× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Officers in that department do not want promotion
google_news print-icon

যে দপ্তরে কর্মকর্তারা পদোন্নতি চান না

যে-দপ্তরে-কর্মকর্তারা-পদোন্নতি-চান-না
শিক্ষা ক্যাডারের অন্তত ১০ জন কর্মকর্তা ৪ থেকে ১৪ বছর ধরে ঘুরেফিরে চাকরি করছেন এই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে। কেউ কেউ পদোন্নতি পেলেও ‘ইনসিটু পদায়ন’ (আগের পদে পুনর্বহাল) নিয়ে নিচের পদে বহাল থেকে চাকরি করছেন।

এমপিওভুক্ত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতি বের করাই তাদের কাজ। অথচ সেই সংস্থাতেই চর্চা হচ্ছে নানা অনিয়ম, উঠছে দুর্নীতির অভিযোগও। সংস্থাটি হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।

নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, শিক্ষা ক্যাডারের অন্তত ১০ জন কর্মকর্তা ৪ থেকে ১৪ বছর ধরে ঘুরেফিরে চাকরি করছেন এই অধিদপ্তরে। এদের কেউ কেউ পদোন্নতি পেলেও ‘ইনসিটু পদায়ন’ (আগের পদে পুনর্বহাল) নিয়ে নিচের পদে বহাল থেকে চাকরি করছেন। কেউ কেউ আবার চাকরি জীবনের বেশির ভাগ সময় ইতোমধ্যে পারও করে দিয়েছেন এই দপ্তরে।

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) প্রধান কাজ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থায় পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। এসবের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি তিন বছর পর পর বদলি করতে হবে। অর্থাৎ একই দপ্তরে তিন বছরের বেশি সময় থাকা যাবে না। বিষয়টি নির্দিষ্ট করে সরকার প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। এ ছাড়া সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন নীতিমালায়ও বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। একই সঙ্গে এক দপ্তর বা সংস্থা থেকে অন্য দপ্তর বা সংস্থায় সরাসরি বদলি না করার বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে। এই মধ্যবর্তী সময়ে তিন বছরের শিক্ষকতা করারও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এ সরকারের বদলিসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ও নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করেই চলছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর।

২০১৫ সালের ৮ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারীর সই করা ‘মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের বদলি’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘একই পদে তিন বছরের অধিককাল যাবৎ নিয়োজিত কর্মচারীকে বাস্তব অবস্থাভেদে অন্যত্র বদলি করতে হবে।’

এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন নীতিমালা-২০২০-এও বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। ২০২০ সালের ২ জুন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দের সই করা নীতিমালায় বলা হয়েছে: ‘কোনো কর্মকর্তা দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থায় একাধিক্রমে তিন বছরের বেশি কর্মরত থাকতে পারবেন না।’

নীতিমালায় আরও উল্লেখ রয়েছে ‘কোনো কর্মকর্তাকে একটি দপ্তর/ অধিদপ্তর/সংস্থা/প্রকল্প থেকে বদলি করে অন্য কোনো দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থা/প্রকল্পে সরাসরি বদলি করা যাবে না। মধ্যবর্তী সময়ে তাকে কোনো কলেজে ন্যূনতম তিন বছর শিক্ষকতা করতে হবে।’

এসবের চর্চা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে হয় না বললেই চলে। শিক্ষাসংশিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ দপ্তরের কর্মকর্তারা চলছেন অনেকটা নিজেদের খেয়ালখুশিমতো। তাদের যেন কেউ কিছু করতে পারবে না। খোঁজ নিয়েও তাই দেখা গেছে। বিধিমালা লঙ্ঘন করে বছরের পর বছর পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে থেকে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

দীর্ঘ সময় আছেন যারা

শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার ২৯ কর্মকর্তা কর্মরত আছেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা পরিদপ্তরে। আর অধ্যাপক পদমর্যাদার আছেন একজন, যিনি এ দপ্তরের পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১০ কর্মকর্তা ন্যূনতম ৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ বছর ধরে ঘুরেফিরে চাকরি করছেন এ দপ্তরে। এদের মধ্যে কেউ কেউ চাকরি জীবনের অর্ধেক সময় এরই মধ্যে পার করে ফেলেছেন।

