ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে গত মঙ্গলবার ছাত্রদল- ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন ছাত্রলীগের এক নেতা।
শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ মামলাটি করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মওদুদ হাওলাদার বলেন, ‘ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের ১৭ নেতার নাম উল্লেখ ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত আসামির নামে মামলার আবেদন করেন। আমরা এটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছি। শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক আল আমিনকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
মামলায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, ঢাবি ছাত্রদলের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ আমানসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেদিন আমরা মধুর ক্যানটিন থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে শহীদুল্লাহ হলে ফেরার পথে দোয়েল চত্বরে কার্জন হলের সামনে পৌঁছামাত্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করতে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় শহিদুল্লাহ হলের ৮ শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদেরকে সেদিন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে তারা নিজ হলে বিশ্রামে আছেন। আহতদের হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র এবং এক্সরে রিপোর্টসহ যাবতীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে আমাদের মামলা করতে দেরি হয়েছে।’
মঙ্গলবার ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে দুটি ছাত্র সংগঠেনর নেতাকর্মীদের মধ্যে। এতে দুই পক্ষ থেকেই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।
চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম বুধবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মনোরঞ্জন দাশ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও আসছে...
রাজধানীর উত্তরায় বক্স গার্ডার দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের জন্য এক কোটি করে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খান বুধবার জনস্বার্থে রিটটি করেন।
রিটকারী আইনজীবী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উত্তরায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যেকের জন্য ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশনা চেয়েছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজের শুরু থেকে কতটা নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারা দেশে যেখানে এ ধরনের নির্মাণকাজ হচ্ছে, তাতে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, সেটি জানাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।’
রিটে সড়ক ও জনপথ সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। আদালত শুনানির জন্য দুপুর ২টায় সময় ঠিক করে দেয়।
গত সোমবার বিকেলে উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের বক্স গার্ডার ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন।
গাড়িটি থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ছয় বছর বয়সী শিশু জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়ার।
জামালপুরে মঙ্গলবার রাতে নিহত চারজনের দাফন হয়েছে। আর বুধবার সকালে মেহেরপুর সদরের রাজনগর গ্রামে দাফন হয় রুবেলের।
ওই ঘটনায় গত সোমবার রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরনা বেগমের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
মামলায় ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে প্রক্সি দিতে এসে আটক মো. আকতারুল ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন।
অভিযুক্ত আকতারুল বলেন, ‘আমি ছোট ভাইকে পরীক্ষা দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসি। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আসতে দেরি হওয়ায় ছোট ভাইকে গেট থেকে নিয়ে যায় প্রক্টর অফিস। তারপর তারা মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়।’
তবে মামলা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন মামলাটি করেছেন। পরীক্ষা দেয়ার পর আপনাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নেয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসময় বিষয়টি স্বীকার করেন আসামির আইনজীবী ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মন্টু।
তবে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত নেই, তাই রিমান্ড নেয়ার প্রয়োজন নেই।’ পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আসামি বড় চক্রের সদস্য। তাকে রিমান্ডে নিলে বাকি আসামিদের ধরা সহজ হত। তবে আমাদের তদন্ত চলবে। প্রয়োজনে আবার রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেন তিনি।’
এর আগে রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদার আদালতে আসামীকে হাজির করা হয়। এরপর মামলার রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম। একইসঙ্গে এ রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এর আগে শনিবার ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক রইছ উদদীন বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন প্রক্সি দিতে আসা শিক্ষার্থী মো. আকতারুল ইসলাম, মূল শিক্ষার্থী সিজান মাহফুজ ও মূল হোতা মো. রাব্বি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের একটি কক্ষের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করছিলেন।
এসময় সিজান মাহমুজ নামের এক শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও সংযুক্ত ছবির সঙ্গে তার চেহারার মিল না থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। পরে আকতারুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নেয়া হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক শিক্ষার্থী জানায়, পলাতক আসামি সিজান মাহফুজ ও মূলহোতা রাব্বির পরামর্শ, প্ররোচনায় ও সহযোগীতায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে তিনি স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (ম্যানিজিং) কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ করার বিধান অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এর ফলে কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য কোনো সুপারিশ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয় বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০০৮ ও ২০১৯ সালের দুটি প্রজ্ঞাপন রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে- প্রাথমিক স্কুল পরিচালনা কমিটিতে দুজন বিদ্ব্যৎসাহী (নারী ও পুরুষ) সদস্য থাকবেন, যাদের নাম প্রস্তাব করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘সাধারণত একজন সংসদ সদস্য যখন কারও নাম প্রস্তাব করেন তখন তাকেই সভাপতি করা হয়। তাহলে নির্বাচনের তো আর প্রয়োজন হয় না। এ কারণে ওই প্রজ্ঞাপনের ২(২) ধারা চ্যালেঞ্জ করে শহীদুল্লাহ নামে একজন অভিভাবক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিলেন।
