× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Mohammad Alis hand to stop C truck in Hatia?
google_news print-icon

হাতিয়ায় সি-ট্রাক বন্ধে মোহাম্মদ আলীর হাত?

হাতিয়ায়-সি-ট্রাক-বন্ধে-মোহাম্মদ-আলীর-হাত?
হাতিয়া থেকে জলপথে প্রায় সাত লাখ মানুষের চলাচল দুই বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। ছবি: নিউজবাংলা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাতিয়ার সাবেক এক ইউপি সদস্য বলেন, 'হাতিয়ার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়। এখানে এমপির স্বামী মোহাম্মদ আলীর একচেটিয়া দাপট। উনি যা বলেন তাই হয়।'

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে জলপথে প্রায় সাত লাখ মানুষের চলাচল দুই বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। নিরাপদে চলাচলের জন্য দুটি সি-ট্রাক থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ দেখিয়ে সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে দুই বছর ধরে। এই সুযোগে সাবেক এক সংসদ সদস্যের মাছ ধরার নৌকা ও স্পিডবোটে বাড়তি ভাড়ায় নদী পারাপারে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এমনকি সরকারি সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি ও স্থানীয় প্রশাসনও একই সুরে কথা বললেও সব অভিযোগ অবশ্য বেমালুম অস্বীকার করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী।

হাতিয়ায় সি-ট্রাক বন্ধে মোহাম্মদ আলীর হাত?

মোহাম্মদ আলী নৌকা না পেয়ে হাতিয়া থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০০১ সালে। ২০০৮ সালে তাকে নৌকা দেয়া হলেও খেলাপি ঋণের কারণে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। পরের দুই বার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌসকে।

নোয়াখালী-হাতিয়ার মধ্যে চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা রুটের সি-ট্রাক শেখ ফজলুল হক মণি আর শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামের সি-ট্রাকটি চেয়ারম্যান ঘাট- চরচেঙ্গা-তমরুদ্দি রুটে চলত। দুই বছর ধরে সেগুলো বন্ধ রয়েছে।

ইজারাদারের ভাষ্য, মেরামত করা হলেও আবার নষ্ট হয়ে পড়ে। তাই সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সি-ট্রাক বিকল থাকার সুযোগে মোহাম্মদ আলীর ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার ট্রলার ও স্পিডবোটে সি-ট্রাকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে নদী পার হতে হয়।

কী বলছেন যাত্রীরা

যাত্রীদের অভিযোগ, সি-ট্রাকটি ইচ্ছা করে মেরামত না করে তাদের বেশি টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিতে নিরাপদ যাতায়াতে নৌপথে সি-ট্রাক চালুর দাবি তুলেছে হাতিয়ার বিভিন্ন সংগঠন।

হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইফুল্লাহ মনির বলেন, ‘উনার (মোহাম্মদ আলী) প্রয়োজন হলে সি-ট্রাক ভালো হয়ে যায়, আর মানুষের প্রয়োজন হলে বন্ধ হয়ে যায়। সি-ট্রাকের জনপ্রতি ভাড়া ১০০ টাকা হলেও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে ২০০ টাকা ও স্পিডবোটে চার থেকে পাঁচ শ টাকা দিতে হয়।’

চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী চর ঈশ্বরের বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘সি-ট্রাকের ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ব্যাবসায়িক পার্টনার। তিনিই ঘাট নিয়ন্ত্রণ করেন। গত দুই বছরে কোনো ঈদে সি-ট্রাক চলাচল করে নাই। তারা সি-ট্রাক বন্ধ রেখে তাদের মাছ ধরার বোটে দুই শ ও স্পিডবোটে পাঁচ শ টাকায় মেঘনা নদী পাড়ি দিতে বাধ্য করেন। অথচ সি-ট্রাকে অনেক কম ভাড়ায় নিরাপদে পার হওয়া যায়।’

হাতিয়ায় সি-ট্রাক বন্ধে মোহাম্মদ আলীর হাত?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাতিয়ার সাবেক এক ইউপি সদস্য বলেন, 'হাতিয়ার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়। এখানে এমপির স্বামী মোহাম্মদ আলীর একচেটিয়া দাপট। উনি যা বলেন তাই হয়।'

মাহমুদুল হাসান ফরহাদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, 'আমরা নিরাপদ নৌ পারাপারের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করে সরকারের কাছে দাবি তুলে ধরেছি।'

আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, ‘ইজারাদার কাজল তার (মোহাম্মদ আলী) লোক হওয়ায় বিভিন্ন বাহানায় সি-ট্রাক বন্ধ রেখে ট্রলার ও কয়েকটি স্পিডবোটে গাদাগাদি করে নদী পারাপারে বাধ্য করে। তারা বিআইডব্লিউটিসিতে তদবির করে পুরনো সি-ট্রাকটি বন্ধ রেখে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে নতুন সি-ট্রাক যেন চলতে না পারে তার পাঁয়তারা করছে।’

ইজারাদারের ভাষ্য

ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল বলেন, ‘সি-ট্রাকটির বয়স হয়েছে ১৫ বছর। এটার ইঞ্জিন প্রায়ই নষ্ট হয়। তাই ঠিক করতে সময় লাগে। আগামী ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে চালু হবে। নতুন সি-ট্রাকটি ভাসানচরের জন্য ঠিক করা হয়েছে। হাতিয়া রুট চার্টার আমাকে দেয়া আছে এটি এখানে কীভাবে চালাবে? আমি তো রুট ভাড়া দেই।’

সব অভিযোগের অস্বীকার মোহাম্মদ আলীর

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমার কোনো ট্রলার ও স্পিডবোট নাই, আমার কোনো ইজারা নাই, ঘাটের সঙ্গে আমার বা আমার পরিবারের কোনো সম্পৃক্ততা নাই।

‘আমাদের ভিন্ন ব্যবসা আছে। আমাদের মাছের ব্যবসা আছে, মাছের ট্রলার আছে, নৌকা আছে, কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা আছে। এটা দিয়ে কোনোভাবে আমরা চলি।’

সি-ট্রাক কেন চলছে না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সি-ট্রাকের তলা ছিদ্র হয়ে গেছে। মেশিনগুলো পুরোনো। গত ২৫ বছর সরকারের কোনো নতুন সি-ট্রাক নাই। সি-ট্রাক যদি চলত, তাহলে প্যাসেঞ্জার আরও ডবল হতো। মানুষ জানে সি-ট্রাক নাই, তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে চলে আসে। সি-ট্রাক চললে বরং ইজারাদার আরও বেশি টাকা পেত।’

কী বলছেন সংসদ সদস্য

মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস সি-ট্রাকসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘অনেকেই অনেক মন্তব্য করছেন। ব্যাপারটা আসলে সেটা নয়। যিনি এটার ইজারা নিয়েছেন তিনি নিজের খরচে ঠিক করতেছেন। আমি ও আমার স্বামী মোহাম্মদ আলী সাহেব বারবার তাগাদা দিচ্ছি।

‘সি-ট্রাক এখনো ডকে আছে। এক সপ্তাহ পরে আবার চলবে। শুধু ইজারাদার কেন, হাতিয়া ছোট একটি দ্বীপ, সবাই তো আমাদের লোক।’

সি-ট্রাক বন্ধের সুবিধাভোগী তো আপনারা- এই প্রশ্নে আয়েশা বলেন, ‘শুধু আমাদের না, ট্রলার স্পিডবোট সবার আছে। যেহেতু আমি এখানকার প্রতিনিধি, তাই একটা পক্ষ আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

‘অনেকেই না জেনে বাহির থেকে কথা বলে। আমাদের ইশিতা-১. ২. ৩ নামের তিনটি ফিশিং ট্রলার আছে, কোনো যাত্রীবাহী ট্রলার নেই। সি-ট্রাক বন্ধ থাকলে মানুষ নদী পার হতে হলে ট্রলার বা স্পিডবোট ছাড়াতো উপায় নাই।’

প্রশাসনের বক্তব্যে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রমাণ

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান যা বলেছেন, তাতে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা উঠে আসে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শেখ ফজলুল হক মনি নামে সি-ট্রাকটি হাতিয়ার এমপি সাহেবের লোকজন ভাড়া নিয়েছেন। যেটা প্রবলেম, সেটা সাংবাদিক হিসেবে আপনারা ভালো জানেন। ওই জাহাজটার রিপেয়ারসহ সব দায়িত্ব ওনাদের দেয়া আছে। তারা এত দিন ধরে বলতেছে, জাহাজ নষ্ট রিপেয়ার করবে, কিন্তু করে নাই।

‘এখন আমরা যখন প্রেশার দিয়েছি, তারা রিপেয়ার শুরু করেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপেয়ার শেষে সি-ট্রাকটি চলাচল শুরু হবে আশা করি।’

