শুরুতে অনিশ্চয়তা থাকলেও সময় যত গড়াচ্ছে নির্ধারিত দিনে হজ ফ্লাইট শুরুর বিষয়ে অনিশ্চয়তা তত কাটছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চলতি বছরের হজ সূচিতে অনুমোদন দিয়েছে সৌদি সরকার।
প্রায় দুই বছর পর এবার বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে হজব্রত পালনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা। এবার হজ মৌসুমে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের নিয়ে হাজির হওয়া প্রথম ফ্লাইট হতে চায় বাংলাদেশ। সে লক্ষ্য নিয়ে এগোনোর কথা জানাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বিমান বলছে, হজ ফ্লাইট শুরু করতে তাদের সব প্রস্তুতি নেয়া আছে।
২০১৫ সালে মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট পরিচালনা করে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ বছরও একই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর সারা বিশ্বের ২০ থেকে ২৫ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সৌদি সরকার এবার সারা বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দিচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মুসল্লি হজব্রত পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার মুসল্লি। বাকিরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হজ ফ্লাইটের জন্য যে সিডিউল দেয়া হয়েছিল, তা সৌদি সরকার অনুমোদন করেছে। আমরা আশা করি, ৩১ মে প্রথম ফ্লাইট শুরু করতে পারব। আমার ২০১৫ সালের কথা স্পষ্ট মনে আছে। বাংলাদেশের বিমানের মৌসুমের প্রথম ফ্লাইটটি যখন সৌদিতে গেল এবং এটাই ছিল সে বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট।
‘আমরা চেষ্টা করব এবারও প্রথম ফ্লাইটটি করতে পারি কি না। আমাদের প্রথম ফ্লাইট যেটা যাবে, তা যদি প্রথম হয়, তবে সেটাকে সৌভাগ্য বলেই মনে করি। ২০১৫ সালে হয়েছিল। এবার হবে কি না জানি না, তবে আমরা চেষ্টা করছি। এবার সব যাত্রী যাতে ডেডিকেটেড ফ্লাইটে যেতে পারে, আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বলছে, এরই মধ্যে ৩১ মে ফ্লাইট শুরু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ৩১ মের জন্য প্রস্তুত আছি। তারপরও যেভাবে ধর্ম মন্ত্রণালয় আমাদের বলেছে যে, গ্যাপ দিয়ে মনে হয় বাকিগুলো করতে পারবে, আমরা সেভাবেই ঠিক রেখেছি। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুত আছি।
‘আমরা যেভাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে ফ্লাইট চেয়েছি বা বলেছি, সেভাবেই অনুমোদন পাওয়া গেছে। আমরা অনুমোদিত সিডিউল পেয়েছি, আমরা আমাদের দিক থেকে প্রস্তুত আছি।’
মৌসুমের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মাথায় রেখেই এগোচ্ছি। এখন সব দিক থেকে যদি সম্ভব হয়। ওনাদের দিক থেকে যদি সব শেষ করে হজযাত্রী দিতে পারেন, তাহলে আমরা চেষ্টা করছি।’
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্যাকেজটি হলো ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বনিম্নটি হলো ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে জনপ্রতি ন্যূনতম খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব)।
এবার হজ হতে পারে ৮ জুলাই (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে)। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৫৭ হাজার হজযাত্রীর অর্ধেক করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বাকি অর্ধেক বহন করবে সৌদি রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ও ফ্লাই নাস।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান এ বছর ৭৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে ৩১ হাজার যাত্রী বহন করবে। যাত্রী পরিবহনে বিগত বছরগুলোর মতোই বহরে থাকা বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন:পবিত্র হজ শুরুর আগে শেষ ফ্লাইটে প্রায় ৩০ যাত্রীকে নিয়ে সৌদি আরব গেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট।
প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বলছে, চলতি বছরের হজপূর্ব ফ্লাইট সফল হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিমান এ বছর কোটা অনুযায়ী ২৯ হাজার ৯৯২ হজযাত্রীকে নিরাপদে সৌদি আরব পৌঁছে দিয়েছে।
বিমানের সবশেষ হজপূর্ব ফ্লাইট বিজি-৩১৪১ রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে যাত্রা করে ঝামেলাহীনভাবে জেদ্দা পৌঁছায়।
হজপূর্ব কর্মসূচিতে ৬৭টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট ও ২০টি শিডিউল ফ্লাইটসহ বিমান ৮৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। আর এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহার করেছে বহরে থাকা নিজস্ব চারটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজ।
