× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The disease is decreasing in Sylhet
google_news print-icon

সিলেটে কমছে পানি, বাড়ছে রোগ

সিলেটে-কমছে-পানি-বাড়ছে-রোগ
বন্যার পানি কমে গেলেও বাড়তে শুরু করেছে পানিবাহিত রোগ। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পানি পুরো নেমে যাওয়ার পর পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে মশা-মাছি ও কীটপতঙ্গ নিধনে ওষুধ ছিটানো এবং ময়লা-দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর উদ্যোগ নেয়া হ য়েছে।’

সালেক মিয়ার পায়ে ঘা হয়েছে। খুব চুলকায় সেখানে। সালেকের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে। ৫ থেকে ৬ দিন পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল তার বাড়ি। তবুও বাড়ি ছেড়ে যাননি তিনি। পানিতে থাকতে থাকতেই পায়ে ঘা হয়ে গেছে তার।

সালেক বলেন, ‘শুধু আমার না, আমাদের বাড়ির আরও কয়েকজনের এমন হয়েছে। বাচ্চাদের হাতে-পায়ে ফোড়া উঠেছে। তাতে চুলকানি লেগেই থাকে।’

নগরের ছড়ার পাড় এলাকার একটি বস্তিতে থাকেন সুনাফর আলী। ৪ সদস্যের পরিবারে সবার ডায়রিয়া।

সুনাফর আলী বলেন, ‘এই কয় দিনে পচা পানির মধ্যে ছিলাম। খাবার পানিও পাইনি। এখন পানি নামলেও বাসার সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’

সিলেটে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে বাড়তে শুরু করেছে পানিবাহিত রোগ। বেশির ভাগই ডায়রিয়া ও চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পানি আরও কমলে রোগবালাই আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।

তবে আক্রান্ত বেশির ভাগই এখন পর্যন্ত বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগির চাপ এখনও তেমন বাড়েনি বলেও জানা গেছে।

আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাসায় চিকিৎসা নেয়ায় রোগীর সঠিক তথ্যও নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে। তাই নগরের অনেকে রোগে আক্রান্ত হলেও সিটি করপোরেশনের কাছে এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সিলেটে কমছে পানি, বাড়ছে রোগ

এ দিকে বন্যা-পরবর্তী সময়ে রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জেলায় ১৪০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে সিভিল সার্জন অফিস। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও নগরে গঠন করা হয়েছে আরও ৩টি টিম।

সিলেটের সিভিল সার্জন এস এম শাহরিয়ার বলেন, ‘বন্যার কারণে পানিবাহিত রোগ বেড়েছে। আমাদের হিসেবে এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৪৫০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি চর্ম রোগে ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন। গোয়ানঘাট উপজেলায় রোগীর সংখ্যা বেশি।’

তিনি বলেন, ‘পানিবাহিত রোগ যাতে না ছড়াতে পারে, সে জন্য আমাদের মেডিক্যাল টিম ইউনিয়ন পর্যায় থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়ও কাজ করছে। তবে বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।’

সিলেটে বন্যাকবলিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৪০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে জানিয়ে জেলার এই প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, এর মধ্যে সিলেট সদরে ১০টি, দক্ষিণ সুরমায় ৮টি, বিশ্বনাথে ১১টি, ওসমানীনগরে ৯টি, বালাগঞ্জে ৭টি, ফেঞ্চুগঞ্জে ১০টি, গোলাপগঞ্জে ১৬টি ও বিয়ানীবাজারে ১৬টি টিম গঠিত হয়েছে।

এ ছাড়া জকিগঞ্জে ১০টি, কানাইঘাটে ১২টি, গোয়াইনঘাটে ১০টি, জৈন্তাপুরে ১১টি এবং কোম্পানীগঞ্জে ৭টি করা হয়েছে। এর বাইরে জেলা সদরে ৩টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এসব দলে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট অনেকেই আছেন। প্লাবিত এলাকার সবখানেই যেন স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রতিটি টিমকে নির্দেশনা দেয়া আছে।’

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধির শঙ্কা থাকে। তবে এ জন্য আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।’

সিলেটে কমছে পানি, বাড়ছে রোগ

তিনি বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের জন্য নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকায় সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে নগরের রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সিলেট সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

