× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The golden Bengal of Bangabandhus dream is being created PM
google_news print-icon

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরি হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর-স্বপ্নের-সোনার-বাংলা-তৈরি-হচ্ছে-প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক নিকেই সম্মেলনে ভিডিওবার্তা দেন শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
‘গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে আমরা উন্নয়নকে জনমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করেছি। জ্ঞানভিত্তিক, সমৃদ্ধ ও আধুনিক জাতি গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে আমরা আমাদের আর্থসামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা পরিবর্তন করেছি। যেমন, আমরা ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১-এর পরে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছি।’

টানা গত এক যুগের বেশি শাসনামলের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলার কথা বলেছিলেন, সেটি এখন তৈরি হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেছেন, গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে উন্নয়নকে জনমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা হয়েছে। জ্ঞানভিত্তিক, সমৃদ্ধ ও আধুনিক জাতি গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে আমরা আমাদের আর্থসামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিকেও পরিবর্তন করা হয়েছে।

কেবল একা নয়, এশিয়ার সব দেশকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের কথাও বলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এ জন্য সবার মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্কে জোর দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণের পরও স্বল্পোন্নত দেশের জন্য দেয়া সুবিধা আরও তিন বছর চালু রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি।

শুক্রবার এশিয়ার ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে জাপানের টোকিওতে আন্তর্জাতিক নিকেই সম্মেলনে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা দেশের মানুষের জন্য তৈরি হচ্ছে।

‘বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বৃহত্তর অর্থনীতির একটিতে পরিণত হয়েছে। এই অগ্রযাত্রায় আমরা জাপান এবং আমাদের বন্ধু এবং অংশীদাররা সমর্থন জুগিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে আমরা উন্নয়নকে জনমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করেছি। জ্ঞানভিত্তিক, সমৃদ্ধ ও আধুনিক জাতি গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে আমরা আমাদের আর্থসামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করেছি। যেমন, আমরা ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১-এর পরে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছি।’

বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও চলমান কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘মহামারির আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২০২০ সালে আমাদের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৫১ শতাংশে এবং ২০২১ সালে এসে সেটা ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের আশা করছি আমরা।’

মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় জীবন এবং জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের এপ্রিলে নিকেই-এর কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার সূচকে ১২১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম। কোভিড ব্যবস্থাপনা এবং পুনরুদ্ধারেও দক্ষিণ এশিয়ার সেরা পারফরম্যান্সকারী দেশ নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।’

দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ফুটে ওঠে প্রধানমন্ত্রীর বার্তায়।

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই জাপানের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের স্কুলগামী শিশুসহ দেশটির জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও অবদানের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় জাপান।’

এলডিসির অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা চালু রাখার অনুরোধ
উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরের তিন বছর অর্থাৎ অন্তত ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা অব্যাহত রাখতে উন্নয়ন সহযোগী জাপানসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থাভুক্ত (ওইসিডি) দেশগুলোর কাছে সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এই সহেযোগিতা পেলে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ থাকবে।

তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

‘জাতিসংঘের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং অংশীদারদের ২০২৬ সালের পরও একটি বর্ধিত সময়ের জন্য বাংলাদেশে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ২০২৯ সাল পর্যন্ত জাপান এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থাভুক্ত (ওইসিডি) দেশগুলো যদি আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখে, আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ থাকব।’

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাপানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং সেপা নিয়ে আলোচনায় আমরা প্রস্তুত।’

ভিডিওবার্তায় এশিয়ার উন্নয়নের পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো:
১. এশিয়ার দেশগুলোকে একে অপরের প্রতি বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে সংহতি বাড়াতে হবে।
২. এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে দূরত্ব কমাতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
৩. এশিয়ার দেশগুলোকে একে অপরের কাজে ন্যায্যতা, সম্মান, ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তি এবং সমতা রক্ষা করতে হবে।
৪. এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার উন্নতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ওপর।
৫. এশিয়ার দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিতভাবে অভিন্ন উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা উচিত।

‘এশিয়ার উন্নয়নে শান্তি অপরিহার্য’
নিজেদের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক দূর করে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারলেই এশিয়ার দরিদ্র মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম এশিয়া মহাদেশে বিশ্বজনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের বসবাস। একই সঙ্গে পৃথিবীর বেশির ভাগ দরিদ্র মানুষের বাসস্থানও এটি।

‘তাই আলোচনার মাধ্যমে মতভেদ দূর করে বিরোধপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি করলেই এশিয়ার দেশগুলো মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারবে।’