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিপুল চন্দ্র সরকার। যদিও তার মূল পদ উপপরিচালক। ২১তম বিসিএসের এ কর্মকর্তা ২০১১ সালে শিক্ষা পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন এ দপ্তরে। এরপর মাঝখানে খুবই স্বল্প সময়ের বিরতি দিয়ে ফিরে এসেছেন আলোচিত এ দপ্তরে। প্রায় ১১ বছর ঘুরেফিরে এ দপ্তরেই রয়েছেন এ কর্মকর্তা। এ সময়ের মধ্যে পরিচালকের পদ শূন্য থাকায় তিনি কিছুদিন এ দায়িত্বও পালন করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিআইএ-র এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি মাত্র ১৬ দিন পটুয়াখালী সরকারি কলেজে চাকরি করেন। এরপর আবার ফিরে আসেন ডিআইএতে।’

ডিআইএ-র এ কর্মকর্তা নিয়মবহির্ভূতভাবে দখল করে আছেন প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় শীর্ষ যুগ্ম পরিচালকের পদ। কারণ পদটি অধ্যাপক পদমর্যাদার। এ বিষয়ে অডিট আপত্তিও দিয়েছিল বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক অফিসের অডিট দল।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিসিএস শিক্ষক সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা। তারা বলেন, ‘ডিআইএর যুগ্ম পরিচালক পদটি অধ্যাপক পদমর্যাদার। অথচ সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার বিপুল চন্দ্র সরকার এখানে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশে কি যোগ্য অধ্যাপক নেই যাকে এখানে পদায়ন দেয়া যায়?’

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক টুটুল কুমার নাগ সহকারী পরিদর্শক হিসেবে এ দপ্তরে যোগদান করেন ২০১২ সালে। এরপর ঘুরেফিরে আবার এসেছেন এ দপ্তরেই। দুই দফায় পদোন্নতি পেয়ে তিনি এখন উপপরিচালক। এর মধ্যে কেটে গেছে প্রায় ১০ বছর।

ড. এনামুল হক সহকারী পরিদর্শক পদে ডিআইএতে যোগদান করেন ২০০৮ সালে। এরপর তিনি দুই দফা থেকে পদোন্নতি পেয়েছেন। এখন দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষা পরিদর্শক হিসেবে। সবশেষ পদোন্নতি পাওয়ার পর এ কর্মকর্তাকে ‘ইনসিটু পদায়ন’ (আগের পদে পুনর্বহাল) দেয়া হয়। গত ১২ মে এ শিক্ষা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে যশোরের ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০০ শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে ডিআইএ কার্যালয়ে যায় দুদক।

মো. আলমগীর হাসান ডিআইএতে যোগদান করেন ২০১৮ সালে। কর্মরত আছেন শিক্ষা পরিদর্শক পদে। এরপর থেকে তিনি আছেন এ দপ্তরেই।

এ ছাড়া সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ২০১২ সালে, একই পদে প্রলয় দাস, মুহাম্মদ মনিরুল আলম ২০১৬ সালে, মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ২০১৫ সালে ডিআইএতে যোগ দেন। আর মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম ও মুকিব মিয়া ২০১৮ সালে যোগ দেন। এর পর থেকে তারা ঘুরেফিরে ডিআইএ-তেই আছেন।

বিষয়টি নিয়ে এসব কর্মকর্তাদের অন্তত ছয় জনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। প্রসঙ্গটি তুলতেই কেউ কেউ মুঠোফোন কেটে দেন, কিংবা পরে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু পরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কেউ সাড়া দেননি। এ ছাড়া বাকিদের মধ্যে কেউ আছেন বিদেশে, কেউ ছুটিতে। ফলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কী মধু ডিআইএতে?

