× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Will Rangpur city go under water again?
google_news print-icon

রংপুর শহর কি আবার পানির নিচে চলে যাবে?

রংপুর-শহর-কি-আবার-পানির-নিচে-চলে-যাবে?
রংপুরে ২০২০ সালের সেই বৃষ্টিতে ২০৩ বর্গকিলোমিটারের নগরী চলে যায় পানির নিচে। ছবি: নিউজবাংলা
২০২০ সালে বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার স্মৃতি তুলে ধরে রংপুর নগরীর পূর্ব শালবন এলাকার বাসিন্দা হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘কী শুনবেন বাহে, হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠে পা নামাতেই পায়ে পানি লাগে। প্রথম চমকে উঠি। তারপর লাইট জ্বেলে দেখি ঘরোত পানি। এটা অবিশ্বাস্য। পুরো এলাকা পানিতে থইথই। ১৯৮৮ সালে একবার বন্যা হইছে, কিন্তু এত পানি হয় নাই শহরে। আমরা আর ওই রকম বন্যা দেখতে চাই না। সময় আছে ড্রেন দিয়ে পানি নামার ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে সিলেটের মতন অবস্থা হবে আমাদেরও।’

২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১ ঘণ্টায় রংপুরে বৃষ্টি হয় ৪৩৩ মিলিমিটার। এই বৃষ্টিতে ২০৩ বর্গকিলোমিটারের এই নগরী চলে যায় পানির নিচে। পাড়া-মহল্লা ছাড়াও মূল সড়কে এক বুক পানি হয়েছিল। কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এক সপ্তাহ সেই ধকল সামলাতে হয় নগরবাসীকে। কিন্তু ক্ষত থেকে যায় বহুদিন।

এরপর জোর দাবি ওঠে নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লার ড্রেন নির্মাণ, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এবং নগরী থেকে পানি নেমে যাওয়ার শ্যামাসুন্দরী খালকে দখলমুক্ত করে তা খনন করা।

সম্প্রতি সিলেটে বন্যার পর ২০২০ সালের রংপুরের সেই বন্যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় নগরীতে। নগরবাসী সেই দিনের ১১ ঘণ্টার বৃষ্টি বন্যার সঙ্গে সিলেটের বন্যার আলোচনা করে তার সমাধান এখনই খুঁজে বের করার দাবিও তুলেছেন।

রংপুর শহর কি আবার পানির নিচে চলে যাবে?

রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নগরীতে ৪৬ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ এবং দুটি ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

৬২ কোটি ৬ লাখ টাকায় ৬৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের জুনে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে না। এ জন্য আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

এরই মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার দাবি করছেন কর্মকর্তারা। তবে ৮০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এলাকা পরিদর্শনে।

নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় (পুরোনো ১৫টি ওয়ার্ড) ড্রেন নির্মাণ হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে বর্ধিত এলাকাতেও। কিন্তু প্রায় প্রতিটি ড্রেনের মুখ বন্ধ। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উপায় নেই। এমনকি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পানি নামার পথও প্রায় বন্ধ।

অনেক ড্রেন এখনও হস্তান্তর করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান । কোনো কোনো ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। এ কারণে ভারি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হবে নগরীতে।

নগরীতে যে পানি জমে তা ড্রেনের মাধ্যমে নিষ্কাশন হয়ে যায় শ্যামাসুন্দরী খালে। সেখান থেকে যায় ঘাঘট নদীতে। কিন্তু সেই শ্যামাসুন্দরী খালটিও পুরো দখলমুক্ত হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ভরাট হয়েছে খালটি। খালটির কোথাও কোথাও ময়লা-আবর্জনার ভাগারে পরিণত হয়েছে। ফলে সেই বৃষ্টি হলে ফের দুর্ভোগে পড়ার আশঙ্কা করছেন নগরবাসী।

নগর ভবনের প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছেন, শ্যামাসুন্দরী খালের কিছু অংশ পরিষ্কার করা হয়েছে । তবে খনন করা হয়নি। খননের জন্য প্রকল্প হাতে নিয়ে প্রাথমিক কাজ চলছে।

মাহিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বলেন, হয়তো ওই রকম (২০২০ সালের) জলাবদ্ধতা নগরীতে হবে না। কিন্তু ড্রেনগুলোর যে অবস্থা তাতে হতেও তো পারে। তিনি বলেন, ‘ড্রেন ঠিক থাকলে পানি সঙ্গে সঙ্গে নেমে গেলে জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা কম। দিনে দিনে পানি নেমে যেতে পারবে।’

রংপুর শহর কি আবার পানির নিচে চলে যাবে?