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সামরিক বাহিনীগুলোকে সম্মিলিতভাবে অনুশীলন, জ্ঞান এবং প্রযুক্তি ভাগ করে নেয়াকেও গুরুত্বপূর্ণ বলছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, টেকসই বিশ্ব এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে একটি শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও সমৃদ্ধ এশিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব সময় বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাবে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আহ্বান
মিয়ানমার থেকে জোর করে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আবারও এশীয় নেতাদের সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয় দিয়েছি আমরা। নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবসানের মধ্য দিয়ে নিজভূমি মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে হবে তাদের। আমরা এই সংকটের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানে সবাইকে সহযোগিতার অনুরোধ করছি।’

আরও পড়ুন:
ক্রিকেটের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস আইসিসির
মন্দা ঠেকাতে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে: বিশ্বনেতাদের প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক চুক্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বুঝেশুনে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
সমুদ্রসম্পদ ব্যবহারে পরিকল্পনা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
There is no plan to issue arrest warrant against any other armed forces official Press Secretary

সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব

সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটরের তথ্য উদ্ধৃত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো পরিকল্পনা নেই।

শনিবার বাসসকে প্রেস সচিব বলেন, দআমরা আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে জানতে পেরেছি যে এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই।’

শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে শফিকুল আলম বলেন, ‘এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া গুজব।’

তিনি জনগণকে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।’

শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই এসব অসৎ গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

প্রেস সচিব স্পষ্ট করে জানান, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) বিলুপ্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্থাটির সীমান্তবর্তী ও বহিঃদেশীয় গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে সরকার সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বিবেচনা করছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
National Charter Signature Ceremony on October 1

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৫ অক্টোবরের (বুধবার) পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগ্রহী জনগণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটি ১৭ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এর আগে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিদের এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Safe Exit does not want to be in the country with normal exit Religious Advisor

সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই দেশে থাকব: ধর্ম উপদেষ্টা

সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই দেশে থাকব: ধর্ম উপদেষ্টা

অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেছেন, আমরা সেইফ এক্সিট চাইনা, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী এদেশেই থাকতে চাই। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং সুষ্ঠুভাবেই হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচিত সরকারের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা চলে যাবো। তিনি বলেন, সেইফ একজিট বলতে আমি কিছু জানিনা। আমার কোন সেকেন্ড হোম নেই। এমনকি ঢাকায় আমার থাকার কোন বাড়ীও নেই। বর্তমানে আমি সরকারী বাড়ীতে থাকি আর চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকি। আমি এই দেশেরই মানুষ,এই দেশ আমার আপনার, এখানেই আমি থাকব। তিনি আরো বলেছেন আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে চাই এবং সম্প্রীতিই একমাত্র মৌলিক বিষয়। এটা নিয়েই পার্বত্য এলাকাসহ পুরো দেশে আমরা সকলে একসাথে থাকতে পারব বলে আমি আশাবাদি।

তিনি শনিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

ধর্ম উপদেষ্টা ড, আ ফ ম খালিদ হোসাইন আরো বলেন, ‘কাউকে ধর্মীয়, সামাজিক বা অন্য কোনোভাবে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। আমাদের সকলের মাঝে সম্প্রীতি থাকা দরকার, কারণ এটিই আসল।’ দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমি সকল সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা। আমাদের দেশের সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সকল ধর্মের জন্য বরাদ্ধ আছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাজী শরীয়ত উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাদেক হোসেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো: হাবিব উল্লাহ মারুফ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। সম্প্রীতির এসভায় জেলা উপজেলার মসজিদ, মন্দির, বিহারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The presiding officer will be the Chief Election Officer of the Center CEC Nasir Uddin

প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’: সিইসি নাসির উদ্দিন

প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’: সিইসি নাসির উদ্দিন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন শনিবার চট্টগ্রামে নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস

এবারের নির্বাচনে আমরা আইনের শাসন কাকে বলে, সেটা দেখাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, ভোট গ্রহণকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’। আইন অনুযায়ী সব ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগের দায়িত্ব তার ওপরই থাকবে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিইসি একথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র স্থগিত করুন, আইন প্রয়োগ করুন। তবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সাহসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।

সিইসি নাসির উদ্দিন আরো বলেন, আজকের এই কর্মশালা থেকে আমাদের বিভিন্ন ক্যাপসগুলো উঠে আসবে। আমরা তো সব জানি না, তাই আমরা অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি। যারা এর আগে নির্বাচনে কাজ করেছেন, তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখছি। যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে, আমরা সেই ঘাটতি পূরণ করে নেব। আমাদের এখানে খুব দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে, অনেক চ্যালেঞ্জও আছে।