বিসিএস শিক্ষা সমিতির একাধিক নেতা জানান, আর্থিক সুবিধা বিবেচনা করলে শিক্ষা প্রশাসনের সবচেয়ে লোভনীয় কর্মস্থল ডিআইএ। এখানে পদায়ন ‘বাগিয়ে নিতে পারলে’ বৈধ ও অবৈধ নানা পন্থায় কা২ড়ি কাঁড়ি অর্থ কামানোর সুযোগ থাকে। প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বা তদন্তে গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা সরকারিভাবে যেমন ভ্রমণভাতা পান, তেমনি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকেও নানাভাবে অবৈধ সুবিধা আদায় করতে পারেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি একটি কলেজের অধ্যক্ষ অভিযোগ করেন, ডিআইএর কয়েক কর্মকর্তা নিরীক্ষার নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে পরিদর্শনকৃত প্রতিষ্ঠান থেকেও অর্থ আদায় করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ঘুরেফিরে একই কর্মকর্তারা এখানে (ডিআইএ) দায়িত্ব পালন করায় এ দপ্তরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এখানে মধু (অর্থ) আছে বলেই তো এরা বছরের পর বছর এখানে চাকরি করছেন।’

সম্প্রতি পরিদর্শনে গিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে ডিআইএ'র এক শিক্ষা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পর্যন্তও গড়িয়েছে। অভিযোগটি এখন দুদকের তদন্তাধীন।

যা বলছে কর্তৃপক্ষ

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি অল্প কিছুদিন হলো এ মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি আমি অবশ্যই খোঁজ নেব।’

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বদলি করার এখতিয়ার হলো মন্ত্রণালয়ের। এর বাইরে আমার কোনো মন্তব্য নেই।'

নিরীক্ষার নামে পরিদর্শনকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ধরণের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি, পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাবেক আমলারা কী বলছেন

একই কর্মকর্তারা ঘুরেফিরে একই দপ্তরে দীর্ঘ সময় থাকা এবং বারবার ফিরে আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক আমলারা। তারা বলছেন, এটা রীতিমতো সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কীসের জোরে তারা এত দিন একই দপ্তরের নিয়োজিত রয়েছেন? কেনই বা তাদের বদলি করা হচ্ছে না। কী এমন মধু আছে এ দপ্তরে?

জানতে চাইলে সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনিই খোঁজ নিন, কেন তারা একই দপ্তরে এত দিন আছে? ঘুরেফিরে একই কর্মকর্তা এত বছর একই দপ্তরে থাকবে কেন? এখানে কী মধু আছে? মনে রাখতে হবে বেশি দিন এক জায়গায় থাকলে অনৈতিক অনেক কিছু হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষাসচিব থাকাকালে ডিআইএ-এর দুষ্টচক্রের বৃত্ত ভাঙার জন্য পিয়ার ইন্সপেকশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এখনকার সিস্টেমে ৩০ বছর লাগবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইন্সপেকশন করতে।’

বিষয়টি পরিষ্কার করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পিয়ার ইন্সপেকশনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পাশ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানে অডিট করবেন, সেই প্রতিবেদন আসবে ডিআইএ-তে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। কে কোন প্রতিষ্ঠান অডিট করবেন তাও কম্পিউটারের মাধ্যমে সংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত হবে। ডিআইএ কর্মকর্তারা মাঠে পরিদর্শনে যেতে পারবেন না। তারা শুধু প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাজ করবেন। শুধু ওই প্রতিবেদনের বিশেষ প্রয়োজনে তারা ইন্সপেকশনে যাবেন। তারা (ডিআইএ কর্মকর্তারা) খালি টাকাপয়সা নিয়ে ইন্সপেকশন করে। এদের নানা বদনাম আছে।’

দীর্ঘদিন একই দপ্তরে কর্মরত থাকাকে অনিয়ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা অনিয়ম এবং সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো। তাদের বদলি করা উচিত। সব সরকারি কর্মচারীর জন্য একই বিধান। তাদের (শিক্ষা ক্যাডার) ক্ষেত্রে কেন আলাদা হবে। যদি তার বা তাদের পরিবর্তে কাজ করার মতো কেউ না থাকে তাহলে বিষয়টি অন্যভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। দেশে নিশ্চয়ই এ ধরনের কাজ (অডিট পরিচালনা) করার মতো অনেক লোক আছে।’