হজ শেষে আগামী ১৪ জুলাই থেকে হজ পরবর্তী ফ্লাইট শুরু করবে বিমান।
আরও পড়ুন:মহানবীকে (সা.) নিয়ে আপত্তিকর বিজেপির এক শীর্ষ নেতার মন্তব্যের জেরে ভারতজুড়ে চলছে তোলপাড়। ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্রের পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছে নূপুর শর্মা।
৩৭ বছরের নূপুরের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এফআইআর হয়েছে। সব অভিযোগ নয়াদিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন জানালে সর্বোচ্চ আদালত তার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারক জে বি পারদিওয়ালা মহানবীকে (সা.) নিয়ে নূপুর শর্মার মন্তব্যের কড়া নিন্দা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, পুরো দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত তার। আরেক বিচারক সূর্য কান্তও একই মনোভাব ব্যক্ত করেন।
পর্যবেক্ষণে বিচারকরা এও প্রশ্ন করেছিলেন, কেন নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা নূপুরকে ‘সারা দেশে আবেগ প্রজ্বলিত করার’ জন্য দায়ী করেছিলেন।
এর পরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে ওঠে নূপুরের সমর্থকরা।
রোববার এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি নজরে আনেন বিচারপতি পারদিওয়ালা। বলেন, ‘বিচারকদের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।
‘বিচারকদের ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ বিচার ব্যবস্থাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যায়, যেখানে আইন আসলে কী বলছে তার বদলে মিডিয়া কী করছে, তা নিয়ে ভাবতে হয় বিচারকদের৷ এটি আইনের শাসনের বড় ক্ষতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের অধীনে আইনের শাসন রক্ষায় সারা দেশে ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
‘আধুনিক প্রেক্ষাপটে বিচার প্রক্রিয়ায় একটি অযাচিত হস্তক্ষেপ হলো ডিজিটাল মিডিয়া।’
বিচারপতি পারদিওয়ালা এ সময় উদাহরণ হিসেবে অযোধ্যা মামলাকে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ওই মামলায় জমি এবং নাম নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে চূড়ান্ত রায় দেয়ার সময় ইস্যুটি রাজনৈতিক মাত্রা পেয়েছিল।’
আরও পড়ুন:ফিরতি হজযাত্রায় ফ্লাইটের ২৪ ঘণ্টা আগেই মক্কা ও মদিনার বাসস্থান থেকে লাগেজ চেকইন করার সুবিধা ঘোষণা করেছে সৌদি এয়ারলাইন্স। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এতে যাত্রীদের বিমানবন্দর পর্যন্ত লাগেজ বহন করতে হবে না এবং তাদের যাত্রা হবে ঝামেলাহীন।
এয়ারলাইন্সটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্লাইটের আগে হাজীদের বোর্ডিং পাস ও কার্গো কার্ড প্রদানসহ সৌদিয়ার অন্যান্য সুবিধাজনক পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে এই অতিরিক্ত সুবিধা হাজীদের দেশে ফেরার ভ্রমণের আগে বিমানবন্দরে লাগেজ জ্যাম এবং ভিড় এড়াতে সহায়ক হবে।
এই সুবিধা নিতে যাত্রীদের গ্রুপ প্রতিনিধিদেরকে মক্কা ও মদীনায় সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে আগাম যোগাযোগ করতে হবে, যাতে লাগেজ পিকআপের সময় ও স্থানের ব্যাপারে সমন্বয় করা যায়।
মক্কায় প্রতিনিধিরা তাদের পরিষেবা প্রদানকারীর সঙ্গে ই-মেইল ঠিকানা [email protected] অথবা (+৯৬৬) ৫১৫২২৩৮১২ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন। মদিনার জন্য ই-মেল ঠিকানা হলো- [email protected] এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (+৯৬৬) ৫১৫২২৩৮১৩।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক স্টেশন এবং সৌদিয়ার প্রতিটি অভ্যন্তরীণ স্থান, সে সঙ্গে মক্কা ও মদিনার হোটেল, ক্যাম্প এবং পবিত্র স্থানগুলোতে লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের সব দিক এ ক্যাম্পেইনের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
অন্যান্য নিয়মের মধ্যে রয়েছে- প্রচারাভিযানে হজযাত্রীদেরকে তাদের লাগেজে জমজমের পানিসহ যেকোনো ধরনের তরল বহন করার ব্যাপারে সতর্ক করা। ফ্লাইটের আগে, চলাকালীন ও পরে অসুবিধা দূর করতে সতর্কতার সঙ্গে সব লাগেজ ব্যবস্থাপনা এবং প্যাক করা উচিত।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় ৬০ হাজার মুসল্লি সৌদি আরবে হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এই যাত্রীদের অর্ধেক পরিবহন করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বাকি অর্ধেক পরিবহন করছে সৌদি এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ার।