তিনি বলেন, যাই হোক, আমাদেরকে সবাই মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আমরা চাই, একটি এমপাওয়ার্ড (ক্ষমতাসম্পন্ন) প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার তৈরি করতে। আমরা একটি বিশ্বমানের ও সম্পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিজাইডিং অফিসার গড়ে তুলতে চাই।

সিইসি আরো বলেন, আপনাদের হাতে আমরা সমস্ত ক্ষমতা দিচ্ছি। আপনি যদি সেই ক্ষমতা ব্যবহার না করেন, তাহলে সেটাকে আমরা অপরাধ হিসেবে গণ্য করব। আপনি যদি যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা না নেন, সেটাও আমরা ভালোভাবে নেব না।

তিনি বলেন, ক্ষমতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তার সঠিক ব্যবহারও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, যেই পর্যায়ের ক্ষমতা আপনাদের দেওয়া হয়েছে, আপনারা সেটি দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করবেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা আইনের মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে— এই নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। এজন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে বিভিন্ন পেশার মানুষ যাদের মধ্যে কেউ কেউ আগে কখনো ভোটগ্রহণের অভিজ্ঞতা পাননি, তারাও দায়িত্ব পালনে দক্ষ হয়ে ওঠেন। ‘ওয়ান সাইজ ফিটস অল’ পদ্ধতিতে নয়, বরং অংশগ্রহণকারীদের পটভূমি বিবেচনায় প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিরাপত্তা। প্রশাসনিক, আইনগত ও প্রযুক্তিগত নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়।

এজন্য তিনি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচন কমিশন একটি ‘সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন সেল’ ও ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স ইউনিট’ গঠন করছে, যাতে দেশের যে কোনো স্থান থেকে দ্রুত যোগাযোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

তিনি বলেন, একটি সফল নির্বাচন আয়োজনের মূল চাবিকাঠি হলো সমন্বয়। প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ই নির্বাচনের সাফল্য নিশ্চিত করবে।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ও এআই-ভিত্তিক অপপ্রচার মোকাবিলায় একটি সেল গঠন করেছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Public tribute to Syed Manjurul Islam at the Central Shaheed Minar

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমেরিটাস অধ্যাপক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাসস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। ছবি: বাসস

এমেরিটাস অধ্যাপক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসাধারণের ঢল নামে।

তিনি গতকাল বিকেল ৫টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মুষল বৃষ্টির মধ্যেও সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অনুরাগীরা তাঁর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর মধ্যে ছিল— প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, কপিরাইট অফিস, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কালি ও কলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক পরিবার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব), শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশের জাসদ, বাসদ, ছায়ানট, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলা একাডেমি।

প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর প্রাক্তন ছাত্র ও পরবর্তী সময়ের সহকর্মী সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে স্মরণ করে বলেন, 'মনজুর শুধু মেধাবী ছাত্রই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অসাধারণ শিক্ষকও। তাঁর পিতা ছিলেন শিক্ষক, আর সেই উত্তরাধিকার তিনি গৌরবের সঙ্গে বহন করেছেন। তাঁর সব ছাত্র-ছাত্রী তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।'

তিনি আরও বলেন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সাহিত্যিক হিসেবেও উজ্জ্বল ছিলেন, বিশেষত কথাসাহিত্যে। এজন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন।

কথাসাহিত্যের পাশাপাশি তিনি শিল্পসমালোচক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চারু ও নন্দনকলার গভীর জ্ঞান ছিল তাঁর। তিনি শেক্সপিয়ারের নাটক অনুবাদ এবং ইংরেজিতেও মৌলিক সাহিত্য রচনা করেছেন।

প্রফেসর চৌধুরী বলেন, 'তিনি ছিলেন বিনয়ী, প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক মনোভাবের মানুষ। আমি কখনো তাঁকে দুঃখিত, হতাশ বা অসুস্থ দেখিনি। তাঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে শিক্ষক, লেখক, সমালোচক এবং সর্বোপরি একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবে তাঁর কাজ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।'

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক আছেন, কিন্তু অল্প কয়েকজনই পুরো জাতির কাছে বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রফেসর মনজুরুল ইসলাম তাঁদের একজন।'

তিনি বলেন, প্রফেসর ইসলাম শুধু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ছাত্রদেরই গড়ে তোলেননি, তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে অসংখ্য তরুণ মনকেও অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর কথাসাহিত্য নাগরিক জীবনের সংকটকে এমনভাবে ধারণ করেছে, যা খুব কম লেখকই করতে পেরেছেন।

'তাঁর প্রয়াণে আমরা জাতি হিসেবে এক অমূল্য সম্পদ হারালাম। তবে আমি বিশ্বাস করি, তিনি আজীবন আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন,’ বলেন বাসস-এর প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Advisors do not need Safe Exit Law Advisor