তদন্ত চায় টিআইবি

একই দপ্তরে একই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন চাকরি করলে ‘যোগসাজশ ও অনিয়ম’-এর সুযোগ সৃষ্টি হয় বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছে।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন ‘বছরের পর বছর একই দপ্তরে থাকা- অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ। কেন তারা দীর্ঘদিন একই দপ্তরে কর্মরত আছেন তা খতিয়ে দেখতে হবে। কেননা একই ব্যক্তি যদি একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন থাকেন তাহলে যোগসাজশ ও অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ জন্য আমরা মনে করি এর পেছনে নিশ্চয়ই অন্তর্নিহিত কোনো কারণ আছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।

‘যাদের কাজ জবাবদিহি নিশ্চিত করা, তারা যদি এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত হয় তবে তা সত্যিই দুঃখজনক। এ জন্য বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কাছে দাবি জানাচ্ছি’, বলেন ইফতেখারুজ্জামান।

আরও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
শিক্ষা খাতে বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দাবি
প্রাথমিকে স্কুলেই গান শেখানোর উদ্যোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Eid reunion of 2011 batch at Saitshaila High School

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী ঈদের পরদিন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ঈদুল ফিতরের পরদিন সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১১ এর শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ঈদুল ফিতরের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত বিদ্যালয় পরিচালনা অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাহবুব উল আলম খান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষিকা রেহেনা জাহান খান, সিনিয়র শিক্ষকমণ্ডলী এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকে।

প্রসঙ্গত, ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাইটশৈলা গ্রামে বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময় পরিক্রমায় প্রয়োজনের তাগিদে এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
High court verdict fraud primary education officer arrested

হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার শিবচরের গ্রেপ্তারকৃত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম। ছবি: সংগৃহীত
অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় জাল রায় প্রস্তুত করে বিচারপতিদের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই স্বাক্ষর দেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম। তিনি রিট শাখাসহ আরডি শাখার কর্মরত অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় মামলার রেকর্ড থেকে মূল রায় সরিয়ে জাল রায় ঢুকিয়ে রাখেন। সংশ্লিষ্ট রিট শাখার অনুলিপি বিভাগ থেকে জাল রায়ের নকল সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অন্যায় সুবিধা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার শাহাবাগ থানা পুলিশ। এ মামলার বাদী হাইকোর্টের কোর্ট কিপার ইউনুস খান।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুন্সী রুহুল আসলাম সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কর্মরত অবস্থায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য কোটা সংরক্ষণের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার কিছু অবজারভেশনসহ রুলটি খারিজ হয়ে যায়, যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও রয়েছে।

পরবর্তীতে এ কর্মকর্তা অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় জাল রায় প্রস্তুত করে বিচারপতিদের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই স্বাক্ষর দেন। তিনি রিট শাখাসহ আরডি শাখার কর্মরত অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগিতায় মামলার রেকর্ড থেকে মূল রায় সরিয়ে জাল রায় ঢুকিয়ে রাখেন। সংশ্লিষ্ট রিট শাখার অনুলিপি বিভাগ থেকে জাল রায়ের নকল সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অন্যায় সুবিধা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

পুলিশ আরও জানায়, তবে ফেনী পিটিআইয়ের পরিদর্শক (বিজ্ঞান) মো. জাকির হোসেন আগেই রেকর্ড থেকে মূল রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। ২০২২ সালের ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর মূল রায়ের সার্টিফাইড কপির ফটোকপিসহ এ সংক্রান্ত একটি জালিয়াতির অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনা হলে তিনি বিচারপতি নাইমা হায়দার, জাকির হোসেন ও জিনাত হকের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন। এ বেঞ্চ ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করে ২০১৬ সালের মামলার রুল ডিসচার্জ করে দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টারকে অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার নির্দেশ দেন।

এর ফলে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম পেনাল কোডের ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

এরপর গত ১৫ এপ্রিল বাদি হয়ে হাইকোর্টের কোর্ট কিপার ইউনুস খান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। আদালত ঢাকার শাহাবাগ থানায় মামলা নথিভুক্তর আদেশ দেন। মামলার পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহাবাগ থানা পুলিশ শিবচর থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় যায়।

শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, ‘শাহাবাগ থানা পুলিশ শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Time to collect admit card is nearing its end
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষের পথে

প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষের পথে ফাইল ছবি।
সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।