পচা ও দুর্গন্ধ যুক্ত পানির কারণে চর্মরোগ ও ডায়রিয়া বেশি ছড়াতে পারে জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে তিনটি টিম মাঠে আছে, প্রয়োজনে আরও গঠন করা হবে। এ ছাড়া নগরে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পানি পুরো নেমে যাওয়ার পর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা শাখার দল গঠন করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে মশা-মাছি ও কীটপতঙ্গ নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো এবং ময়লা দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটের ৫৮২ কিলোমিটার সড়ক
সিলেটে বানের জলে ১৯ হাজার খামারের মাছ
৬ দিন পর সুনামগঞ্জে বিপৎসীমার নিচে পানি
ফের বাড়ছে সুরমার পানি
মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি, পুলিশের ‘লাঠিপেটা’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Proposed allocation of Tk 29282 crore for health sector

স্বাস্থ্য খাতে ৩.২২ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব

স্বাস্থ্য খাতে ৩.২২ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফাইল ছবি
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিগত বছরের মতো এবারও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে ওষুধ, চিকিৎসা পণ্য এবং কিছু স্বাস্থ্যসেবা পণ্য উৎপাদনের জন্য রেয়াতি হারে কাঁচামাল আমদানির বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।’

জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার পঞ্চম এবং বাংলাদেশ সরকারের ৫২তম জাতীয় বাজেট।

দেশের ইতিহাসে এবারের বাজেটই সবচেয়ে বড় আকারের। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য তাজউদ্দীন আহমেদ প্রথম ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেছিলেন।

আরও পড়ুন:
সিগারেটের দাম বাড়ছে, বিড়ি-জর্দা আগের মতোই
দাম কমতে পারে কৃষি যন্ত্রপাতি, ক্যানসারের ওষুধ, ন্যাপকিনের
করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ
বাসমতি চালের বিরিয়ানি খেতে বইতে হবে ভ্যাটের বোঝা
সংসদে বাজেট উপস্থাপন শুরু অর্থমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dengue 95 people in hospital in one day

ডেঙ্গু: একদিনে ৯৫ জন হাসপাতালে

ডেঙ্গু: একদিনে ৯৫ জন হাসপাতালে ফাইল ছবি।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৮২ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন ২৮৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ২৪২ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ৪১ জন।

দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের একই সময়ের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গছে। এর মধ্যে চলতি মাসে এক হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার অধিদপ্তরের দেয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৫ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি হন ৮৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৮২ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন ২৮৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ২৪২ জন আর অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ৪১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২২ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এক হাজার ৭২৬ জন। মারা গেছেন ১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৬৬ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ছয়জন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন ভর্তি হন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয় তিনজনের। মার্চে কারও মৃত্যু না হলেও হাসপাতালে ভর্তি হয় ১১১ জন। এপ্রিলে ভর্তি হয় ১৪৩ জন, আর মৃত্যু হয় দুজনের। চলতি মাসে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৬ জন।

দেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় দেশে। সে বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ১৭৯ জন। এ ছাড়া ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। আর গত বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয় মোট ৬২ হাজার এবং মারা যান ২৮১ জন।

আরও পড়ুন:
বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুর বিস্তার, কেন?
এক দিনে হাসপাতালে ৭২ ডেঙ্গু রোগী, বেড়েছে করোনা
এক দিনে হাসপাতালে ৬৭ ডেঙ্গুরোগী, করোনা শনাক্ত ৭৩
এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাড়ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৮০ রোগী হাসপাতালে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Why the spread of dengue before the monsoon?

বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুর বিস্তার, কেন?

বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুর বিস্তার, কেন? রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবারের চিত্র। ছবি: নিউজবাংলা
সাধারণত জুন মাসের পর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও এ বছর মে মাস থেকেই এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় মে মাসেই চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুর এই আগাম প্রকোপের নেপথ্যে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা।

বর্ষা আসতে আরও বেশ কিছুদিন বাকি। কিন্তু বর্ষার রোগ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে বাড়ছে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

সাধারণত জুন মাসের পর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও এ বছর মে মাস থেকেই এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় মে মাসেই চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুর এই আগাম প্রকোপের নেপথ্যে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ‘আগের বছর ডেঙ্গুর সিজনটা দেরিতে শুরু হয়েছিল। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এই ধারাটা নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এসেছে।

