× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
When the two leaders of Chhatra League are the defenders of Chhatra Dal
google_news print-icon

ছাত্রদলের তিনজনের রক্ষাকর্তা যখন ছাত্রলীগের দুই নেতা

ছাত্রদলের-তিনজনের-রক্ষাকর্তা-যখন-ছাত্রলীগের-দুই-নেতা
পিটুনির শিকার ছাত্রদল নেত্রী তন্বিকে বাঁচাতে নিজ সংগঠনের কর্মীকে লাঠিপেটা করছেন ছাত্রলীগের রাহিম সরকার। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে নেয়া
দুই ছাত্রদল নেতার প্রাণ বাঁচানো ছাত্রলীগ নেতা রাকিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আক্রান্ত ব্যক্তিকে যেকোনো লোকের সাহায্য করা উচিত, সে যেই হোক। সে জন্যই আমি এটি করেছি, যেন বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।’ ছাত্রদল নেত্রী তন্বিকে বাঁচানো ছাত্রলীগ নেতা রাহিম সরকার বলেন, ‘সে ছাত্রদল বা ছাত্রলীগ করুক অথবা রাজনীতি নাই করুক, এই পরিস্থিতিতে কোনো মেয়েকে হেল্প করা আমি আমার দায়িত্ব বলে মনে করি।’

গত মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটির দুজন নেতা বিরোধী ছাত্র সংগঠনের তিনজনকে আরও পিটুনির হাত থেকে রক্ষা করেছেন।

ছাত্রদলের এই তিন নেতার মধ্যে দুজন পুরুষ এবং একজন নারী। এর মধ্যে দুটি ঘটনা ঘটেছে হাইকোর্ট চত্বরে, একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।

ছাত্রলীগের কর্মীরা যখন তাদের ফেলে পেটাচ্ছিল, তখন নিজ দলের কর্মীদের কেবল নিবৃত্তই করেননি সেই ছাত্রলীগ নেতারা, একটি ঘটনায় নিজ দলের কর্মীকে পিটুনিও দিয়েছেন। অন্য দুটি ঘটনায় পিটুনির শিকার দুই ছাত্রদল নেতাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ছাত্রলীগের আরেক নেতা।

দুই নেতা বলেছেন, অসহায় অবস্থায় পড়া যে কাউকে রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব তারা পালন করতে পেরে তৃপ্ত।

ছাত্রলীগের দুই নেতার ভূমিকা নিয়ে ছাত্রদলের কোনো বক্তব্য নেই বলে জানিয়েছেন সরকারবিরোধী ছাত্র সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পুরো পৈশাচিক হামলার মধ্যে ছোট এই একটা ঘটনা ঘটেছে, এটা তো কোনো বিষয় না। এটাকে হাইলাইট করা হচ্ছে দেখে আমি বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ছাত্রলীগের মধ্যে যদি নূন্যতম সহনশীলতা মানবিকতা থাকত, তাহলে তারা এই ধরনের পৈশাচিক হামলা চালাত না।’

ছাত্রদলের দুজনকে বাঁচালেন ছাত্রলীগের রাকিব

বৃহস্পতিবার, দুপুর সাড়ে ১২টা। হাইকোর্ট চত্বরের ভেতরে মাজারের সামনে স্টাম্প, বাঁশ ও পাইপ দিয়ে ছাত্রদলের এক নেতাকে পেটাচ্ছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। কয়েক মিনিট ধরে এই পেটানো চলার পর দৌড়ে আসেন ছাত্রলীগের এক নেতা।

পেটাতে থাকা কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে তিনি সেই ছাত্রদল নেতাকে মাটি থেকে তুলে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ফের মারতে উদ্যত হলে বাধা দেন এই নেতা।

ছাত্রলীগের এই নেতার নাম রাকিব হোসেন, তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। অন্যদিকে ছাত্রদলের যাকে পেটানো হয়েছে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর আজাদী।

রাকিব হোসেনের কারণে আরও মার খাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহপাঠাগার সম্পাদক ইজাবুল মল্লিকও।

ছাত্রলীগের সাত-আটজন কর্মীর উপর্যুপরি পেটানোয় গুরুতর আহত হয়ে যখন প্রায় অচেতন হয়ে পড়েছিলেন ইজাবুল, তখন রাবিক তার পাশে দাঁড়িয়ে রক্ষা করেন।

বৃহস্পতিবারের হাইকোর্ট চত্বরের বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে এই চিত্র দেখা গেছে।

ছাত্রদলের তিনজনের রক্ষাকর্তা যখন ছাত্রলীগের দুই নেতা
কর্মীদের পিটুনি থেকে রক্ষা ছাত্রদল নেতা ইজাবুল মল্লিককে হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন ছাত্রলীগের রাকিব হোসেন