এছাড়াও যেসব ভর্তিচ্ছুর ছবি বা সেলফি কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী আপলোড করা হয়নি, তাদেরকেও সোমবারের মধ্যে সংশোধিত ছবি বা সেলফি আপলোডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার সোমবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার বলেন, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সুযোগ আজই (সোমবার) শেষ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ২৩ মার্চ এটি উন্মুক্ত করা হয়।

‘যেসব আবেদনকারীর ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুযায়ী গৃহীত হয়নি, তারা সোমবার রাত ১০টার মধ্যে অবশ্যই জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি আপলোড সম্পন্ন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। না হলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।’

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এ বছর প্রায় ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬। এবার প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে গড়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন:
ঢাবিতে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চয়তায় সাইফুল
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম যারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল ঘোষণা
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Eid gift to students with tiffin money

দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার

দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন বৃহস্পতিবার ঈদ উপহার বিতরণ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
শিশুদের টিফিনের টাকায় ছয় বছর ধরে ঈদ উপহার বিতরণ করছে ‘ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন’ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ’-এর আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক উপহার দেয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের শিশুকাল থেকে মানবতার শিক্ষা দিতে তাদের টিফিনের টাকায় ছয় বছর ধরে ঈদ উপহার বিতরণ করছে ‘ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন’ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, কুমিল্লা রেল স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ’-এর আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক উপহার দেয়া হয়েছে।

ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন প্রাঙ্গণে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাছেদ মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈদ উপহার বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ছয় বছর ধরে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নে ডিলাইট কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের একদিনের টিফিনের টাকার সঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা মিলিয়ে প্রতি বছর নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়।

এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শতাধিক স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে দুধ, চিনি, সেমাই, নুডুলস, সাবানসহ ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এ ঈদ উপহার বিতরণের মাধ্যমে শিশুদের মানবিক ও পরোপকারী করে গড়ে তোলার জন্য এ আয়োজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপস্থিত এক বক্তা বলেন, ‘আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এ আয়োজন করতে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।’

দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার
কুমিল্লা রেল স্টেশন এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ। ছবি: নিউজবাংলা

অন্যদিকে, কুমিল্লা রেল স্টেশনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণের মাধ্যমে সারা দেশে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ৭০টি শিশুকে ঈদের নতুন পোশাক দেয়া হয়।

সংগঠনটির সদস্যরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের একদিনের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে শিশুদের মুখে হাঁসি ফুটাতে ঈদের নতুন জামা উপহার দিচ্ছেন।

আগামী পাঁচ দিন ধারাবাহিক এ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে ঈদের নতুন জামা উপহার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

এ বিষয়ে লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল বলেন, ‘১৩ বছর ধরে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠদান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ ছাড়াও মাদক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BUET Chhatra Ligamna students receiving death threats appeal to the vice chancellor

‘হত্যার হুমকি’ পাচ্ছেন বুয়েটের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা, উপাচার্যের কাছে আবেদন

‘হত্যার হুমকি’ পাচ্ছেন বুয়েটের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা, উপাচার্যের কাছে আবেদন বুয়েট ক্যাম্পাসে এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগমনা এক শিক্ষার্থী। ছবি: নিউজবাংলা
বুয়েট ক্যাম্পাসে এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন শিক্ষার্থী আশিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের জীবন নিয়ে থ্রেট দেয়া হচ্ছে। সবকিছুর প্রমাণ নিয়ে আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি, যেন এটি বন্ধ করা হয়। আমরা ছাড়াও আরও যারা এটার ভুক্তভোগী তাদের নামও আবেদনে উল্লেখ করেছি।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা হত্যার হুমকি পাচ্ছেন দাবি করে নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

আবেদনে তারা বলেছেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর ও শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা এসব আর নিতে পারছি না।’

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেখানে ছয়জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কেমিকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুল আলম ও সাগর বিশ্বাস।

আশিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের জীবন নিয়ে থ্রেট দেয়া হচ্ছে। আজ আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে সবকিছুর প্রমাণ নিয়ে লিখিত আবেদন করেছি, যেন এটি বন্ধ করা হয়। আমরা ছাড়াও আরও যারা এটার ভুক্তভোগী তাদের নামও আমরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি।