নগর মীরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওয়াজেদুর রহমান রাজু বলেন, ‘আমরা সিটির ৩৩ নম্বর এলাকার বাসিন্দা। সিটির বাসিন্দা হলেও গ্রামের গন্ধ এখনো যায়নি। বৃষ্টি হলে তো জলাবদ্ধতা হবে।’

তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট খালগুলোর মুখ বন্ধ করে আবাদি জমি করা হয়েছে। এক সময় যে ছোট ছোট খালগুলো দিয়ে পানি নেমে যেত, এখন তো সেগুলো নিশ্চিহ্ন, আবাদি জমি। সুতরাং পানি নেমে যাওয়ার উপায় নাই। এই খালগুলো উদ্ধার করে সংস্কার করতে হবে, খনন করতে হবে। তাহলে পানি নিষ্কাশন হবে। বৃষ্টি হলেও পানি জমবে না।’

রংপুর শহর কি আবার পানির নিচে চলে যাবে?

ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা সেকেন্দার রহমান বলেন, ‘খালি ড্রেন বানালে তো হবে না। ড্রেনের পানি কোথায় পড়বে সেটাও তো দেখতে হবে। ড্রেনের পানি যেখানে পড়বে সেখানে তো ধানি জমি। তাহলে পানি নিষ্কাশন হবে না। জমিতেই আটকে থাকবে পানি।’

রংপুর নগরীর পূর্ব শালবন এলাকার বাসিন্দা হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বয়স ৭০ হবে। এই বয়সে ওই বন্যার মতো (২০২০ সালের জলাবদ্ধতা) আমি শহরে দেখি নাই। প্রায় আমরা ওই গল্পটা করি।’

সে সময়ের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কী শুনবেন বাহে, হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠে পা নামাতেই পায়ে পানি লাগে। প্রথম চমকি উঠি। তারপর লাইট জ্বেলে দেখি ঘরোত পানি। এটা অবিশ্বাস্য।

‘পুরো এলাকা পানিতে থইথই। ১৯৮৮ সালে একবার বন্যা হইছে, কিন্তু এত পানি হয় নাই শহরে। আমরা আর ওই রকম বন্যা দেখতে চাই না। সময় আছে, ড্রেন দিয়ে পানি নামার ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে সিলেটের মতো অবস্থা হবে আমাদেরও।’

সেই দিনের কথা স্মরণ করে নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার বাসিন্দা সেলিম মিয়া জানান, ‘গভীর রাতে ঘরে ঘরে পানি প্রবেশ করায় বেশির ভাগ বাড়ির ঘরের মধ্যে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র টিভি ফ্রিজসহ অন্যান্য সামগ্রী পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাসার ভেতরে এক কোমর পানি, ঘরের মধ্যেও কোমর পর্যন্ত পানি। এমন অবস্থায় মালামাল নিয়ে অন্যত্র যাওয়াও সম্ভব হয় নাই। ফলে খাটের ওপর স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটছে তাদের।’

রংপুর শহর কি আবার পানির নিচে চলে যাবে?

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, মধ্য জুনের আগেই রংপুরে ব্যাপক বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আজম আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের যে প্রকল্প সেই প্রকল্পের কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে সে জন্য আরও এক বছর সময় চাইব আমরা।’

রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘নগরজুড়ে ব্যাপক কাজ করা হয়েছে। এর আগে এমন উন্নয়নকাজ কখনও হয়নি। ড্রেন, কালভার্ট ও সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। কিছু কাজ বাকি আছে, সেগুলোও চলছে, কাজ থেমে নেই।’

মেয়র বলেন, ‘ড্রেনগুলোও সংস্কার করা হচ্ছে। তবে আমি বলব, এসব ড্রেন পরিষ্কার রাখতে নগরবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে। তারা যেন যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে, ড্রেনের মুখ বন্ধ না করে। ড্রেনের মুখ বন্ধ না থাকলে পানি মহূর্তেই নেমে যাবে, জলাবদ্ধতা হবে না।’

