আগে কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই সেতু এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ দেবে সঙ্গে সঙ্গে পাকা আরসিসি খুঁটি দেবে যায়। এরপর সওজ পরপর দুইবার এ পথে যানবাহন বন্ধ রেখে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একটি বেইলি সেতু স্থাপন করা হয়েছিল। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে ও সেতুর খুব কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় এখন আবার সেতুর খুঁটি দেবে গেছে।
সওজ মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘সেতুটি অনেক পুরাতন। এর আগে হঠাৎ করে মাটি ধসে যাওয়ার কারণে সেতুর অ্যাপ্রোচ মেরামত করা হয়। মঙ্গলবার হঠাৎ সেতুটির মধ্যবর্তী পিলার আকস্মিকভাবে দেবে যায়।
‘তাই জরুরি ভিত্তিতে এ সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সংস্কারকাজের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাই আপাতত সকল প্রকার যানবাহনকে বিকল্প পথে চলাচল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন:আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের গোলকনগর গ্রামে দফায় দফায় চলছে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা।
বুধবার সকালসহ গত কয়েক দিন ওই গ্রামের মধ্য, পশ্চিম ও উত্তরপাড়ায় অন্তত ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে গোয়ালের গরু-ছাগল।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবু সাঈদ বিশ্বাস নামের আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হন। এ ঘটনাকে পুঁজি করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী মেম্বর আসামিপক্ষের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালান।
হামলায় ওই গ্রামের শাহীন বিশ্বাস, জজ বিশ্বাস, মোতলেব বিশ্বাস, বকু কাজীসহ অন্তত ১৫ জনের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলাকারীরা গোয়ালের গরু-ছাগলসহ ঘরের মালামাল লুট করে।
ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মুকুল কাজী বলেন, ‘আমি মারামারির সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। আমরা কোনো ঝামেলায় থাকি না। আমার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে; ঘরের মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। আমি সামাজিকভাবে দল করি। এটাই আমার দোষ।’
ক্ষতিগ্রস্ত সোহান বিশ্বাস বলেন, ‘মারামারিতে একজন মারা যাওয়াকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষের লোকজন এখন বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অত্যাচারে গ্রামে অন্তত ২০টি পরিবারের পুরুষ বাড়িছাড়া। তারা দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর করছেন।’
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে এমন কোনো খবর তার জানা নেই। তারপরও এমন ঘটনা যেন না ঘটে, সেই জন্য ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় নাছিমা আক্তার ও তার দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার তীরনই নদীর কাশিপুর এলাকার মিনি কক্সবাজার পশ্চিম পাশের ঘাট থেকে বুধবার সকাল ৬টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো তিনজন কাশিপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন।
রাণীশংকৈল থানার ওসি মো. গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন মা ও তার দুই ছেলে। বুধবার সকাল ৬টার দিকে তাদের মরদেহ নদীতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনরা।
তিনি আরও জানান, পুলিশের একটি দল সেখানে কাজ করছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
উপজেলার আমিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল ক্লাস বন্ধ রেখে কিছু ছাত্রীকে সম্মেলনে অংশগগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে।
আবদুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনকে ঘিরে উপজেলার থানা রোডে দুপুর ১২টার দিকে ছাত্র সমাজের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একটি র্যালিতে অংশ নেয় স্কুলছাত্রীরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া র্যালির ছবিতে দেখা যায়, সবুজ রঙের স্কুল পোশাক পরা একদল ছাত্রী র্যালির সামনে অবস্থান করছে।
র্যালিতে অংশ নেয়া এক ছাত্রী বলে, ‘স্কুল থেকেই আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। ক্লাস বন্ধ করে আমরা বাধ্য হয়ে অংশগ্রহণ করেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলে, ‘কেন আমাদের র্যালিতে এনে শোডাউন দেয়া হয়েছে তা জানি না। আমাদের দুপুরের খাবার দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু খাবার দেয়া হয়নি।’
সন্তানের ক্ষতি হতে পারে এমন চিন্তা থেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমরা সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাই পড়ালেখার জন্য; দলীয় অনুষ্ঠানে র্যালির জন্য না। এ ধরনের দলীয় প্রোগ্রামগুলোতে অনেক সময় সংঘাতের ঘটনা ঘটে থাকে।’