নতুন সি-ট্রাক চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভাষাসৈনিক জব্বার নামের নতুন সি-ট্রাক বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপনায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে। কিছু লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। তা দুয়েক দিনের মধ্যে শেষ করা হবে। কোনো অজুহাত দেখিয়ে যেন সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে না পারে, সে জন্যই সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলবে।’

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে গত সপ্তাহে ঘাটের ইজারাদারসহ একটি সভা হয়েছে। ভাসানচর ও হাতিয়ায় চলাচলের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আমি চট্টগ্রামে বিআইডব্লিউটিসিতে কথা বলেছি। জনবলসহ অতিদ্রুত সি-ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ  

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Corruption at Nuclear Power Center Palaya Limited is banned from departure from 5 people

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রচ্ছায়া লিমিটেডের আট পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দেশ ত্যাগে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তারা হচ্ছেন: প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বুশরা সিদ্দিক, শেহতাজ মুন্নাসী খান, শহিদ উদ্দিন খান, শাহিন সিদ্দিক, শফিক আহমেদ শফিক, পারিজা পাইনাজ খান, নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা আনজুম।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ যাতে সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মন্তব্য

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শেখ তন্ময়। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন, তার ভাই শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former DB chief Aarons flat and plot seizure order

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ

সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে রাজধানীর উত্তরায় থাকা একটি ফ্ল্যাট ও মোট ১৮ কাঠার তিনটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, হারুনের নামে থাকা পৃথক তিনটি প্লট রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। এছাড়াও জব্দের আদেশ দেয়া ১৫৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটিও উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

এদিন হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।

অনুসন্ধান চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি এসব সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাবে থাকা ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।

পাশাপাশি এদিনই তার ভাই এবিএম শাহরিয়ারের ৩০ বিঘা জমি জব্দ, ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।

মন্তব্য

পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৬
পারভেজ হত্যার এজহারনামীয় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাদের গাইবান্ধা ও চট্টগ্রাম থেকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩ এবং ৩ নম্বর আসামি মাহাথির হাসানকে (২০) চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।

বিকেলে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারওয়ার মাহাথির হাসানের গ্রেপ্তারের বিষয়িটি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে জনা যায়, পাভেজ হত্যা মামলার এজহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলাম গাইবান্ধায় অবস্থান করছে। পরে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুর গ্রামে অভিযান চলানো হয়। অভিযানে এরশাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বনানী থানার ওসি মো. রাসেল সারওয়ার দৈনিক বাংলাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যে পারভেজ হত্যা মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি মাহাথির হাসানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানায় আনা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে পারভেজ হত্যা মামলায় তিন আসামিকে রাজধানীর মহাখালী ও আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন- আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গত সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামে মামলার এজহারনামীয় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ১ ও র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের যৌথ দল। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সব মিলিয়ে পারভেজ হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি দোকানে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। একই সময় পারভেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীর অভিযোগ পারভেজ তাদের দেখে হাসছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পিয়াসের বান্ধবী। পরে বান্ধবীরা মুঠোফোনে খবর দিলে পিয়াস ও তার দুই বন্ধু মেহরাজ ও মাহথির এসে পারভেজের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর পারভেজকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন রোববার তার ভাই হুমায়ুন কবির প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested across the country in a special police operation

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯০৬ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৭০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি একনালা বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ২ রাউন্ড অকেজো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩১ জনকে। তার মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৩ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৫৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death Reference and Appeal Hearing Major Sinha Kill Tomorrow

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামীকাল

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি আগামীকাল।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় মামলাটি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মূলতবি/নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি আলোচিত এই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য এই হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The news of the burning of the Sagar Rooney murder case is not correct

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পড়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে, সঠিক নয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে নতুন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাবার তথ্যটি সঠিক নয়।’

‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, যা সঠিক না,’ যোগ করেন তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতে আগুনে এসব নথি পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ।’

‘এ জন্য রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময় চাইলে বাদীপক্ষ তিন মাস সময়ের কথা বলেন। পরবর্তীতে আদালত ছয়মাস সময় দেন,’ যোগ করেন তিনি।

এরআগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরসাদুর রউফ বলেন, ‘আমি এমন কোনো কথা কখনোই বলিনি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়েনি। আমি বলেছি, এটা পুরনো মামলা।’

মন্তব্য

p
উপরে