আরও পড়ুন:
ড্রেনে নিখোঁজের ৬ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার
ড্রেন দরকার ৫৫ কিলোমিটার, আছে ৩ কিলোমিটার
বিপর্যস্ত ড্রেনেজব্যবস্থায় বিপাকে ঝিনাইগাতীবাসী
পানির প্রবাহের মধ্যেই ড্রেনে ঢালাই, স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা
অপরিকল্পিত ড্রেনে বন্ধ খালের পানি প্রবাহ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Shaheed Zia Memorial Football Tournament opens

শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন

শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু হয়েছে । উক্ত খেলা উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য , জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবির ।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪ টায় শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয় ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: লোকমান হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রহমত আলী লাভলু, সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ,জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ফেরদৌস রহমান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: হোসেন আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো: শহিদুল ইসলাম ।

এছাড়া উপস্থিত ঘিওর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো: রাজা মিয়া মেম্বার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসিফ ইকবাল রনি, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামিনুল ইসলাম মমিন, জেলা যুবদলের সদস্য মোসলেম উদ্দিন,জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব খান অয়ন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জিহাদ প্রমূখ । সভাপতিত্ব করেন,মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মহিদুর রহমান কাজল ।

প্রধান অতিথি এসএ জিন্নাহ কবির বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এদেশে প্রথম ফুটবল খেলাকে আন্তর্জার্তিক পর্যায়ে নিয়ে যান। তাদের চেষ্টায় সার্ফ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করার সম্ভব হয়। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে যুব সমাজকে খেলার মাঠে আনতে হবে । মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার বিকল্প নাই ।

স্থানীয় মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাব আয়োজিত টুর্ণামেন্টে নক-আউট পদ্ধতিতে আটটি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় টাইব্রেকারে মানিকগঞ্জ কৈট্রা ফিউচার ফুটবল একাডেমী ৫-৪ গোলে পাবনার নবযুগ মিলন সমিতিকে হারায়। রেফারি ছিলেন আবুল কালাম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Another wild elephant died in Sherpur

শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির

শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির

শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী সীমান্তের বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও একটি একটি বন্যহাতি নিহত হয়েছে। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।

খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।

মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতিটির শুড়ে পোড়া ক্ষতের দাগ রয়েছে। এটির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হবে। এটি একটি মাদি হাতি। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে ফসল না থাকায় হাতির দল বাড়িঘরেও হানা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যেখানে বন্যহাতির দেহটি পড়ে ছিল, সেখানে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না থাকলেও হাতিপাগাড় ক্যাম্পের আশপাশে অনেক বসতি ও বাড়িঘর রয়েছে।

এ নিয়ে চার মাসের কম সময়ের ব্যবধানে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকায় তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করল বনবিভাগ।

এর আগে গত ২০ মার্চ পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগড় এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর গত ২৯ মে দাওধারা পাহাড় থেকে সদ্যোজাত একটি হাতিশাবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘন ঘন হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।

নিধারঞ্জন কোচ নামে এক অধিকারকর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে শনিবার নিহত হাতির মরদেহের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আবারো বন্যহাতির মৃত্যু। এর শেষ কোথায়? হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিসনে সরকারি উদ্যোগ কী? ক্ষতিপূরণ প্রদানই কি যথেষ্ট? হাতি-মানুষের সহাবস্থানের পথ খুঁজতে খুঁজতে এশিয়ান হাতি নাই হয়ে যাবে!’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two bus collision helpers killed in Sylhet

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, হেলপার নিহত

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, হেলপার নিহত

সিলেটের ওসমানীনগরে এনা ও ইউনিক পরিবহনের দুটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুরুয়া বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাজু মিয়ার (২৬) বাড়ি ফরিদপুর জেলার তারাকান্দা থানায়। তিনি ইউনিক বাসের হেলপার ছিলেন।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউনিকের হেলপার রাজু মিয়ার নিহত হন। বেপরোয়া গতিতে ভুল পাশ থেকে এসে এনা পরিবহনের ওই কোচটি এ দুর্ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিস, ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ এসে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

দুর্ঘটনার পর কুরুয়া বাজারের দুই পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে যানজট নিরসন করে পুলিশ।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, দুই গাড়ির সংঘর্ষ হলে বিকট শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাতে যোগ দেন।

তিনি আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ রাজুর লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বাস দুটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Black Hanuman leaving the area in search of food

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

p
উপরে