‘আরিফ রায়হান দ্বীপ ভাইয়াকে খুনের আগে তাকে নিয়েও এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুলিং করা হয়েছিল। এরপরও যখন উনি দমছিলেন না তারপর ওনাকে নৃশংসভাবে আমাদের বুয়েট প্রাঙ্গণে হত্যা করা হয়। একই কায়দায় আমাদের বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহাম্মেদ ভাইয়াকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমাদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস হচ্ছে। তাই আমরা উদ্বিগ্ন।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আমাদেরকে পাবলিকলি এবং ব্যক্তিগতভাবেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। যারা আমাদেরকে এই হুমকি দিচ্ছে তাদের নামগুলো উপাচার্য স্যারের কাছে দেয়া লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি।

‘আমাদের পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে বলা হচ্ছে- আপনার সন্তানকে দেখে রাখুন নয়তো পরে পাবেন না। এই কথাগুলোর মানে কী। এসব কিছুই করা হচ্ছে আমরা হিজবুত তাহরীর ও শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি বলে।’

আশিকুল আলম বলেন, ‘বাঁশের কেল্লাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ গ্রুপে আমাদের ছবি পাঠানো হচ্ছে; যার স্ক্রিনশট আমাদের কাছে রয়েছে।’

আশিক বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করেছিল তাদের ৬ দাবির কোথাও হিজবুত তাহরীর, শিবির বা ছাত্রদলের নাম উল্লেখ ছিল না। শুধু ছাত্রলীগের ইমতিয়াজ রাব্বিসহ আরও যারা সেখানে ছিল তাদের বহিষ্কার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কেন তারা শিবির বা হিজবুত তাহরীর নিয়ে কথা বলছে? এটা কিন্তু ভাববার বিষয়।

‘আমরাই প্রথম শিবির ও হিজবুত তাহরীরের পয়েন্ট এনেছি। তারা এখন আমাদের এই পয়েন্ট নিয়ে পুরো আন্দোলনকে ঘুরিয়ে দিতে চাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘কয়েকদিন আগে কিছু শিক্ষার্থী বুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়েছিল। কিন্তু এরও ৬ মাস আগে থেকে আমাদের মুজিব কর্নারের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি ছেঁড়া অবস্থায় ছিল। সেটির দেয়ালের দিকে তাকানোও যাচ্ছে না। পরে আমরা সেই জায়গাটি সংস্কারের আবেদন করেছিলাম ডিএসডব্লিউ স্যারের কাছে। কিন্তু তিনি আমাদেরকে সেটি সংস্কারের অনুমতি দেয়ার সাহসও করেননি।’

এই শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছে আর উপাচার্য স্যারও যেহেতু বলেছেন যে হাইকোর্টের রায় শিরোধার্য, তাই যদি উপাচার্যের অনুমতি থাকে আমরা বুয়েটে প্রগতিশীলতার রাজনীতি চালু করতে চাই।’

সম্প্রতি ‘বুয়েটে আড়িপেতে শোনা’ নামে বুয়েটের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি প্রাইভেট গ্রুপে ছাত্র রাজনীতি চালুর পক্ষ-বিপক্ষে ভোট চেয়ে পোল খোলা হয়। সেই পোলে ৪ হাজার ৭৯৬জন ভোট দেন। রাজনীতি চালুর পক্ষে ভোট পড়ে ২০টি আর ‘না’-তে ভোট পড়েছে ৪ হাজার ৭৭৬টি।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সংবাদ সম্মেলনে সাগর বিশ্বাস বলেন, ‘সেই পোলে যারা ভোট দিচ্ছে তাদের পরিচয় দেখার সুযোগ না থাকলে রেজাল্টটা এমন হতো না। অনেকেই আছেন যারা রাজনীতির পক্ষে। কিন্তু এখানে ভোট দিলে তাদেরকেও সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে এই ভয়ে তারা ভোট দেননি।’

এ সময় তিনি এই গ্রুপগুলো যারা পরিচালনা করছে তাদের পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘সেই গ্রুপগুলোতে হেট স্পিচ ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের ছবি নিয়ে মকারি করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি, প্রয়োজনে আইন সংশোধনের অনুরোধ
বুয়েট শহীদ মিনারে বসবে ছাত্রলীগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে করবে আলোচনা
‘সংকটময় মুহূর্তে’ শিক্ষকদের পাশে চান বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া হতে দেয়া যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল হাইকোর্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Smile Jobs and Tuition makes tuition stress free

