রাজধানীর গেন্ডারিয়ার নারিন্দায় কবুতর ধরতে গিয়ে একটি ভবনের জানালার কার্নিশ থেকে পড়ে হিমু সেখ নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হিমুর বাবা নাদিম শেখ বলেন, ‘আমাদের বাসার কাছেই একটি বাসার পাঁচ তলায় এক ব্যক্তি কবুতর পোষেন। আমার ছেলে তার কবুতর দেখাশোনা করত। আজ সন্ধ্যার দিকে ওই ভবনের পাঁচ তলায় জানালার কার্নিশে উঠে কবুতর ধরতে গিয়ে আমার ছেলে নিচে পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাই। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
তিনি জানান, গেন্ডারিয়ার নারিন্দা এলাকায় তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।’
ঢাকার সাভারে স্কুলছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু হিরোইজম দেখাতে গিয়ে তার শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার ব্রিফিংয়ে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়েছেন।
উৎপল হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিতুকে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বুধবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন র্যাবের কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন।
জিতুকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদে কী জানা গেল, তা নিয়ে পরের দিন ব্রিফিংয়ে আসেন র্যাবের মুখপাত্র।
কোথায় ছিলেন জিতু
ঘটনার পর থেকে জিতু পালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন বলে জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই জিতুকে ধরতে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে র্যাব। ঘটনার দিন বিকেলে জিতু যখন বুঝতে পারে যে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুঁজছে, তখনই সে তার বাড়ি থেকে পালিয়ে মানিকগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়। সেখানে রাত কাটিয়ে পরদিন সে তার অবস্থান পরিবর্তন করে আরিচা ফেরিঘাটে পৌঁছায় এবং ট্রলারে করে নদী পার হয়ে পাবনার আতাইকুলাতে তার এক পরিচিতের বাড়িতে আত্মগোপন করে।
‘পরদিন ভোরে সে আবারও তার অবস্থান পরিবর্তন করার জন্য আতাইকুলা থেকে বাসে করে কাজিরহাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে লঞ্চে করে আরিচাঘাট পৌঁছায় এবং সেখান থেকে বাসে করে গাজীপুরের শ্রীপুরের ধনুয়া গ্রামে আত্মগোপন করে। সেখান থেকেই আশরাফুল ইসলাম জিতু ওরফে জিতু দাদাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।’
শিক্ষার্থীদের প্রেষণা দিতেন উৎপল
খন্দকার আল মঈন জানান, মারধরে নিহত শিক্ষক উৎপল কুমার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ২০১৩ সালে আশুলিয়ার হাজি ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।
তিনি জানান, উৎপল কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল ইউনিফর্ম, চুলকাটা, ধূমপান করা ও উত্ত্যক্তকরণসহ বিভিন্ন নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত বিষয় থেকে দূরে রাখতে প্রেষণা বা মোটিভেশন দিতেন। এ ছাড়াও তিনি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলাধুলা পরিচালনা করাসহ শিক্ষার্থীদের সুপরামর্শের মাধ্যমে সৃজনশীলতা বিকাশে ভূমিকা রাখতেন।
‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র হিসেবে পরিচিত জিতু’
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার জিতু ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তিনি শিক্ষা জীবনে বিরতি দিয়ে প্রথমে স্কুল ও পরে মাদ্রাসায় পড়েন। সর্বশেষ আবার স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে বর্তমানে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
জিতুর বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সে স্কুলে সকলের নিকট একজন উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলাভঙ্গ, মারামারিসহ স্কুলের পরিবেশ নষ্টের জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
‘স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ও স্কুল চলাকালীন ছাত্রীদের ইভটিজিং ও বিরক্ত করত। স্কুল প্রাঙ্গনে সকলের সামনে ধূমপান, স্কুল ইউনিফর্ম ব্যতীত স্কুলে আসা-যাওয়া, মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত। সে তার নেতৃত্বে এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে। পাশাপাশি গ্যাং সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে যত্রতত্র আধিপত্য বিস্তার করত।
‘পরিবারের নিকট তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে গ্রেপ্তারকৃত জিতু তার অনুসারী গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হতো ও বিভিন্ন সময় এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে হামলা ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে শোডাউন দিত বলে জানা যায়। একইভাবে স্কুল কমিটিতে তার পরিবারের প্রভাব থাকায় স্কুলেও শিক্ষকদের পরোয়া করত না জিতু।’
জিজ্ঞাসাবাদে কী বেরিয়ে এলো
জিতুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘ঘটনার কয়েকদিন আগে ওই স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত জিতুর অযাচিতভাবে ঘোরাফেরা হতে বিরত থাকার বিষয়ে শিক্ষক উৎপল কুমার প্রেষণা প্রদান করেন। এই ঘটনায় সে তার শিক্ষকের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ও ওই ছাত্রীর নিকট নিজের হিরোইজম প্রদর্শন করার জন্য তার ওপর হামলার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ঘটনার দিন সকালে একটি ক্রিকেট খেলার স্টাম্প স্কুলে নিয়ে আসে এবং তা শ্রেণিকক্ষের পেছনে লুকিয়ে রাখে ও তার শিক্ষককে আঘাত করার সুযোগ খুঁজতে থাকে।