সেদিন পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ করতে সকাল থেকেই হাইকোর্ট এলাকার আশপাশে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে তারা মিছিল বের করেন। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হলে ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে।

ছাত্রদল প্রথমে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদল কিছুদূর অগ্রসর হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দিলে ছাত্রদল পিছু হটে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কেউ জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। কেউবা ঢুকে পড়েন হাইকোর্ট চত্বরের ভেতর।

এর পরই মূলত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট চত্বরে ঢুকে তানভীর আজাদি এবং ইজাবুলকে পেটায়।

ছাত্রদলের তিনজনের রক্ষাকর্তা যখন ছাত্রলীগের দুই নেতা
ছাত্রলীগ কর্মীরা পেটানোর সময় ছাত্রদলের তানভীর আজাদীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান ছাত্রলীগের রাকিব হোসেন

দুজনকে পেটানোর একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব ভিডিওতে দেখা যায়, মারের হাত থেকে রক্ষা করে রাকিব হোসেন যখন তানভীরকে রিকশায় ‍তুলে দিতে গেছেন, সে সময় মাজার চত্বরের একটি খুপড়িতে লুকিয়ে থাকা ইজাবুল মল্লিককে বের করে ছাত্রলীগের একদল উত্তেজিত কর্মী।

এরপর তাকে মাটিতে ফেলে ১০-১২ জন কর্মী বাঁশ, লাঠি এবং স্টাম্প দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। মল্লিক মাথায় দুই হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঁশ-স্টাম্পের আঘাতে তার অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়।

এরপর ফের দৌড়ে আসেন রাকিব হোসেন। পেটাতে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। সে সময় রাকিবকে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপসম্পাদক মুজিবুল বাশারসহ বেশ কয়েকজন কর্মী সহযোগিতা করতে দেখা যায়।

মারধর থেকে রক্ষা পাওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ মাটিতেই পড়ে ছিলেন ইজাবুল। তিনি নড়তে পারছিলেন না। পরে রাকিব তাকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য একটা রিকশা ডেকে রিকশায় তুলে দেন।

প্রায় অচেতন হওয়ায় রিকশায় বসতে পারছিলেন না ইজাবুল। পরে স্থানীয় এক তরুণকে রিকশায় তুলে দিয়ে তার সহযোগিতায় ইজাবুলকে হাসপাতালে পাঠান ছাত্রলীগ নেতা রাকিব।

কী বলছেন রাকিব

দুই ছাত্রদল নেতার প্রাণ বাঁচানো ছাত্রলীগ নেতা রাকিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আক্রান্ত ব্যক্তিকে যেকোনো লোকের সাহায্য করা উচিত, সে যেই হোক। সে জন্যই আমি এটি করেছি, যেন বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। আর এটি না করলে হয়তো বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটত।’

ছাত্রদল নেত্রীকে রক্ষা করা ‘দায়িত্ব ছিল’ ছাত্রলীগের রাহিমের

মঙ্গলবার দুপুরে দোয়েল চত্বরের সামনে কর্মীদের মারধরের হাত থেকে ছাত্রদলের এক নেত্রীকে রক্ষা করে প্রশংসায় ভাসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার।

সেই ছাত্রদল নেত্রীর নাম তন্বি মল্লিক। তিনি সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, রাহিম সরকারই প্রথম তন্বির দিকে পাথর ছুড়ে তাকে আঘাত করেন। এরপর রাহিম সরকার দৌড়ে আরেকটু সামনে এগিয়ে যান।

রাহিমের ছোড়া পাথরের আঘাতে পড়ে গেলে ছাত্রলীগের অন্য কর্মীরা এসে তন্বিকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাকে লাথি দিতে পেটাতে থাকে ছাত্রলীগের কর্মীরা।

ছাত্রদলের তিনজনের রক্ষাকর্তা যখন ছাত্রলীগের দুই নেতা
প্রথমে ঢিল ছুড়লেও পরে ছাত্রদলের তন্বিকে উদ্ধার করেন ছাত্রলীগের রাহিম সরকার

এ সময় হেলমেট পরা এক পথচারী তন্বিকে বাঁচাতে গেলে তাকেও থাপ্পড় দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে আরেক কর্মী সেখানে তাকে মারতে গেলে রাহিম সরকার তখন প্রতিহত করেন। তিনি তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ছাত্রলীগের সেই কর্মীকেই আঘাত করেন।

এরপর সেই পথচারী তন্বিকে মাটি থেকে তুললে রাহিম সরকার তাদের টিএসসির দিকে এগিয়ে দেন।

রাহিম সরকার বলেন, ‘আমি মেয়েটিকে দৌড়ানো দিইনি। আরেকজনকে দিতে গিয়ে সেই মেয়েটা আমার সামনে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সেদিন যারা ক্যাম্পাসে অরাজকতা করতে আসছে, তাদের প্রতিহত করতে গিয়ে দেখি একজন মেয়েকে কে বা কারা মারছিল। পরে আমি তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। তখন আমি তার পরিচয় জানতাম না।’