‘বর্তমান সময়ে এসে সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে যা দেখেছি সেটি হলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নগরায়নের বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত একদমই বৃষ্টিপাত থাকে না। আমরা বার বার বলে এসেছি যে বৃষ্টির সঙ্গে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার একটি সম্পর্ক থাকলেও এখন আর সেটি নেই। ডেঙ্গু এখন আর মৌসম বুঝে হবে না, এটি সারা বছরই বাংলাদেশে থাকবে। বহুতল ভবনগুলোতে পার্কিং স্পেস তৈরি করা হয়েছে। পার্কিংয়ের এই জায়গাতে গাড়ি ধোয়া-মোছা করা হয়। সেখানে যে পানি জমে তাতে আমরা এডিস মশার লার্ভা পাই।

‘একেকটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ ১০-১২ বছর ধরে চলে। নির্মাণাধীন সেসব ভবনের বেসমেন্টে আমরা এডিস মশা পাই। ঢাকায় যেসব জায়গায় পানির সংকট আছে, ওয়াসার পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নেই, সেসব এলাকায় ভবন মালিকরা সার্বক্ষণিক পানির সরবরাহ দেন না। এ অবস্থায় ওইসব ভবনের বাসিন্দারা পাত্রে পানি সংরক্ষণ করে রাখেন। সেখানেও আমরা এডিস মশা পাই।’

কবিরুল বাশার বলেন, ‘এডিস মশার এই যে তিনটি প্রজনন ক্ষেত্রের কথা বললাম সেগুলোর সঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্পর্ক নেই। এই ক্ষেত্রগুলো সারা বছর বিদ্যমান। বাংলাদেশের তাপমাত্রা সারা বছরই এডিস মশা প্রজননের উপযোগী। তাই বৃষ্টিহীন সময়েও স্থায়ী প্রজনন ক্ষেত্র থাকার কারণে আমাদের দেশে মৌসুম ছাড়াও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

‘মে মাসে যখন বৃষ্টি হয়েছে তখন এডিস মশা নতুন প্রজনন ক্ষেত্র পেয়েছে। প্রকৃতিতে যেহেতু এডিস মশা ছিলোই, তাই এদের প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে জ্যামিতিক হারে। তাই মে মাসেই ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়ে গেছে, যেটা আমাদের দেশে আগে কখনোই ছিল না।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ব্যান-ম্যাল এবং ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) ইকরামুল হক বলেন, ‘এডিস মশা বংশ বিস্তারের জন্য যে আবহাওয়া দরকার বাংলাদেশে এখন সেটিই বিরাজ করছে। বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে শীর্ষ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে। বলা হচ্ছে, দেশের গড় যে তাপমাত্রা তার চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে ডেঙ্গু চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়তে পারে।

‘গত বছরের তুলনায় এবার মে মাসেই ডেঙ্গু রোগী পাঁচ গুণ বাড়ার প্রথম কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন। দ্বিতীয়ত, বাতাসে যে আর্দ্রতা থাকে, সেটি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে ৫০-৮০ শতাংশ। সেটা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ২৫-৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য খুবই সহায়ক। অর্থাৎ আমাদের দেশের তাপমাত্রা এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী।

‘এই আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব উষ্ণ দেশেই পড়ছে। আর এর প্রভাবে সেসব দেশেও ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সার্ভে করে দেখেছি, ঢাকা শহরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। সেসব নির্মাণস্থল এবং বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে হঠাৎ বৃষ্টিতে পানি জমে থেকে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে।’

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ১৪ রোগী
মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে ৬৫ ডেঙ্গু রোগী
ডেঙ্গুতে ৬৭ জন হাসপাতালে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In one day 72 dengue patients were infected in the hospital

এক দিনে হাসপাতালে ৭২ ডেঙ্গু রোগী, বেড়েছে করোনা

এক দিনে হাসপাতালে ৭২ ডেঙ্গু রোগী, বেড়েছে করোনা ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমের আগেই বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকবে। বাড়তে পারে করোনাও। এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে।

দেশে ডেঙ্গু ও করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই রাজধানীসহ সারা দেশে ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী।