আরও পড়ুন:বর্তমান সরকার যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কঠোর হস্তে দমনে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামে শ্রীকৃষ্ণ মন্দির আয়োজিত রথযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে মাঝেমধ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে। এই অপশক্তি সাপের মতো ছোবল মারতে চায়। বিভিন্ন সময় সেই অপচেষ্টা হয়েছে। আমাদের সরকার সেগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করেছে। আমরা যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কঠোর হস্তে দমনে বদ্ধপরিকর।’
তিনি বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে লালন-পালন করে, সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে রাজনীতি করে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যারা দেশে গণ্ডগোল পাকায়, যারা এই দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদেরকে আপনারা চেনেন, তাদেরকে বর্জন করুন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ হয়েছিল সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে। হিন্দুদের জন্য একটি রাষ্ট্র আর মুসলিমদের জন্য আরেকটি। বিভাজনের পর আমরা বাঙালিরা অনুধাবন করেছি, এই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা আমাদের জন্য নয়।
‘আমাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে, আমি বাঙালি, আমি বাংলায় কথা বলি, বাংলায় গান গাই। দ্বিতীয় পরিচয় হচ্ছে হিন্দু না মুসলিম, না বৌদ্ধ নাকি খ্রিষ্টান। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পাকিস্তানে সেই সংস্কৃতি এবং পরিচয় যখন হুমকির মুখে পড়ল, তখন জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রচিত হয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা ভালো করে জানেন এবং বোঝেন, কারা এই দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আর দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রয়োজনের সময় কারা আপনাদের পাশে থাকে, সেই কথাটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন ও ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী।
আরও পড়ুন:ভারতে এখন যা ঘটছে তার জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে এককভাবে দায়ী করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। গোপন বিষয় নিয়ে নূপুর শর্মার দায়িত্বহীন ও বেফাঁস মন্তব্য গোটা দেশে আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে, জানায় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়টি উল্লেখ করে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বিজেপির সাবেক এ মুখপাত্রের কঠোর সমালোচনা করে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আদালত আরও জানায়, উত্তরপ্রদেশের বারানসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে হিন্দু-মুসলিমের বিরোধের মধ্যে মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে নূপুর শর্মার মন্তব্য দেশজুড়ে ভয়াবহ বিতর্কের জন্ম দেয়।
আদালত আরও বলে, ‘তার পুরো দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
৩৭ বছর বয়সী এই নেত্রী দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে করা এফআইআর নয়াদিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন জানালে আদালত তার বিষয়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেয়।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে কাতার, সৌদি আরব, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ভারতকে চিঠি দিয়েছে। পরে বিজেপি সরকার জানিয়েছে, ভারতে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, তার বেফাঁস মন্তব্য রাজস্থানের উদয়পুরে দর্জি হত্যার মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য দায়ী। এই হত্যার জেরে পুরো রাজ্য ও এর বাইরে উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ এখনও রাজস্তানে বহাল রয়েছে যেটি ভারতের অন্যতম প্রধান পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান।
মহানবীকে (সা.) নিয়ে নূপুর শর্মার অবমাননাকর মন্তব্য ভিন্নধারার গণমাধ্যমে তুলে ধরার জেরে গ্রেপ্তার হন ভারতের জনপ্রিয় ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট অল্টনিউজের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়ের।
আদালত তিরস্কার করে আরও জানিয়েছে, নূপুরের মন্তব্যের জেরে সহিংসতা ছড়িয়েছে উত্তর প্রদেশেও।
সম্প্রতি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে নূপুর শর্মাকে ডেকে কথা বলতে চায় পুলিশ, তবে সেসময় তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ই-মেইলে ২৫ জুন পুলিশের সামনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয় নূপুরকে। কিন্তু উত্তর দেননি তিনি।
