× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Khaleda should be sent to jail again Information Minister
google_news print-icon

খালেদাকে আবার কারাগারে পাঠানো উচিত: তথ্যমন্ত্রী

খালেদাকে-আবার-কারাগারে-পাঠানো-উচিত-তথ্যমন্ত্রী
ডিআরইউ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
‘খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও দুই বছর তাকে কারাগারের বাইরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, সেটি নিয়েই এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন। এই মহানুভবতার মূল্য যারা দিতে জানে না, তাদের প্রতি এই মহানুভবতা কেন দেখাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো উচিত।’

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেয়ার পক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি মনে করেন, এটি জনগণের চাওয়া।

মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের শাস্তি স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে অক্টোবরে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। একই মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের সাজা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

বিএনপি আইনি লড়াইয়ে তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যান মানবিক আবেদন। পরে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব হলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিতের আদেশ দেন সরকারপ্রধান। এরপর ছয় মাস করে আরও তিনবার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিএনপি নেত্রী এখন গুলশান-২-এ তার বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও দুই বছর তাকে কারাগারের বাইরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, সেটি নিয়েই এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন। এই মহানুভবতার মূল্য যারা দিতে জানে না, তাদের প্রতি এই মহানুভবতা কেন দেখাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো উচিত।’

আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু বানাতে পারবে না আর জোড়াতালি দিয়ে সেতু হলে কেউ যেন তাতে না ওঠে- এমন মন্তব্য করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বিএনপি নেত্রীর ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া ও তার দোসরদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে নিয়ে গিয়ে টুস করে ফেলে দেয়া উচিত।

সরকারপ্রধানের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে বিএনপি বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়া তো প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সেটির প্রমাণ।’

তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ মনে করে, তারা যেহেতু পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, আওয়ামী লীগ সরকার সেটি করতে পারবে না বলে আস্ফালন করেছিল, সে জন্য তাদের সাঁতরে পদ্মা পার হওয়া উচিত, সেতুর ওপর দিয়ে নয়।’

প্রধানমন্ত্রী এ সেতু সবার জন্য নির্মাণ করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তবে যারা এর বিরোধিতা করেছিল তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
এর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে তথ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকা এবং ডিআরইউ সভাপতি সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সূচনা করেন। পায়রা ও বেলুন উড়ানো শেষে একটি মিছিলে যোগ দেন তিনি।

ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৭ বছরের পথ পরিক্রমায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে, রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়নি, যা অত্যন্ত বড় সাফল্য বলে আমি মনে করি। আশা করি আগামী ৫০ বছর পরেও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’

গত ১৩ বছরে দেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ১৩ বছর আগে ১০টি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, এখন প্রায় ৩৮টি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। আরও কয়েকটি সম্প্রচারে আসছে।

‘বেসরকারি রেডিও ছিল না, এখন ১২টির বেশি এফএম রেডিও, ১৮টির মতো কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারে আছে। পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০তে উন্নীত হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যম কত হাজার সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়, তবে আমাদের কাছে ৫ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য।’

সরকার গণমাধ্যমের বিকাশে কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি, যখন মন্ত্রী ছিলাম না তখনও পাশে ছিলাম, এখন মন্ত্রী হিসেবে পাশে আছি, সব সময় তো কেউ মন্ত্রী থাকে না, তখনও আমি আপনাদের পাশে থাকব।’

আরও পড়ুন:
ডিজিটাল আইন মানুষের নিরাপত্তার জন্য: তথ্যমন্ত্রী
লজ্জা নিয়ে গোপনে টিকার দরকার নেই: বিএনপিকে হাছান
হাছানের দৃষ্টিতে যা সরকারের ব্যর্থতা
দেশ রক্ষার জন্য নদী রক্ষা অপরিহার্য : তথ্যমন্ত্রী
করোনায় আক্রান্ত তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The victory of the students will be consolidated only if unity can be maintained Fakhrul