আরেক অভিভাবক বলেন, ‘এখানে যদি কোনো ধরনের অঘটন ঘটত? এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটা অন্যায়।’
ক্লাস বন্ধ রেখে ছাত্রীদের র্যালিতে আনার পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন ছাত্র সমাজের উপজেলা সভাপতি শাহ সুলতান সরকার সুজন বলেন, ‘অতিথিদের ফুল দেয়ার জন্য ওই স্কুলের মেয়েদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তারা র্যালিতেও অংশ নেয়।’
জানতে চাইলে আমিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক পরা থাকায় চিনতে পারছি না। তারা আমাদের বিদ্যালয়ের হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মমিন মন্ডল বলেন, ‘ক্লাস বাদ দিয়ে দলীয় অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের উপস্থিতি দুঃখজনক। এটি একটি নিন্দনীয় অপরাধ।’
বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:নাটোরের লালপুরে ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় এক নারী ও তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।
উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুজন হলেন ৪০ বছর বয়সী শাহানাজ বেগম ও তার মেয়ে ৮ বছর বয়সী মাইশা খাতুন।
আহত দুজন হলেন শাহানাজ বেগমের মা ৭০ বছর বয়সী ইয়াতুল বেগম ও প্রতিবেশী ২২ বছর বয়সী সজল হোসেন।
লালপুর থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন জানান, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শাহানাজ বেগমের স্বামী মারা যাওয়ায় তার মা ও মেয়েকে নিয়ে টিনশেডের একটি ঘরে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে অসাবধনতাবশত কুপি বাতির আগুন থেকে ঘরের পাটকাঠির বেড়ায় আগুন ধরে যায়। স্থানীয়রা গিয়ে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। আগুন নেভাতে গিয়ে সজল নামের স্থানীয় এক যুবক আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। তার আগেই আগুনে পুড়ে শাহানাজ বেগমের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, দগ্ধ শিশু মাইশাসহ দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মাইশা ও তার নানী ইয়াতুল বেগমকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মাইশার মৃত্যু হয়। উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া সজল নামে এক যুবক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
লালপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ছাব্বির আহমেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় শাহানাজ ও তার মেয়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান।’
আরও পড়ুন:ভিসা নীতি প্রয়োগ করা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ব্যাপার মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার নেই তার।
মন্ত্রী বুধবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আমাদের বিচলিত হবার কিছু নেই। এ নিয়ে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন নয়। বর্তমান সময় ও নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনা করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আগে যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে পরিস্থিতি। বিষয়টি নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে।
‘যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি প্রণয়ন করেছেন, যা তাদের ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে কাকে যেতে দেবে, কাকে যেতে দেবে না, এটি তাদের বিষয়। এ ব্যাপারে আমাদের মন্তব্য নেই এবং বলারও কিছু নেই।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘ভিসা নীতি তারা ডিক্লেয়ার করেছে বলে আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে তো চিঠির মাধ্যমে তারা জানায়নি। কাজেই আমরা যেটা শুনেছি সেটাই জানি। এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলো আমরা জানি না।
‘তারা যে লিস্টটা দিয়েছে, তার ভিত্তি কী, সেটিও আমি জানি না। যেহেতু কিছুই জানি না, আমি মনে করি, এ সম্বন্ধে মন্তব্য করার কোনো এখতিয়ার আমার নেই।’
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে’ নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কার্যালয় প্রকাশিত বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি।
‘এই নীতির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত।’
যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ব্লিঙ্কেন।
শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধনের সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমজদার, সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার, আনোয়ার হোসেন হেলাল, ছলিম উদ্দিন তরফদার, জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা পুলিশের আয়োজনে শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। সেখানে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য