‘পরবর্তী সময়ে কলেজ মাঠে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন শিক্ষক উৎপল কুমারকে মাঠের এক কোনে শিক্ষককে একাকী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গ্রেপ্তারকৃত জিতু তার কাছে থাকা ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে অতর্কিতভাবে বেধড়ক আঘাত করতে থাকে। গ্রেপ্তারকৃত জিতু তার শিক্ষককে প্রথমে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে এবং পরবর্তী সময়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতরভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।’
জিতুর বয়স ১৯
র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘জিতুর শিক্ষাজীবন অনিয়মিত ছিল। প্রথমে সে স্কুলে ভর্তি হলেও পরবর্তী সময়ে সে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। এরপর সবশেষ মাদ্রাসা ছেড়ে নবম শ্রেণিতে এই স্কুলে ভর্তি হয়। এর মাঝে তার পড়াশোনায় গ্যাপও সৃষ্টি হয়েছিল। জিতুর সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্মসাল ২০০৩।
‘সে অনুযায়ী জিতুর বয়স ১৯ বছর, কিন্তু মামলার এজাহারে তার বয়স ১৬ উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করা হবে।’
যা ঘটেছিল
সাভারে হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা ছেলেদের ফুটবল ও মেয়েদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি। শনিবার স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। এ সময় প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় তলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিল ছেলে শিক্ষার্থীরা।
‘অভিযুক্ত ছাত্রও দ্বিতীয় তলায় ছিল। হঠাৎ সে নেমে মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় উৎপলকে উদ্ধার করে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সোমবার সকালে উৎপলের মৃত্যু হয়।’
অধ্যক্ষ জানান, উৎপলের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি আরও জানান, দায়িত্বের অংশ হিসেবেই উৎপল শিক্ষার্থীদের আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করতেন এবং তাদের নানা অপরাধ বা নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিচার করতেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর গুলিস্তানে একটি মার্কেটে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর এক যুবকের সাড়ে তিন লাখ টাকা খোয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তার এক সহকর্মী। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে কেউ অজ্ঞান করে টাকা নিয়ে গেছেন।
সেই যুবকের নাম কবির হোসেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কবির কুইক লিংক টেকনোলজি নামে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি।
প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং কর্মকর্তা আশরাফুল হায়দার জানান, তারা রাউটার এবং সিসি ক্যামেরা বিক্রি কনে। কবির বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করে টাকা সংগ্রহ করেন। পরে সেখানকার লোকজনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বিকালে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়।
আশরাফুল বলেন, নারায়ণগঞ্জ এলাকা থেকে টাকা সংগ্রহ করে উৎসব পরিবহনে ফিরে আসেন। পরে কাপ্তান বাজার ইলেট্রিক মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
অজ্ঞান হওয়ার আগে কবিরের কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিল জানিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘সেই টাকা আর পাওয়া যায়নি।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘গুলিস্তান থেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে অচেতন অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়। তার কাছ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ওয়ারী থানাকে জানানো হয়েছে।’
খাল-নদী সংস্কারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নিজস্ব অর্থায়নে শুরু করেছে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের খনন। নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে এ উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
নগরীর শহীদ নগর এলাকায় বুধবার বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনর্খনন কাজের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের খাল-নদীগুলো সংস্কার করতে হবে। সংস্কারে কারও ব্যক্তিগত ক্ষতি করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। তবে যারা খাল-নদী দখলের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন, আমাদের কাজে তারা মনঃক্ষুণ্ন হতেই পারেন।
‘দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরী ঢাকা। এর পরিবেশ ঠিক করতে হবে আমাদের। ঢাকার পরিবেশ সুন্দর করার মাধ্যমে আমাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। ঢাকাকে উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সে জন্য খাল এবং নদীগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।’
মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘সিএস ম্যাপ অনুযায়ী আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনর্খনন কাজ এগিয়ে নেয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার অংশের খনন হবে। নদীর সীমানা নির্ধারণ করে বেষ্টনী দেব।