ঐক্য ধরে রাখতে পারলেই ছাত্র-জনতার বিজয় সুসংহত হবে: ফখরুল

ঐক্য ধরে রাখতে পারলেই ছাত্র-জনতার বিজয় সুসংহত হবে: ফখরুল জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার নানাভাবে আমাকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেছিল। প্রলোভন দেখিয়েছিল। কিন্তু নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করাটাই নিজের ব্রত মনে করেছি।’

ঐক্য ধরে রাখতে পারলেই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বিজয় সুসংহত হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘বিজয় তখনই সুসংহত হবে যদি এটা আমরা ধরে রাখতে পারি। সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে, সেটিকে রুখে দিতে হবে।’

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ অপশাসন, দুঃশাসন, গুম, খুন, নির্যাতন ও প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউসে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, জাস্ট নিউজের সম্পাদক এবং ওয়াশিংটনভিত্তিক অধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেড।

ঐক্য ধরে রাখতে পারলেই ছাত্র-জনতার বিজয় সুসংহত হবে: ফখরুল
জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। ছবি: সংগৃহীত

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। মুশফিকুল ফজল আনসারী তাদের মধ্যে অন্যতম। অনেকেই দেশে থাকতে পারেননি ফ্যাসিবাদী হাসিনার কারণে। অনেকে দেশের বাইরে থেকে সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। আমরা দেশের ভেতরে থেকে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম।’

বিএনপি মহাসচিব বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পেছনে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর অনন্য ভূমিকার উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি মুশফিকুল ফজল আনসারীকে বাংলাদেশের ‘রিয়েল হিরো’ বলে আখ্যা দেন।

এ সময় সব সাংবাদিককে পেশাদারত্ব বজায় রেখে, নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ, তৈরি ও পরিবেশনের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

বিভিন্ন সংগঠনের দেয়া ফুলেল সংবর্ধনা শেষে বক্তব্য দেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।

মজলুম এই সাংবাদিক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন নোবেল লরিয়েটকে সরকার প্রধান হিসেবে পেয়েছেন। তিনি আপাদমস্তক একজন নির্লোভ ব্যক্তি। তিনি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।’

একইসঙ্গে সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মুশফিকুল ফজল বলেন, ‘কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হোক এটা আমরা চাই না। তবে পতিত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী দোসররাই এখনও বেশিরভাগ মিডিয়া চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণের পক্ষের এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকদের দায়িত্ব দিতে হবে- যাতে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষার ভাষা প্রতিফলিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘অনেকটা নিরাপদ স্থানে থেকেই আমরা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছি। যদিও নানাভাবে আমাদের পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছিলো। তবে আমাদের ত্যাগের চেয়েও দেশে অবস্থান করে যারা লড়াই করে গেছেন তাদের অবদান ভোলার নয়।

‘শেখ হাসিনা সরকার নানাভাবে আমাকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেছিল। প্রলোভন দেখিয়েছিল। কিন্তু নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করাটাই নিজের ব্রত মনে করেছি।’

এ সময় সংবর্ধনার ছবি ফেসবুকে না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সময়টা আনন্দ-উৎসবের নয়। দয়া করে এসব ছবি দিয়ে শহীদ পরিবারগুলোর মনের কষ্ট বাড়িয়ে দেবেন না। এটা আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ। আল্লাহ যেন তাদের সবাইকে শহীদি মর্যাদা দান করেন।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদেরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, সাংবাদিক নেতা কবি আবদুল হাই শিকদার, এলাহি নেওয়াজ খান সাজু, মুরসালিন নোমানী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক আমার দেশের বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী ও ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এম সাঈদ খান। সূচনা বক্তব্য দেন সাংবাদিক শফিউল আলম দোলন।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. কামরুল আহসান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোসলেহ উদ্দিন তারেক, সাবেক জাসাস নেতা মোশারফ হোসেন ঠাকুর, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা, সরকারি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির নেতা ড. নেয়ামুত উল্ল্যাহ, গণঅধিকার পরিষদ নেতা তারেক রহমান, কবি রেজা উদ্দিন স্টালিনসহ বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া শিক্ষক, আইনজীবী, কৃষিবিদ, চিকিৎসকসহ নানা পেশার ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার অনেক সাংবাদিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সে সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুশফিকুল ফজল আনসারীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা।