২৪ ঘণ্টার হিসাবে সোমবার সর্বশেষ ডেঙ্গুতে দেশে ৭২ জন এবং ১৫৯ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমের আগেই বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকবে। বাড়তে পারে করোনাও। এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডেঙ্গু

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ঢাকায় নতুন ভর্তি রোগী ৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৪ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগী ২২৬ জন এবং ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগী ১৯৮ জন। অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে ভর্তি রোগী ২৮ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত মোট ভর্তি রোগী ১ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় মোট ভর্তি রোগী ১২৩৫ জন। ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগী ৬০৮ জন।

এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১০২৭ জন, ঢাকার বাইরে ৫৭৭ জন।

এ বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনা

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আগের দিন ১ হাজার ৩২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ কমেছে ১ দশমিক ০৭ শতাংশ। রোববার শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ।

করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৪৬ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ৬ হাজার ২৩৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। রোববারও এই হার একই ছিলো।

আরও পড়ুন:
বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, ৬১ জনের দেহে শনাক্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২০ জন হাসপাতালে
করোনার জরুরি অবস্থা তুলে নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বাড়ি ফিরলেন করোনায় ২ বছর আগে ‘মারা যাওয়া’ ব্যক্তি
ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3rd and 4th dose of VCV vaccine is given this week

করোনা বুস্টার ভিসিভির ৩য় ও ৪র্থ ডোজ এ সপ্তাহেই

করোনা বুস্টার ভিসিভির ৩য় ও ৪র্থ ডোজ এ সপ্তাহেই সচিবালয়ে সোমবার ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: নিউজবাংলা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বুস্টার ভ্যাকসিন ভিসিভি টিকা ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও ইতিবাচক মতামত দিয়েছে।’

কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে এবার দেশে এসেছে নতুন বুস্টার ভ্যাকসিন ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টিনিউইং ভ্যাকসিন)। নতুন এ টিকার ৩য় ও ৪র্থ ডোজ চলতি সপ্তাহেই দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজ ভিসিভি টিকা হাতে পাওয়া গেছে। এ টিকার ৩য় ও ৪র্থ ডোজ চলতি সপ্তাহ থেকেই দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ের স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে দেয়া হবে।’

‘ভিসিভি ভ্যাকসিন ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও ইতিবাচক মতামত দিয়েছে।’

শুরুতে কারা এ টিকা পাবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভিসিভির তৃতীয় ডোজ পাবেন ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ বয়সী ব্যক্তিরা; চতুর্থ ডোজ পাবেন ৬০ বছর বা তদুর্দ্ধ বয়সী জনগোষ্ঠী এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ বয়সী ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা ও সম্মুখসারির যোদ্ধারা।

‘তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস পর আর চতুর্থ ডোজ পাবেন তৃতীয় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস পর।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চলমান কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ। বিশ্বে যত ভ্যাকসিন হয়েছে তার ১১ শতাংশ ভ্যাকসিন পেয়েছি আমরা। তা থেকে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮.৫১ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজ, ৮২.১৮ শতাংশকে দ্বিতীয় ডোজ, ৩৯.৬২ শতাংশকে তৃতীয় ডোজ ও ১.৮৫ শতাংশ মানুষকে টিকার ৪র্থ ডোজ এর মধ্যেই দেয়া হয়েছে।’

এ সময় স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
এক দিনে হাসপাতালে ৬৭ ডেঙ্গুরোগী, করোনা শনাক্ত ৭৩
দেশের সব বিমানবন্দর থেকে উঠল করোনার বিধিনিষেধ
বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, ৬১ জনের দেহে শনাক্ত
করোনার জরুরি অবস্থা তুলে নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Honesty Hospital Silgala due to dishonesty

অসততার দায়ে ‘সততা হাসপিটাল’ সিলগালা

অসততার দায়ে ‘সততা হাসপিটাল’ সিলগালা লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অনিয়মের দায়ে রোববার কুমিল্লা শহরে অবস্থিত সততা হসপিটাল সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: নিউজবাংলা
কুমিল্লা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘সততা হসপিটালে অনেক অনিয়ম। পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। যন্ত্রপাতি নেই। লাইসেন্স নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত পাওয়া গেছে। অপরিচ্ছন্ন কক্ষ। এসব কারণে হসপিটালটি সিলগালা করেছি। অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।’