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: আইন উপদেষ্টা

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: আইন উপদেষ্টা আজ শনিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর খসড়া বিষয়ক জাতীয় আলোচনা সভায় বক্তব্যে একথা বলেন। ছবি: বাসস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বর্তমানে 'সেফ এক্সিট' নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু উপদেষ্টারা ভালোভাবেই জানেন যে তাদের কোনপ্রকার 'সেফ এক্সিট' এর প্রয়োজন নেই।

আজ দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর খসড়া বিষয়ক জাতীয় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি একথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আপনারা জানেন এখন 'সেফ এক্সিট' নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা উপদেষ্টারা খুব নিশ্চিতভাবে জানি আমাদের কারো কোনো 'সেফ এক্সিট' এর প্রয়োজন নেই। বরং জাতি হিসেবে দেশের মানুষের বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সৃষ্ট বিধ্বংসী রাষ্ট্র কাঠামো থেকে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন আছে।'

তিনি বলেন, 'গত ৫৫ বছর আমরা যে দুঃশাসন, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখলাম, দেখলাম ব্যাংক থেকে সাধারণ মানুষের আমানতের টাকা লুট হচ্ছে- এ ধরনের একটি ভয়াবহ ও আত্মবিধ্বংসী রাষ্ট্র কাঠামো থেকে আমাদের এ জাতির সেফ এক্সিট এর প্রয়োজন আছে।'

তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে বলা হয়েছিলো যে রাষ্ট্রপতি বিচারপতিকে স্বাধীনভাবে নিয়োগ করবেন যেন এতে রাজনৈতিক প্রভাব না থাকে। কিন্তু সবাই জানেন রাষ্ট্রপতি কখনই স্বাধীনভাবে বিচারপতিকে নিয়োগ করতে পারেননি। এদেশে সবসময় বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী।

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা এমন প্রধান বিচারপতিও পেয়েছি যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র ধ্বংস করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যারা নিজের চোখে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখেও তা উপেক্ষা করেছেন। যে সকল বিচারক মানবাধিকার লংঘনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে তাদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'দুঃখজনকভাবে এমন কেউ কেউ এখনো বিচার বিভাগে রয়ে গেছে। আমরা ইনস্টিটিউশনাল রিফর্ম এর পথে কিছুটা অগ্রসর হয়েছি, পুরোটা করতে পারি নাই।

পরের যারা নির্বাচিত সরকার হবেন, তাদের কাছে এই দায়িত্বটা থাকলো।'

আইন উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা হয়তো ভালো ভালো কিছু আইন করে যাচ্ছি। কিন্তু ভালো আইন করা মানেই পুরো দেশটা বদলে যাবে সেরকম নয়। দেখা গেছে অনেক ভালো ভালো আইন করা হলেও সে আইন যে প্রতিষ্ঠানের জন্য করা হয়েছে সে প্রতিষ্ঠানই দাঁড়ায় না। আইন করার ক্ষেত্রে আমাদের কোন ব্যর্থতার ইতিহাস নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা সীমাহীন।'

ভালো প্রতিষ্ঠান গড়া একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, আশা করব এই আইনটি দ্বারা সত্যিকার অর্থে একটি শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশন আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।

ভয়াবহ এ রাষ্ট্র কাঠামো থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উচ্চ আদালত ও সংসদীয় কমিটি। এবং সেই সঙ্গে আরও কিছু জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানকে আমাদের শক্তভাবে দাঁড় করাতে হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মানবাধিকার কমিশন। এটি করতে ব্যর্থ হলে দেশের যে কোনো মানুষ যে কোনো সময় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হতে পারেন।'

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করা সম্পর্কে আইন উপদেষ্টা বলেন, এটি সরকার বা কোনো একক ব্যক্তির নয় বরং আমাদের সকলের দায়িত্ব।

সংশোধিত আইনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্বাধীনতাকে আরো শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এর পাশাপশি আরও বক্তৃতা করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এটর্নী জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো সিগফ্রেড রেংগলি, ড্যানিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন এন্ডার্স বি. কার্লসেন, ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলারসহ আরো অনেকে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আইন, বিচার এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা রোমানা শোয়েগার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chief Advisor to Rome to join the World Food Forum

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে যোগ দিতে কাল রোম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে যোগ দিতে কাল রোম যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস । ফাইল ছবি

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল ইতালির রোম সফরে যাচ্ছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোমের উদ্দেশে যাত্রা করবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফরসূচি অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস ফোরামের মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।

পাশাপাশি, তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য নিরসন ও টেকসই উন্নয়নসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম মূলত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উদ্যোক্তারা একত্রিত হয়ে খাদ্য ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিনিময় করেন।

এবারের ইভেন্ট ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রোমে এফএওর সদর দপ্তরে।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

p
উপরে