আরও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের বৈঠক
সংকট সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে: ফখরুল
ভারত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আধিপত্যের রাজনীতি করে যাচ্ছে: ফখরুল
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছে বিএনপি: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Interim governments vision clear in chief advisers speech Fakhrul

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভিশন ব্যাপকভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি যেসব সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন সরকার তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী।’

জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার যে ভাষণ দিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তার এই ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন স্পষ্ট হয়ে উঠে এসেছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে যেসব সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন সরকার তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। এটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।

‘গতকাল (বুধবার) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন সংস্কার (বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার) নিয়ে আলোচনা করেন এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের নাম উল্লেখ করেন।

‘তিনি (ইউনূস) জাতির উদ্দেশে এই ভাষণের মাধ্যমে তার সরকারের ভিশন ব্যাপকভাবে তুলে ধরেছেন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। আমরা আশা করছি, এসব সংস্কার খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে। সরকার দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শাসন ও জনগণের সংসদ প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দেবে।’

তিনি বলেন, ‘গণআন্দোলনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসায় আমরা তাদের সাফল্য কামনা করছি। গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। কারণ এটি এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটতে পারে। আমরা আশা করি, তারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। তবে তা করতে হবে জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটা অনুধাবন করবে এবং তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে- যাতে জনগণ উপকৃত হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংবিধান সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে তিনি কমিশনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নামও জনগণের সামনে তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন:
ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের বৈঠক
সংকট সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে: ফখরুল
ভারত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আধিপত্যের রাজনীতি করে যাচ্ছে: ফখরুল
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে এলে পুলিশে দিন: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League Playwright Party Mamunul Haque

আওয়ামী লীগ নাটকবাজ দল: মামুনুল হক

আওয়ামী লীগ নাটকবাজ দল: মামুনুল হক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার মাদারীপুরে গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা আসছে। এ পূজায় তাদের সহযোগিতা করতে হবে। আগে আওয়ামী লীগ হিন্দুদের নিয়ে নাটক করেছে। এখন আর এদেশে আওয়ামী লীগ নেই। আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে চলতে হবে। সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ হলো নাটকবাজ দল। তারা রাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর কালনাগিনী হয়ে ছোবল মারে আর দিনে ওঝাঁ হয়ে বিষ নামানোর নাটক করে।

বৃহস্পতিবার মাদারীপুর জেলায় নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ও শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা আসছে। এ পূজায় তাদের সহযোগিতা করতে হবে। কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা করা যাবে না। আগে আওয়ামী লীগ হিন্দুদের নিয়ে নাটক করেছে। এখন আর এদেশে আওয়ামী লীগ নেই। আমাদের কোনো ধরনের সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে চলতে হবে।’

খেলাফত মজলিসের এই নেতা আগস্ট-বিপ্লবের চেতনা ধরে রাখতে সমমনা সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আগস্টের বিপ্লব মানেই মুক্তির বিপ্লব।’

মামুনুল হক পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়াটা কাপুরুষোচিত আচরণ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হাবীন আহমাদ চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্ডিবর্দীর পীর মাওলানা আলী আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মুফতি শারাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসানাত জালালী, কার্যকরী সদস্য মাওলানা রুহুল আমিন খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
দুই মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুলের জামিন বহাল
দুই মামলায় হেফাজতের মামুনুলের জামিন স্থগিত
আরও ৩ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক
ধর্ষণের মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য তিন পুলিশ কর্মকর্তার
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য: মামুনুলদের মামলায় পিবিআইয়ের বিতর্কিত প্রতিবেদন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zia at the hospital for health examination

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বাসসকে বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।’

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বুধবার রাত একটার পর রওনা হয়ে একটা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বাসসকে বিষয়টি জানান।

শায়রুল বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধর ভাংচুর, সেবা বন্ধ
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে গুরুতর আহতদের খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা
মানহানির পাঁচ মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস
খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়া হয়েছে
খালেদা জিয়াকে শিগগির বিদেশে নেয়া হবে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chhatra Dal has formed a cell to get justice for the students abused by the Chhatra League

ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার পেতে ছাত্রদলের ‘সেল’

ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার পেতে ছাত্রদলের ‘সেল’
ছাত্রদল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ ও ‘আইনি সহায়তা সেল’ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া বিরোধী মত ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেয়া এবং এসব নির্যাতনের তথ্য সংরক্ষণে পৃথক দুটি সেল গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বুধবার সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এই দুটি সেলের নাম ‘শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ ও ‘আইনি সহায়তা সেল’।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সেল দুটি ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া বিরোধী মত ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে।’

এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছেও ছাত্রদল সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে।

শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেলের সদস্যরা হলেন- আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, এ বি এম ইজাজুল কবির রুয়েল, মনজুরুল আলম রিয়াদ, খোরশেদ আলম সোহেল, আরিফুল ইসলাম, গণেশ চন্দ্র রায় ও নাহিদুজ্জামান শিপন।

আইনি সহায়তা সেলের সদস্যরা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, এইচ এম জাহিদুল ইসলাম, মো. আল আমিন, মো. রফিকুল ইসলাম হিমেল, মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী এবং এস এম সাইফ কাদের রুবাব।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘ছাত্রলীগ ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের জন্য হলে হলে টর্চার সেল গঠন করেছিল। সেখানে প্রতিনিয়ত মুক্ত মতকে বাধাগ্রস্ত করতে ও বিরোধী মত দমনে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মাধ্যমে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সেসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এই সেল গঠন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের এসব নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করে জাতির সামনে উন্মুক্ত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে ছাত্র-রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ন্যূনতম সুযোগ কেউ না পায়।’

আরও পড়ুন:
ঢাবির হলে গণরুম বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত
পুরো ক্যাম্পাস নয়, ঢাবির নির্দিষ্ট স্থানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে ছাত্রদল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Autocratic head of government flees but his ghost haunts Tariq Rahman

স্বৈরাচার সরকার প্রধান পালালেও তার প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে: তারেক রহমান

স্বৈরাচার সরকার প্রধান পালালেও তার প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে: তারেক রহমান টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বুধবার বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের ভোটে বিএনপি যাতে সরকার গঠন করতে পারে সেজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার গঠন হলেই দেশের মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করবে। আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘স্বৈরাচার সরকার প্রধান পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নতুন কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারে। এজন্য আগামী দিনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সুতী ভিএম মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বুধবার আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুসহ সব রাজবন্দির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গোপালপুর উপজেলা ও শহর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

স্বৈরাচার সরকার প্রধান পালালেও তার প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে: তারেক রহমান
সমাবেশের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা

তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করতে সক্ষম হয়েছি। এতে সমস্যার আংশিক সমাধান হয়েছে। আগামী দিনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

‘জনগণের ভোটে বিএনপি যাতে সরকার গঠন করতে পারে সেজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার গঠন হলেই দেশের মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করবে। আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। সমাবেশ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

অন্যদের মধ্যে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উবায়দুল হক নাসির।

এতে সভাপতিত্ব করেন গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রুবেল।

সমাবেশের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
জাতীয় সরকার ব্যবস্থায় দেশ পরিচালনা চায় বিএনপি: তারেক রহমান
আমাদের পরিচয় একটাই, সবাই বাংলাদেশি: তারেক রহমান
টানা দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না: তারেক রহমান
আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে: তারেক রহমান
বিএনপি সবসময়ই জনসমর্থনের ওপর নির্ভরশীল: তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Australian High Commissioner meeting with Fakhrul

ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের বৈঠক

ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের বৈঠক গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন। ছবি: সংগৃহীত
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজকর্ম এবং বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমীর খসরু বলেন, বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন বিনিময় কর্মসূচি ও সহায়তাসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজকর্ম এবং বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও তারা আলোচনা করেছেন।

আরও পড়ুন:
প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেবে: ফখরুল
জনগণ ও ব্যবসায়ীরা দেশে নির্বাচিত সরকার চান: ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে রোডম্যাপ আশা করেছিলাম: ফখরুল
নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই: ফখরুল
নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনার আহ্বান ফখরুলের

মন্তব্য

p
উপরে