এরপরই নূপুরের খোঁজে তার নয়াদিল্লির বাড়িতে উপস্থিত হয় পুলিশের একটি দল। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে বিজেপির এই সাবেক মুখপাত্রের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শুধু মুম্বাই নয়, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গেও নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় তার বিরুদ্ধে করা হয় এফআইআর।
২০ জুন থানায় উপস্থিত হওয়ার জন্য তলবও করা হয়েছে তাকে। কিন্তু নূপুর সেখানে যাবেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের বিতর্ক অনুষ্ঠানে নূপুর শর্মা মহানবীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা নবীন কুমার জিন্দালও।
এরপরই শুরু হয় সমালোচনা আর বিক্ষোভ। দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় সংঘর্ষ ও সহিংসতা। বিভিন্ন রাজ্যে এরই মধ্যে নূপুরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ক্ষোভ পৌঁছেছে বিভিন্ন মুসলিম দেশে। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কোনো কোনো দেশ।
এ ইস্যুতে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় বিজেপির পক্ষ থেকে নূপুর ও নবীনকে ছয় বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এবং পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সেসব দেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণাও দেয় মুসলমানরা।
এ ঘটনার পর দলের নেতা ও মুখপাত্রদের টিভি বিতর্কে অংশ নেয়ার ব্যাপারে নতুন নিয়ম করে বিজেপি। এখন থেকে কেবল দলটির অনুমোদিত মুখপাত্র এবং প্যানেলিস্টরা টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন। টিভি বিতর্কে অংশ নিতে মুখপাত্র এবং প্যানেলিস্ট নির্ধারণ করে দেবে দলটির মিডিয়া সেল।
নূপুরকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠে বিভিন্ন মহলে। তবে এখনও পর্যন্ত নূপুর-বিতর্কে মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত পোর্টালে বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এবারের হজযাত্রায় আটজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী। মক্কায় মৃত্যু হয়েছে ছ জনের আর মদিনায় দুইজনের।
সর্বশেষ মারা যাওয়া মোসা. ফাতেমা বেগম রাজধানীর বাড্ডার বাসিন্দা ছিলেন। মক্কায় তার মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার রাতে। তার পাসপোর্ট নম্বর EE0382843।
এর আগে ২৮ জুন একজন, ২১ জুন দুজন, ১৭ জুন দুজন আর ১৬ ও ১১ জুন আরও দুই বাংলাদেশিসহ সাত হজযাত্রীর মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া বাকি সাতজন হলেন- টাঙ্গাইলের আব্দুল গফুর মিয়া, রংপুরের পীরগাছার মো. আবদুল জলিল খান, ঢাকার বিউটি বেগম, কুমিল্লার মোছা. রামুজা বেগম, জয়পুরহাটের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, নোয়াখালীর নুরুল আমিন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৪৮ হাজার ১৭১ হজযাত্রী।
৫ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে পৌঁছানো ফ্লাইটের সংখ্যা ১৩৩টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৭৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৫০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের ৮টি ফ্লাইট সৌদি আরবে পৌঁছেছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার হজ হতে যাচ্ছে ৮ জুলাই। দেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৫ জুন।
স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর বিশ্বের ২০ থেকে ২৫ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সৌদি সরকার এবার সারা বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন চার হাজার মুসল্লি।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্যাকেজটি হলো ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বনিম্নটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকার।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে জনপ্রতি ন্যূনতম খরচ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিস অফ বাংলাদেশ।
সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৩ জুলাই। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১৪ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।
আরও পড়ুন:ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতি বছরই শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে রথটান অনুষ্ঠিত হয়। চাকার ওপর বসানো বিশেষ রথের ভেতর জগন্নাথ দেবের মূর্তি বসিয়ে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী এই রথযাত্রা।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সাজসজ্জার কাজ। এক মাস ধরে কাঠামো মেরামত ও রঙের কাজ শেষে রথ সেজে উঠেছে নতুন রূপে। শুক্রবার রথটানের মধ্য দিয়ে এই অর্চনার শুরু হবে।