‘আজ রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রুলটিকে যথাযথ ঘোষণা করে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদালত বলেছেন, প্রাথমিক স্কুল পরিচালনা কমিটিতে কারা থাকবেন সে ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরামর্শ বা কারও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন না।’
এর আগে ভিকারুনিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে আদালত যে আদেশ দিয়েছিল অনুরূপ আদেশ হয়েছে বলে জানান রিটকারীর পক্ষের এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন:শোক দিবসে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে কর্মীদের পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় জেলা পুলিশের আরও ৫ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিউজবাংলাকে।
তিনি জানান, বরগুনা সদর থানার এএসআই মো. সাগর, পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. রবিউল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল কেএম সানিকে প্রত্যাহার করে ভোলা জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর ডিবি পুলিশের এএসআই মো. ইসমাইল এবং ডিবি পুলিশের কনস্টেবল রুহুল আমিনকে প্রত্যাহার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদি হাচান। একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া দেননি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমানের (প্রশাসন ও অর্থ)।
এর আগে দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রত্যাহার করে প্রথমে বরিশাল রেঞ্চে এবং পরে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
বরগুনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের সামনে সোমবার দুপুরে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেটায় পুলিশ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শিল্পকলায় প্রবেশের সময় হামলাকারীরা ছাদ থেকে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ কারণে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
এ সময় সেখানে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিত ছিলেন।
বলেন, ‘পুলিশ বলেছিল, গাড়ি ভাঙচুরকারীকে তারা চিনতে পেরেছে। আমি বলেছি, যে ভাঙচুর করেছে, তাকে দেখিয়ে দিন। আমি তাকে আপনাদের হাতে সোপর্দ করব। আসলে তাদের (পুলিশের) উদ্দেশ্যই ছিল ছাত্রলীগের ছেলেদের মারবে। আমি তাদের মার ফেরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেখানে এত পুলিশ আসছে যে কমান্ড শোনার মতো কেউ ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা মহররম ছিলেন সেখানে। তিনি অনেক ভুল করেছেন।
‘যেখানে আমি উপস্থিত, সেখানে তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। আমি তাকে মারপিট করতে নিষেধ করেছিলাম। তারা (পুলিশরা) আমার কথা শোনেননি।’
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কে এম এহসান উল্লাহ জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত পুলিশের ভূমিকার বিষয়টি তদন্তে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে সোমবার রাতে কমিটি গঠন করা হয়।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ১৪ নম্বর ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। এ সময় রুবেল নামে আরেকজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই মো. সুমন বলেন, ‘আমার ভাই যাত্রাবাড়ীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ১৪ নম্বর ইউনিটের সভাপতি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহীদ ফারুক সড়কে বনফুল মিষ্টির দোকানের সামনে ভাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ৫/৭ জন দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ফেলে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরির আঘাতে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মো. সুমন বলেন, ‘এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ফাহিম ও সাইফুলসহ কয়েকজন এই হামলা চালিয়েছে। ফুটপাতে চাঁদাবাজিতে বাধা দেয়ায় ওরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে।’
আবু বক্কর সিদ্দিক রাজনীতির পাশাপাশি কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। তিনি দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর টানপাড়া এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন। তিনি তিন মেয়ের জনক। স্ত্রীর নাম সাবিনা আক্তার। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায়। বাবার নাম আলী আহাম্মদ। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রুবেল নামে আরেকজন আহত হয়েছেন। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানাকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্য।
মঙ্গলবার বিকেলে দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের কাছে এসব নথি হস্তাস্তর করেন ড. ইউনূসের প্রতিনিধি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। ২৮ জুলাই গ্রামীণ টেলিকম পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
দূদক সূত্র জানায়, অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফি’র নামে ৬ শতাংশ অর্থ কেটে নেয়া, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ সংবলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
একইসঙ্গে চলতি মাসের শুরুতে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের সব ব্যাংক হিসাব তলব করে দুদক। শুধু তাই নয়, কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকে লেনদেনের সব তথ্যও চাওয়া হয়।
চিঠিতে গ্রামীণফোন কোম্পানিতে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শেয়ার ও এর বিপরীতে ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি কত টাকা লভ্যাংশ পেয়েছে এবং তা কোন কোন খাতে ও কীভাবে ব্যয় করেছে, তার বছরভিত্তিক তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য