পরিচয় জানলে ছাত্রদল নেত্রীকে রক্ষার চেষ্টা করতেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই করতাম। সে ছাত্রদল বা ছাত্রলীগ করুক অথবা রাজনীতি নাই করুক, এই পরিস্থিতিতে কোনো মেয়েকে হেল্প করা আমি আমার দায়িত্ব বলে মনে করি।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Mirza Fakhrul is returning home at night after treatment

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চোখের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে আজ শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মির্জা ফখরুলের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শুক্রবার দুপুরে বাসস’কে জানান, দলের মহাসচিব রাতে দেশে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রাত ১১টায় ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মির্জা ফখরুল। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এর আগে, চোখের জটিলতাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে গত ১৩ মে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP called the budget a one sided void

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে অকার্যকর ও গতানুগতিক এবং একতরফা বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও দরিদ্রতার মতো অর্থনৈতিক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে এবারের বাজেট সুর্নিদিষ্ট কৌশল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে অন্তর্বতী সরকারকে। আমরা আশা করেছিলাম যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট তৈরি করবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম স্তর তৈরি হয়।’

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও যুব প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মতামত নিতে পারত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি এমনটি হতো, তাহলে বাজেট একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হত। এটি দেশের বিভিন্ন অংশের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করত। কিন্তু সেই সুযোগটি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, বাজেটটি একপেশে, অংশগ্রহণমূলক নয় এবং গতানুগতিক হয়ে গেছে। এতে নতুন চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।’

বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই ধরনের আলোচনা আরও জরুরি ছিল, যেহেতু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।

প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বিএনপি।

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।

বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সেই বৈষম্যমুক্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি, যার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, দরিদ্রতা বৃদ্ধি, কম বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কম সুযোগের স্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটটি অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্নীতিপ্রবণ প্রকল্পগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Salahuddin has been accused of disappearing against seven people including Hasina in the tribunal

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে গুমের অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তিন এই অভিযোগ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য যাদের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ বেলা ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন সালাহউদ্দিন। এ সময়ে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ আইনজীবীরা সাথে ছিলেন। পরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ তুলে দেন তিনি।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহউদ্দিনকে তুলে নেওয়া হয় বলে তখন অভিযোগ করেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। অন্যদিকে তখন বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সালাহউদ্দিনকে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।

সে সময় সালাহউদ্দিন বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন। আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আসাম রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান। দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৬ আগস্ট সালাহউদ্দিন দেশে ফেরার জন্য ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস পান। ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EC locked Nahids NID while he was an adviser

উপদেষ্টা থাকাকালে নাহিদের এনআইডি লক করেছিল ইসি

উপদেষ্টা থাকাকালে নাহিদের এনআইডি লক করেছিল ইসি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম। পরে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হন নাহিদ। তবে নাহিদ ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) উপদেষ্টা পদে থাকাবস্থায় লক করে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডির তথ্য ফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি।

তবে অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় ৫ দিন পর আনলক করে দেওয়া হয় নাহিদের এনআইডি।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগকে এনটিএমসি জানায়, ‘ভণ্ডবাবা’ গ্রুপের অ্যাডমিন নাহিদ ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তার এনআইডির নম্বরও দেওয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগকে। এরপর তদন্তে নামে অনুবিভাগ। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর লক করা হয় নাহিদের এনআইডি।

তদন্তে বেরিয়ে আসে, ‘ভণ্ডবাবা’ হোয়াটসঅ্যাপের কোনো গ্রুপ নয়। এটি টেলিগ্রামের একটি গ্রুপ। আর নাহিদ ওই গ্রুপের অ্যাডমিন নন।

তার এনআইডির বিপরীতে কোনো তথ্য পাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায়, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এনআইডি আনলক করে দেয় সংস্থাটি।

এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু এই ভোটার কর্তৃক ডাটা সরবরাহ করার বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি এবং অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, সেহেতু মো. নাহিদ ইসলামের এনআইডি আনলক করার জন্য সুপারিশ করে কমিটি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নথি উত্থাপন করা হলে ২২ সেপ্টেম্বর এনআইডির মহাপরিচালক তখন এনআইডিটি আনলক করার সিদ্ধান্ত দেন।

এভাবেই পাঁচ দিনের জন্য লক থাকে সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এনআইডি।

বর্তমান এনআইডি মহাপরিচালক এসএম হুমাযুন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, সে সময় আমি ছিলাম না। তাই সেটি আমার বিবেচনার বিষয় নয়। আর পুরোনো বিষয় যেটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সেটির মতামতও দিতে চাই না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hasina hostage the border guards Sarjis

সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে হাসিনা জিম্মি করে রেখেছিল: সারজিস

সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে হাসিনা জিম্মি করে রেখেছিল: সারজিস ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পৃথিবীর যেকোনো বাহিনীকে টেক্কা দেওয়ার সক্ষমতা রাখলেও অতীতে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা তাদের জিম্মি করে রেখেছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের চৌরাঙ্গী মোড়ে এক পথসভা এ মন্তব্য করেন তিনি।

সারজিস আলম বলেন, ‘হাসিনার কারণে বিজিবি এত দিন ভারতের বিরুদ্ধে তাদের শক্তিমত্তা প্রকাশ করতে পারেনি। সীমান্তে পুশইনের ঘটনা বাংলাদেশবিরোধী ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখনো সন্তোষজনক নয়। যে ব্যক্তি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। তাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রতিবেশীর মতো আচরণ করতে হবে। যত দিন পর্যন্ত শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রিত থাকবেন তত দিন বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।’

সারজিস আলম বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে প্রতিবেশীর মতো শ্রদ্ধা ও সম্মানের সম্পর্ক হতে হবে। এখন পর্যন্ত ভারত যে আচরণ বাংলাদেশের সঙ্গে করেছে তা সন্তোষজনক নয়। এই আচরণ দিয়ে ভারত কখনোই প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক পাবে না।

সারজিস বলেন, ‘ভারত তাদের নাগরিক কিংবা এজেন্টদের বাংলাদেশে পুশইনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে শুধু বিজিবি নয়, এই অঞ্চলের প্রতিটি নাগরিককেই সজাগ থাকতে হবে।’

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখনই দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র দেখবেন, তখনই তা প্রতিহত করুন।’

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারের অধিক হত্যা ও লাখের অধিক মানুষকে রক্তাক্ত করার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে তারা (ভারত) আশ্রয় দিয়েছে। দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে শেখ হাসিনা সরকার জিম্মি করে রেখেছিল। তাদের শক্তি সামর্থ্যকে প্রকাশ করতে দেয়নি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে সবসময় ছোট করে রেখেছিল। অস্ত্রের সক্ষমতা নয়, কলিজার সক্ষমতা থাকতে হবে। ১৯৭১ সালে এ দেশ স্বাধীন করে বাংলাদেশ সেটার প্রমাণ দিয়েছে। এসময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিন্দু মাত্র আপস না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা, কেন্দ্রীয় সংগঠক উত্তরাঞ্চলের রাসেল আহমেদ, লালমনিরহাট জেলা সমন্বয়ক রকিবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Democracy is being disrupted in the post of post Khaleda Zia

দেশে পদে পদে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া

দেশে পদে পদে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দেশে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভিডিও বার্তায় একথা বলেন তিনি।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ দিয়া আমৃত্যু যে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে গেছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

‘প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারে বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে আসে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশই হয়ে ওঠে বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন,’ বলেন তিনি।ঢ়

সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এ দেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ করেছিলেন, সেই চট্টগ্রামেই এক সফল, সৎ, দূরদর্শী ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’

শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে খালেদা বলেন, দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করাই যেন হয় শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীর দৃঢ় অঙ্গীকার।

এ লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের নিরলস কাজ করার আহ্বান জানান দলটির চেয়ারপারসন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
NCPs Hannan Masood confessed wrong

ভুল স্বীকার করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ

ভুল স্বীকার করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ

রাজধানীর ধানমন্ডি থানা থেকে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আটক তিন ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে আনার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেওয়া কারণ দর্শানোর অভিযোগে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে হান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল এনসিপি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তিনি কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত ও মৌখিক জবাব ‘রাজনৈতিক পর্ষষের’ কাছে পেশ করেন।

নোটিশের জবাবে হান্নান ধানমন্ডির কর্মকাণ্ড ভুল ছিল বলে স্বীকার করেন এবং আগামীতে এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না মর্মে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

পাশাপাশি থানায় আটক হওয়া ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে হান্নানের সম্পৃক্ততা না থাকায় রাজনৈতিক পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার ওপর আরোপিত কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিপি।

এর আগে হান্নানকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয় বলা হয়, ২০ মে ধানমন্ডি থানার আওতাভুক্ত একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিনজন ব্যক্তিকে আটক করে থানা-পুলিশ।

এই তিনজনের অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে নৈতিকতা স্খলনের কারণে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তা সত্ত্বেও আবদুল হান্নান মাসউদ সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হয়ে আটক তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়েছেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হান্নান মাসউদকে ব্যাখ্যা এবং তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত বিবরণ তিন দিনের মধ্যে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেয় দলটি।

মন্তব্য

p
উপরে