ধামরাইয়ের যশোমাধব মন্দির পরিচালনা পর্ষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন রথযাত্রার ঐতিহ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘ধামরাই এলাকার রাজা ছিলেন শ্রী যশোপাল। সেই সময় আশুলিয়ার শিমুলিয়া থেকে সৈন্য-সামন্ত নিয়ে ধামরাইয়ের কাশবন ও দুর্গম এলাকা পার হয়ে পাশের এক গ্রামে যাচ্ছিলেন।
‘এরই মধ্যে কায়েতপাড়ায় এসে মাটির ঢিবির সামনে থেমে যায় তাকে বহনকারী হাতি। রাজা শত চেষ্টা করেও হাতিটিকে সামনে নিতে পারলেন না এবং অবাক হলেন। তখন তিনি হাতি থেকে নেমে স্থানীয় লোকজনকে ওই মাটির ঢিবি খনন করার জন্য নির্দেশ দেন। সেখানে একটি মন্দির পাওয়া যায়।’
নন্দ গোপাল বলেন, ‘এ ছাড়া কতগুলো মূর্তি পাওয়া যায়। এর মধ্যে বিষ্ণুর মূর্তির মতো শ্রীমাধব মূর্তিও ছিল। রাজা ভক্তি করে সেগুলো সঙ্গে নিয়ে আসেন। সেদিন রাতে মাধব দেবকে স্বপ্নে দেখেন রাজা যশোপাল। মাধব তাকে নির্দেশ দেন পূজা করার। আর বলে দেন নামের সঙ্গে মাধবের নাম বসিয়ে নেয়ার। এর পরই যশোপালের নাম হয়ে যায়।
‘পরে ধামরাই সদরে ঠাকুরবাড়ি পঞ্চাশ গ্রামের বিশিষ্ট পণ্ডিত শ্রীরামজীবন রায়কে তিনি ওই মাধব মূর্তি নির্মাণের দায়িত্ব দেন। এখনও সেই মূর্তির পুজোর প্রচলন রয়েছে। সময়টি ছিল চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথি। সেই থেকেই শুরু হয় যশোমাধবের পূজা।’
রথ তৈরির বিষয়ে গোপাল জানান, বাংলা ১২০৪ থেকে ১৩৪৪ সন পর্যন্ত ঢাকা জেলার সাটুরিয়া থানার বালিয়াটির জমিদাররা বংশানুক্রমে এখানে চারটি রথ তৈরি করেন। ১৩৪৪ সালে রথের ঠিকাদার ছিলেন নারায়ণগঞ্জের স্বর্গীয় সূর্যনারায়ণ সাহা। এ রথ তৈরি করতে সময় লাগে এক বছর।
ধামরাই, কালিয়াকৈর, সাটুরিয়া, সিঙ্গাইর থানার বিভিন্ন কাঠশিল্পী যৌথভাবে নির্মাণকাজে অংশগ্রহণ করে ৬০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন রথটি তৈরি করেন। এ রথটি ত্রিতলবিশিষ্ট ছিল, যার প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় চার কোণে চারটি প্রকোষ্ঠ ও তৃতীয় তলায় একটি প্রকোষ্ঠ ছিল। বালিয়াটির জমিদাররা চলে যাওয়ার পর রথের দেখভালের দায়িত্ব পালন করত টাঙ্গাইলের রণদাপ্রসাদ সাহার পরিবার।
২০১০ সালে ধামরাইয়ে পুরোনো রথটির আদলে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন রথ বানিয়ে দেওয়া হয়। ৪০ জন শিল্পী ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরলসভাবে কাজ করে ৩৭ ফুট উচ্চতা ও ২০ ফুট প্রস্থের কারুকার্যখচিত নতুন রথটি নির্মাণ করেন।
লোহার খাঁচার ওপর সেগুন ও চাম্বল কাঠ বসিয়ে খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে আকর্ষণীয় সব শৈল্পিক নিদর্শন। এতে রয়েছে লোহার তৈরি ১৫টি চাকা। রথের সামনে রয়েছে কাঠের তৈরি দুটি ঘোড়া ও সারথি।
এ ছাড়া রথের বিভিন্ন ধাপে প্রকোষ্ঠের মাঝে স্থাপন করা হয়েছে কাঠের তৈরি দেব-দেবীর মূর্তি। প্রতি বছর রথযাত্রার আগে রং চরানো ও সাজসজ্জার কাজ করে এটিতেই অনুষ্ঠিত হয় রথ উৎসব।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ধামরাই উপজেলা পরিষদসংলগ্ন রথখোলায় গিয়ে রথের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির ব্যস্ততা দেখা যায়।
রংশিল্পী ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘রথটি সারা বছর বাইরে খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়। এ জন্য রং মলিন হয়ে যায়। কিন্তু রথযাত্রার আগে এটিকে পুরোপুরি সাজিয়ে তোলা হয়। আমরা বিভিন্ন রং দিয়ে রথকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলি। ৩৫ বছর ধরে এই রথে রঙের কাজ করছি। এখন শেষ মুহূর্তেই তুলির আঁচড় দিচ্ছি।’
রথযাত্রার সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে যশোমাধব মন্দির পরিচালনা পর্ষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন বলেন, ‘রথযাত্রা ও রথমেলা উপলক্ষে রথের সাজসজ্জা ও পরিচর্যার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। রঙের কিছু কাজ চলছে। বাকি কাজও দ্রুত শেষ হবে। এরপর রথটান হবে। এ ছাড়া মাসব্যাপী মেলা হবে।’
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আতিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রথযাত্রার নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি পোশাকধারী পুলিশও টহল দিচ্ছে। রথের নিরাপত্তা পরিদর্শন করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়। আশা করছি, পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে শেষ হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য