‘আদি বুড়িগঙ্গা, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, হাজারীবাগ, চকবাজার ও পুরান ঢাকা ঘিরে কীভাবে একটি নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করা যায়, সে চেষ্টা চলছে। নদীর প্রবাহ ও নদী পুনরুদ্ধার করে একটি বাসযোগ্য নগরী উপহার দেয়া হবে।’
দক্ষিণ সিটির নিজস্ব অর্থায়নে বুড়িগঙ্গায় খননকাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সাড়ে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। আগামী অর্থবছরে আরও বেশি বরাদ্দ রাখা হবে। আনন্দের বিষয় যে আমরা কাজটি শুরু করতে পেরেছি।’
পরে নগরীর ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মেয়র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকেরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।
আরও পড়ুন:অর্থপাচার মামলায় এসএম গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমসহ আট জনের বিরুদ্ধে আরও পাঁচ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে বুধবার তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এই পর্যন্ত ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে এই মামলায়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৮ জুলাই দিন ঠিক করেছেন বিচারক।
আদালতে যে পাঁচ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন হোসাইনী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার কনস্টেবল মিনহাজুল আবেদীন, গুলশান থানার এএসআই বুলবুল হক আনাছ, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানার এএসআই নুরে আলম ও বাগেরহাট সদর মডেল থানার এএসআই তারক চন্দ্র দাস।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
আলোচিত এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, সামসাদ হোসেন, আনিছুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম। তারা জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত।
জি কে শামীমকে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আটক করে র্যাব। এ সময় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং, মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করে।
আরও পড়ুন:আত্মসমর্পণের পর জামিন পাননি ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাজা পাওয়া চার কর্মকর্তা। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
গ্রাহকদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালত ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজার রায় দেয়। তখন চার আসামি পলাতক থাকায় তাদের নামে পরোয়ানা জারি হয়।
বুধবার ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের উপস্থিতিতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- ডেসটিনি গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর সাকিবুজ্জামান খান (অব.), সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেস্ট এভিয়েশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মোল্লা আল আমিন, সুনীল বরণ কর্মকার ও হেড অব ফাইন্যান্স কাজী মোহাম্মদ ফজলুর করিম।
এ মামলায় গত ১২ মে রায় দেন ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
রায়ে অন্য আসামিদের পাশাপাশি মেজর সাকিবুজ্জামান খানের (অব.) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা জরিমানা হয়। মোল্লা আল আমিনের চার বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, সুনীল বরণ কর্মকারের ৮ বছর কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং কাজী মোহাম্মদ ফজলুর করিমের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন:রাজধানীর রায়ের বাজার পুলপার বটতলা এলাকায় এক যুবককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকের নাম মো. রবিন। তার বয়স ২৩ বছর।
রবিন রায়েরবাজার কাঁচাবাজারের পাশে একটি বাসায় থাকেন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক।
গুরুতর আহত অবস্থায় রবিনকে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিলশাদ নামে সিএনজি চালকের মাধ্যমে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকরা জানান, ওই যুবকের পেটে, পিঠে চার থেকে পাঁচটি ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তখনন হয়েছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিনের বন্ধু বাবু জানান, রবিনসহ তারা তিনজন রায়েরবাজার বটতলা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী মিঠুর ছেলেসহ ৫/৬ জন তাদের পথ রোধ করে। সেখান থেকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায় পাশের রাস্তায়। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
গতকাল ওই এলাকায় দুই গ্রুপের মারামারি হয়। এরই জেরে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে তার বন্ধুরা জানান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:শিশুদের সঙ্গে সময় কাটালেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সুপ্রিম কোর্টে নবনির্মিত ‘বিজয় ৭১ ভবনে’ বুধবার ডে কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।
বিকেল ৪টায় তিনি ফিতা কেটে সেন্টারটি উদ্বোধন করেন।
ওই সময় তিনি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। পরে ছবি তোলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
নতুন এই ডে কেয়ার সেন্টারে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সন্তানরা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য