জরুরি বিভাগ আছে, অপারেশন থিয়েটারও আছে। তবে লাইসেন্স নেই। ডাক্তার এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও নেই। পাওয়া গেছে অপরিচ্ছন্ন নোংরা কক্ষ ও মেয়াদ উর্ত্তীণ রক্ত।

অসততা আর অব্যবস্থার এমন চিত্র মিলেছে কুমিল্লা শহরের ‘সততা স্পেশালাইজড হসপিটালে’। আর এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছে। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনে অবস্থিত সততা স্পেশালাইজড হসপিটালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুমিল্লা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার আবদুল কাইয়ুমসহ পুলিশের একটি টিম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘গত বছরও এই সততা হসপিটালের যারা মালিক তাদেরকে বলা হয়েছিল লাইসেন্স করার জন্য। তারা তা করেনি।

‘এই হসপিটালে অনেক অনিয়ম। পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। যন্ত্রপাতি নেই। লাইসেন্স নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত পাওয়া গেছে। অপরিচ্ছন্ন কক্ষ। এসব কারণে হসপিটালটি সিলগালা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই অভিযানে পুলিশ লাইন্স এলাকায় একজন ভুয়া ডাক্তারকে ধরতে ন্যাশনাল ডিজিটাল স্পেশালাইজড ডায়গনস্টিক সেন্টারে যাই। সেখানে গিয়ে ওই ভুয়া ডাক্তারকে পাইনি। তবে ডায়গনস্টিক সেন্টারটিতে কোনো কার্যক্রম দেখতে পাইনি। তারা দালালের মাধ্যমে এখানে রোগী আনে। তারপর বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনে।

‘তবে এরা অনেক ডাক্তারের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। যাদের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তারা কেউ এখানে রোগী দেখেন না। এসব অপরাধের কারণে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারটিও সিলগালা করা হয়েছে।’

কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ১৩৮ জন ভুয়া ডাক্তারের তালিকা তৈরি করেছি। অনিয়ম করা হসপিটাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারেরও তালিকা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রেখেছি।’

আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে অনুমোদনহীন ৩ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সিলগালা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dengue is increasing 80 patients in a day in the hospital

বাড়ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৮০ রোগী হাসপাতালে

বাড়ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৮০ রোগী হাসপাতালে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা। ফাইল ছবি
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২০২ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার সরকারি-বেসরকারি ৫৩টি হাসপাতালে রয়েছে ১৭৬ জন। বাকি ২৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার একদিনেই ৮০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে প্রকোপটা বরাবরের মতোই ঢাকায় বেশি।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২০২ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার সরকারি-বেসরকারি ৫৩টি হাসপাতালে রয়েছে ১৭৬ জন। বাকি ২৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার জানায়, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮০ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭৩ জন আর ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে সাতজন।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট এক হাজার ৭০৪ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে এক হাজার ১১৯ জন। আর চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৩ জন।

২০০০ সালে দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বছরের প্রথম ৫ মাসে এতো মৃত্যু এবং হাসপাতালে এতোসংখ্যক রোগী আগে দেখা যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডেঙ্গুর ধরন বদলেছে। তাতে একদিকে ডেঙ্গু যেমন ভয়ংকর হয়ে উঠছে, তেমনি ‘শহুরে রোগ’ ডেঙ্গু শহর ছাড়িয়ে ঝুঁকি বাড়িয়েছে দেশজুড়ে।

বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই ডেঙ্গুর বিপজ্জনক অবস্থার বিষয়ে তারা বলছেন, বর্তমান সময়ে এসে বর্ষাকাল বা বৃষ্টি এসবের সঙ্গে ডেঙ্গুর ততোটা সম্পর্ক নেই। কারণ ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশার লার্ভা এখন জমে থাকছে নির্মাণাধীন ভবন, ওয়াসার মিটার বক্সসহ বিভিন্ন জায়গায়। আর এসব কারণে ডেঙ্গু হয়ে উঠেছে সারা বছরের রোগ। এটা কেবল ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, পুরো দেশের ঝুঁকির কারণ।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২০ জন হাসপাতালে
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ১৪ রোগী
মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে ৬৫ ডেঙ্গু রোগী

মন্তব্য

p
উপরে