টিউশনকে টেনশন ফ্রি করছে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশন’

টিউশনকে টেনশন ফ্রি করছে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশন’ প্রতীকী ছবি
২০১৮ সালে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশনস’-এর শুরু করেন আদনান। শুরুতে একটা ডায়েরিতে শিক্ষক-অভিভাবকদের তথ্য লিখে রাখতেন তিনি। আর এখন পাঁচজনের টিম নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন টিউশনির এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতটাকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখার মধ্যে আনার জন্য।

আপনার সন্তান কিংবা নিজের জন্যে একজন যোগ্য হাউস টিউটর খুঁজে বের করাটা বলতে গেলে বেশ কঠিন কাজ। সাধারণত স্কুলের শিক্ষক বা পরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে খোঁজ-খবর নেয়ার মাধ্যমে হাউস টিউটর ঠিক করা হয়। তবে এই শিক্ষকরা আপনার সন্তানের উপযুক্ত কি না, সেটা জানতে-বুঝতেই অন্তত একমাস চলে যায়। অথচ পরে অনেক সময় মনে হয় যে সিদ্ধান্তটা ঠিক হয়নি। যোগ্য হাউস টিউটর খোঁজার এই প্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রে এভাবে চলতেই থাকে।

অন্যদিকে, মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণ ছাত্ররা টিউশনি করাতে চাইলে উপযুক্ত ছাত্র খুঁজে পায় না। কীভাবে বিজ্ঞাপন করবে, দেয়ালে-ল্যাম্পপোস্টে পোস্টার লাগাবে- সেটা ভেবে হয়রান হয়।

স্কুলের ছাত্র থাকাকালে আফতাব আদনানের জন্য একজন ভালো হাউস টিউটর খুঁজতে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে তার বাবা-মাকে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে নিজে যখন টিউশনি করতে চেয়েছেন, তখনও ছাত্র খুঁজে নেয়া বা অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে নানা বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির আইডিয়া মাথায় আসে তার, যেখানে হাউস টিউটর নিয়োগের ব্যাপারটা হবে সহজ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়।

টিউশনকে টেনশন ফ্রি করছে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশন’

সেই ভাবনা থেকেই সাহস যুগিয়ে ২০১৮ সালে ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশনস’-এর শুরু করেন আদনান। শুরুতে একটা ডায়েরিতে শিক্ষক-অভিভাবকদের তথ্য লিখে রাখতেন তিনি। আর এখন পাঁচজনের টিম নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন টিউশনির এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতটাকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখার মধ্যে আনার জন্য।

বর্তমানে ‘স্মাইল জব অ্যান্ড টিউশনস’-এ রেজিস্টার্ড টিউটরের সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। প্রায় ১২০০ অভিভাবক তাদের সন্তানের জন্য পছন্দমতো হাউস টিউটর খুঁজে নিয়েছেন ‘স্মাইল জবস অ্যান্ড টিউশনস’ থেকে।

এখন ঢাকার মধ্যে কার্যক্রম পরিচালিত হলেও এ যুবকের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য দেশজুড়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং টিউটরদের মধ্যে যোগসূত্র ঘটানো।

আদনান বিশ্বাস করেন যে তিনি পারবেন। কারণ এই স্বপ্নটা তিনি ঘুমিয়ে দেখেন না, বরং এটিই তাকে জাগিয়ে রাখে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The result of the third phase immediately after Eid

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঈদের পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঈদের পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল ফাইল ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতেও দেরি হবে। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই ফল প্রকাশ করতে পারব।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ। ইতোমধ্যে সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। চলতি সপ্তাহ ছাড়া আগামী সপ্তাহে মাত্র দুদিন সময় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতে দেরি হবে।

‘ফলে ঈদের আগে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারব।’

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। তাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ হাজার ৬৪৭ জন প্রার্থী।

তারও আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী
৫০ জনের কম শিক্ষার্থীর স্কুল পাশের প্রাথমিকে একীভূত হবে

মন্তব্য

p
উপরে